![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মা জানি তুমিও হিসেব রাখ ক্যালকুলেটরের মত। তারপরও বলছি আবারও ২ মাস গেল তোমারে না দেখে। জানি আমার মত পাপী ছেলের চেয়ে তোমার মনটা অনেক বেশি পুড়ে। পুড়বেই তো, তুমি না মা!! সব সম্পর্কের সার সংক্ষেপ যে তোমার মাঝে। কতকিছু সামলাও দেহ দিয়ে, মন দিয়ে। তুমি তো জান তোমার এই মুখচোরা ছেলে তোমারে ভালবাসে। শুধু বলতে পারে না এমনকি কখনো বলবে কি না তা নিয়েও সন্দেহ আছে তোমার।
জান মা তোমার মুখের সেই পাগল করা ডাক, বোকা ছেলে বলা ডাক কতদিন শুনিনা। আর তোমার পাগল ডাকটা অন্য কারো মুখে শুনলেও ভাল লাগনো। কেন মা ? কিভাবে, কি দিয়ে ডাক তুমি?
জান আজ বাড়িতে আসব আমি! কিন্তু ঘড়ির কাটার সাথে রাতটাও তেমনি আগায় না। রাতের আকাশের চাদটাও কেমন লোভনীয়! আজকের রাতটা এত সুন্দর কেন মা? তোমায় দেখবো বলে? বলত তুমি কেমন সুন্দর? ইরে ইরে কান ছাড় লাগছে তো।
তুমি যে কত সুন্দর, কত মনোহর, কত সুমধুর, কত অসাধারণ, কত মায়াময়, কত ভালবাসার আধার, কতটুকু সেরা সেটা মহান আল্লাহই ভাল জানেন। পৃথিবীতে একমাত্র সুন্দরতম সৃষ্টি তুমি। আমার মত বোকা আর পাগল আর গাধা মার্কা ছেলের কাছেও তুমি নিঃষ্কলঙ্কময়, অসীম মমতার, মায়ার আর ভালবাসা ও স্নেহের অপার সমন্বয়।
তুমি ছাড়া এসব আর কারও কাছে কখনোও প্রত্যাশার নয়। বাকী যারা একটু আধটু ভালবাসা দেখায় তা তোমার অসীম ভালবাসার সাগরের তুলনায় খুবই ক্ষুদ্র পচা নর্দমার মত। স্থায়ীত্বটা অতি ঠুনকো, তোমার ভালবাসার যে অসীম জায়গা আছে তার তুলনায় এসব একটা বিন্দুর ফোটা মাত্র।
সেই থেকে লিখছি, এটা ওটা করছি কিন্তু ঘড়ির কাটা আজ মনে হচ্ছে খুবই স্বার্থপর আর হিসেব করে চলেছে। ইচ্ছা করছে ঐটারে একটা আছাড় দিই। আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব বলত? ঘুমও তো আসেনা। তোমার এতদিনের শ্রান্ত, মলিন অথচ তৃপ্তিদায়ী মুখখানা দেখার জন্য যে অধীর হয়ে আছি!! দুয়া কর মা যেন খুব ভালো মত তোমার দুয়ারে হাজির হয়। যেন পরিতৃপ্ত হয় তোমার সোনার বদন খানি দেখে। জানি তোমার কাছে দোয়া চাওয়া লাগেনা।
তুমি, তোমরা মা জাতি গুলোন এমন কেন? এত ভাল কেন? এত ভালবাসা কোথায় পাও? তোমার মনে কি কোনো স্বার্থপরতা নেই? কেন আমি ছেলে, পুরুষ হয়ে জন্মেছি মা? তোমার মত অতীব সুন্দর চরিত্র আর মানসিকতা আর ভালবাসার কাছে পরাজিত হতে মা? তাও ভাল যে আমি গর্বিত তোমার আচল তলে, তোমার ছায়াতলে, তোমার মায়াতলে, তোমার ভালবাসার জলে,,,,,
ভালবাসি মা অনেক অনেক। জান মনটা গভীর হয়ে আসছে, চোখটা ছল ছল করছে, চোখের পানি আর চশমার গ্লাসে মনিটর কেমন ঝাপসা দেখাচ্ছে? তুমি কি বুঝতে পার এই অশ্রুর ভাষা? তোমারে যে দেখতে দেব না এই সেই অশ্রু। কারণ তাতে যে আমি আরও তোমায় কাদিয়ে ফেলব, আরও ঋণি হয়ে যাব অবলীলায়, আর চাইনে জেনে শুনে কষ্ট দিতে। তবুও কেমেন কেমনে যেন সেই কষ্টটা তোমারে দেয়া হয়ে যায়!! তারপরও নির্লজ্জের মত তোমায় কষ্ট দিই আর তুমিও ততোধিক নির্লজ্জের মত আমায় ক্ষমা করে যাও। আর কি লিখব এ লেখা যে শেষ হবে না মা। তোমার আচলটা দিবে একটু অশ্রু মুছব বলে??
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৯
দুখোমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:০২
আমিনু৪২০ বলেছেন: ভাল ছিল