নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইয়াকুব আলি

বল আল্লাহ্‌ এক।

ইয়াকুব আলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিশেষ ইউনিট গঠন

০৫ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম কাস্টমসে বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়েছে। জাতিসংঘের অর্থায়নে মূলত এ বিশেষ ইউনিট গঠন করা হয়। ‘পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ)’ নামের ৭ সদস্যের এই ইউনিট ইতিমধ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে। জাতিসংঘের মাদক ও ক্রাইম বিভাগ এবং বিশ্ব কাস্টমস অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে কন্টেইনার কন্ট্রোলার প্রোগ্রামের আওতায় এটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ভোজ্যতেলের মাধ্যমে তরল কোকেন আমদানির ঘটনায় পিসিইউকে আন্তর্জাতিক মাদক এবং বিস্ফোরক আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িত মাফিয়া চক্রের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পিসিইউ দক্ষিণ আমেরিকা ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা কন্টেইনারবাহী পণ্যসমূহের প্রতি বিশেষ নজর রাখবে। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে পিসিইউ এর জন্য আলাদা বরাদ্দকৃত রুম হতে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা সন্দেহভাজন পণ্যসমূহের প্রতি নজর রাখা হবে। পিসিইউ প্রতিটি কন্টেইনারের ‘বিল অব লোডিং (বিএল)’ দেখে পণ্যটি কোন দেশ থেকে পাঠানো হয়েছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে কে আমদানি করেছে তা খতিয়ে দেখবে। কিছু বিশ্লেষণের মাধ্যমে পণ্যটি ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা নির্ধারণ করা হবে। তাছাড়া আমদানি পণ্য দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থাকলেও পিসিইউ তা খতিয়ে দেখবে। ড্রাগ ও ক্রাইমের মাধ্যমে সরকারের শুল্ক ফাঁকি দেয়া হচ্ছে কিনা তা-ও পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা পিসিইউকে দেয়া হয়েছে। এছাড়া পিসিইউ ইন্টারপোল, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা, জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড লাইফ সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবে। দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রাপ্ত তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। জাতিসংঘের মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে পিসিইউকে একটি সার্ভার ও ৬টি কম্পিউটার এবং পণ্য পরীক্ষার কিছু উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। সাতজন সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কাস্টমস কর্মকর্তাকে নিয়ে গঠিত পিসিইউকে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে তাদের দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ এবং জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে প্রায় ১ হাজার কেমিক্যাল পরীক্ষা করা সম্ভব এমন আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ও সরঞ্জামাদি প্রদান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিপূর্বে আমেরিকার মেগাপোর্ট ইনেসিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিরূপণের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.