নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভবঘুরে। এদিক সেদিক ঘুরি ফিরে দিন কাটাই। যেখানে রাত সেখানে কাত।

দূরবীক্ষণ

আমি একজন ভবঘুরে। এদিক সেদিক ঘুরি ফিরে দিন কাটাই। যেখানে রাত সেখানে কাত।

দূরবীক্ষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঈদ আনন্দ বঞ্চিত মেঘনা উপকূলের মানুষ

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২৬



নোয়াখালীর মেঘনা উপকূলের লাখ লাখ মানুষ প্রতি বছরই ঈদ আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ঝড়, জলোশ্বাস প্রতিনিয়ত লেগেই আছে। নদী ভাঙ্গার পাশাপাশি একের পর এক প্রাকৃতিক দূর্যোগ আঘাত করছে উপকূলে। নানা ঘাত প্রতিঘাতে ঈদ আনন্দ ভূলে গেছে মেঘনার কোল ঘেষা চরাঞ্চলের এসব ভূমিহীন মানুষ। তাদের দেখান কেউ নেই। এরা দিনে আনে দিনে খায় তাই ঈদের দিনেও তাদের কাজ করতে হয়। ঈদ উদযাপন করতে গেলে যে পেটে ভাত জুটবেনা। তাদের কাছে ঈদের আনন্দের চাইতে কাজ জোগাড় করাই বড় আনন্দ।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকা হাতিয়া উপজেলার বয়ারচর, নলেরচর, উড়িরচর, কালাদুর, নিঝুমদ্বীপ, চরনাঙ্গলীয়া, কেরিংচর, চরবাশার, ও আজমলেরচর, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুরসহ ১৫টি ছোট বড় চরে ৫০ হাজার পরিবারের ২ লাখ লোকের বসবাস। ভোলার মনপুরা, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, লক্ষীপুরের রামগতি ও রামগঞ্জসহ আশপাশের এলাকা থেকে নদী ভাঙ্গা অসহায় মানুষগুলো এ সব চরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। এরা দিনে আনে দিনে খায়। মাছ ধরা, মাটি কাট, রাজ মেস্ত্রী, কাঠ মেস্ত্রী, রোজ কামলা খাটা এদের পেশা। এক সময় এদের সবই ছিল। প্রতিনিয়ত সর্বনাশা নদী ভাঙ্গার পাশাপাশি ঘুর্নিঝড় আইলা, বিজলি, সিডর, নার্গিস এ সকল খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে আরো নিঃস্ব করে দিয়েছে। নিরূপায় হয়ে আশ্রয় নিয়েছে নদী বেড়ী বাঁধে ও বিভিন্ন চরাঞ্চলে। দূর্যোগের সময় সরকারী ভাবে যে ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে না খেয়েই থাকতে হয় এ সব ভূমিহীনদের।

হাতিয়া উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম জানান, যে কোন দূর্যোগের সময় প্রাথমিক পর্যায়ে লোকজন ত্রান সামগ্রী দিয়ে গেলেও সারা বছর সরকারী-বেসরকারী কোনলোক দূর্গতদের খোঁজ খবর রাখেনা। একই কথা বলেছেন, নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বাবলু ও নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন। তারা বলেন, ভূমীহিনদের কথা বলে কিছু এনজিও নিজেদের আখের গোছায়। অপরদিকে প্রতিনিয়ত দুঃখে কষ্টের মধ্যে বসবাস করে ভূমিহীনরা। অনেক সময় ঈদের দিনও তারা রান্না ঘরের চুলায় আগুন জ্বালাতে পারেনা। ঈদের দিনের আনন্দ কি তাও ভূলে গেছে চরাঞ্চলের মানুষগুলো।

হাতিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ওয়ালী উল্যাহর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি আমরাও অসহায় ভূমিহীনদের সহায্য সহযোগীতা করার চেষ্টা করি। উপজেলা প্রশাসনের দেয়া তালিকা অনুযায়ী এবার ঈদের আগেই গরীব দুঃস্থদের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.