নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জানতে চাই অসীমকে......

দুখোমিয়া

সেন্টিমেন্টাল কিন্তু আড্ডাবাজ

দুখোমিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাঁদের সৌন্দর্য কথা এবং আরও কিছু...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

বর্ষা হলেই কবির আবেগ বৃষ্টির মত ঝরে পড়ে। আর প্রতি মাসে পূর্ণিমার রুপালী চাঁদের জ্যোৎস্নায় মোহিত হয়ে জ্যোৎস্নার মত আলোকিত হয় লেখামালা।
সুন্দর সব কিছু আপেক্ষিক। আর আপেক্ষিক বিষয়টা দুরত্বের উপর মারাত্মক নির্ভর করে। যেমন একটা পরিচিত বাক্য- বেড়ার ওপারের ঘাস সবুজ দেখায়। অথচ কাংখিত জায়গায় গেলে সেটা পূর্বের মত সবুজ আর দেখায় না। তেমনি আজকের পূর্ণিমার রুপালী চাঁদটাও দুর হতে অনেক সুন্দর। কত শত প্রেমিক-প্রেমিকা রাতের জ্যোৎস্নায় মোহিত হয়ে কত ভাবনায় বিভোর হয়ে ভাববে কত রোমান্টিক অনুভব। প্রেম ভালবাসার বাইরের যারা তারাও স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে কাংখিত কারো জন্য। এক পলকে এই চাঁদটা অনেক সুন্দর। কিন্তু চাঁদের প্রতি চাহনিটা যখন দীর্ঘায়িত হয় তখন এর কিছু কলংক চোখে পড়ে। তবুও এই সুন্দর রুপালী জ্যোৎস্নায় সেই কলংককে সহজে কেউ কেয়ার করে না। বরং অমোঘ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে চায় এক পলকে চেয়ে! পাতলা ওড়নার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ষোড়শীর মত শরতের সাদা মেঘের আড়ালে লুকোচুরি খেলা চাঁদটাকে কে না দেখে? কখনোও বা কালো মেঘের ওপাশে কাংখিত হয়ে ধরা দেয় এক পশলা জ্যোৎস্না বিলিয়ে।
অথচ সেই চাঁদকে বেশিক্ষণ দেখলে ওর কলংক খুব বেশি বড় হয়ে উঠে। আপনি যদি পজিটিভলি ভাবেন তাহলে চাদটাকে সুন্দর ভাববেনই, আর নেগেটিভে ভাবলে ওর কলংকই আপনার মনকে প্রশান্তি দিবে না। পারলে চাঁদের সৌন্দর্যে প্রীত হয়ে ধীরে ধীরে চাঁদে চলে যান। পৌছেই চাঁদের প্রান্তরে ধুলা বালির মরুভুমি দেখে অবাক হবেন আপনি। এক ভিন্ন জগতের অবতারনা পাবেন। যে চাঁদকে দুর থেকে দেখে কত শত রোমান্টিকতায় মেতেছেন সেই চাদ আপনার কাছে ধুলোর জগৎ হয়ে ধরা দেবে। ভাবতে শুরু করবেন দুরের চাঁদই সুন্দর। কাছে গেলেই সেই চাদঁ বহুরুপী। তা্ই দুর থেকে চাদের সৌন্দর্যে মেতে উঠাই ভালো।
বিয়ের পূর্বে সঙ্গকামী পুরুষের কাছে মেয়ে মাত্রই আকর্ষী। কতকিছু বলতে মন চায়, ভাবতে মন চায়। কত ত্যাগ স্বীকার করে ফেলে। অথচ পরিবারের সব থেকে কাছের মানুষগুলোর কোন মূল্য দেয় না এরা। যদিও যেকোন রকম বিপদে এই পরিবারের মানুষগুলোই সবার আগে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসবে। পাশে থাকবে, প্রয়োজনে চোখের পানি ফেলে সেবা করবে, মাথা টিপে দিয়ে স্বান্তনা দিবে। তারপরেও দুরের ঐ মেয়ের প্রতি ভালবাসা পাবার আকাংখা তীব্রতর হতে থাকবেই।
কাছের জিনিসগুলোর প্রতি, মানুষগুলোর প্রতি আমরা উদাসীন। এগুলো যে খুব সহজে পাই এজন্য। এরা কাছে থেকে আমাদের চাহিদা পুরণ করছে রীতিমত। নিঃস্বার্থে এগিয়ে আসছে আমাদের প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে। তাই এদের কোন মূল্য নেই আমাদের কাছে। তেমনি সেই মহামিহমের প্রতিও আমাদের কোন মূল্য নেই। মহামহিম মানুষের অন্তরের খবর রাখেন, অন্তরের কাছাকাছি না থাকলে কেমনে রাখেন সব খবর? নিশ্চিত ভালবেসে কাছে থেকেই আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় অভাব মিটিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কোন রকম শাস্তি ছাড়াই বাচতে দিচ্ছেন শত শত পাপ আর অপরাধ করার পরেও। তারপরও আমরা তার প্রতি অকৃতজ্ঞ। ঐযে তাঁকে যে সব সময় কাছে পাই। আর কাছে পাই বলেই তার অপার সৌন্দর্যে মোহিত হই না, তার অসীম রহমতে কৃতজ্ঞ হই না, তার অসীম ভালবাসার প্রতিদান দিই না। অথচ তিনিই মহান রাব্বুল আলামিন।
কাছে হোক আর দুরের হোক পরম প্রিয় মানুষগুলোরে ভালবাসুন। মূল্য দিন তাদের অক্লান্ত আর নিঃস্বার্থ ভালবাসাকে। ভালবাসুন সেই সত্বাকে, অর্জন করুন তার সকল শ্রেষ্ঠ গুণাবলী। তাকেই ভালবাসুন যিনিই আমাদের ভালোবাসেন অসীম ক্ষমায়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

নীল সঞ্চিতা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন বিশেষ করে শেষের লাইনটা।
ভাল থাকবেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৮

দুখোমিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে পড়ার জন্য। আপনি নিরন্তর ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.