![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যে আদর্শের ভিত্তিতে দেশে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বিগত চার দশক তা হোঁচট খেয়েছে বার বার। বিশেষত মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির কাছে এবং দেশে এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে চলছে জাতিকে কলঙ্কের কালিমা থেকে মুক্ত করার জন্য যা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দলের প্রধান শরিক বাংলাদেশে আওয়ামী আমলেই পরিচালিত হচ্ছে। এই কাজটি দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূল করার অনেক পদক্ষেপের মধ্যে একটি এবং তাহলে প্রশ্ন আসে বাকি কাজগুলো কি কি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়,বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মোট দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাংবিধানিক কাঠামোতে সম্পন্ন হয়েছিল এবং তার মধ্যে নব্বই পরবর্তী যে পাঁচটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট দুটিতে এবং আওয়ামী নেতৃত্বাধীন জোট তিনটিতে জয়লাভ করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক উপায়ে। দেশের এই সম্প্রদায় যে নির্বাচনোত্তর সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের শিকার যা সম্প্রতি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়েছে দেশের যশোর, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা ও লক্ষ্মীপুরে। সম্প্রতি নির্বাচন পরবর্তী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংসদ বা দেশের বিদেশী মিশনের কূটনীতিকদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে যে দেশে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলোই এই সহিংসতার জন্য মূলত দায়ী যাদের রাজনীতি কার্য বন্ধ করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সংক্রান্ত অপরাধগুলোকে সাধারণ বিচারিকের কাঠগড়ায় দাঁড় করলে আক্রান্তরা আর কোনদিন বিচার পাবে না। যা এতদিন সকলেই দেখে এসেছে। কারণ রাজনীতিবিদরা একে অন্যকে দোষারোপের ফলে প্রকৃত অপরাধীরা আর ধরা পড়ে না। যার জ্বলন্ত উদাহরণ প্রায় এক বছর আগে রামুর বৌদ্ধ মন্দির জ্বালিয়ে দেয়ার ঘটনার বিচারিক কাজের মন্থর গতি। তৃতীয়ত, যারা ধর্মনিরপেক্ষতা নীতিকে বিশ্বাস করে না তারাই বিভিন্ন সময়ে ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে ইন্ধন যোগায় ।
©somewhere in net ltd.