![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করে আতঙ্কিত যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে স্বস্তি এনে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মাত্র আড়াই মাসে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নজিরবিহীন ঘটনা। নৌবাহিনী কাজ করায় স্বল্প সময়ে দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হয়েছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। গতবছর বর্ষা মৌসুমে রৌহাদহ পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গে জনপদের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বাঁধ ভেঙ্গে যমুনা নদীর পানি জনপদে প্রবেশ করায় সারিয়াকান্দি, ধুনট, গাবতলী, বগুড়া সদর, শাহজাহানপুর এবং শেরপুর উপজেলার ২২ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে যায়। অসংখ্য পুকুরের মাছ ভেসে যায়। এতে শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ অবস্থায় জাতীয় স্বার্থে বন্যার ক্ষতি থেকে জনপদ রক্ষাকল্পে সরকারের উচ্চপর্যায়ের মতামত ও পার্সেস কমিটির সিদ্ধান্তে নৌবাহিনীর ডকইয়ার্ড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডকে বাঁধ নির্মাণ কাজের দায়িত্ব দেয়া হয়।বড়ইকান্দি থেকে কামালপুর পয়েন্ট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ২৮ জুনের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা নির্ধারণ করে ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কার্যাদেশ পাওয়ার পর প্রকল্প এলাকায় খনন কাজে ২২টি এক্সেভেটর, বালু উত্তোলন ও বহন কাজে ১২টি ড্রেজার, ৩৫টি ভলগেট মোতায়েন করে নৌবাহিনী এবং যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় বাঁধ নির্মাণ কাজ।
©somewhere in net ltd.