নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের আগমন মিথ্যার পরাজয়ের জন্য।

এক সত্যান্বেষী বালক

৯৬৩৫১০০৫৫৫৭৯

এক সত্যান্বেষী বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে.....?

২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

সামাজিক জীব হিসেবে স্বীকৃত মানুষ কিন্ত রুচিশীল একেকটি প্রাণীও বটে কিন্ত অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত কিছু মানুষ আজ তাদের কুরুচিসম্পন্ন মনমানসিকতার কারণে মনুষ্য জাতির স্থিতিশীল এই সুন্দর সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলছে যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে সমাজের সর্বস্তরের বাসিন্দাদের উপর।
শিক্ষার উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে মানব হ্রদয়কে জাগ্রত করা তাহলে তো প্রশ্ন করতেই হয় যে, আমাদের মন আসলেই কি শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পেরেছে??
ভুরিভুরি গোল্ডেন, এ প্লাসধারী ছেলে- মেয়েদের দ্বারা সমাজ আজ পূর্ণ কিন্ত তারপরও কেন সমাজ আজ এত্ত অস্থিতিশীল??
কিসের অভাব যার কারণে আজ মানব হ্রদয়ে শান্তি নেই?
এত্ত এত্ত ডিগ্রীধারীরা কি আমাদের সমাজ পরিবর্তনে কোন ভূমিকাই রাখতে পারছেনা নাকি সবাই একেকটা
জিন্দা লাশ??
ধর্ষিতার গগনবিদারী আওয়াজ তো এখন মানব হ্রদয়ে আঘাত হানেনা বরং তাদের কাছে এখন এটা ' অপারেশন ডালভাত' বলে মনে হয়।
কেন?
কেন মানুষ তাদের আপনজনদের সাথে এখন বসে টিভি দেখতে ভয় পায়? যৌনাবেদনময়ীদের অশ্লীল কার্যকলাপ কি বড়ভাইকে তার ছোট ভাইদের সামনে বিব্রত করছেনা?

সেদিন এক ভাই বলছিলেন যে, তার বাসায় তিনি তার চেয়ে দুই বছরের ছোট বোন, মা, বাবাকে নিয়ে যখন খেলা দেখছিলেন তখন প্রতি ওভার পরপর শুধু কনডমের বিজ্ঞাপন দিচ্ছিল যেটা তাকে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। শেষমেশ ইন্টারনেটে যেয়ে খেলা দেখেন।

কেন আজও দেশ দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় অথচ দেশতো দারিদ্র সীমার নীচ থেকে উপরে উঠে আসতে পেরেছে, তাইনা? তাহলে এরপরও কেন ক্ষুধাতুরকে ডাষ্টবিন থেকে খাবার খেতে দেখা যায়? এটা কি পরিসংখ্যানে ভুল নাকি বাস্তবতা হলো " দেশটাতে ক্ষুধাতুরদের আর্তনাদ বেড়েছে কিন্ত কাগুজে হিসেবে কলম মিথ্যা সাক্ষ্যী দিয়েছে "?

মানুষ কি আসলেই সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারছে ? তাহলে কেন অবৈধ যৌনাচার, রূপবান নামক সংগঠন কর্মীদের বৃথা আস্ফালন একদমই কমানো যাচ্ছেনা ?

শিক্ষার মান কি এই যে, নিজ খেয়াল খুশী মতো কিছু করবার অবাধ স্বাধীনতা পাবার কারণে নিজের বিকৃত মানসিকতার বর্হিপ্রকাশ ঘটানো যার দ্বারা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত প্রতিষ্ঠানটির সুনাম দিন দিন ক্ষুন্ন হচ্ছে অথচ এসব খ্যাতিমান দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পড়ুয়া ছাত্রগুলোই তো ক্ষমতার বিভিন্ন শ্রেণীর চেয়ারে বসে উঁচু দরের সুদ, ঘুষের ব্যবসা করছে, কেন?

সারাদিনের খয়রাত করা এসব টাকা থেকে কিছু টাকা ঐ মসজিদ, মাদ্রাসায় দান - খয়রাত করে সেই সম্পদের উপর হালালের ট্যাগ লাগানো ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে অথচ দেশ নাকি শিক্ষার আলোয় একদম আলোকিত, আজব!!

সারা সপ্তাহে মসজিদের তৃতীয় কাতারে দু' চারজনের বেশি মুসুল্লী পাওয়া যায় না অথচ জুমুআ, ঈদের নামাজসহ মহররম, বরাতের রাত্রিতে ইবাদতগুজারের সংখ্যা এত্ত বেড়ে যায় যে, সেদিন হয়তো তাদের ঘরগুলোর ফ্যান সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক কিছু সময়ের ছুটি পায়।
কি লাভ এমন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, যে শিক্ষা নিজেদেরকে সুপথে পরিচালিত করতে পারেনা?
কি লাভ এমন লোক দেখানো ইবাদতগুজার হবার, যে আমল প্রথম আসমানেও যেতে পারেনা?
" জ্বীন ও মানুষকে আমি ইবাদত করবার জন্য সৃষ্টি করেছি ", এটা কি শয়তান পূজারী হবার জন্য আহবান নাকি জীবনের সবখানে এক রব্বে কারীমের ইবাদতের জন্য আহবান তা আমাদের কর্ম ও মুখের ব্যাখা আলাদা। কারণ মুখে স্বীকার করলেও কর্ম স্বীকৃতি দেয় সেই শয়তানের দাসত্ব বরণেরই ইঙ্গিত।
তাহলে সমাজের এই করুণ চিত্র বদলাবে কিভাবে??

শিক্ষিত ব্যক্তিরাই তাদের মা,বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমের পথ দেখায় অথচ তার সৃষ্টির কষ্টে তার মা মুখ ভরে বমি করে ভাসাতো, এই কি তার কষ্টের পরিণতি?
মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.