নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বেগম জিয়ার ধরনা-‘দেশে গণতন্ত্র নেই’। ভারতবিদ্বেষী খালেদা অবশেষে বন্ধু হতে চাচ্ছে ভারতের!

০৩ রা জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় বেগম জিয়া বলেছেন 'বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। বর্তমান সংসদ জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করে না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ তার প্রতিবেশী দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায় কিনা। পার্শ্ববর্তী দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যাহত হয়।' এসব কথাই ছিল বেগম জিয়ার বক্তব্যের সারমর্ম। বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্র নেই বলে যে বেগম জিয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেছেন, এই অভিযোগ কতটুকু সত্য? আর যদি গণতন্ত্র দেশে অনুপস্থিত হয়েই থাকে, তার জন্য কে দায়ী? বেগম জিয়ারা সংসদে না থাকার কারণেই কি দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত নয়? ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সদ্য সমাপ্ত সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ঐ ৫ বছরে বেগম জিয়া এবং তার দল কদিন সংসদে গিয়েছেন? সদস্যপদ রক্ষার জন্য বেগম জিয়া যে ৫-৭ বার সংসদে যাওয়ার দরকার, তাই গেছেন। তার দলেরও একই অবস্থা। স্বাধীনতাবিরোধী একাত্তরের ঘাতক জামায়াতকে নিয়ে গত ৫ বছরে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন বেগম জিয়া ও তার দল। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা থেকে শুরু করে রেল লাইনের ফিশপ্লেট উঠিয়ে রেল চলাচল ব্যাহত, যানবাহনে আগুন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলাসহ দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে জামায়াত-শিবির দেশের অর্থনীতিকে চরমভাবে বিপর্যন্ত করে। অথচ সবাই জানে বেগম জিয়ারা মদদ না দিলে জামায়াত-শিবির গণরোষ থেকে বাঁচার জন্য গর্তে লুকাতো। এখনও এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছেন বেগম জিয়া ও তার পরিবার। বিএনপির রাজনীতি যতদিন জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে থাকবে ততদিন এদেশে একাত্তরের ঘাতকদের নির্মূল করা যাবে না এবং দেশে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হবে না। বেগম জিয়ারা ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ধরনা দিতে গিয়ে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে যে দাবি করেছেন, এর জন্য তিনি নিজেই সিংহভাগ দায়ী। বেগম খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও সংসদে নিয়মিত উপস্থিত থাকেননি। আর বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্যই বছরে ২-১ বার সংসদে হাজিরা দিয়েছেন। বেগম জিয়ার কাছে জানতে চাই- তিনি কি দয়া করে বলবেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে এক মাসও কেন তিনি সংসদে যাননি? উনি নিজে কি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? উনার দলে গত ৩১ বছরে ক'বার কাউন্সিল হয়েছে? উনার পুত্রকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে? বিএনপির গঠনতন্ত্রে কি এই দুই আজগুবি পদের অস্তিত্ব ছিল? শুধু একজন পলাতক আসামিকে পদায়ন করার জন্য যে দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে পদ সৃষ্টি করা হয়, সেটাকে কি কোন গণতান্ত্রিক দল বলা যায়? বেগম জিয়া সুষমার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায় কিনা। আমরা বিএনপি নেত্রীর কাছে জানতে চাই, আমাদের দেশে গণতন্ত্র থাকা না থাকার ব্যাপারে প্রতিবেশী অন্য দেশের কি কিছু করার আছে? ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি এই দেশ স্বাধীন করেছে। এই প্রজাতন্ত্রের মালিক দেশের জনগণ। বাংলাদেশ কারও জমিদারি নয়। বাংলার জনগণই ঠিক করবে এদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে কিনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.