নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভবঘুরে। এদিক সেদিক ঘুরি ফিরে দিন কাটাই। যেখানে রাত সেখানে কাত।

দূরবীক্ষণ

আমি একজন ভবঘুরে। এদিক সেদিক ঘুরি ফিরে দিন কাটাই। যেখানে রাত সেখানে কাত।

দূরবীক্ষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষমা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনিও একই পথে হাটবেন না, প্লিজ !

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৮

গতকাল সাভারে রানা প্লাজা নামের ৮ তলা বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। এতে এই পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ নীরিহ আদম সন্তান নিহত হয়েছে। এমন ঘটনার পর উঠে আসে ভবনটির মালিকের কথা। গতকাল থেকেই বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, টেলিভিশন ও আজজের পত্রিকাগুলো বিষয়টি গুরুত্বসহকারে প্রকাশ করা হয়। সংবাদে বলা হয় এই ভবনটি মালিক সাভার পৌর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো: সহেল রানা। তিনি মূলত ৫ম তলার জন্য ভবনটির অনুমোদন নিয়েছিলেন। এর পর তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৯ম তলা পর্যন্ত ভবনটি বিসৃত করেছিলেন। যার জন্য আজকে এতেগুলো প্রাণ এক সাথে ঝরে গেল। এ্ই মাসুদ রানার অর্থ লিস্পুর কারণেই মানুষগুলো মরেছে। সব চেয়ে আশ্চর্য ও দূ:খ জনক বিষয় হলো এই ভবনটির কিছু অংশে মঙ্গলবারই ফাটল দেখা দেয়। এই নিয়ে কয়েটি মিডিয়া সোহেল রানার সাক্ষাতকার নেয়া হলে তিনি বলেছিলেন সামান্য ফেটেছে তেমন কিছু হবেনা। এর পর ৫টি গার্মেন্সের শ্রমিকরা ভয়ে কাজে যোগ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলেও তাদের বেতন না দেয়ার হুমকি দিয়ে কাজে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়। এর পরের ঘটনাতো সবারই জানা। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিসিকে বলেছেন, বিরোধী দলের হরতাল চলাকালে হরতাল সমর্থকদের ভবনের পিলার ধরে টানা হেচড়ারা কারণেই নাকি ভবনটি ধসে পড়েছে। অথচ এর বিরোধীতা বিরোধী দল করা লাগেনি। স্বয়ং আওয়মী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে বিরোধীতার করে বলেছেন, আজেবাজে কতা না বলে জড়িতদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করুন। এর পর এই গরম কড়াইয়ে ঘি ঢেলে বিষয়টি আরো উত্তাপ বাড়ালেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে স্বয়ং সংসদে দাড়িয়ে বলেছেন, অনেকেই টিভিতে বলে রানা প্লাজার মালিক যুবলীগের নেতা। আমি সাভার পৌরসভা যুবলীগ কমিটির তালিকা এনেছি। সেখানে তার কোনো নাম নেই। সে আমাদের কেউ নয়। দল ক্ষমতায় আসলে অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় দেয়। অপরাধী যেই বা যে দলের হোক তাকে গ্রেফতার করে শাস্তি দেয়া হবে।

তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা বলতে চাই, আপনাদের এমপি মুরাদ জং কেন রানাকে বাঁচাতে সেখানে গেল। এমপিসহ পোস্টার লাগালো বিভিন্ন স্থানে। আপনার এমপি কেন তাকে নিশেধ করনি। সে পোস্টারে লিখেছে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক। আপনার দলের কোনতো বিষয়টি আপনাকে জানায়নি। তার মানে আপনার দলে পদ পাওয়া এতো সহজ। আমরা কিছু বুঝতে চাইনা। ভবনের মালিক যে যুবলীগ নেতা তার ছবি পোস্টারসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে। স্থানীয় এমপি মুরাদ জংকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তার পোস্টারও পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইন মিডিয়ায় চাপা হয়েছে। তবে আমরা বেশী মর্মাহত হয়েছি আমাদের সরকারের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন দায়ীত্ব, কর্তৃব্য ও দায়ীত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষম করবেন আপনিও একই পথে হাটবেননা। জাতীকে হতাশায় ঠেলে দেবেনা প্লীজ। এর আগের পিলখানা, নিমতলী, শাখারি বাজার, বদ্দারহাট, তানজির গার্মেন্সের ঘটনায় দোষিদের কোন বিচার এখনো হয়নি। ফলে দেশে একের পর এক বড় ধরণের ঘটনা, দূর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আমরা চাই আর যেন কোন মায়ের বুক খালি হয়। কোন নারী ম্বামী হারায়, ম্বামী স্ত্রী হারায়, ভাই বোন হারায়। বোন ভাই হারায়। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে এখনই কঠোর না হলে বার বার দূর্ঘটনা ঘটেই থাকবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখনিই দলমতের উর্ধে উঠে এসব হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হোন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.