![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রফতানি উন্নয়নে বৈদেশিক মুদ্রায় ৫০ কোটি ডলারের দুটি তহবিল হচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা নিয়ে ৩০ কোটি ডলারের তহবিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে করা হবে ২০ কোটি ডলারের আরেকটি তহবিল। উদ্যোক্তার সক্ষমতা অনুযায়ী লাইবর সুদ হারের সঙ্গে ৩ শতাংশ বা ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে এ তহবিল থেকে ঋণ নেওয়া যাবে। রফতানিকারকদের সুবিধা দিতে বর্তমানে রফতানি উন্নয়ন তহবিল থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশি উৎস থেকেও কম সুদে ঋণ নিতে পারছেন বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। রফতানি খাতকে আরও প্রসারে নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৫০ কোটি ডলারের তহবিল করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ৩০ কোটি ডলারের তহবিল থেকে তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারবেন। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব উৎসের ২০ কোটি ডলারের তহবিল থেকে শুধু রফতানিমুখী পরিবেশবান্ধব কারখানার কাজে ঋণ দেওয়া হবে। এখান থেকে তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল, চামড়া শিল্পসহ বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব উপায়ে কারখানা তৈরি, পরিধি বাড়ানো ও বর্জ্য শোধনাগারসহ (ইটিপি) বিভিন্ন কাজে স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন। বর্তমানে রফতানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারের ধারা অব্যাহত রাখতে রফতানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০০ কোটি ডলারের একটি তহবিল রয়েছে। রফতানিকারকরা রফতানির বিপরীতে পণ্য আমদানির জন্য ২ শতাংশের কম সুদে এখান থেকে ঋণ নিতে পারেন। নতুন এ তহবিল হবে বিদ্যমান তহবিলের বাইরে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৩০ কোটি ডলারের তহবিল এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এখান থেকে ৫, ৭ ও ১০ বছর মেয়াদে ঋণ নিতে পারবেন উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তার সক্ষমতা অনুযায়ী 'এ' ক্যাটাগরির ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদহার নির্ধারণ করা হবে লাইবরের (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) সঙ্গে ৩ শতাংশ যোগ করে। 'বি' ক্যাটাগরির ব্যাংক থেকে নিলে হবে লাইবর যোগ ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর 'সি' ক্যাটাগরির ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদহার দাঁড়াবে লাইবর যোগ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২২ জুলাই ৬ মাস মেয়াদি লাইবর ছিল দশমিক ৪৭ শতাংশ। এতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সুদহার ৪ শতাংশ বা এর কাছাকাছি থাকবে। এবারের মুদ্রানীতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উদ্বৃত্তের সমস্যা মোকাবেলা করা। আর সেটা করতে পারলেই দেশের অর্থনীতি যেরকম স্থিতিশীল অবস্থায় আছে তা ধরে রাখা সম্ভব হবে। এবারের মুদ্রানীতিতে উৎপাদনশীল খাতকে গুরুত্ব দিয়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন মুদ্রানীতিকে প্রবৃদ্ধি সহায়ক ও বিনিয়োগবান্ধব করবে।
©somewhere in net ltd.