![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেখানে গভীর শূন্যতা , যেখানে অন্তহীন কোন পথের শুরু সেখানেই আমার অস্তিত্ব। আমি আঁধারের ব্যাক্তিগত অহংকার ।আমি বৈরাগ্যের ভ্রান্তি। অসম্পূর্ণ ছায়ামাত্র! আমি ব্যাথিত , ব্যর্থ নই। আমি রৌদ্রের মতো অভিকর্ষহীন ,অনুভূতিহীন নই।
ইভ-টিজিং (Eve-teasing) কি?
খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় গ্রন্থের নাম বাইবেল। বাইবেলের আরেক নাম ইনজিল। খ্রিষ্টান ও মুসলমানেরা বিশ্বাস করেন যে, বাইবেল একটি আসমানী কিতাব। বাইবেলের প্রধান চরিত্র Adam ও Eve, পবিত্র কোরানে তাঁদেরকে বলা হয়েছে আদম ও হাওয়া। বাইবেলের Eve ও কোরানের হাওয়া একই ব্যক্তি। কাজেই Eve শব্দটির উৎপত্তি বাইবেলে। বাইবেলে Eve শব্দ দ্বারা হাওয়াকে বুঝালেও বর্তমানে শব্দটির অর্থের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যায়। Eve শব্দটির যৌগিক অর্থ হাওয়া, কিন্তু রূরার্তে রমনী, নারী, নায়িকা, প্রিয়তমা। ব্যবহারিক অর্থে আরো আছে। আমাদের লক্ষ্য 'Eve' শব্দটির প্রায়োগিক অর্থ তুলে ধরা। এ ক্ষেত্রে শব্দটি যোগজয় অর্থের দিকে নজর দিব। সাধারণত ১৩ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদেরকে বোঝায়, যাদের বলা হয় 'teen ager'। Eve teasing বলতে নারীকে বিরক্ত করা অর্থে ব্যবহৃত হয়। ইয়ার্কি ঠাট্রার মাধ্যমে আমরা দাদি নানিকেও বিরক্ত করি। কিন্তু সেটা Eve teasing এর মধ্যে পড়ে না। বিরক্ত করার মধ্যে দিয়ে যদি কোন অনৈতিক প্রস্তাব, প্রেম ভালোবাসার প্রস্তাব, লোভ লালসার ইঙ্গিত, ভয় দেখিয়ে বা জিম্বি করে স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা, অবৈধ কাজে প্রলুব্ধ করা।
Eve teasing যে কেবল টিন এজারের মধ্যেই ঘটে তা নয়। যে কোন মেয়ে বা নারী- যে বয়সের হোক না কেন, অন্য কোন পুরুষ কর্তৃক আপত্তিকর আচরণের শিকার হলেই তা Eve teasing। বিবাহ-পূর্ব ভালোবাসা অশালীন কথাবার্তা বলা, প্রেমপত্র, মোবাইল ফোনে শ্রুতিকটু আলাপ, জনতার ভিড়ে পরপুরুষ কর্তৃক ইচ্ছাকৃত ধাক্কা ধাক্কি, ষ্পর্শ করা, চোখের ভাষায় অশুভ ইঙ্গিত করা, কথনে, ইঙ্গিতে ইন্দ্রীয় অনুভুতি উপলব্ধি করবার দূরভিসন্ধিকে Eve teasing বলা হয়।
ইভ-টিজিং (Eve-teasing) কেন হয়?
প্রত্যেকটি মানুষের রক্তের ভেতরেই তার স্বভাবের পরিচয় নিহিত রয়েছে। কেও সেটি বিবেকের শাসনে দমিত রাখে, কেও পারে না। যে পারে না, তার যুক্তি নজরুল ইসলামের ভাষায় ' তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সেকি মোর অপরাধ?'
না অপরাধ নয়, চেয়ে থাকা অপরাধ নয় যদি সে চাহনিতে কোন দূরভিসন্ধি না তাকে। কিন্তু অনেকের চাহনি নিষ্কলুস নয়, বিশেষ করে টিন এজারদের, যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৯। এই বয়সের ছেলে মেয়েরা আবেগ প্রবন হয়ে থাকে। যৌবনের উত্তাপে ধীরে ধীরে উষ্ণ থেকে উষ্ণতা হয়। পিতামাতা বা অভিভাবক কর্তৃক নৈতিক শিক্ষা না পেলে বেয়ারা বা বখাটে হয়ে যায়। তখন সে ইভ-টিজিং সহ অন্যান্য অপরাধে আসক্ত হয়।
যে কারণে ইভ-টিজিং হয়-
১) ধর্মীয় অনুশাসন না থাকার কারণে, ২) নৈতিক জ্ঞানের অভাব থাকলে। ৩) নারীকে অবলা মনে করলে, ৪) পাশ্চাত্যের ফ্রি সেক্সের প্রভাবে, ৫) প্রেমের কারণে বা প্রেমে ছ্যাকা খাওয়ার কারণে, ৬) রমণীর দেহ উপবোগের মোহে, ৭) অভিভাবকের অতি প্রশ্চয় বা উদাসিনতার কারণে, ৮) নাটক, সিনেমা, গল্পে, উপন্যাসে বিবাহ পূর্ব প্রেমলীলা/পরকীয়া প্রেমের কারণে, ৯) সমেচ্ছ মোবাইল ফোন ব্যবহারের কারণে, ১০) ইভ-টিজিং এর পরিনাম না জানার কারণে, ১১) ধনী লোকের জামাই হওয়ার লোভে, ১২) অতি আধুনিকা মেয়েদের অশালীন আচরণের কারণে, ১৩) ভূক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় না নেয়ার কারণে, ১৪) আইন শক্তিশালী না হওয়ার কারণে, ১৫) আইনের প্রয়োগ না থাকার কারণে, ১৬) পাঠ্য পুস্তুকে আছে, এমন কিছু অনৈতিক পাঠ্য করে বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখাতে যেয়ে।
©somewhere in net ltd.