![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশুদের হত্যার মতো নির্মমতম কাজ আর কিছুই হতে পারে না। গত বছর শেষ তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে ৩৭ শিশু মারা গেছে। রাজনৈতিক কাজে শিশুদের ব্যবহার করাটা গুরুতর অপরাধ। এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে জামায়াত-বিএনপি জোট। বিষয়টি উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার। অবরোধ আর হরতাল কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে জামায়াত যে নাশকতা ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তা অতীতে কখনও হয়নি। এবার শিশুদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি, তাদের দিয়ে বাসে আগুন দেয়া, ঢিল ছোড়া, ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটানো হয়েছে। শিশুদের রাজনৈতিক সহিংসতায় ব্যবহারের বিষয়টি দেশের মানুষের পাশাপাশি জাতিসংঘ থেকেও জোর প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু এতে কর্ণপাত করেনি বিএনপি-জামায়াত জোট। সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করলে তারা ভবিষ্যতে ভয়ানক সন্ত্রাসীতে পরিণত হবার সম্ভাবনা থাকে। জানা গেছে, এবার হরতাল ও অবরোধের সময় বিরোধী জোট টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দিয়ে সহিংস কাজ করিয়েছে। সেই সময়ে পুলিশের কাছে ধরা পড়া কিছু পথশিশু জানায় গাড়িতে আগুন দিতে পারলে ৫শ’ টাকা, ভাঙচুর করলে ৩শ’ টাকা এবং ককটেল ফাটালে ২শ’ টাকা দেয়। এই টাকার লোভে তারা সন্ত্রাসী কাজ করতে দ্বিধাবোধ করেনি। অনেক শিশু আছে যারা পরিত্যক্ত ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যায়। তারা অর্থের লোভে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। তাই তাদের এ ধরনের কাজে দ্রুত ব্যবহার করা যায়। আবার দেখা যায় অনেক শিশু বিভিন্ন নেশায় আসক্ত। গত ৫ মে ঢাকার মতিঝিলে হেফাজতের কর্মসূচীতে আসা শিশুরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায় তারা ১৩ দফার কিছু জানে না, বোঝেও না। হুজুররা বলেছেন তাই এসেছে। পিকেটিং করার সময় আটক হওয়া কিছু শিশুও জানিয়েছে, তাদেরকে বড়রা বিভ্রান্ত করে এসব কাজে ব্যবহার করেছে। অথবা কেউ কেউ টাকার লোভে এ বিপজ্জনক কাজে জড়িয়ে পড়ে। শিশুরা যখন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন নাশকতা ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে চরম বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। নেতা ও মূল হোতারা থাকে শিশুদের তৈরি মানব ঢালের ভেতরে। তাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না। শিশুদের এই ধরনের সহিংস কাজে ব্যবহারের প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেননা, শিশুদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে না ফেলে বরং কিভাবে তাদের ভবিষ্যত সুন্দর ও সুনিশ্চিত করা যায় সে বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে সবাইকে।
©somewhere in net ltd.