নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীন ও জাপান প্রকৃত বন্ধু, সম্পর্ক ধরে রাখা জরুরি

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:১৪


ভৌগলিক রেখায় বাংলাদেশ থেকে চীন খানিক দূরত্বে। কিন্তু ব্যবসায়িক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনীতির এই দেশটির রয়েছে তাৎপর্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব। ইলেকট্রিনক্স, ইলেকট্রিক, প্রযুক্তি, খাদ্য, সেতু, সড়ক, জলবিদ্যুসহ উদীয়ামান সব ব্যবসা সেক্টরে বলতে গেলে চীন স্বল্প ব্যয়ে বিশ্বসেরা। শান্তিরপথে সমৃদ্ধযাত্রায় বিশ্বাসী দেশটি শক্রু মোকাবেলা বা ভূখণ্ড রক্ষা করতে গড়ে তুলেছে বিশাল সমর শক্তিও। জনে জনে মানুষের মাথা না গুণে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা গুণতেও স্বাচ্ছন্দবোধ করে চাইনিজরা। কর্ম, শান্তি আর উৎকর্ষতা সাধনে এজন্য চীনাদের বিকল্প কেবল চীনারাই। যা ভাবিয়ে তুলেছে বর্তমান বিশ্ব মোড়ল মার্কিন মুলুকসহ গোটা পশ্চিমাদের। অবশ্য চীনকে দাবিয়ে রাখতে বা মনস্তাত্বিকভাবে দুর্বল করতে অনেক দেশ উঠেপড়েও লেগেছে। কিন্তু সেটা কতটুকু সম্ভব।


চীন পেরিয়ে মিয়ানমার, ভারত তারপর বাংলাদেশ। এজন্য আমরা প্রতিবেশি বন্ধু দেশ বলতে ভারতকেই বুঝি। ৭১'র যুদ্ধে তাদের অনস্বীকার্য ভূমিকার কারণেও বন্ধুত্বের প্রশ্নটা সবার আগে চলে আসে। কিন্তু ৭১' পরবর্তী ভারতের একচেটিয়া বাণিজ্য সুবিধা, বাংলাদেশের ক্ষমতার পেছনে আষ্ঠেপিষ্ঠে লেগে থাকার একটি অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে সেই ৪৫ বছর আগেকার। যা একটি শ্রেণীর মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবে নাড়া দিবেই। ক্ষমতার পালাবদলেও না তাদের হাত থাকে। সীমান্তে একচেটিয়া হত্যাকাণ্ড ঘটনােসহ নানা কারণে বাংলাদেশে ভারত বিরোধী একটি গ্রুপ সবসময়েই সক্রিয়। হোক প্রকাশ্যে কি মনে মনে। সোজাসাপ্টা বলতে গেলে, সাবেক ক্ষমতাসীন দল বিএনপি বরাবরই ভারত বিরোধী মনোভাবের। আর রাজাকারের দোসর জামায়াত তো থাকবেই।


কিন্তু ২০০৯ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি আর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো বিএনপি গত এই ৭ বছর ভারত বিরোধী নীতি থেকে ফিরে আসে। এ কারণে গণমাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ ছিলনা। হঠাৎ করে গত কয়েক মাসে বিএনপি পুরনো নীতিতে ফিরে আসে। রামপাল বিদ্যু প্রকল্প নিয়ে খালেদা জিয়ার জোরালো প্রতিবাদে তা স্পষ্ট হয়।
বিএনপি-জামায়াত কী বলুক আর নাই বলুক। বলতে গেলে নানা কারণে এদেশের মানুষের মুখে ভারত বিরোধী একটা বক্তব্য থাকেই। একেকজন সেটাকে একেকভাবে বলে বেড়ায়। কিন্তু চীন নিয়ে কারও সে ধরণের বক্তব্য নেই। কারণ চীন আমাদের প্রতিবেশি নয়। তারাও শক্রুও নয়। প্রকৃত বন্ধুত্বসূলভ আরচণ কেমন হয় সেটা মিয়ারমারের বেলায় চীন প্রমাণ করেছে।


চীন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীক অংশীদার। অবকাঠােমা বিশেষ করে এদেশের বড় সব সেতু, সড়ক চীনাদের স্পর্শে গড়ে উঠেছে। মানুষ সস্তা দামে ইলেকট্রনিক্স পণ্য পায় চীনাদের বদৌলতে। বিনিয়োগেও চীনারা সেরা। বদলে তারা বাণিজ্য প্রসার করতে পেরেছে। এতদিন যেটা জাপান করেছিল। জাপান এদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। চীনারাও সেভাবে গড়ে উঠুক। কেউ কাছের অার কেউ দূরের এই ব্যবধান কেটে যাক এটাই অনেকে বলছেন। আমরা স্বাধীন। স্বাধীন দেশে ভিন্ন দেশের হস্তক্ষেপ কোন সুনানাগরিক কামনা করবে না।


অযাচিত এই হস্তক্ষেপ অবশ্য চীন-জাপানিরা করবেও না। কারণ তারা তো ভূখণ্ড থেকে অনেক দূরে। তাই বলা যায়, চীন-জাপান আমাদের প্রকৃত বন্ধ। এখন সময় এই সম্পর্কটা ধরে রাখা। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা। কাউকে ঢেলে দেওয়া আবার কাউকে শত্রু বানানো নয় (পাকিস্তান বাদে)। বলা বাহুল্য প্রতিবেশি দেশের খবরদারি এড়াতে বাংলাদেশকে অবশ্যই চীন-জাপানের পাশে থাকতে হবে। অটুট বন্ধন ধরে রেখে নিজেদের মাথা উচু করে দাড়ানোর সময়ই এখনই।


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:


ভাল বলেছেন। চীনা প্রজেক্ট গুলো নিয়ে বিস্তারিত কিছু লেখুন। জাপানের অবদান সবাই কমবেশি জানে কিন্তু চীনের বানিজ্য, প্রযুক্তিগত, ও ঋণ প্রদান অনেকেই জানে না।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫

বোবাকান্না বলেছেন: ভ্রমরের ডানা, অপেক্ষা করেন। ধন্যবাদ আপনাকে

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: পোষ্টের ব্যানারে চীনা ভাষা দেখে আপনার ওপর অনলাইন বাংলাপ্রেমীদের তীব্র ভৎসনা বর্ষন হতে পারে। যেমনটা হয়েছিল হিন্দী ভাষায় কলেজ ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার দেখে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

বোবাকান্না বলেছেন: অরন‌্যে রোদন, কে হিন্দি ভাষায় ইন্টারভিউ দিয়েছে বুঝতে পেরেছি। তবে চাইনিজ ভাষায় ছোট করা হয়নি। কাউকে বড় করলে নিজে ছোট হয়না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.