নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্নেহকাতর

দুর্দান্ত কাফেলা

আমি আমার মনের খাচায় বন্দী পাখী...

দুর্দান্ত কাফেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা - কুমিল্লা

০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬

শিক্ষা-শিল্প-সাহিত্য- সংস্কৃতির পাদপীঠ কুমিল্লা প্রাচীন ঐতিহ্য সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে এ উপমহাদেশে সুপরিচিত। কুমিল্লার খাদি শিল্প, তাঁত শিল্প, কুটির শিল্প, মৃৎ ও কারু শিল্প, রসমালাই, মিষ্টি, ময়নামতির শীতল পাটি ইত্যাদি স্ব-স্ব ঐতিহ্যে স্বকীয়তা আজও বজায় রেখেছে।
রূপবান মুড়া

কালের বিবর্তনের ধারায় এসেছে অনেক কিছু, অনেক কিছু গেছে হারিয়ে, হারায়নি এখানকার মানুষের আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও সামাজিক সম্প্রীতি।

আমার বাসা কুমিল্লায় হলেও ঘুরে দেখা হয়নি কুমিল্লার অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। উকিপিডিয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার লিস্ট দেখে অবাক হলাম , এত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সম্পর্কে যানাও ছিলনা।

উল্লেখযুগ্য প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা গুলো :
শালবন বিহার, লতিকোট মুড়া, কর্নেলের মুড়া, আনন্দবিহার, কোটিলা মুড়া, চারপত্র মুড়া, রূপবান মুড়া, ইটাখোলা মুড়া, বৈরাগী মুড়া, বালাগাজীর মুড়া, চন্ডী মুড়া, ছিলা মুড়া, হাতিগাড়া মুড়া, পাক্কা মুড়া, উজিরপুর টিলা, রূপবান কন্যা (রূপবানী) মুড়া, কোটবাড়ি মুড়া, ভোজ রাজার বিহার, রাণী ময়নামতি প্রাসাদ ও মন্দির, ময়নামতি মাউন্ড (৪টি), সতেররত্ন মন্দির

এছারাও কুমিল্লার বড়ুরাতে আছে : চিতোড্ডা মসজিদ, অর্জুনতলা মসজিদ

কুমিল্লা - কোটবাড়ি রোডে বার্ড এবং বি জি বি গেটের মাজখানে রয়েছে তিনটি মুড়া - লতিকোট মুড়া, ইটাখোলা মুড়া ও রূপবান মুড়া। কোটবাড়ি রোড থেকে ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে ২০০ গজ ভেতরে হাতের বায়ে ভোজ রাজার বিহার,স্থানীয়ভাবে ভোজ রাজার বাড়ী নামে পরিচিত। কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের সাহেবের বাজার এলাকায় রাণী ময়নামতি প্রাসাদ ও মন্দির অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে এটি রানী ‘ময়নামতি প্রাসাদ’ নামে পরিচিত।

লতিকোট মুড়া: স্থানিয়ভাবে এই প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাটি লতিকোট মুড়া নামে পরিচিত, কিন্তু খনেনর ফলে এখানে ৩৩টি ভিক্ষুকক্ষ বিশিষ্ট ৪৭.২৪মি X ৪৪.৮০ মি পরিমাপের একটি বৌদ্ধ বিহারের বীত নক্শা উম্মোচিত হয়। ফলে উহেকে বর্তমানে লতিকোট বিহার নামে অবিহিত করা হয় । বিহারটিতে দুইটি নির্মান যুগের প্রমান পাউয়া গেছে। দ্বিতীয় নির্মান যুগে পূর্ব বাহুর মাঝামাঝি স্থানে একটি মন্ডপ নির্মান করা হয়। বিহার প্রবেসের প্রধান তোরন উত্তর দিকে ছিল । উম্মোচিত স্থাপত্যশৈলি বিবেচনায় এর সময়কাল খ্রিস্ট্রীয় আট - দশ ষহতকে ন্যাস্ত করা যায়।









ইটাখোলা মুড়া:
ইটাখোলা মুড়ায় বেশ কয়েকবার খননকাজ চালিয়ে বড় বড় কিছু বৌদ্ধস্তূপ ও এসব স্তূপ থেকে ৪২ মিটার উত্তরে সংলগ্ন একটি বৌদ্ধ মঠের সন্ধানও পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, এই প্রত্নস্থানটিকে পাঁচটি সাংস্কৃতিক যুগ অতিক্রম করতে হয়েছে। পূর্ববর্তী তিন সাংস্কৃতিক কালপর্যায়ের নির্দশনগুলো পরবর্তীকালের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। এজন্য সব নিদর্শনগুলো উদ্ধার করা সহজ হচ্ছেনা।












রূপবান মুড়া:
এটি খনন করার পরে ৩৪.১৪ মি × ২৫ মি (১১২.০ ফু × ৮২.০ ফু) পরিমাপের একটি বিহার এবং ২৮.৯৬ মি × ২৮.৯৬ মি (৯৫.০ ফু × ৯৫.০ ফু) পরিমাপের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া মুড়োটির পূর্ব পাশের প্রকৌষ্ঠ থেকে বেলে পাথরের কারুকাজ করা বৃহদাকার ১টি বৌদ্ধ মূর্তি পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় মূর্তিটি ৭ম থেকে ১২শ শতাব্দীর












মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

মিনহাজ রিয়াজ বলেছেন: ভাই অনেক ভালো লাগলো যে অনেক দিন পর ব্লগে দেশি মানুষ পেলাম।আমি ও কুমিল্লার ভাই।

২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:৩৫

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আমি আপনাদের কুমিল্লায় যেয়ে প্রধান প্রধান প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলো দেখে এসেছি।
খুব ভাল লেগেছে আমার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.