![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে রফতানি থেকে দেশের আয় হয়েছে ২ হাজার ৭৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৩২ কোটি ১৯ লাখ ডলার। এ হিসাবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। মাসভিত্তিক হিসাবে শুধু মে মাসে রফতানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০১২-১৩ অর্থবছরের মে মাসে পণ্য রফতানি থেকে ২৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ১০ হাজার ডলার আয় হলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে তা বেড়ে হয়েছে ২৭২ কোটি ২১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে রফতানি আয়ের সিংহভাগ এসেছে তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত এবং হিমায়িত খাদ্য থেকে। এ খাতের পণ্য রফতানি ইতিবাচক ধারায় থাকার কারণেই মূলত ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। প্লাস্টিক ও হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানির চিত্রও সন্তোষজনক। এ সময়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৭৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। জুলাই-মে সময়ে মোট রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ এসেছে তৈরি পোশাক (নিট ও ওভেন) খাত থেকে। এ দুই খাতের পণ্য রফতানি থেকে আলোচ্য সময়ে আয় হয়েছে ২ হাজার ২১৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি। আর এ রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ২ দশমিক ২২ শতাংশ। ওভেন পোশাক রফতানি থেকে জুলাই-মে সময়ে দেশে এসেছে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার ও নিট পোশাক থেকে ১ হাজার ৯১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলার। এ সময়ে ওভেন পোশাকের রফতানি আয় বেড়েছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৬ ও নিট পোশাকের ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে হিমায়িত খাদ্য রফতানি থেকে দেশের আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ ৪৪ হাজার, চামড়ায় ৪৬ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ও চামড়াজাত পণ্যে ২১ কোটি ৮১ লাখ ৩০ হাজার ডলার। তিনটি পণ্যের ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। সরকারের বহির্বিশ্বের সংগে সুসম্পর্ক, আন্তরিকতা এবং সঠিক দিক নির্দেশনায় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিনে দিনে অগ্রগামী।
©somewhere in net ltd.