![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিশু মৃত্যুরোধে বিশেষ সফলতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যখাতে উন্নতি, অপুষ্টি দূর করা ও সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নানারকম পদক্ষেপের ফল মিলতে শুরু করেছে। ২০০৯ সালে যেখানে পাঁচ বছরের নিচের প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ৫০ জন শিশু মৃত্যুবরণ করতো, সেখানে ২০১৩ সালে এসে এ হার কমে দাঁড়িয়েছে ৪১ জনে। শুধু পাঁচ বছরের নিচে শিশুর ক্ষেত্রেই নয় সকল বয়সের শিশুর ক্ষেত্রেই মৃত্যুর হার কমেছে। চলতি বছরের শুরুতেই বাংলাদেশের এ অর্জনের প্রশংশা করেছিল বিশ্বব্যাংক। আন্তর্জাতিক শিশুবিষয়ক দাতব্য সংস্থা সেইভ দ্য চিলড্রেন এক প্রতিবেদনে বলেছে ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার কম। বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বিশেষ করে তিনটি ভিন্ন নির্দেশক যথা- ৫ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার, ১ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার ও হামের টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হয়েছে। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রভাবের সঙ্গে সঙ্গে সম্প্রসারিত টীকাদান কর্মসূচী, ডায়রিয়া নিরাময় ও সম্পূরক ভিটামিন-এ সরবরাহ কর্মসূচীও প্রভুত অবদান রেখেছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার রোধে ইতোমধ্যে অনেক সফলতা দেখিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারী হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সু-ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে মোট ১২ হাজার ৫৫০টি ক্লিনিক চালু আছে এবং এ সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া ৫৮১টি ক্লিনিকে স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হচ্ছে। ২০০৯ সালের মার্চ থেকে ২০১৪ সালের মে পর্যন্ত ৯ হাজার ৮৮৭টি স্বাভাবিক প্রসব পরিচালিত হয়েছে। এ সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েই চলেছে। কোথাও মা বা শিশু মৃত্যু বা জটিলতা দেখা দেয়নি। সরকারী ও বেসরকারী প্রচেষ্টায় প্রশিক্ষিত ধাত্রীর সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। শিশু পুষ্টি কার্যক্রম আরও জোরালো করেছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদফতর ইতোমধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক চিঠি দেয়া হয়েছে। সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের শিশু পুষ্টি কার্যক্রমেও নতুন কর্মসূচী আসছে।
©somewhere in net ltd.