নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনার রাজনীতি, গুজবের হাটবাজার

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৯


বাংলাদেশ ফেসবুক সমিতি, ম্যাসেঞ্জার পার্টি কোনটাতেই বাদ পড়েননি নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এই খবর চাউর হয় একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্রলের স্ক্রিনশর্ট দিয়ে। সেখানে লেখা ছিল ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে মারা গেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভি’।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী যখন সরকারের কাছে কারফিউ জারির আবেদন করছেন, ঠিক তখনই তার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয়। এ নিয়ে আইভি ভক্তদের অনেকের মাঝেই না জেনে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে, ইন্না লিল্লাহি....রাজিউনও লেখেন।

তবে ক্ষণিক পরে জীবিত হয়ে ফিরে আসেন আইভী!

তিনি এক বাক্য বিস্মিত হয়ে বলেন, মাগরিবের নামাজ শেষ করে শুনলাম আমি মারা গেছি। বিব্রত এবং ক্ষুব্ধ মেয়রের ভাষ্য ছিল, কারা এটি ছড়িয়েছে?। আমি তো নারায়ণগঞ্জে আমার বাড়িতেই আছি। আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। কে-বা কারা আমার মৃত্যু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে আমি জানি না। নামাজ শেষ করে শুনলাম আমি নিউইয়র্কে মারা গেছি। আমি ভালো আছি, সুস্থ আছি। কেউ গুজবে কান দেবেন না।

যদিও ওই টিভি চ্যানেলের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটাও এক ধরণের মিথ্যা ক্রল। কেউ কপি-পেস্ট মেরে এমন জঘন্য কাজটি করেছে। আর সুদক্ষভাবে কাজটি করা হয়েছে 'দুইটা স্ক্রল এক সাথে জোড়া দিয়ে। মানে আগের একটা স্ক্রল আর পরের একটা স্ক্রল জোড়া দিছে।”

এই তো গেলো আইভীর কথা। গত ২৬ মার্চ থেকে আইসোলেশনে আছেন করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া 'ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন' এর একজন ভিডিও সাংবাদিক। তাকে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে টেলিভিশনটির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সহ সম্পাদক ফেসবুকে কথা বলেন।

তবে সেটি নিয়ে শুরু হয় আরেক রাজনীতি। একজন সাংবাদিক নেতা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ওই ভিডিওগ্রাফার খালেদা জিয়ার মুক্তির দিন ডিউটিতে ছিলেন। যদিও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ এমন কোন তথ্য প্রকাশ করেননি।

অবশ্য এ নিয়ে একহাত দেখান টেলিভিশনের রাজনৈতিক প্রতিবেদক (বিএনপি নিউজ কাভার করেন) জাহানারা পারভীন। তিনি তার ফেসবুকে লেখেন, আক্রান্ত ভিডিও সাংবাদিক খালেদা জিয়ার নিউজ কাভার করেননি। তাহলে দাড়াঁলো কী? একটি গুজব।

শনিবার রাতে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে আবু বকর সিদ্দিকী নামে একজন আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। যিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে করোনায় আক্রান্তের গুজব ছড়ান তার ফেসবুকে। এছাড়া ফেসবুকে আরও স্ট্যাটাস দেন যে, করোনার কারনে ব্যাংক-এনজিও ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে অনেকে আত্মহত্যা করেছেন। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে পুরনো ছবি ব্যবহার করে এই ক্রান্তিকালে চাঁদাবাজির ভুয়া অভিযোগ তোলেন।

প্রশ্ন হলো করোনাভাইরাসের কাছে যেখানে চীন-আমেরিকার মতো দুই শত্রুভাবাপন্ন দেশ তার দেশের নাগরিকদের প্রাণ বাঁচানোর তাগিতে কাজ করছে। সারাবিশ্বে শত্রু-মিত্র এক হয়েছে সেখানে গুজব কেন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫

নীল আকাশ বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষের আসল চরিত্র কতটা নোংরা হয়ে গেছে, এইগুলি হলো তার উৎকৃষ্ট নমুনা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৩

বোবাকান্না বলেছেন: সহমত। জন্মের পর এই প্রথমবারের মতো দেখলাম বেশিরভাগ মানুষ সত্যিকার অর্থে ধর্ম-বর্ণ-জাতি, রাজনীতি সবকিছু ভুলে নিজে বাঁচতে এবং অন্যকে বাঁচাতে উদগ্রীব। আর কতিপয়....

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: আস্থাভোজী শূন্যে সুত্র নির্লজ্জ তাঁরার অপেক্ষায়....

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২২

বোবাকান্না বলেছেন: আপনার বাক্যের অর্থ বুঝিনি! তবে ভাষাগত মাধুর্য আছে সেটা অনুভব করছি

৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুজবকে ছোঁয়াচে রোগের সঙ্গে তুলনা করলে ভুল হবে না।
কারণ এই রোগগুলো একজন থেকে দু’জন, দু’জন থেকে
চারজন, চারজন থেকে আটজন- এমনিভাবে জ্যামিতিক
হারে বাড়ে। ঠিক তেমনি গুজবও এক কান থেকে অন্য
কানে জ্যামিতিক হারে ছড়িয়ে পড়ে। গুজবের ধর্ম হল
এটি ‘যত বেশি প্রচার হবে, তত বেশি শক্তিসম্পন্ন হবে।’

যেহেতু গুজব একটি সামাজিক ভাইরাস। অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে যেভাবে
ভাইরাস দমন করা হয়, তেমনি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে গুজবও
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন
গুজবের উৎপত্তিস্থল শনাক্ত করে গুজব সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায়
এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, বর্তমানে যেহেতু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি
সক্রিয় সেহেতু সঠিক তথ্য-উপাত্ত ছাড়া কোনো কিছু প্রচার না করা, সাইবার
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক স্বার্থে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য প্রচার না করা, ‘
যা রটে তার কিছু তো ঘটে’ এমন ধরনের বিশ্লেষণ পরিহার করে ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করা, মানুষের কমনসেন্স উন্নত করা- ইত্যাদি বিষয়ে
গুরুত্বারোপ করলে গুজব নামক সামাজিক ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ
পাওয়া সম্ভব। যদিও কিছু মানবাধিকার সংস্থা হাউকাউ করবে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৩

বোবাকান্না বলেছেন: ভাল লেগেছে

৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আর কোন কাজ নাই এখন গু জব ছড়ায় শুধু।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১

বোবাকান্না বলেছেন: কাজ আছে। তবে কিছু মানুষের স্বভাবটাই এমন, নিজের পরিবারের সদস্য হারানোর আগে আমরা অন্যর ব্যথা বুঝিনা

৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নিঃসন্দেহে এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যের। যে বা যারা এই গুজবগুলো ছড়াচ্ছেন তাদের দ্রুত মানবিক সত্তা জাগ্রত হোক। ভেদাভেদ ভুলে মানবকল্যাণে লড়াই করাই এখন একমাত্র কাম্য। একটি বিষয় লক্ষণীয় গোটা বিশ্ব এই মুহূর্তে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত। কাজেই গুজব নয়, আমরা যে যেখানেই থাকি আমাদের এখন প্রধান প্রতিপক্ষ ভয়ঙ্কর এই মারণ ভাইরাস।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১

বোবাকান্না বলেছেন: যথার্থ বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.