![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে কৃষিতে যন্ত্রের প্রবেশ দুয়ার বগুড়া। বগুড়ার তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশ সারাদেশের শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি চাহিদা মেটাচ্ছে। একসময় চীন, জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কৃষি যন্ত্রাংশ এদেশের বাজার দখল করে থাকলেও এখন তা দখলে নিয়েছে বগুড়ার তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশ। বগুড়ার তৈরি কৃষি যন্ত্রাংশ একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় করছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বগুড়ার গোহাইল এলাকায় চল্লিশের দশকে ধলু মেকানিক নামের এক মেকানিক প্রথম হাল্কা প্রকৌশল কারখানা স্থাপন করেছিলেন। তার দেখাদেখি অল্প কয়েকটি কারখানাও সেখানে গড়ে ওঠেছিল। তবে বঙ্গবন্ধুর সবুজ বিপ্লবের ডাকের পর এই এলাকায় কৃষি যন্ত্রের অনেকগুলো কারখানা গড়ে ওঠে। গোহাইল রোড স্টেশন রোডের দুই ধারে কৃষি মেশিনারি দোকান, লেদ মেশিন ও বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এলাকায় কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা, ঢালাই কারখানা স্থাপিত হতে থাকে। আশির দশকে এসে বগুড়াতে হাল্কা প্রকৌশল শিল্প ব্যাপক বিস্তার লাভ করে। ৮০-এর দশকের প্রথম ভাগেই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় স্বল্প দামের সেচযন্ত্র ও পাওয়ার টিলার। যা মধ্যম সারির কৃষকদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চলে আসে। এরপর বগুড়াকে আর পেছনের দিকে তাকাতে হয়নি। নিত্যনতুন আধুনিক কৃষি যন্ত্রের বড় বাজারে পরিণত হয় বগুড়া। এক জেলা থেকে আরেক জেলা উপজেলায় পৌঁছে যায় বগুড়ার তৈরি কৃষিযন্ত্র সেচপাম্প ইত্যাদি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বগুড়ার তৈরি কৃষিপণ্য বেচাকেনার বড় বাজারে পরিণত হয়।
(চলবে............।।)
©somewhere in net ltd.