![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিকল্পিত অর্থনৈতিক কার্যক্রম, বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচী যেমন, ভিজিডি, ভিজিএফ, জিআর, ওএমএস কর্মসূচী, টেস্ট রিলিফ, কাবিখা এবং ফেয়ার প্রাইস কার্ড প্রভৃতি কার্যকর কর্মসূচী বাস্তবায়নে গত পাঁচ বছরে দেশের দারিদ্র্যতা কমে বিস্ময়কর সাফল্য অর্জিত হয়েছে। এসব কার্যক্রমে অর্জিত প্রবৃদ্ধির সুফল পৌঁছাচ্ছে দেশের সর্বত্র। যার প্রতিফলনে বর্তমানে দেশে অতিদরিদ্রের সংখ্যা মাত্র ১২ শতাংশ। পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) ২০১৫ সালের সর্বশেষ প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী দেশে বর্তমান দারিদ্র্যের হার ২৩ দশমিক ৬ শতাংশ, যা ২০১০ সালে ছিল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে কমেছে অতি দারিদ্র্যও। এ হার দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩ শতাংশে, যা ২০১০ সালে ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। এছাড়া প্রতিবছর ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমছে। চালের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে দেখা গেছে গত চার বছরে শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০০৫-০৬ অর্থবছরে শ্রমিকের একদিনের মজুরি দিয়ে পাঁচ দশমিক সাত কোটি চাল কেনা যেত। বর্তমানে একদিনের মজুরি দিয়ে একজন শ্রমিক প্রায় সাড়ে আট কোটি চাল কিনতে পারছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সেকারনেই বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যানেট ডিক্সন বলেছিলেন, দারিদ্র্য নিরসন ও মানব উন্নয়নে বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞতা থেকে অন্য দেশগুলো শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য শুন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মকৌশল গ্রহণের বিষয়টিও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.