![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চীন এ দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সম্প্রতি বিভিন্ন বিদ্যুত প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশাল অঙ্কের ঋণ পাওয়া যাচ্ছে চীন থেকে। ফলে দেশের অগ্রগতিতে এসব বিদ্যুত কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ৬ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে চীন। এসব প্রকল্পের মধ্যে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র সংক্রান্ত একটি এবং বাকি ৫টি গ্যাস সরবরাহ সংক্রান্ত প্রকল্প রয়েছে। ইতোমধ্যেই এসব প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) পাঠানো হয়েছে। সরকার এদেশকে মধ্য আয়ের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। সুতরাং ওই স্থানে পৌঁছাতে হলে ব্যাপক বৈদেশিক বিনিয়োগ দরকার। এক্ষেত্রে শুধু নমনীয় সুদের ঋণের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, আমাদের অনমনীয় ঋণের দিকেই যেতে হবে। চীন সরকারের মালিকানাধীন চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন কোম্পানি নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল)-এর যৌথ মালিকানায় পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল বেজড থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান ২০১০ অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ ২৪ হাজার এবং ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান গ্যাস সঙ্কটের কারণে বিদ্যমান গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো সর্বোচ্চ উৎপাদনে যেতে পারছে না। এ লক্ষ্যে বিকল্প জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুত উৎপাদনে বিদ্যুত বিভাগ অতিরিক্ত বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ২০৩০ সাল নাগাদ সর্বমোট বিদ্যুত উৎপাদনের ৫০ শতাংশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র হতে উৎপাদন করা হবে।
©somewhere in net ltd.