![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গার্মেন্টস পণ্য রফতানিতে রেকর্ড গড়তে চায় বাংলাদেশ। এলক্ষ্যে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রফতানির যে রোডম্যাপ প্রণীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। আগামী ২০২১ সালে বিশ্বে পোশাকশিল্পের বাজার দাঁড়াবে ৬৫ হাজার কোটি ডলারে। বর্তমানে আছে ৪৫ হাজার কোটি ডলারের বাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশের হিস্যা মাত্র ৫ শতাংশ। এটি ৮ শতাংশে নিয়ে যেতে পারলেই লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। পোশাক রফতানি নতুন রেকর্ড অর্জিত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই রোডম্যাপের আওতায় মুন্সীগঞ্জে দেশে প্রথমবারের মতো গড়ে তোলা হচ্ছে গার্মেন্টস পল্লী। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরের কাছে এ ধরনের পল্লী গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া পোশাক শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগের সুযোগ দ্বার উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এতে জাপান, চীন, কোরিয়া এবং ভারতের বহু বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে আসার সুযোগ পাবে। শুধু তাই নয়, প্রণীত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে তৈরি পোশাক খাতে শ্রম কল্যাণ ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ উন্নয়নে সোস্যাল কমপ্লায়েন্স ফোরাম ফর আরএমজি গঠন করেছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুনর্বহাল, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই সুবিধা ধরে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তৈরি পোশাক শিল্পে সাব-কন্ট্রাকটিং ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকল্পে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রম আইন সংশোধন করে বিধিমালা প্রণয়ন এবং এ খাতের শ্রমিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণ এবং ঢাকার ওপর চাপ কমাতে মুন্সীগঞ্জের বাউশিয়ায় একটি গার্মেন্ট শিল্পপার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের ফলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। রফতানি বাণিজ্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ওই সময়ের মধ্যে শুধু পোশাক শিল্পে আরও ৩০ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বর্তমানে এ শিল্পে ৪০ লাখ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এছাড়া পোশাক শিল্পে এখন প্রতিবছর গড়ে ১৫-২০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। আগামী ২০ বছরনাগাদ এ শিল্পের গ্রোথ এ হারেই বাড়বে।
©somewhere in net ltd.