![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একটু বেশি সময়ই ফেসবুকে থাকি। তার কারণও আছে একটা। আমি এখনও বেকার। আর আমার দিনের অনেকটা সময়ই কোচিং আর টিউশনিতে চলে যায়। যেহেতু এখন বছরের শেষ সময় সেহেতু স্টুডেন্টদের প্রায় সিলেবাস কমপ্লিট হয়ে গেছে। সুতরাং এখন আমার অধিকাংশ সময় কাটে হাজিরা দিয়ে। গিয়ে স্টুডেন্টদের পড়া রিভাইস দিয়ে লিখতে বলি আর আমি বসে বসে ফেবু ঘাটি। সেজন্য ঘন্টা খানেক পরপর অফলাইন আর অনলাইনের পট পরিবর্তন হয়। আর এই সময় ব্যবধানটার কারণে অনেকের কাছে মনে হয় আমি সারাক্ষণ ফেসবুকে থাকি। তার মানে তাদের কাছে মনে হয় আমার ঘুম, টয়লেট কোনকিছুই করা লাগে না।
একদিন ফেবুতে কি একটা গল্প মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলাম। দাদী ডাল পড়ে যাচ্ছে তোমার মনে হয় (সিদ্ধ ডাল উতলে পড়ছে) হঠাৎ স্টুডেন্ট এর চিল্লানীতে সোজা হয়ে বসি। সাথে সাথে বুঝিনি ঘটনার প্রবাহ। পরে খেয়াল হল। ষাটোর্দ্ধ একজন মহিলা (স্টুডেন্ট এর দাদী) গ্যাসের চুলায় ডাল সিদ্ধ করতে দিয়ে কিরণমালা দেখছিলেন। হয়ত উনার ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞাপনের ফাকে ফাকে রান্নার কাজটা শেষ করবেন। কিন্তু সিরিয়ালে এতই মোহিত ছিলেন যে সেই পরিকল্পনা কাজে আসেনি। ফলশ্রুতিতে এই সমস্যা হল। তবে যাই হোক এর থেকেও বড় দুর্ঘটনার খবর কানে আসেই।
উনারে বেশ পরিশ্রম করতে দেখি। এখন যেহেতু শহুরে সমাজে এক ফ্লাটের পরিবারের সাথে অন্য ফ্লাটের মানুষের যোগাযোগই নাই বললেই চলে। সেহেতু একটু আধটু পরিশ্রম করে দিনশেষে বিনোদন হিসেবে সিরিয়ালের গুরত্বকে অস্বীকার করা যায় না। তবে টিভির সামনে বসে থাকা মানে চোখ আর মস্তিষ্কের কাজ বাড়িয়ে দেয়া। তাতে আর যাই হোক মনের প্রশান্তি আসে না। আমার মনে হয় খালেস দিলে নফল নামাজ পড়া, জিকির করা, কোরআন-হাদিস পড়াটা সর্বাপেক্ষা সেরা বিনোদন।
আমার মায়ের কথা একটু বলি। আমার আম্মা ও প্রায় ষাটের কাছাকাছি। সেকালের গ্রাম্য মহিলাগণের কাজের প্রতি আলাদা একটা নেশা আছে। এনারা কাজ ফেলে বসে থাকতে পারেন না। হাজার অসুস্থ হলেও নিজের কাজ নিজেই করেন। আমার আম্মাকে দেখেছি হাই প্রেসারে ঘাড় সোজা হয়ে গেলেও কাজ কর্ম ঠিক সুস্থ মানুষের মতই করতে। কত নিষেধ করেছি। উত্তর কমন। আমার কাজ কে করবে? তুই তো এখনও বউ আনিস না! এরমাঝে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া বাদ যায় না। আর সন্ধ্যার পরে আমার ৪র্থ শ্রেণী পাশ করা আম্মা জায়নামাজে বসে হয় কোরআন পড়েন না হয় হাদিস পড়েন। খুব অসুস্থ থাকলে জায়নামাজে শুয়ে শুয়ে তসবিহ পড়েন। কখনো বা সারাদিনের পরিশ্রান্তে জায়নামাজেই ঘুমিয়ে পড়েন। এমন দৃশ্য দেখেও তৃপ্তি। আমার অভাবী মায়ের কখনো বিলাসীতার আক্ষেপ দেখিনি। যেটুকু পেয়েছেন সেটুকুতে খুশি থেকেছেন। আমি গর্বিত এমন মায়ের সন্তান হিসেবে।
মহান আল্লাহ!! আমার মায়ের বাকী সময়টুকু যেন সুস্থভাবে তার পথে কাটাতে পারেন সেই তাওফিক দান করেন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮
দুখোমিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:০৭
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আমার মনে হয় খালেস দিলে নফল নামাজ পড়া, জিকির করা, কোরআন-হাদিস পড়াটা সর্বাপেক্ষা সেরা বিনোদন।+++
মায়ের জন্য সমস্ত শুভকামনা ও দোয়া...........
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
দুখোমিয়া বলেছেন: ন্যবাদ আপনাকে সহমত হবার জন্য। সকল মা ভালো থাকুক।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর ভাবনা । আপনি এবং আপনার মায়ের জন্য রইলো শুভ কামনা ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১
দুখোমিয়া বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ! সকল মা ভালো থাকুক!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৯
বনমহুয়া বলেছেন: মায়ের জন্য দোয়া রইলো।