নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে চাই অসীমকে......

দুখোমিয়া

সেন্টিমেন্টাল কিন্তু আড্ডাবাজ

দুখোমিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সভ্যতা ও ভদ্রতা

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৫


২০০৬-০৭ সালে যখন দেশে সেনা শাসন ছিল তখন কুত্তা বিলাই (চোর, বাটপার, রাজনৈতিক, দালাল, আবাল এই রকমের সব জাত গুষ্ঠি) সোজা হয়ে, হাত লেজ গুটিয়ে চলত যাতে তাদের লেজ ধরে কেউ টানার সুযোগ না পায়। কারণ যারা লেজ নাড়িয়ে চলার চেষ্টা করেছিল তাদের কপালে খারাপী জুটেছিল বেশ রকমের। ভদ্র আর সচেতন যারা ছিলেন তারা ভদ্রভাবেই চলেছিলেন আর ভালোভাবেই সেই দিনগুলো কাটায়েছিলেন। আর অভদ্রের দলগুলোও অন্তত বছর দুই তিন ভদ্রভাবে চলেছিল। ঐসময় আমি বা আমার সমমনা যারা ছিল তারা বেশ সাচ্ছন্দে ছিলাম। কারণ সে সময় অন্যায় অনেক কমে গেছিল।
যদিও যারা রাজনৈতিক পা চাটা গোলাম, যারা চোর বাটপার, যারা জনগণের রক্ত পানি করা অর্থ লুটেপুটে খেত বা খায় তারা ভাল ছিল না বা বিষয়টা স্বীকার করত না। ফলে সেই দুই বছর তারা মোটেও ভালো ছিল না। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যখন নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা গেল তখন সেই কুকুর বিলাই গুলো পাছা বাকায়ে, লেজ অবৈধভাবে নাচিয়ে, অন্যের বাড়ির হাড্ডি, মাছের কাটা কোন রকম অনুমতি ছাড়াই ছ্যাচড়ার মত খাওয়া শুরু করল। তার মানে কুত্তার লেজ কখনো সোজা হয় না।
তবে মনিব অনুযায়ী কুকুরের আচরণ ভেরি করে। অবশ্যই মনিব যদি অমানুষ হয়, বিবেক শুন্য হয়, আবাল হয়, চোর হয়, বাটপার হয়, ছেচড়া হয় তাহলে তার অধীনস্থ কুকুরও তো তেমনই হবে। কুকুরের গায়ে কিন্তু তখনই পশম থাকে না যখন কুকুরের স্থায়ী কোন মনিব না থাকার ফলে হোটেলে-হোটেলে পড়ে থাকা দুধ বা ছানার উচ্ছিষ্ট খায়!
ইদানিং কালে আমাদের কিছু ক্রিকেটের দর্শকের (অনলাইনেও আছে) আর কিছু রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় লালিত অমানুষগুলোর অবস্থা এ্মনই পশম ছাড়া কুকুরের মত। এদের গায়ে কোন রকম ভদ্রতার লেবাস নাই। শিক্ষিতের লেবাস নাই। যখন যা আসে মনে তাই করে। সেটা যত মন্দ হোক। তার প্রভাব নিজের পরিবারের উপর পড়লেও এরা থামে না। এদের জন্য সেই মনিব দরকার যে মনিব দেখলে লেজ নাড়ানোর সময় না পায়। আশেপাশে না ভিড়তে পারে। সোজা হয়ে ভদ্রভাবে চলে।
২০-৩০ হাজার টিকিটের মধ্যে ৩০-৪০% যায় নেতাদের আর বিসিবির সংশ্লিষ্ট অফিসারদের পকেটে। যাদের অধীনস্থ অমানুষগুলো পশম ছাড়া ‍কুকুরগুলোর মতই। এদের কাছ থেকে বর্ণবাদী আর অসভ্য আচরণ এর বাইরে কিছু প্রত্যাশা করা পাপ, মহাপাপ। স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার সুযােগ আমারও হয়েছে। যারা দায়িত্বে থাকে তারা নিজেদের লোক বা আত্মীয় গুলোকে ভালো যায়গাতে বসানোর পায়তারা করে। পুলিশগুলো দায়িত্ব পালন না করে সিগারেট টানতে থাকে স্পেশাল চেয়ার নিয়ে। আশপাশ থেকে কেউ কাউকে টিজ করলে তাদের কানে পৌছায়না। অধিকাংশ পুলিশ তাদের চাকুরীর স্টাটাস নিয়ে ভাবে থাকে। সারাক্ষণ ট্যাব নিয়ে পোজ মারতে থাকে। সুতরাং গ্যালারীতে কে কি করল সেসব দেখার টাইম এদের নেই।
আমরা স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছি। কৃত্রিমভাবে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। আমাদের জীবণের মানদন্ড এখন ভার্চুয়ালাইজড লাইক কমেন্ট এর উপর নির্ভর করে। কখন হাগু করলাম আর কখন হিসু করলাম সেটা আমরা ভার্চুয়ালে ভাসিয়ে দিয়ে দেখি কয়টা লাইক কমেন্ট আসে। আমাদের মানদন্ড লোক দেখানো লাইক কমেন্টেই, বিষয়টা কি সেটা নয়।
দুই একটা ম্যাচ জিতে আমাদের মানসিকতা দাদাদের থেকে খারাপ হয়ে গেছে। ভাবখানা এমন-আমি কি হনুরে!! তাই বড় বড় দলগুলোর সমীহকে সরা জ্ঞান করি। বড় বড় প্লেয়ারের দিকে অশালীন মন্তব্য ছুড়ে দেই। আমরা তো নিজেদের প্লেয়ারদেরই সম্মান করি না তাহলে বাইরের কাউকে কেমনে করব?
দুই একটা ম্যাচ জিতে নিজেদেরকে আকাশের চাদ ভেবে ভুল কইরেন না। কারণ কুলীন যুগের ভদ্র টেস্ট ক্রিকেটীয় খেলার পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই কিন্ত ওয়ানডে আর টুয়েন্টির চাঁদ আবর্তন করে। যদি সেই পৃথিবী থেকে আবলামী করে ছিটকে যান তাহলে চাদের অস্তিত্ব থাকবে না। ব্লাক হোলে নিপতিত হবেন। নিজের আচরণকে শুধরান। আপনার আনন্দের ঢিলে যেন পুকুরের ব্যাং না মরে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। আনন্দ করা মানে নিজের সুখকে প্রাধান্য দেয়া নয়, অন্যের অসুবিধাকেও আমলে নেয়া। এখন ডিজিটাল যুগ। ভার্চুয়ালে আপনার লেখায়ই আপনার পরিচয়, আপনার প্রোফাইল পিকচারে নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.