![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মুসলমান। ভালবাসি ইসলামী জীবনযাপন। আমার জীবনের লক্ষ্য মাওলা আল্লাহপাকের সন্তুষ্টি অর্জন করেই এই রংতামাশার ভুবন, মুসাফিরখানা ছেড়ে আমাদের আসল বাড়ি কবর, হাশর, পুলছেরাত হয়ে জান্নাতের পথে পাড়ি দেয়া। দীর্ঘ পথ। কিন্তু পথের রসদ কম। অবশ্য কম হলেও দামী। এর নাম নবীজী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত। আমি চাই আমার জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে আমার পরিবার, বন্ধুমহল, পাড়া-প্রতিবেশি, সমাজ, রাষ্ট্র, অতঃপর দেশ থেকে দেশান্তরে, যুগ থেকে যুগান্তরে, কাল থেকে কালান্তরে, কিয়ামত পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে। কারণ ইসলাম পেয়ে আমি খুশি। আমার মনে আনন্দ। আমার স্ত্রীর মনে, আমার বাচ্চার মনেও আনন্দ। আমার সুখ, আমার আনন্দ আমি সকল মানুষের সাথে শেয়ার করতে চাই। মানুষ কেন কষ্টে থাকবে? মানুষকে কষ্ট দেয়ার জন্যতো রব্বুল য়ালামীন মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। তুমি আল্লাহর হুকুম মান, নবীজী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথে চল তাহলে শান্তি পাবে, সম্মান পাবে, সব পাবে। আর যদি না মান তাহলে আমি তোমাদের জন্য এক মহাশাস্তির আশংকা করতেছি। সিম্পল এ কথাটাই আমি মানুষের কাছে পৌঁছাতে চাই। যাহোক আমি আমার জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে খুঁজে পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। তবে সত্যি বলতে কি আমি কোন বুদ্ধিজীবীর কাছ থেকে, আমার স্কুল কলেজ মেডিকেল কলেজের কোন শিক্ষক অথবা বন্ধু, শার্ট পেণ্ট পরা আধা ইংরেজ আধা বাংলা কোন লোকের কাছ থেকে আমি আমার জীবনের ভালো কিছুই শিখিনি। যাকিছু আমার জীবনে কল্যাণকর ও সুন্দর আমি পেয়েছি, অন্তরের প্রশংসা মানুষের কাছ থেকে যতটুকু পেয়েছি সবকিছু আমি মসজিদ থেকে, দ্বীনী প্রতিষ্ঠান থেকে, হুজুরদের থেকে, নায়েবে রসূল আলেম ওলামা ও চার আনার মোল্লাদের কাছ থেকে শিখেছি। জাহান্নামের পথ থেকে তারা আমাকে জান্নাতের পথ চিনিয়েছে। আলেমতো হতে পারবনা। কিন্তু সারাজীবন আল্লাহ, আল্লাহর রসূল ও নায়েবে রসূলদের গোলাম হয়ে থাকতে চাই। আর এর বরকতে যদি রব্বুল য়ালামীন কুরআন শরীফের নূরওয়ালা একটু জ্ঞান আমাকে দান করেন তবে আর কিছুই চাইনা।
আমার পরিচয়,
এটি ছোটদের ঈমান শিক্ষার ধারাবাহিক লিখা। আমার বাচ্চাকে ঈমানের বিভিন্ন বিষয় শিক্ষা দেয়ার জন্য আমি কিছু নোট লিখেছিলাম। আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। ঈমান ও য়ামলের বেসিক বিষয়গুলো বুঝার জন্য নিজে পড়া, নিজ সন্তানকে পড়ানো অথবা দ্বীন প্রচারের কাজে আপনি হয়তো নোটগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দান করুন। পড়ুনঃ ছোটদের ঈমান শিক্ষা,
কালিমা তায়্যিবা,
আল্লাহ্তায়ালার পরিচয়,
ফেরেশতাদের পরিচয়,
নবীদের পরিচয়,
আসমানী কিতাবের পরিচয়
তাক্বদীরের পরিচয় ও আখিরাতের পরিচয়।
ঈমান
আমরা ঈমান আনি মহান আল্লাহ্তায়ালার একত্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতি এবং তাঁর সকল গুণসমূহের প্রতি, তাঁর ফেরেশতাগনের প্রতি, তাঁর প্রেরিত নবী-রাসুলগণের প্রতি, তাঁর কিতাবসমূহের প্রতি,
ভাগ্যের ভালমন্দ আল্লাহ্ তায়ালার হাতে এ কথার প্রতি, আখিরাতের প্রতি এবং মৃত্যুর পর পুনরুত্থানের প্রতি।
আমার পরিচয়
আমি একজন সাধারণ মুসলমান। আমার রব আল্লাহ যিনি আমাকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন এবং আমাকে মানুষরূপে সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাকে পৃথিবীতে তাঁর খলিফা বা প্রতিনিধিরূপে পাঠিয়েছেন। তিনি আমার প্রতি দয়া করেছেন, রহমত করেছেন। তিনি আমাকে মানুষ করেছেন, তিনি আমাকে মুসলমান করেছেন, তিনি আমাকে তাঁর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত করেছেন এবং তিনি আমাকে তাঁর একত্ববাদের কালিমা শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিই আমাকে কুরআন শিক্ষা দিয়েছেন। তিনিই আমাকে রিযিক দান করেছেন এবং জীবনের সমস্ত উপকরণ দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে তাঁর দয়া দিয়ে, তাঁর প্রেম দিয়ে, তাঁর রহমত দিয়ে এবং এক অসীম কুদরত দিয়ে আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আসমানের ফেরেশতারা বললেন, আমরাইতো আপনার ইবাদত করি। এরাতো পৃথিবীতে অশান্তি ও রক্তপাত করবে। আল্লাহ তায়ালা বললেন, আমি যা জানি তোমরা তা জান না। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এভাবে স্রেফ নিজের ইচ্ছায়, ফেরেশতাদের আবদার উপেক্ষা করে পরম দরদ আর পরম মমতা দিয়ে আমাকে সৃষ্টি করলেন। সৃষ্টি করলেন আমার সর্বোত্তম অবয়বে। আমার পূর্বপুরুষ হযরত আদম য়ালাইহিস সালামকে সৃষ্টির পর তার পিঠ থেকে আরও অযুত-নিযুত রূহের সাথে আমাকেও বের করলেন। এরপর সমস্ত রূহের বিশাল সমাবেশে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করলেন, আলাসতু বিরব্বিকুম? আমি কি তোমাদের রব নই? সমস্ত রূহের সাথে আমিও সমস্বরে জবাব দিলাম," বালা"। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আপনিই আমাদের রব, আমাদের মহান প্রতিপালক। পৃথিবীতে কিছুকালের জন্য আল্লাহ তায়ালা আমাকে তাঁর খলিফা হিসেবে পাঠাবেন, এজন্য তিনি শূণ্য থেকে মহাশূণ্য সৃষ্টি করলেন। আল্লাহর ভয়ে মহাশূণ্য প্রবল আর্তনাদ করে উঠল। তিনি পানি সৃষ্টি করলেন। আল্লাহর ভয়ে পানি প্রবল বেগে ধাবিত হতে লাগল। তিনি জমিন সৃষ্টি করলেন। জমিন প্রবল বেগে কম্পিত হতে লাগল। অতঃপর আল্লাহ জমিনে পাহাড় স্থাপন করলেন। জমিনের কম্পন স্তিমিত হল। জমিনের বুকে আল্লাহ তায়ালা বায়ুকে প্রবাহিত করে দিলেন। আর ধাপে ধাপে সাত আসমান সৃষ্টি করলেন। এত আয়োজন, এত সৃষ্টি আল্লাহ তায়ালা করলেন, সব আমার জন্য, জমিনের বুকে আমাকে তাঁর খলিফা হিসেবে পাঠাবেন বলে। আল্লাহ জমিনকে প্রাণধারণের উপযোগী করলেন। আকাশ থেকে জমিতে বারিবর্ষণ করলেন। দিন এবং রাত সৃষ্টি করলেন। ঋতুর পরিবর্তন ঘটালেন। জমিন সতেজ হলো। লতা-গুল্ম আর বৃক্ষের পাতায় ঢেউ খেলে গেল। সৃষ্টির প্রথম হাতি বৃংহতি দিয়ে উঠল, প্রথম ঘোড়া হ্রেষা করল, প্রথম সিংহ গর্জন করে উঠল, প্রথম চিতা ক্ষিপ্রগতিতে দৌড়ে গেল, এক ভোরবেলায় প্রথম মোরগটি কক্ কক্ করে উঠল। এরপর এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। আল্লাহপাক হযরত আদম য়ালাইহিস সালামকে জমিনের বুকে প্রথম খলিফারূপে প্রেরণ করলেন। জমিনের বুকে প্রথম মানুষ, প্রথম খলিফা, প্রথম নবী। এভাবে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত সৃষ্টিকূলকে মানুষের খেদমতে নিয়োজিত করলেন এবং মানুষ ও জিনকে একমাত্র আল্লাহতায়ালার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করলেন।
দেখতে দেখতে পার হলো সহস্র সহস্র বছরের ইতিহাস। সময়ের পরিক্রমায় কত মানুষ ভুলে গেল তার রবকে। ভুলে গেল তার প্রথম স্বীকারোক্তি। "বালা। হ্যাঁ, নিশ্চয়ই আপনিই আমাদের রব, আমাদের মহান প্রতিপালক"। সে তার রবকে ভুলে পৃথিবীর খেলতামাশায় পড়ে রইল। আর এভাবে সে জালিমে পরিণত হল। এসব আল্লাহভোলা মানুষকে পুনরায় আল্লাহর সাথে জুড়ে দেয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা যুগে যুগে লক্ষাধিক নবী-রসূল য়ালাইহিমুস সালামকে প্রেরণ করলেন। তারা এসে মানুষের ময়দানে মানুষের দিলের উপর মেহনত করে মানুষকে এক আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিলেন। যারা নবীদের দাওয়াতে সাড়া দিল তাদের জন্য আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন চিরস্থায়ী জান্নাতের ঘোষণা করলেন যেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর যারা মুখ ফিরিয়ে নিল, নবীদের কষ্ট দিল, হত্যা করল তাদের জন্য দুনিয়ায় বেইজ্জতি এবং আখিরাতে জাহান্নামে অপমানকর শাস্তির ব্যবস্থা করলেন।
আজ থেকে সহস্রাব্দ সহস্রাব্দ পূর্বে নবীরা দাওয়াতের মেহনত করতেন। দাওয়াতের কাজে বিপদ ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। কোন নবীকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হতে হয়েছে, কোন নবীকে মাছের পেটে যেতে হয়েছে, কোন নবীকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। তারপরও তারা চোখের পলক পরিমাণ সময় দাওয়াতের কাজ থেকে বিরত হননি। এমন কোন নবী নেই যে দাওয়াতের কাজ করতে গিয়ে কষ্ট-মুজাহেদা করেননি। সবচেয়ে বেশি কষ্ট করেছেন আমাদের প্রিয় নবী শেষ রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লাম।
আল্লাহ তায়ালা নবীদের সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন। তাই তাদের দিয়ে তিনি সবচেয়ে উঁচু এবং দামী কাজ দাওয়াতের মেহনত করিয়েছেন। নবীরা মানুষের ঘরে ঘরে দ্বারে দ্বারে বারে বারে আল্লাহর কথা নিয়ে যেতেন এবং মানুষের দিলের রোখ দুনিয়া থেকে আখিরাতমুখী করার চেষ্টা করতেন। অর্থাৎ যে খেলাফত বা প্রতিনিধিত্ব দিয়ে মহান আল্লাহ রব্বুল য়ালামীন দুনিয়ায় মানুষ প্রেরণ করেছিলেন, মানবকূলের মধ্যে নবীরাই মূলত এ দায়িত্ব পালন করলেন।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালা শেষ রসুল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের পর দুনিয়ায় নবী আসার ধারাবাহিকতা বন্ধ করে দিয়েছেন। কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামকে দিয়ে আল্লাহ দ্বীনকে পরিপূর্ণ করেছেন। কিয়ামত পর্যন্ত আর নবী আসবেন না। অথচ দুনিয়ায় মানুষ আসতে থাকবে। পথহারা পথভোলা মানুষকে তাহলে কে সঠিক পথের সন্ধান দেবে? অতঃপর এ কাজ আল্লাহ তায়ালা তাঁর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মতের উপর অর্পণ করলেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, "ঐ ব্যক্তির কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে, নিজে নেক আমল করে এবং বলে যে নিশ্চয় আমি সাধারণ মুসলমানদের মধ্য হতে একজন"। (সূরা হা-মীম সিজদাহ, আয়াতঃ ৩৩ এর অনুবাদ)। আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, "তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানুষের কল্যণের জন্য তোমাদের বের করা হয়েছে। তোমাদের শ্রেষ্ঠত্বের কারণ এই যে, (তিনটি কারণ) তোমরা মানুষকে সৎ কাজের আদেশ দিবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান আনবে"। (সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ১১০ এর অনুবাদ)।
ফায়েদাঃ হে আল্লাহ! আমি অস্তিত্বহীন ছিলাম, তুমি আমাকে ভালোবেসে অস্তিত্বে এনেছ; আমি অনাকৃতি ছিলাম শুক্রবিন্দুরূপে, মায়ের পেটে তিন অন্ধকারে পানির ভিতর তুমি আমাকে আকৃতি দান করেছ; আমি দুর্বল ছিলাম, তুমি আমার মাতা-পিতার হৃদয়ে আমার জন্য ব্যাকুলতা তৈরী করেছ; প্রসববেদনার ধকলের পর চেতনা অচেতনার মধ্যভাগে অবস্থিত আমার মা তোমারই কুদরতে তার ক্লান্ত শীর্ণ বাহুতে আমাকে আঁকড়ে ধরল আর আমার মুখে দান করল অমিয়ধারা!! হে আল্লাহ! অতি তুচ্ছ পানি থেকে তুমি আমাকে মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করলে, আমাকে রিযিক দিলে, তুমিই আমার দুর্বল পা-কে মজবুত করলে, আমাকে এলেম দান করলে এবং সত্য মিথ্যার পার্থক্য শেখালে, পৃথিবীতে তোমার একত্ববাদ এবং তোমার বড়াই-বড়ত্বের প্রচারের জন্য আমাকে প্রতিনিধিত্ব দিলে। তুমিই আমাকে তোমার সর্বশ্রেষ্ঠ রসূল শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত করে রসূল সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতের মেহনতের জিম্মাদারী দান করলে। রসূল সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লাম যে দ্বীন আমাদের কাছে এনেছেন তার উপর অটল থাকলে তুমি আমাদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা করলে। আলহামদুলিল্লাহ।
হে আল্লাহ! হাজার বছর পূর্বে নবীরা যে দাওয়াতের মেহনত করতেন তার বরকতে তুমি আকাশকে তাদের অধীন করেছিলে, জমিনকে তাদের অধীন করেছিলে, সমুদ্রকে তাদের অধীন করেছিলে। আগুন তাদের পোড়াতে পারত না, সাগর তাদের জন্য পথ করে দিত, লোহার ধারাল ছুড়ি তাদের গলায় বসত না, তাদের হাতে লোহা মোমের মত গলে যেত। তাদের পায়ে বাদশাহী আছড়ে পড়ত, তারা অন্ধ রোগীর চোখে হাত বুলালে অন্ধ দৃষ্টিমান হত, কুষ্ঠ রোগীর গায়ে হাত বুলালে কুষ্ঠ রোগ আরোগ্য হত, তাদের স্পর্শে মৃত জীবিত হত। দীর্ঘ অসুস্থতা তাদের ধৈর্য্য ও তাওয়াক্কুলের কাছে পরাজিত হত। তাদের হুকুমে প্রাণিকূল এমনকি পাখীও হক্বের দাওয়াত দিত, জ্বীন বহুদূরের রাণীর সিংহাসন মুহূর্তে এনে দিত। তাদের হাতের লাঠি সাপে পরিণত হত, আবার সাপ তাদের হাতের লাঠিতে পরিণত হত, তাদের সাথীদের জন্যও জান্নাত থেকে খাবারের ব্যবস্থা হত। আর মক্কার মরুপ্রান্তরের সেই মুকুটহীন সম্রাটের অঙ্গুলি ঈশারায় আকাশের পূর্ণ চাঁদ দ্বিখন্ডিত হত, মক্কার পাষাণ-হৃদয় মানুষগুলোর হৃদয়ও মোমের মত গলে যেত। আল্লাহর হুকুমে ফেরেশতা জিবরাঈল আসমান থেকে নাযিল হতেন আল্লাহর পয়গাম নিয়ে।
হে আল্লাহ! নবীরা দাওয়াতের যে আসল মেহনত করতেন তুমি আমাদের তাদের নকল মেহনত করার তৌফিক দান কর। তুমি নবীদের মেহনতে যে রহমত ঢেলেছিলে আমাদের মেহনতেও সে রহমত ঢাল। দাওয়াতের মেহনতে তুমি আমাদের মৃত্যু পর্যন্ত লাগিয়ে রাখ। আমরা যেন তোমার খলিফা হিসেবে তোমার এই কাজ, তোমার সকল নবীদের সুন্নত এই দাওয়াতের মেহনত করতে করতে মরতে পারি, মরতে মরতে করতে পারি তুমি দয়া করে আমাদের এই তৌফিক দান কর। ধৈর্য্যের সাথে শরীয়ত মোতাবেক তোমার ইবাদত করার তৌফিক দান কর। তোমার অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান কর। আমাদের গুনাহরাশিকে তুমি ক্ষমা কর, আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের অভিভাবক, অতএব কাফিরদের বিরুদ্ধে আমাদের জয়যুক্ত কর। জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে আমাদের জান্নাত দান কর। আমাদের মানব জনম সার্থক কর। সকল নবীদের প্রতি সালাম। আমীন।
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬
সরদার হারুন বলেছেন: আপনি কোন লেখার মতামতের উত্তর দেন না কেন ?
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: সব উত্তর দেয়া সম্ভব হয় না। তবে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে। প্লাস সালামও দেয়া হয়েছে।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৪
সরদার হারুন বলেছেন: দয়া করে গাজ্জালির সুফিবাদ ও দর্শন পড়ুন তার ড়র কথা হবে।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫
ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: আমি আমার জীবনে দ্বীন 'প্র্যাকটিস' করি। দ্বীন হল আল্লাহ তায়ালার হুকুম এবং আল্লাহর রসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু য়ালাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ তথা সুন্নত। এর বাহিরে অন্য কোন 'মতবাদে' আমার আগ্রহ নেই। আমি দ্বীন শিক্ষা করি মসজিদ মাদ্রাসার য়ালেম-উলামাদের কাছ থেকে এবং দ্বীনদার ও পরহেযগার ব্যক্তিবর্গ থেকে (প্রোফাইলে উল্লেখ আছে)। আর পাঠ করি কুরআন এবং হাদীসের কিছু অতি প্রচলিত বই। এর বাইরে অন্য বই পড়ার যোগ্যতাও আমার নেই। আমার জীবনের লক্ষ্য "ঈমান এবং য়ামল" নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হওয়া (যা আমার প্রোফাইলে উল্লেখ আছে), বিভিন্ন ধরনের জ্ঞানের বেড়াজালে বন্দী হওয়া নয়। আর তাছাড়া ঈমান য়ামল নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় হওয়ার জন্য কুরআন- সুন্নাহর খুব সিম্পল জ্ঞানই যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
সরদার হারুন বলেছেন: গাজ্জালীর সুফি বাদ জানেনা বা পড়ে নাই অথচ সে শিক্ষিত লোক বলে পরিচয় দেয় তা বোধহয় আপনি ।
আপনি কিজানেন না যে এই উপ মহা দেশে যা চলছে্ তা সুফি দর্শনের ফল ।
আপনি দয়া করে আমাকে একটা আয়াতের মূল ব্যাখ্যা করে বুঝাবেন ?
" ..রব্বেল আল আমিনের "বাংলা ও ব্যাখ্যা বুঝায়ে দিলে আমি উপকৃত হবো
আমি আরবী জানি না ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাই رَبِّ ٱلۡعَٰلَمِينَ
এর ব্যাখ্যা শিখার জন্য আপনাকে য়ালেম উলামাদের শরণাপন্ন হতে হবে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আমার চেয়ে তারাই বেশি হক্বদার। তবে আপনি চাইলে আমার পূর্বের একটি পোস্ট "আল্লাহ তায়ালার পরিচয়" পড়তে পারেন - খুব সংক্ষিপ্ত ধারণা পাওয়ার জন্য। আমার মতামত হল, সুফিবাদ শিক্ষা করার চেয়ে এ মুহূর্তে আপনার অধিক করণীয় এট লিস্ট আরবীতে কুরআন পড়া শিক্ষা করা। অবশ্য সেটা সম্ভব হবে যদি আপনি কুরআনের মর্ম উপলব্ধি করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে পরামর্শ দিতে পারি। সুফিবাদ বিষয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। আর আমি নিজেকে শিক্ষিত লোক বলে পরিচয়ও দেইনি। তাই সুফিবাদ বা যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই সে বিষয়ে আমার সাথে কথা বলা আপনার জন্য অনর্থক সময় নষ্ট। আমার জন্যও পেইনফুল।
৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২৯
সরদার হারুন বলেছেন: আসলে আপনি পবিত্র কোরআন না বুঝে পড়েন । "রবি্বল আলামিন"
শব্দের অর্থ জানতে আলেমদের কাছে যেতে হবে। আলেম পাব কোথায় ? যারা আমার কাছে আছে তারাতো আরবী পড়তে পাড়ে কিন্তু ভাষা জানেনা
তাতো আমিও পারি ।
শোনেন রহস্য সৃষ্টি করে পীর হওয়া যায়,চিল্লা দিলে তাবলিকের একজন সাধারণ মু্রব্বি হওয়া যায় কিন্তু কোর আন বোঝা যায়না।
আমার মতে কোরআন বুঝতে হলে বিজ্ঞান জানতে হবে । জানতে হবে
বহু সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক বলতে কি বুঝায় । নিজে না জেনে অন্যকে কি শেখাবেন ?
আপনি নিজকে ডা: বলে পরিচয় দিয়েছেন । আমি জানিনা কোন মেডিকেল থেকে পাশ করেছেন ।রসায়ন একটা বিজ্ঞানের শাখা অথচ বিজ্ঞন সম্মনধে
আপনার আগ্রহ নেই ।
আপনার সাথে কথা বলে লাভ নেই। কিছু শেখা যাবেনা ।আল্লাহ আপনার ভাল করুন ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫০
কলাবাগান১ বলেছেন: "সৃষ্টির প্রথম হাতি বৃংহতি দিয়ে উঠল, প্রথম ঘোড়া হ্রেষা করল, প্রথম সিংহ গর্জন করে উঠল, প্রথম চিতা ক্ষিপ্রগতিতে দৌড়ে গেল, এক ভোরবেলায় প্রথম মোরগটি কক্ কক্ করে উঠল।"
হাতির চেয়েও বড় ডাইনোসোর গেল কোথায়????