![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যি বলছি যদি দেশের জন্য কোন নিবেদিত প্রাণের বর্তমান উদাহরণ চান তাহলে আমাদের মাশরাফি কে সেরা উদাহরণ হিসেবে দেখতে বলব।
বার বার অস্ত্রোপচারে এই মানুষটা যতটুকুই না ক্ষতবিক্ষত তার চেয়ে বেশি দেশের জন্য খেলবার আশায় ততোধিক অনুপ্রাণিত!
ভুমিকম্পের সময়, বিপদের সময় মানুষ সব জ্ঞান একত্রে করে সবকিছু ভুলে শুধু বাচার আশায় শত ঝুকি নেয়। কোথায় কি ফেলে রাখলাম, কোথায় অপারেশনের সেলাই, কোথায় কাটাছেড়া সবকিছু ভুলে মানুষের একটাই লক্ষ নিরাপদ স্থান, নিরাপদ জীবণ, নিরাপদ বেঁচে থাকা।
তেমনি খেলার সময় মাশরাফিও এমন ভঙ্গিমায় ভাস্বর। কঠিন ক্যাচ ধরার সময়, বল ডেলিভারী করেই প্রস্তুত হওয়ার আগেই বল ধরার জন্য ডাইভ দেয়া, আর ফিল্ডিংয়ের সময় তো নড়াইল এক্সপ্রেস নির্বাধ। কোথায় আঘাত? কোথায় অস্ত্রোপচার? বরং লক্ষ্য একটাই বল ধরার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টার ফিল্ডিং আর সেরা খেলা উপহার দেয়া।
কোন জায়গায় ব্যথা থাকলে কারণে অকারণে সেই জায়গাতে আগে ভাগে আঘাত লাগে তা যতই সতর্ক থাকি না কেন। আর একবার আঘাত লাগলে আমরা আগের থেকেই বেশি সতর্ক হই! কিন্তু মাশরাফির ক্ষতবিক্ষত হওয়া জায়গাটা ঠিক এমন জায়গাতে যে ক্রিকেট খেলতে গেলে সেই জায়গাটাতে আঘাত লাগার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু ওঁর প্রতিটা প্রচেষ্টায় একবারও মনে হয় না ও সতর্ক! বরং খুব বেশি সাবলীল আর সুস্থ মনে হয়।
আরও একটা সত্যি কথা বলি, ওঁর অদম্য ফিল্ডিংয়ের সময় প্রতিবার ডাইভ করতে দেখলে মনের অজান্তে বুকের ভিতর কেমন করে উঠে। আবার ইনজুরিতে বাদ পড়বেনা তো??
প্লেয়ারদের উজ্জীবিত করার জন্য তার মত মিশুক আর উদ্দীপক আর টনিক দাতা খেলোয়াড় সর্বোপরি একজন ক্যাপ্টেন সবসময় প্রথম সারির।
ইদানিং খেলায় উইকেট পাবার পর তাসকিনের সাথে উদযাপনের ভঙ্গিমাটা অসাধারণ অনুভুতি দেয়। নিঃসন্দেহে সেরা উদযাপন। পাকিস্তানের সাথে তৃতীয় ওয়ানডে তে সৌম্যর সেই দারুন ইনিংসের পরে মাথা দিয়ে একে অপরের সাথে ঠেস দিয়ে চোখে চোখে তাকানো। মাঝে মাঝে এনিমেল প্লানেটে বা এজাতীয় চ্যানেলে বাঘ বা সিংহের দলের উপর ডকুমেন্টারিতে দেখি একাধিক বাঘ বা সিংহ বা বাঘ, সিংহকে বাবা বা মা হিসেবে তাদের বাচ্চাদের সাথে এমনভাবে খুনসুটি করতে, খেলা করতে। আমাদের মাশরাফি সত্যিকার অর্থেই সেই বাঘ যে কিনা সংঘর্ষ এড়িয়ে বয়স ভুলে, নিজের অবস্থান ভুলে সবকিছুই বন্ধুর মত সহ উদযাপী, সহযোগী, সমব্যথী। নেই, নেই কোন অহংকার।
একজন ফ্যান হিসেবে তোমার মত খেলোয়াড়, ক্যাপ্টেন সর্বোপরি সেরা দেশপ্রেমিকের মানুষের প্রতি সম্মান আমার এমনি এমনি বহমান। এই সম্মান বা ভক্তি মানুষ কেমনে যে অর্জন করে নেয় তা আর নাই বা বললাম। শুধু আরেকটা সত্য কথা বলব তোমার প্রতি সম্মান দেখানোর আগেই সম্মান তোমার পদপ্রান্তে পৌছে যায়। অমর হও সবকিছুর সেরার আঙ্গিনায়। আর কিছু চাইনে।
শরতের অনিন্দ্য সুন্দর সুবাসিত শিউলিমালা দিলাম। একগুচ্ছ কাশফুল দিলাম শিহরিত পরশ নিবেন! আর সহস্রবার শুভ কামনা দিলাম। শরতের আকাশের মত শুভ্র মেঘের ভেলায় চড়ে আরোহন করে অনাগত আগামীর সুউচ্চ শিখরে। শুভ হোক তবে এই আর আগামীর লগ্ন। শুভ হোক অনাগত আগামীর প্রতিটা মূহুর্ত। উজ্জল হোক আগামী এই কামনায় -- শুভ জন্মদিন!
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
দুখোমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কষ্ট করে পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট। বর্ণনাটা ভাল লেগেছেঃ
//মাঝে মাঝে এনিমেল প্লানেটে বা এজাতীয় চ্যানেলে বাঘ বা সিংহের দলের উপর ডকুমেন্টারিতে দেখি একাধিক বাঘ বা সিংহ বা বাঘ, সিংহকে বাবা বা মা হিসেবে তাদের বাচ্চাদের সাথে এমনভাবে খুনসুটি করতে, খেলা করতে। আমাদের মাশরাফি সত্যিকার অর্থেই সেই বাঘ যে কিনা সংঘর্ষ এড়িয়ে বয়স ভুলে, নিজের অবস্থান ভুলে সবকিছুই বন্ধুর মত সহ উদযাপী, সহযোগী, সমব্যথী। নেই, নেই কোন অহংকার।//