নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্নেহকাতর

দুর্দান্ত কাফেলা

আমি আমার মনের খাচায় বন্দী পাখী...

দুর্দান্ত কাফেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ে কান্না

২২ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

ঝর্না পাহাড় নদী সবুজের মায়া উপভোগ করতে অনেকেরই প্রথম চয়েজ বান্দরবন। আদীবাসিদের বড় একটি অংশের অবস্থান বান্দরবনে, এখানকার মানুষ গুলো খুবই সরল মনের ।

আমরা তাদের ভেতরের কান্না দেখতে পাইনা। প্রকৃতি প্রেমিদের সাথে এরা খুব হাসিখুশি ভাবে চলে । "আমিয়াখুম" দেখতে গিয়ে দুটি রাত কাটিয়েছিলাম যিনা পাড়ার মানুষদের সাথে । নরেন দাদার ঘরে অবস্তান কালে আমরা শুধুমাত্র পাহাড়ে পূর্নিমা উপভোগ করিনি । কথা বলেছিলাম যিনা পাড়ার বেশ কয়েকজনের সাথে । ভাগাভাগি করে নিলাম তাদের সুখ দুঃখের স্মৃতি।

পাহাড়ি মানুষ সাধারানত দোআহারি হয় । মানে তারা দিনে দু'বার খায় , এটা মুলত খাদ্যাভাবের কারনেই । জুম চাষ করে যে খাদ্য শষ্য তারা পায় তা দিয়ে দুবার খেয়েই বছর পার করা অনেক কষ্টকর । তার উপর দাদনের কাছ থেকে ধান চাল নিলে তা ফেরত দিতে হয় দ্বিগুন পরিমানে। সরকারি অনুদানের চাল বেশিরভাগই চলে যায় মেম্বার চেয়ারম্যনের পকেটে। তাই আমার অনুরোধ - যারা পাহারে ঘুরতে যাবেন সাধ্যমত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। আমাদের আসাদ ভাই নরেনদাকে স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা করে দিয়েছিল , যেটা আমারা ব্যবহার করতে পেরেছিলাম ।


পাহাড়ে জন্মকালিন মৃত্যুর হার অনেক বেশি। সঠিক চিকিৎসার অভাবে সামান্য অসুখেই অনেক প্রান ঝরেযায় অকালে । তাছাড়া ঔষধ সংগ্রহ করাটাও কষ্টকর। আমরা সাথে করে ম্যালেরিয়া ডায়েরিয়া প্রাথমিক চিকিৎসার অনেক ঔষধ নিয়ে গিয়ে ছিলাম যেগুলো ফেরত আসার সময় পাড়ার হেডের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি ।

প্রকৃতিকে তার নিজের মত থাকতে দেয়াটাই উত্তম । সকলের কাছে বিনিত অনুরোধ শহুরে ভাব পাহাড়ে গিয়ে দেখাবেননা।
saving the environment , keep the place neat and clean - happy traveling

বান্দরবান নিয়ে আমার প্রথম পোস্টে - বিস্তারিত
পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান








মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: হ্যা, পাহড়িরা এমন নানাবিধ সমস্যায় দিন কটায়। কিন্তু তাদের সাথে একান্তই আলাপচারিতা ছাড়া বুঝা যায় না। আমি চাকুরীর খাতিরে থেকেছি পাহাড়ে। বঝেছি তাদের জীবনচক্র বড়ই বিচিত্র কষ্টকর। তবুও তারা হাসিখুশি থাকে।
ভাল লিখেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ২২ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

সুমন কর বলেছেন: আরো একটু বর্ণনা হলে ভালো হতো। ছবিগুলোর ক্যাপশন দিতে পারতেন।


পোস্টে প্রচুর বানান ভুল দৃষ্টিকটু।

২৩ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:০১

দুর্দান্ত কাফেলা বলেছেন: Click This Link

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পোস্টটা ভাল। আরেকবার সফর দেবার ইচ্ছে জাগছে দেখে।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

কালনী নদী বলেছেন: এতো চিরচেনা, পাহাড়ি সাওতালদের সোনালী জীবনের রূপ!

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৫

অশ্রুকারিগর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের উপর পোস্ট দিয়েছেন তবে সুমন কর দাদার কথামত এডিট করলে আরেকটু ভালো হবে।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:২৩

ঈশান আহম্মেদ বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোস্ট।সময় করে পোস্টটা আরো বড় ও বর্ননাময় করলে ভালো লাগতো।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:০০

দ্বীপের সন্তান বলেছেন: ভালোই লেখেছেন,তবে একটা কথা পাহাড়িয়া মানুষের জন্য কিছু করা খুবই প্রোয়জন।
অনেক ধন্যবাদ

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬

জন ঈসা বলেছেন: বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আসলেই আমরা যাই সেখানে আনন্দ নিতে অথচ তারা কত কষ্টে থাকে

আল্লাহ ওদের হেফাজত করুন

সুন্দর পোষ্ট

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

রমিত বলেছেন: পাহাড়ের জীবন সম্পর্কে আমরা জানি খুব কম, প্রায় না জানার মতই। আমার সুযোগ হয়েছিলো একবার ওদের একটি গ্রুপ-কে প্রশিক্ষণ দেয়ার, খুব হাসিখুশি ওরা। বান্দরবান বেড়াতে গিয়েছিলাম, শহরের ভিতর জীবন ভালোই মনে হয়েছে। খুব এক্সোটিক শহর। তবে উঁচু পাহাড়ে জীবন কষ্টকরই মনে হলো।

১১| ২৩ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:৪৪

বিজন রয় বলেছেন: পাহাড়ি জীবন অনেক কষ্টের। সরকারগুলো তাদের সুস্থ জীবন ধারণ সম্পর্কে খুবই উদাসীন।

চমৎকার পোস্ট।

১২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভাবার মত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.