নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবিক পৃথিবীর জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না

মানবতার জন্যই মানুষ, নষ্ট রাজনীতি আর ধর্মান্ধতার জন্য নহে

বোবাকান্না › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যবিত্ত সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান চরম সংকটে!

২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৩

যে যাই বলুক বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার জনক নাঈমুল ইসলাম খান। যে দেশে ব্যাগ ভরে টানা নিয়ে পকেট ভর্তি বাজার করতে হয়, সেখানে নাঈমুল ইসলাম খান মাত্র দুই টাকায় পত্রিকা উপহার দিয়েছেন। আজকের গণমাধ্যমে শতশত সাংবাদিক তারই হাতে গড়া।


একজন অনার্স-মাস্টার্স পাশ সাংবাদিকের বেতন ৫ হাজার থেকে শুরু! তাতে কি সমাজের চতুর্থ স্তম্ভে আসতে নতুনদের হাতেখড়িতে টকশো কাঁপানো নাঈমুল ইসলাম খানের বিকল্প নাই।

এক নাগাড়ে চারটি পত্রিকা বা মিডিয়া গ্রুপের মালিক। তিনটি দৈনিক- আমাদের নতুন সময়, আমাদের অর্থনীতি, ইংরেজি দৈনিক আওয়ার টাইম। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নিরীক্ষা অনুযায়ী আওয়ার টাইমের সার্কুলেশন (প্রতিদিন ছাপানো পত্রিকা) দেখানো হয়েছে ৩৯ হাজান ৯শ ৯৮ কপি। আমাদের নতুন সময় ১ লাখ ৬১ হাজার ১শ ৬০ কপি এবং আমাদের অর্থনীতি ১ লাখ ৬১ হাজার ১শ ১ কপি। সংবাদপত্রে সরকার নির্ধারিত বেতন কাঠামো অষ্টম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের তথ্যও দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। একটি সাপ্তাহিকও আছে।

অষ্টম ওয়েজবোর্ডে সরকারের বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করলে একজন স্টাফ রিপোর্টার মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার কথা। কিন্তু শুরুটা ৫ হাজার থেকে। আবার অষ্টম ওয়েজবোর্ডে ঠিক প্রথম আলো'র সমান রেটে বিজ্ঞাপন পেয়ে আসছেন খান সাহেবের এই তিনটি দৈনিক। সার্কুলেশন এদিক-সেদিক হলে সরকারি বিজ্ঞাপন গ্রহণে সে তো মহাফাঁকি।

অন্যদিকে দেড় লাখের জায়গায় একেকটি দৈনিক যদি প্রতিদিন ৫ হাজার কপি ছাপানো হয় তাহলে সরকারের ট্যাক্স সুবিধা নিয়ে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত নিউজপ্রিন্ট অন্যত্র বিক্রি করলে আরও বড় অর্থকড়ি আয়ের সুযোগ। পাঠকই ভাল জানে এসব কাগজগুলো কত কপি বাজারে পাওয়া যায় বা বিক্রি হয়। সেটা নাঈমুল ইসলাম খানের ব্যক্তিগত বিষয়। সরকার টু সম্পাদক লেভেলের লাভক্ষতির হিসাব।

প্রশ্ন হলো করোনা ভাইরাস মহামারীতে সাংবাদিকদের নিয়ে নতুন করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস আলোচনায় এসেছে।

২৯ এপ্রিল তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন- হুবহু তুলে ধরা হলঃ নাঈমুল ইসলাম খান: [১] চলমান লকডাউনে বিজ্ঞাপনে আয় কমেছে ৩৩ শতাংশ। টাকা আদায় নেই বললেই চলে। নিউজপ্রিন্ট কিনতে হিমশিম। এপ্রিল মাসের বেতন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা। ঈদ বোনাস অসম্ভব।
[২] দেশে কি কেউ আছেন সংবাদপত্রের আর্থিক সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেবেন? কেউ কি আছেন বিজ্ঞাপন ও সাপ্লিমেন্ট বিতরণেআইন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হবেন ?
[৩] আমাদের নেতৃস্থানীয় ও শীর্ষ মিডিয়ায় এই সংকট নেই। এই সংকট মধ্যবিত্ত মিডিয়ার। সৎ মধ্যবিত্ত সংবাদপত্র এখন অভিভাবকশূন্য।
[৪] আমরা প্রণোদনা দাবি করছি না। দাবি করছি সরকারের কাছে, পত্রিকার অনেক বছরের বকেয়া বিলের টাকা পরিশোধের।
[৫] কেবল ঢাকার কয়েকটি আদালতের কাছে বহু পুরনো বকেয়ার অর্ধেক টাকা পেলেই আমাদের বর্তমান সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
[৬] উদ্যোগী হয়ে কেউ কি সরকারের কাছ থেকে আমাদের বকেয়া বিজ্ঞাপনের বিল আদায়ের ব্যবস্থা করবেন?
[৭] এইটুকুও করা সম্ভব না হলে আমাদের দোষারোপ করবেন না প্লিজ। আমাদেরকে আমাদের দুর্ভাগ্য নিয়ে জীবন সংগ্রামে থাকতে দিন প্লিজ। রচনার তারিখ: ২৯ এপ্রিল ২০২১

প্রশ্ন হলো- সরকারি ট্যাক্স কমানো, কাগজ বিক্রিটা অদৃশ্যমান প্র্রক্রিয়া। তথ্য মন্ত্রণালয় না চাইলে এটা প্রমাণ করাও কঠিন। তবে অস্টম বোর্ডের নামে বেতনের ক্ষেত্রে সাংবাদিক ঠকানোর পর তাকে চরম সঙ্কটে থাকতে হবে কেন?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




লেখাটি দুইবার এসেছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০২

বোবাকান্না বলেছেন: ধন্যবাদ, সংশোধন করেছি

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:




এ বিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। তবে টকশোতে উনার কথা শুনেছি। মেধাবী সাংবাদিক এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কখনো কখনো নিজের অবস্থান থেকে নড়ে যান। সরকারকেও তেল মারেন। হয়তো বিজ্ঞান পাওয়ার বিষয়টি সহজ করতে সরকারকে মাঝে মাঝে খুশি রাখেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৪

বোবাকান্না বলেছেন: আমাদের দেশে সেই ছেলে হবে কবে, কথায় না বড় নয় কাজে বড় হবে

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনি সরকার এর লোক সমস্যা হওয়ার কথা নয় সমাধান হয়ে যাবে

৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪৩

বোবাকান্না বলেছেন: হয়তো, টাকার অভাব তো কারও আর শেষ হয়না

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৫৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সাংবাদিকদের বোবা কান্না শুনবার সময়
কারো নেই। সংবাদপত্রের মালিকরা
চিরদিনই র্সাংবাদিকদের চুষে ছোবড়া
বানিয়ে ছাড়ে !!

০১ লা মে, ২০২১ রাত ১:৫৫

বোবাকান্না বলেছেন: মালিকরা এমনই, তাদের জন্মই শ্রমিকদের রক্ত চোষার জন্য। তবে সব মালিক নয়

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আজকের কাগজকে খুব মিস করি।

০১ লা মে, ২০২১ রাত ১:৫৬

বোবাকান্না বলেছেন: ওই পত্রিকার মালিক কাজী শাহেদ নাকি ভাল ছিলেন

৬| ০৫ ই মে, ২০২১ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশে সাংবাদিকদের কোনো স্বাধীনতা নাই। সম্পাদকের ইচ্ছায় তাদের চলতে হয়। বসতে হয়। উঠতে হয়। চাটুকারিতা আর দালালি করতে হয়। ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপন বন্ধ করলে সাংবাদিকদের বেতন দেয়া হবে না। শুধু সাংবাদিক না, ক্ষমতাধরদের দালালী কম বেশি সবাই করে। কিন্তু সাংবাদিকরা যেভাবে নির্লজ্জভাবে করে সেটা আর কেউ করে না। সাংবাদিকরা ব্যবসায়ীদের সামনে যেভাবে হাত কচলায়, যে ভাবে দালালী করে। তা এ দেখার মতো দৃশ্য। তখন সাংবাদিকদের চোখমুখ চক চক করে। এই কথা কইলে আবার কেউ কেউ বেজার হবে হয়তো! নিজেদের জঘন্য দালালীকে জাস্টিফাই করতে কেউ কেউ উঠে পড়ে লেগে যাবে হয়তো!

১১ ই মে, ২০২১ রাত ১২:০৬

বোবাকান্না বলেছেন: সাংবাদিকরা ব্যবসায়ীদের সামনে যেভাবে হাত কচলায়, যে ভাবে দালালী করে। তা এ দেখার মতো দৃশ্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.