নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের আগমন মিথ্যার পরাজয়ের জন্য।

এক সত্যান্বেষী বালক

৯৬৩৫১০০৫৫৫৭৯

এক সত্যান্বেষী বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসূলের জন্মদিন আবার ফিরে আসে কিভাবে ?

১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১২

সাজিদ সাহেব আজ ফজরের নামাজ আদায় করতে গেলেন।
অনেকদিন হয় মায়ের কবরের পাশে গিয়ে এক দুইটা দোয়া পড়া হয়না।
তাই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, দুপুরে আজ ছেলেদেরকে সাথে নিয়ে মায়ের কবর যিয়ারত করতে যাবেন।
ওহ হো, ভুলেই গিয়েছিলেন যে, আজতো পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ)।
মসজিদে মিলাদের পর মানুষকে জিলাপী খাওয়াতে হবে ( রাসূলের জন্মদিন বলে কথা)।
জোহরের নামাজের পর ইমাম সাহেবকে দিয়ে মিলাদ পড়ালেন
( ইয়া নবী সালামু আলাইকা,
ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা,
ইয়া হাবীব সালামু আলাইকা,
সালাওয়াতুল্লাহ আলাইকা....)
রাতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে " The Message " মুভিটা দেখলেন।
পরেরদিন সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে অফিসে চলে গেলেন।
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সাঃ) যথাযথ ভাব গাম্ভীর্যের সাথে পালন করতে পেরেছেন বলে তার মনটা আজ খুব ভালো।

পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী নামে যে বার্থডে পার্টি প্রতিবছর ভাবগাম্ভীর্যের সাথে ধর্মীয় রীতিনীতি হিসেবে পালন করা হয় তার কি শরীয়ত সম্মত কোন বিধান আছে??
ইসলাম কি এসব বাৎসরিক বার্থডে সেলিব্রেশনকে সমর্থন করে???
রাসূলের জন্ম ও মৃত্যু তারিখ নিয়ে ইতিহাসবেত্তাদের মাঝে অনেক মতভেদ আছে। কেউ কেউ এই দিন রাসূল মৃত্যুবরণ করেছেন বলেও মত দিয়েছেন।
তাহলে আমরা কি রাসূলের মৃত্যু দিবসকে আনন্দের সাথে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উৎযাপন করছি??
বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্গাল ভোজের ব্যবস্থা করছি??
রাসূলের মৃত্যু কি আমাদের জন্য খুব খুশীর বিষয়??

আচ্ছা, যদি মেনে নেই যে, এইদিন তার জন্মদিন।
তাহলে রাসূল কি তার জীবদ্দশায় কখনো তার জন্মদিন উৎযাপন করেছেন??
মসজিদে মিষ্টি বিলিয়েছেন??
মানুষকে খাইয়েছেন??
তার জীবনের তেষট্টিবার ধুমধাম করে তার জন্মদিন উৎযাপন করবার কথা ছিলো, একবারও কি তিনি তা উৎযাপন করেছেন??
আচ্ছা, তার মৃত্যুবরণের পর তার সাহাবীরা কি কখনো রাসূলের বা নিজেদের জন্মদিন উৎযাপন করেছেন??
আচ্ছা, তাবেয়ী বা তাবে তাবেয়ীনদের কেউ কি রাসূলের বার্থডে সেলিব্রেট করেছেন??
তাহলে আমরা কোন দলীলের উপর ভিত্তি করে এই জন্মদিবস উৎযাপন করি, যার বিধান ধর্মের কোন বিধানাবলী অনুযায়ী নয়।

কেন এই দিবসেই মানুষকে খাওয়াতে হবে যেটা সম্পূর্ণ বিদআতি রুসুম।
কেন এমনসব কাজ ধর্মের বিধান হিসেবে পালন করাকে নিজের উপর অত্যাবশ্যকীয় বলে মনে করছি, যার কোন প্রমাণ কোরআন, হাদিসে নেই।

আমরা আজ কোন দিকে যাচ্ছি??
কেন সরকারীভাবে এ দিনকে ছুটি ঘোষণা করতে হবে??
কিসে আমাদেরকে এসব পালন করতে বাধ্য করছে??
হাদিসে এসেছে,
( তোমাদের জন্য দুইটি দিন ধার্য করা হয়েছে, যেদিন তোমরা ( শরীয়ত সমর্থিত উপায়ে) খুশী প্রকাশ করবে, আনন্দ করবে।
একদিন হলো ঈদুল ফিতরের দিন আর
অন্যদিন হচ্ছে ঈদুল আযহার দিন।)
এই হাদিসে বা অন্য কোন হাদিসে কি তৃতীয় কোন ঈদ যেটা পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী নামে উৎযাপন করা হয় , তার কথা বলা হয়েছে ?
(হাহাহাহাহাহাহাহাহা।
ব্যাপক বিনোদন পাইতেছি
তাই হাসতেছি।)

আচ্ছা,
এদিনই শুধু নামাজ পড়া আবশ্যক নাকি দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ প্রত্যেক সাবালক মুসলিমের জন্য আদায় করা আবশ্যক
কেন আমরা জেনে বুঝে এসব কাজ করছি ?
কেন এদিনই শুধু রাসূলের উপর দুরুদ পড়তে হবে অথচ বিধান হলো,
তোমরা রাসুলের উপর বেশী বেশী দুরুদ পড়। ( এখানে তো কোন নির্দিষ্ট দিবসকে কেন্দ্র করে মিলাদে দু'চারবার দুরুদ শরীফ পাঠ করবার বিধান নেই।
অন্য এক হাদিসে শুক্রবার দিন বেশী বেশী দুরুদ পাঠের কথা বলা হয়েছে।
তবে জুমুআর দিন আসরের পর আশিবার দুরুদ পড়বার বিধানও সহীহ নয়। )
তাহলে আমরা কেন এমন সব কাজ করছি, যার ভিত্তি কোরআন, হাদিসে কোথাও নেই।

এসব হুজুগে বা মন চাহি জিন্দেগীতে আর কতদিন ?
ধর্ম কর্ম একটু মানবার চেষ্টা করুন।
কোরআন আর হাদীসে নববী যেটাকে সমর্থন করে, সেটাকে মেনে চলুন নতুবা
এসব বার্থডে সেলিব্রেশন আপনার নাজাতের জন্য এতটুকুও সুপারিশের ব্যবস্থা করবে বলে মনে হয় না।
নিজেরাও নিজেদের বার্থডে সেলিব্রেশন করা বাদ দিন কারণ সেদিন আর কখনোই ফিরে আসবেনা যেদিন একবার গত হয়ে যায়, তাহলে আপনার জন্মদিবস আবার ফিরে আসে কিভাবে ?

ভাবুন ভাবুন।
অনেক গভীরে গিয়ে ভাবুন।

মনমানসিকতা বদলান।
সমাজটাই বদলে যাবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.