নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ দেখুন দেশের মানুষ,ঋতুবৈচিময় মাতৃভূমির রুপ অাপনাকে মুগ্ধ করবেই।মাতৃভূিমর সৌন্দয উপভোগ করেত অামােদর সকল অায়োজন।

ইকো ট্রাভেলার্স

ভ্রমণে আপনার সেরা সঙ্গী

ইকো ট্রাভেলার্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাওড়ে জোৎস্না স্নান

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১৩



আমাদের হাওড়



পূর্ণিমা দেখার ,উপভোগ করার ও জোৎসনা স্নান করার বিশেষ কিছু কায়দা ও স্থান আছে।



পৃথিবীর জন্ম থেকেই পূর্ণিমা দেখা যেত। তবে আমরা সম্ভবত পূর্ণিমা দেখতে শিখেছি গৌতম বুদ্ধের হাত ধরে। কোন আষাঢ়ী পূর্ণিমায় মুগ্ধ হয়ে তিনি গৃহত্যাগী হন। তার বহুকাল পরে আবার আমাদের পূর্ণিমা দেখান রবি ঠাকুর, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সবশেষে আমরা হাতে কলমে পূর্ণিমা দেখতে শিখেছি হুমায়ুন আহম্মেদের চোখ দিয়ে, তাঁরই মত করে। পূর্ণিমা দেখতে হয় পাহাড়ের উচুতে,জঙ্গলে গাছের ফাঁকে,মরু ভূমিতে, নদীতে , সমুদ্রে, হাওড়ে, বালুর চরে ইত্যাদি।

আমরা জোৎস্না স্নান করতে যাব কৃষ্ণপুর ,সাতলি হাওড় ও বারা হাওড়ে।



হাওড় কি???



“মাটির ওপর জলের বসতি, জলে ওপর ঢেউ



ঢেউয়ের সাথে পবনের পিরিতি, নগরে জানে না কেউ”

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অফুরন্ত সম্ভাবনাময়, অথচ বিপন্ন এক জনপদ "হাওড়" হল চতুর্দিকে উচ্চ বা প্রায় উচ্চভূমি দ্বারা বেষ্টিত একটি স্বচ্ছ ও মিঠা পানির বিশাল প্লাবন ভূমি। অন্যভাবে হাওড় হচ্ছে এমন স্রোতহীন বিশাল জলাশয় যা মৃত বা বাঁক পরিবর্তনকারী নদীর প্লাবন ভূমি। ভারতের লুসাই পাহাড় থেকে উত্‍পন্ন বরাক নদীর পানিও বাংলাদেশের উপর দিয়ে বঙ্গোপসাগরে বহমান৷ বরাক নদী বাংলাদেশে প্রবেশের মুহূর্তে সিলেটের অমলশিদের কাছে সুরমা ও কুশিয়ারা নামে দুটি শাখায় ভাগ হয়েছে৷ আসাম, মেঘালয়, মনিপুর সহ বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতপুর্ন এলাকা চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির পানির বিশাল জলরাশি সুরমা-কুশিয়ারা'কে প্লাবিত করে নেমে আসে সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেট, মৌলভিবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া--- এই ৭ টি জেলার বিস্তৃত অঞ্চ।

এক সময়ে হাওড়ের বিস্তার ছিল পুরো ময়মনসিংহ ও ঢাকা জেলা অবধি, কিন্তু ১৭৮৭ সালের বন্যা ও ভুমিকম্পে মধুপুর অঞ্চল সমতল থেকে উচু হয়ে যায় ফলে ব্রহ্মপুত্র নদ মধুপুর গড়ের পুবদিক থেকে পশ্চিমে তার প্রবাহপথ পরিবর্তন করে এবং হাওড়ের একটি প্রধান নদী (ব্রহ্মপুত্র) গতিপথ পরিবর্তন করে যমুনা'র মিশে যায়। পরিত্যক্ত অঞ্চলে হাওড় সৃষ্টি হয়৷ ফলশ্রুতিতে ময়মনসিংহ ও ঢাকা মুল হাওড় অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন স্থাপনের ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মৌলভিবাজারের অনেক হাওড় পরিবর্তিত অথবা ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমানে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর দুই তীরেই হাওড় এলাকা সীমাবদ্ধ এবং অদ্যাবধি হাওড়ের বৈশিষ্ট ধারন করে আছে।বর্ষায় এ জনপদকে মনে হয় কূলহীন সাগরের মতো। এ সময় হাওরের বুক জুড়ে থাকে জল আর জল। অন্যদিকে শীতকালে হাওর হয়ে ওঠে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর, যেখানে দোল খায় সবুজ-সোনালী ধানের শীষ।



হাওড় দেখার বিশেষ কয়েকটি সময় ও মুহুর্ত আছে যেমন: সূর্য

উদয়ের সময়, পড়ন্ত বিকেল বেলা, যখন হাওড়ে ঢেউ ওঠে, বৃষ্টির সময় ও চাঁদের আলোতে।



বিভিন্ন ইতিহাস ও প্রাচীন পান্ডুলিপি থেকে জানা যায়, বৃহত্তর সিলেট ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি বড় অংশ এক সময় ‍কালীদহ সাগর’ (মতান্তরে লৌহিত্য সাগর) নামে একটি বিশাল জলরাশিতে নিমজ্জিত ছিল। পরবর্তীতে ভূ-প্রাকৃতিক বিবর্তনের ফলে তা পিরিচ আকৃতির নিন্ম সমতল ভুমিতে পরিণত হয়- যা পরিচিত হয় হাওর নামে। অবশ্য, ‘হাওর’ নাম নিয়েও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা রয়েছ। এ অঞ্চলের লোকেরা ‘স’ কে ‘হ’ বলে উচ্চারণ করে। তেমনি ‘সাগর’কে বলে ‘হাগর’। এভাবেই ‘সাগর’ শব্দের বিকৃত রুপ হিসাবে ‘হাগর’ এবং ‘হাগর’ থেকে ‘হাওর’ শব্দের উৎপত্তি হয়। উল্লেখ, ভাটি অঞ্চল নামে ও হাওরাঞ্চলের আরেকটি পরিচিতি রয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশের সাতটি উপজেলা নিয়ে বিশাল হাওর এলাকা গঠিত। জেলা গুলো হচ্ছেঃ নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভী বাজার, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মনবাড়িয়ার একাংশ।



চলে সর্বত্র মাছ ধরার আয়োজন, এ যেন এক উৎসব



এই বর্ষায় এ রকম দু-একটি হাওড় থেকে চলুন ঘুরে আসি।



ভ্রমণ পথ:

১৯ সেপ্টম্বর, বৃহস্পতি বার রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করব নেত্রকোনার মোহনগন্জের উদ্দেশ্যে

২০ সেপ্টম্বর, ভোরে মোহনগন্জে পৌছে ট্রলারে যাত্রা শুরু করব সাতলি হাওড় হয়ে কৃষ্ণপুর (এখানে জেলা পরিষদের বাংলোতে রাতে থাকাব, যদি কোন ভি আই পি ব্যক্তি ঐ সময় কৃষ্ণপুর না যান)

২১সেপ্টম্বর, কৃষ্ণপুর থেকে শাল্লা হয়ে নাম না জানা হওড় ও বারা হাওড় হয়ে চামড়া বন্দর, কিশোরগন্জ। কিশোরগন্জ থেকে ঢাকা। ( ইনশাআল্লাহ ২১তারিখ শনিবার রাত ১১ টার মধ্যে ঢাকা পৌছাবো)





কৃষ্ণপুর, জেলা পরিষদের এ বাংলোতে আমরা শুবার রাতে থাকব ইনশাআল্লাহ্



যানবাহন:

ঢাকা থেকে মোহনগন্জ (ট্রেন হাওড় এক্সপ্রেস, চেয়ার সিট পাওয়া সাপেক্ষে)

হাওড় ভ্রমণ করব ১০০ মণ লোড নিতে পারে এমন ট্রলারে

চামড়া বন্দর থেকে ঢাকা নন এসি বাস।

কি কি করব:

*ট্রলারে হাওড় ভ্রমণ

* হাওড়ের মাছ খাব

* মাছ ধরব

*পানির উপর তৈরি বাংলোতে থাকব

*পানিতে গোসল করব

*রাতে বসবে জোৎসনা স্নান আড্ডা।



শাল্লা, আমরা যাব শনি বারে

Facebook event:

কি কি সাথে নিবেন:

• আপনার ব্যক্তিগত জিনিস পত্র(যত কম হয় তত ভাল)

• নিয়োমতি সেবন করেন এমন ঔষধ

• ক্যামেরা,ব্যাটারি,চার্জার, মাল্টি প্লাগ

• ছাতা/রেইন কোট/পঞ্চ

• টচ লাইট (হাওড়ে এক বার কারন্টে গেলে ১ সপ্তাহে নাও আসতে পারে)

• লাইফ জ্যাকেট (যদি থাকে, না থাকলে আমারা আপনাকে দিব ব্যবহার করার জন্য)

• ছিপ/বরশি

আমাদের Facebook Group:



হাওড়ে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে গান গান আর গান আর নাম না জানা কত হাছন রাজা



ভ্রমণের সময়: ১৯ সেপ্টম্বর,বৃহস্পতি বার রাত থেকে ২১ সেপ্টেম্বর ,শনিবাররাত

ভ্রমণ খরচ: জন প্রতি ৩৫০০ টাকা

রেজিস্টেশনের শেষ তারিখ: ১৬ সেপ্টম্বর

রেজিস্টেশন ও বিস্তারিত:

ইকো ট্রাভেলার্স লি:

ট্রপিক্যাল ট্রপিকানা টাওয়ার

৮ তলা, অফিস ৭/জি

৪৫,তোপখানা রোড (ঠিক পুরানা পল্টন মোড়ে)

ইমেইল: [email protected]

[email protected]

মোবাইল: ০১৭১৪৪৪৪৩৩০

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

ইকো ট্রাভেলার্স বলেছেন: Event Details: Click This Link

আমাদের Facebook Group: https://www.facebook.com/groups/ecotravelers/

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫

ইকো ট্রাভেলার্স বলেছেন: Thanks To All Participant , Without you this trip(Click This Link) may not such enjoyable.
Thank you for participation, cooperation , for suggestion & for everything you done.

Let us know our lacking thats why we can manage & arrange next trip more smooth & enjoyable for you.

For Eco Friendly & Economy tour
Eco Travelers Ltd
(A Tourism Promoting Company)
Tropical Tropicana Tower(7th Floor)
45,Topkhana Road (Just at Purana Polton mor)
Dhaka-1000,Bangladesh
Mobile:01714444330
https://www.facebook.com/groups/ecotravelers/
https://www.facebook.com/EcoTravelers4u

৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

এহসান সাবির বলেছেন: +++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.