নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াকুব আলি

বল আল্লাহ্‌ এক।

ইয়াকুব আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন জেনে নেই, গণতন্ত্রের ক্লাব থেকে কে বের হয়ে গেছে? আওয়ামীলীগ নাকি বিএনপি

০৮ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪

সাম্প্রদায়িক হামলায় ইন্ধন দিচ্ছে কে? কোন দল স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি? কোন নেত্রীর বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহমূলক? ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন এবং তিন সিটি নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ নয় বিএনপিই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ব্লেম গেম হোক আর প্রচারণা কৌশলে হোক, বিএনপি এখনো কুলিয়ে উঠতে পারছে না আওয়ামী লীগের সঙ্গে। প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের এগিয়ে থাকা অবশ্য বিস্ময়কর কিছু নয়। স্বাধীনতাসংগ্রামে দলটির অতুলনীয় অবদানের কারণে বাংলাদেশের সরব নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশের চিরস্থায়ী সমর্থন দলটির প্রতি রয়েছে। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাস্তবায়নের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, জামায়াত ও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রচারণা যুদ্ধে বিএনপিকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে। গত এক দশকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অনুকূল পরিস্থিতি আওয়ামী লীগের জন্য প্রচারণাযুদ্ধ আরও সহজ করে ফেলে। ওয়ান-ইলেভেন উত্তর বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর কাছে মুসলিম বিশ্বের দুর্বল রাষ্ট্রগুলোতে গণতন্ত্রের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে গত পাঁচ বছর ইসলামি জঙ্গিবাদ দমন, বাংলাদেশের মাটি থেকে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মূলোৎপাটন এবং যুদ্ধাপরাধী ইসলামি রাজনীতিকদের শক্ত বিচার করে আওয়ামীলীগ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সমর্থন আদায় করে নিতে সক্ষম হয়। সত্যিই কি আওয়ামী লীগকে দ্রুত কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে রাজি বা বাধ্য করাতে পারবে বিএনপি? আমি মনে করি বিএনপির জন্য এটি করা কঠিন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি অতীতে এরশাদ ও হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলন করে দু’বার ক্ষমতায় আসতে পেরেছিল। কিন্তু তখন খালেদা জিয়া নেত্রী হিসেবে বেশি সক্রিয় ও ওয়াকিবহাল ছিলেন। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বিরাট অংশকে তখনো বয়স, জেলে যাওয়ার ভীতি ও সম্পত্তি রক্ষার চিন্তা কাবু করে ফেলেনি। সর্বোপরি বিএনপি তখন ছিল রাজপথে জান-প্রাণ সংগ্রাম করার মতো নিবেদিত প্রাণ একটি ছাত্র ও যুব সংগঠন। গত পাঁচ বছরে বিএনপির নেতারা একমাত্র স্বেচ্ছাসেবক দল ছাড়া বাকি কোনো সংগঠনকে শক্তিশালী হিসেবে দাঁড় করাতে পারেননি। আর পারবে বলে আমার মনে হয় না।





মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

মোঃ রাশেদ এয়াকুব বলেছেন: "গত পাঁচ বছরে বিএনপির নেতারা একমাত্র স্বেচ্ছাসেবক দল ছাড়া বাকি কোনো সংগঠনকে শক্তিশালী হিসেবে দাঁড় করাতে পারেননি। আর পারবে বলে আমার মনে হয় না।" - একমত

" স্বাধীনতা সংগ্রামে দলটির অতুলনীয় অবদানের কারণে বাংলাদেশের সরব নাগরিক সমাজের একটি বড় অংশের চিরস্থায়ী সমর্থন দলটির প্রতি রয়েছে। ২০০৯ সালের নির্বাচনের পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাস্তবায়নের দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করে, জামায়াত ও উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রচারণা যুদ্ধে বিএনপিকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে।" - ---- একমত নই। কারন এখনো এমন কি মেয়র নির্বাচন এর সময় ও বি এন পি জিততো যদি সত্তিকার নির্বাচন হত।

আওয়ামী লীগ ও জানে যে জনগন নয় একমাত্র ভারত এর সমরথন ই তার মুল শক্তি। তাই আমরা এখন এক পুলিশি রাষ্ট্র।

আমাদের দেশ কে শোষণ করার জন্য ভারত এর কাছে আওয়ামী লীগ এর চেয়ে আপন আর কোন দলনাই। আগে আমরা পাকিস্তান এর দারা শোষিত হতাম আর এখন ভারত এর দারা শোষিত হচ্ছি আওয়ামী লীগ এর জন্য। সে দিক থেকে চিন্তা করলে আওয়ামী লীগ এখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। এটাই সেশ কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.