নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে চাই অসীমকে......

দুখোমিয়া

সেন্টিমেন্টাল কিন্তু আড্ডাবাজ

দুখোমিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সালমার ডি এন এ টেস্ট

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৯

বছর তিনেক আগে এক দাদা (হিন্দু বড় ভাই) গল্প বলছিলেন!
এক চায়ের দোকানদার বেশ বয়স্ক ছিলেন। তিনি হঠাৎ বলে বসলেন সেসময় যদি উর্দু ভাষা রাষ্ট্রভাষাই থাকতো তাহলে আজকের সংস্কৃতি এমন বাজে হত না। দাদা তখন প্রতিবাদ করলে সেই বয়স্ক লোক বলেছিলেন উর্দু ভাষা চালু হলে তো আর তোমাদের সমস্যা হত না। ভাষা চর্চা আমাদের কষ্ট করে শিখতে হত। তোমার উত্তরাধিকার সূত্রে এখনকার বাংলার মত উর্দুই পেতে।
বাঙালীর মাতৃভাষা বাংলা কিন্তু ব্যবহারিক ভাষা বাংলা কিনা আমি নিজে দ্বিধান্বিত। কারণটা ব্যাখ্যা করার আগে একটা সত্য কথা বলি। এই উপমহাদেশ ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে আজ এই অবস্থানে এসেছে। সেই প্রাচীনকাল থেকে এদেশে নানান দেশের মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এসেছে। কেউ ব্যবসা, কেউবা ভ্রমণে, কেউবা শাসন করতে। ফলে শত শত বছর বিভিন্ন ভাষাভাষী আর সংস্কৃতির মানুষের সাথে বাঙালীর সংমিশ্রণ হয়েছে। আর এর প্রেক্ষিতে আমরা হয়ে উঠেছি বহুসংস্কৃতিক। অনেকে আবার গর্ব করে বলে আমরা সংকর জাতের। এই সংকর জাত কথাটি গর্বের না নির্লজ্জের সেটা মাঝে মাঝে বুঝিনা। কারণ আমরা অধিকাংশই ভন্ড। সেটা সাংস্কৃতিকভাবে হোক, ভাষাগত ভাবে হোক, ধর্মীয় ভাবে হোক,,,,,
আমরা সব সময় নিজের দোষ ঢেকে অন্যের দোষ খুজতে ব্যস্ত। এমনভাবে দোষখুজি যে যার দোষ খুজে পাব তার চামড়া ছুলে লবণ লাগিয়ে তার গায়ে জ্বালা জুডিয়ে তবেই ছাড়ব। আজ দুদিন যাবৎ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সালমার উর্দু কথন নিয়ে অনেকেই তারে পাকিস্তানের দালাল সহ অনেককিছু বলে নিজেকে বড় ধরণের দেশপ্রেমিক প্রমাণের খুব বড়সড় তোড়জোড় চালাচ্ছেন। ভিডিওটা আমি নিজেও দেখেছি। আধো বাধো কন্ঠে তিন চারটা উর্দু বলেছেন সালমা। এর আগ পর্যন্ত তিনি বাংলায় কথা বলেছেন। একটা ভিন্ন দেশে গিয়ে আন্তর্জাতিক ইংরেজি ভাষা বাদ দিয়ে নিজের দেশের ভাষায় কথা বলার অনুশীলন সবার দ্বারা হয় না।
যেদেশের ঘরে ঘরে. মোবাইলে, পিসিতে ভিন্ন ভিন্ন ভাষার গান শোনা, মুভি দেখা, আর সময়ে অসময়ে খেয়ালে বা বেখেয়োলে মুখে মুখে সেসব ভাষার গান সুরে বেসুরে আমরা অনেকেই গাই এবং সেই সংখ্যাটা ৯৫% এর কম নয়ই। কথায় কথায় হিন্দি বলাটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। মুভি বা গান দেখা বা শোনার জন্য বাংলার থেকে অন্য ভাষার উপর নির্ভরতা আমাদের বেশ বেড়েছে। সেটা আমাদের দুমুখো ভন্ডামীর জন্য। বাংলা ভাষায় সুন্দর সৃষ্টি কম হয় সেটা মানি। তাই বলে সেটা একতরফা খারাপ বলার কোন নিশ্চয়তা আছে কি? আমরা একদিকে ভিন্ন ভাষার সংস্কৃতি চর্চা করছি অন্যদিকে অন্যের দোষ ধরে বেড়াচ্ছি। এই ভন্ডামী আর কতদিন চলবে? পৃথিবীতে মাতৃভাষার জন্য শহীদ শব্দটা একমাত্র বাংলা ভাষার সাথে যায়। আর কোন ভাষাতে নয়। আমরা সেই ভাষাকে বিকৃত করে আনন্দ পাই।
বাংলার জন্য কত ত্যাগ তিতিক্ষা। অথচ সেই বাংলা ভাষাই আমাদের দেশে, আমাদের কাছে অবহেলিত। দেশের প্রায় সব অফিস-আদালতে, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে বাংলার চেয়ে বেশি ইংরেজির ব্যবহার হয়।
আজ চ্যানেল ২৪ এ মাশরাফির সাথে তার বাবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে একটা প্রতিবেদন দেখলাম। সেই প্রতিবেদনের শেষের দিকে মাশরাফির একটা কথা ছিল এমনই..
আমরা মানুষের খারাপ বা ত্রুটি খোজ করতে ব্যস্ত থাকি। একারণে আমাদের চোখে খারাপ গুলোই বেশি ধরা পড়ে। যদি ভালো কিছু খোজ করতাম তাহলে ভালো জিনিস গুলোও বেশি ধরা পড়ত।
আসুন না মানুষের ভালো গুণগুলো খুজি। তার ভালোগুণ গুলোর জন্য তাকে নিয়ে বলতে শিখি আই অ্যাম প্রাউড অফ ইউ। মানুষকে প্রসংশা করলে ছোট হয়ে যায় না কে উ বরং নিজের মনটা অহংকার মুক্ত হয়, মনটাও ফ্রেশ থাকে। আর হ্যা নিজের ভাষাকে ভালোবাসা মানে এই নয় অপরের ভাষাকে ঘৃণা করতে হবে। সৌজন্যতা শুধু ভদ্র আচরণের অংশই নয় বরং একটা আর্ট। এবং মনে করি সেরা আর্ট। সেই আর্ট অনুশীলনের চেষ্টা করা উচিৎ আমাদে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আর হ্যা নিজের ভাষাকে ভালোবাসা মানে এই নয় অপরের ভাষাকে ঘৃণা করতে হবে। সৌজন্যতা শুধু ভদ্র আচরণের অংশই নয় বরং একটা আর্ট। এবং মনে করি সেরা আর্ট। সেই আর্ট অনুশীলনের চেষ্টা করা উচিৎ আমাদর
+++চমৎকার বলেছেন.......কিন্তু শেখে ক'জনা?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

দুখোমিয়া বলেছেন: সেটাই তো বোঝাইতে চেয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.