![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরে দুই দেশের ছিটমহল বিনিময় হয় শুক্রবার মধ্যরাতে। ৬৮ বছরের বন্দিত্বের অন্ধকার কাটাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেন বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ডের বাসিন্দারা। পরিসমাপ্তি ঘটল ৬৮ বছরের বঞ্চনার ইতিহাসের। বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে অবস্থিত ভারতীয় ছিটমহলের বাসিন্দারা এখন বাংলাদেশের নাগরিক। নতুন দেশ পাওয়ার আনন্দে শুক্রবার নির্ঘূম রাত কাটিয়েছেন তারা। বিজয়ের আনন্দ-উল্লাসের রেশ তখনো কাটেনি। মেঘে ঢাকা ভোরের আকাশে চোখ মুছতে মুছতে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে ছিটমহলে। কারণ তারা লাল-সবুজের পতাকা উড়াবেন বাংলার মুক্ত আকাশে। এসেছেন নারীরা। শিশুরা বাবা-মায়ের কোলে-পিঠে করে এসেছে। কোনো ক্লান্তি নেই কারও চোখে-মুখে। সবার মধ্যে প্রশান্তির অনুভূতি। তারা সমস্বরে গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত- ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।’ বাংলাদেশের পাওয়া ১১১টি ছিটমহলেই একসঙ্গে উড়ল লাল-সবুজের পতাকা। পূর্ণতা পেল মানচিত্র। আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে উড়ানো হয় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। নাগরিকত্বের স্বীকৃতি নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ছিটমহলগুলোতে ছিল বাঁধভাঙা উল্লাস। আনুষ্ঠানিক পতাকা উত্তোলনের সময় বৃষ্টিও তাতে বাদ সাধতে পারেনি। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে একসঙ্গে দেশের পতাকাকে সালম জানান সাবেক ছিটের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।ভারত ও বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে ক্যালেন্ডারের তারিখ ১ আগস্টে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হয় ছিটমহল বিনিময়। বাংলাদেশে ‘ছিটমহল’ শব্দটি ঠাঁই নেয় ইতিহাসের পাতায়। সীমান্তে আর কোনো জনপদকে ‘ছিটমহল’ হিসেবে পরিচিত হতে হবে না। বাসিন্দারা পাবেন নাগরিক সুযোগ-সুবিধা, দেশের আর সবার মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরলেন তারা।
©somewhere in net ltd.