| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দূরবীক্ষণ
আমি একজন ভবঘুরে। এদিক সেদিক ঘুরি ফিরে দিন কাটাই। যেখানে রাত সেখানে কাত।
১৯৮৮ সালের ভয়াবহ প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় মাদারীপুরের কালকিনিতে আসা বৃদ্ধা জামিলা খাতুন (৭৫) মৃত্যুর আগে স্বজনদের কাছে ফিরে যেতে চান।
জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার সময় নোয়াখালী থেকে জামিলা মাদারীপুরের কালকিনি পৌর এলাকার দক্ষিণ রাজদী গ্রামের বয়াতি বাড়িতে আসেন। পরে তার আশ্রয় হয় ছালাম বয়াতির বাড়িতে। সেই থেকে তিনি এখানেই মানুষের বাড়ি ঘুরে ঘুরে দিনাতিপাত করেন। তবে কিভাবে তিনি মাদারীপুর এসেছেন তা বলতে পারছেন না জীবন সায়াহ্নে উপনীত হওয়া জামিলা । কেউ জিজ্ঞাসা করলেও তিনি সঠিকভাবে তার পরিচয় দিতে পারছেন না। ২৬ বছর পর গত একসপ্তাহ ধরে তিনি স্থানীয় লোকজনকে তার বাড়িতে দিয়ে আসতে অনুনয়-বিনয় করছেন। ঠিকানার জন্য প্রশ্ন করলে তিনি শুধু তার মেয়ের নাম কমলা, মেয়ের জামাইয়ের নাম আইনুদ্দিন ও স্বামী ফেলু মন্ডল । তার স্বামী ঘোড়ার গাড়ি চালাতো, বাড়ি নোয়াখালী জেলার দিয়ালা গ্রামে এবং বাড়ির পাশে বড় একটি গরুরহাট আছে বলে উল্লেখ করেন।
জানতে চাইলে জামিলা খাতুন কিছুই না বলে উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘আমি কি মরার আগে আমার মেয়ে কমলাকে দেখে যেতে পারবো না ?
জামিলাকে আশ্রয় দেয়া ছালাম বয়াতি বলেন, ২৬ বছর আগে একদিন জামিলা খাতুন আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তার আচরণ অস্বাভাবিক। কোনোদিন ঠিকানা না বললেও এখন তার স্বজনদের কাছে যাওয়ার জন্য একা একা কাঁদেন। আমরা তাকে তার স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। জামিলার খোঁজ নিতে ০১৭১২৬৯৯৯১২ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন ছালাম বয়াতি।
http://www.sheershanews.com/2014/04/09/32356
©somewhere in net ltd.