![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভ্রমণে আপনার সেরা সঙ্গী
পহাড়,ঝর্ণা আর পাহাড়ি নদী ভ্রমণের আয়েশি(সামান্য ট্রেকিং ) ট্রিপের কথা চিন্তা করলেই এ রুটের কথা সর্বপ্রথম মনে পড়ে ভ্রমণ পিপাষুদের। বর্ষা শেষ চলছে শরৎ কাল তাই পাহাড়ের সবুজ , লেকের বিশাল জল রাশি আর ঝর্ণার প্রবাহ দেখার উত্তম সময়। কয়েকদিন পরে ঝর্ণার প্রবাহ কমে যাবে,শুভলং তো ঝর্ণা থাকবে তখন নামে মাত্র।
মারিশ্যা থেকে রাঙ্গামিাটি লঞ্চ ভ্রমণটা অসাধারণ। এখন লেকের পানি বেশী তাই ভ্রমণটি হবে আরও আনন্দময়। শীতে আস্তে আস্তে পানি কমতে থাকে বৎসরের এক পর্যায়ে তো পনি কমের কারনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঈদের পর রবিবার থেকে অফিস আদালত খোলা, ঈদের ব্যস্ততা,পরিবারকে সময় দেয়া ও সামাজিকতা সব সামলে দারুণ টাইমিংয়ের ট্রিপ হবে আশা করি। চলুন ভ্রমণ পাগল,প্রকৃতি প্রেমি বন্ধুরা ঘুরে আসি FaceBook Event মং রাজের দেশে:খাগড়াছড়ি, মিারিশ্যা & রাঙ্গামাটি
খাগড়াছড়ি
আমাদের পার্বত্য জেলাগুলো রাঙামাটি চাকমা সার্কেল, বান্দরবান বোমাং সার্কেল ও খাগড়াছড়ি হচ্ছে মং সার্কেলের অধীনে।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়, ঝর্ণা, সবুজ বনানী ঘেরা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পযটকদের নিকট কিছুটা অবহেলিত।
ঝর্ণা, পাহাড়, ছড়া, বন-বনানীর সমন্বয়ে খরস্রোতা চেঙ্গী নদীর পাড়ে এ জেলার মূল শহর অবস্থিত। ১৯৮৩ সালে জেলা হওয়ার পর থেকে এখানকার রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ধীরে ধীরে শুরু করা হয়, যা অদ্যাবধি চলছে।
চেঙ্গী নদীর পাড় কিংবা জেগে ওঠা চরে তৎকালীন বহু বছর আগে ছোট আখের ন্যায় এক প্রকার সরু লম্বা আখ জন্মাতো, যা এখানকার ভাষায় খাগড়ানল হিসেবে অধিক পরিচিত ছিল। খাগড়ানলের পাশেই ছড়া, খাগড়া যোগ ছড়া এ নিয়ে পরিচিত পেল খাগড়াছড়ি। এভাবেই অনেকে এ জেলার নামকরণ খুঁজে পান। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে এ জেলার প্রধান কেন্দ্র ছিল রামগড়ে। রামগড় মহকুমা শহর ছিল তৎকালীন এ জেলার কেন্দ্রবিন্দু। কালের আবর্তে দেশ স্বাধীন হলো। পর্যায়ক্রমে এখন গোটা জেলার কেন্দ্রবিন্দু।
Tour Type: Moderate ( Any Body can join)
Trip Duration: 2 Days 3 Nights
Trip Cost: BDT. 3700
Last Date of Registration: 12 October
For Registration & Trip Details:
01714444330
আলুটিলা রহস্যময় গুহা
পার্বত্য খাগড়াছড়ির অন্যতম দর্শনীয় স্থান আলুটিলা। চট্টগ্রাম থেকে খাগড়াছড়ি শহরের প্রবেশ পথেই আলুটিলার অবস্থান। এখানে রয়েছে পাহাড়ী ঝর্ণা, রহস্যময় গুহা আর একটি ছোট বিনোদন পার্ক যেখান থেকে সমস্ত খাগড়াছড়ি শহর দেখা।
খাগড়াছড়ি শহর হতে ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আলুটিলা পযর্টন কেন্দ্রে রয়েছে একটি রহস্যময় গুহা। স্থানীয়রা একে বলে মাতাই হাকড় বা দেবতার গুহা। তবে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রে অবস্থিত বলে আমরা একে আলুটিলা গুহা বলেই চিনি। রহস্যময় সুগঙ্গে যেতে হলে প্রথমেই আপনাকে পর্যটন কেন্দ্রের টিকেট কেঁটে ভীতরে প্রবেশ করতে হবে। ফটকের দুই পাশে দুটি শতবর্ষী বটবৃক্ষ আপনাকে স্বাগত জানাবে। ফটক দিয়ে পর্যটন কেন্দ্র প্রবেশের সময় আপনাকে মশাল সংগ্রহ করতে হবে। কারন রহস্যময় গুহাটিতে একেবারেই সূর্যের আলো প্রবেশ করে না।ফটক হতে বাম দিকের রাস্তা বরাবর হাঁটলে পরে পাবেন রহস্যময় সেই গুহা। গুহাতে যাবার আগে আপনি পাবেন একটি বিশ্রামাগার ও ওয়াচ টাওয়ার। এর সামনে দিয়ে রাস্তা চলে গেছে আলুটিলা গুহা মুখে। আগে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নামতে হতো গুহামুখে। কিন্তু এখন পর্যটন কর্পোরেশন একটি পাকা রাস্তা করে দিয়েছে। ফলে খুব সহজেই হেঁটে যাওয়া যায় গুহামুখে।
পাকা রাস্তা শেষ হলে আপনাকে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে হবে। প্রায় ৩৫০টি সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামলে পরে পাওয়া যাবে কাঙ্খিত সেই গুহা। আলুটিলা গুহা। গুহাটি খুবই অন্ধকার ও শীতল।সুরঙ্গের তলদেশ পিচ্ছিল এবং পাথুরে। এর তলদেশে একটি ঝর্না প্রবাহমান। তাই খুব সাবধানে মশাল বা আলো নিয়ে গুহা পাড়ি দিতে হবে।আলুটিলার দেখতে অনেকটা ভূগর্ভস্থ টানেলের মত যার দৈর্ঘ প্রায় ৩৫০ ফুট। গুহার ভীতরে জায়গায় জায়গায় পানি জমে আছে, রয়েছে বড় বড় পাথর।গুহাটির এপাশ দিয়ে ঢুকে ওপাশ দিয়ে বের হতে সময় লাগবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট। গুহাটি উচ্চতা মাঝে মাঝে এতটাই কম যে আপনাকে নতজানু হয়ে হাটতে হবে।
ইতিহাস
ইতিহাস থেকে জানা যায় পূর্বে এই পাহাড়টির নাম ছিল আরবারী পর্বত।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় খাগড়াছড়িতে দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এলাকার জনগত এই পর্বত হতে বুনো আলু সংগ্রহ করে তা খেয়ে বেঁচে থাকে। তার পর থের্ক এই পর্বতটি আলুটিলা নামেই পরিিচতি লাভ করে। এখনো এখানে প্রচুর পরিমান বুনো আলু পাওয়া যায়।
ভ্রমণ বিবরণ:
আমারা ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার(ঈদের পর দিন) রাত আনুমানিক ১০ টায় ঢাকা থেকে যাত্রাশুরু করব।
১৮ অক্টোবর সকালে খাগড়াছড়ি পৌছে নাস্তা শেষে যাব রিছাং ঝর্ণা ( এ সময় রিছাং যাওয়ার ২ টা কারণ ১ম এত ভোরে আলুটিলার গেট খোলা হবে না ২য় আন্যান্ন ট্যুরিষ্টরা আগে সাধারনত আলুটিলা যায় পরে রিছাং তাই আশা করি ভোরে রিছাং তুলনা মূলক ফাকা থাকবে,অর্থাৎ কেবল আমাদেরই দখলে থাকবে রিছাং ঝর্ণা)
রিছাং শেষে আলুটিলা ভ্রমণ করে চলে যাব মরিশ্যা পথেই সারব দুপুরের খাবার
মারিশ্যায় রাত্রি যাপন
১৯ অক্টোবর ভোরে নাস্তা শেষে লঞ্চ ভ্রমণ শুরু গন্তব্য রাঙ্গামাটি। পহাড়ি নদীতে এ ভ্রমণ পথটি অসাধারণ। দুধারে সুউচ্চ পাহাড় আর নাম না জানা কত জলপ্রপাত। পথে দেখব মাইনি, শুভলং ঝর্না,পেদা টিংটিং,টুকটুক ইকো ভিলেজ। দুপুরে খাবার পরে দেখব ঝুলন্ত ব্রীঝ,রাজবাড়ি ও রাজবন বিহার। রাতে রওয়ানা দিব ঢাকা উদ্দেশ্যে।
২০ অক্টোবর রবিবার সকালে ঢাকা থাকব ইনশাআল্লাহ্।
রিসাং ঝর্না
স্থানীয়দের কাছে রিসাং ঝর্না ‘তেরাংতৈ কালাই ঝর্না’ নামে বেশি পরিচিত। আর মারমা ভাষায় ‘রিসাং’ মানে পাহাড় থেকে পানি পড়া। রিসাং যাওয়ার পথে আদিবাসীদের ঘর-বাড়িগুলো চোখে পড়ার মত। বেশিরভাগ বাড়িই পাহাড়ি মাটির তৈরী। দেখতে চমত্কার, ওখানে টিপরা বা ত্রিপুরার অধিবাসীদের বাস।
খাগড়াছড়ি শহরের খুব কাছেই রিসাং ফলস এর অবস্থান। শহর থেকে প্রায় ১০-১১ কিলোমিটার। বাসে করে শহরে প্রবেশ করার মুখেই পরবে রিসাং ফলস এ যাওয়ার রাস্তা। হাইওয়ে থেকে ফলস এ যাওয়ার রাস্তা প্রায় দুই কিলোমিটার। কয়েক মিনিট হাঁটলেই ঝর্নায় নামার জন্য কংক্রিটের সিঁড়ি পেয়ে যাবেন। প্রথম দেখায় রিসাং ফলস আপনাকে থকমে দাঁড়াতে বাধ্য করবেই। এই ফলস এর সবচেয়ে আকর্ষনীয় ব্যাপার হচ্ছে প্রাকৃতিক ওয়াটার স্লাইড। প্রায় ৩৫ ডিগ্রি ঢাল বেয়ে ঝর্না টা নীচে নেমে এসেছে। একটু সাহস থাকলে ওয়াটার স্লাইড এর রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে ভুলবেন না। তবে সাবধান পাথুরে দেয়ালে ধাক্কা লেগে কিন্তু মারাত্বক আঘাত পেতে পারেন।
শুভলং ঝর্না
রাঙামাটি থেকে জলপথে সোজা মাইল আটেক গেলে সৌন্দর্যের ঝরনা শুভলং। রাঙামাটির প্রায় তিন দিকেই কাপ্তাই হ্রদ। এই জলপথ দিয়ে বরকল যাওয়ার আগে দুই পাহাড়ের মাঝে সরু পথটি হচ্ছে শুভলং। উত্তর-দক্ষিণের দিকে বিস্তৃত পাহাড় এখানে ভাগ করে কর্ণফুলী নদী ছিল আগে। শুভলং-এর পুবদিকে হেমন্ত বসন্ত পাহাড়।
কর্ণফুলীর দুই পাড়ের পাহাড় থেকে নেমে এসেছে আটটির মতো ছোট-বড় ঝরনা। বর্ষাকালে এর প্রকৃত রূপ দেখা যায়, শীতকালে পাহাড় পানি প্রবাহ অনেকটা শীর্ণ হয়ে যায়।
হ্রদে আছে নানা জাতের গাঙচিল, বড় ও ছোট পানকৌড়ি আর বড় বড় কালচে ভোদর। শীতের আগে আসে প্রচুর পরিযায়ী জলজ পাখি। তখন সৌন্দর্যের ঝিলিমিলি খেলে যায়। রাঙামাটির অদূরে ‘পেদা টিং টিং’ রেস্তোরাঁ বা হোটেল। পেদা টিং টিং অর্থ পেট টইটম্বুর। সাতটি ছোট ছোট ঝরনা প্রায় অদৃশ্য হয়ে আছে গাছপালার ফাঁকে হ্রদের কূলে। দুই পাহাড়ের গা বেয়ে ওরা নামছে গুন গুন করে কখনও বা উচ্চস্বরে নিজেদের ঘোষণা করছে।
শুভলং যতো না সুন্দর, তার চেয়ে আরো সুন্দর এর যাওয়ার পথটি। দুপাশে উঁচু পাহাড় তার মাঝ থেকে নিরবধি বয়ে চলা কাপ্তাই লেক।
রাঙ্গামাটি
রাজবন বিহার
নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপার লীলাভূমি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। এখানে পাহাড়ের কোল ঘেঁসে ঘুমিয়ে থাকে শান্ত জলের হ্রদ, নদী বয়ে চলে তার আপন মনে। সীমানার ওপাড়ে নীল আকাশ মিতালী করে হ্রদের সাথে, চুমু খায় পাহাড়ের বুকে। এখানে চলে পাহাড় নদী আর হ্রদের এক অপূর্ব মিলনমেলা যেখানে প্রকৃতি কথা বলে কবিতার ভাষায়। নদীর বাঁকে বাঁকে বাতাস সুর তোলে আপন মনে, গায় সুন্দরের গান। মুগ্ধ নয়নে শুধু চেয়ে থাকতে হয় অসহায় মানুষ হয়ে। চারিপাশ যেন পটুয়ার পটে আঁকা কোন জল রঙের ছবি। এখানে হাজার রঙের প্রজাপতি খেলা করে সবুজের মাঝে, রাতের আঁধারে দীপ জ্বেলে যায় লক্ষ কোটি জোনাকীর দল। কোন উপমাই যথেষ্ট নয় যতটা হলে বোঝানোয় যায় রাঙ্গামাটির অপরূপ সৌন্দর্য। এখানকার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অদেখা এক ভূবন যেখান আপনার জন্য অপেক্ষা করছে নয়ানাভিরাম দৃশ্যপট।
রাজবন বিহার
পাখির কুহুতান, সবুজের মাখামাখি আর অসংখ্য নৃগোষ্ঠী এই জনপদকে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ। এখানে প্রায় ১৪টির মতো উপজাতী বসবাস করে। চাকমা, মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বোম, খুমি, খেয়াং, পাংখোয়া, লুসাই, সুজ সাওতাল ও রাখাইন অন্যতম। নৃগোষ্ঠীর জীবন-যাপন ও সংগ্রাম আপনাকে যেমন মুগ্ধ করবে তেমনি মুগ্ধ করবে এর পর্যটন এলাকাগুলো। রাঙ্গামাটিতে ভ্রমন করার জন্য রয়েছে অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান। এর মধ্যে কাপ্তাই লেক, পর্যটন মোটেল, ডিসি বাংলো, ঝুলন্ত ব্রিজ, পেদা টিংটিং, সুবলং ঝর্না, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় জাদুঘর, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
কাপ্তাই লেক
কাপ্তাই লেক
দেশের সবচেয়ে বড় কৃত্রিম লেক। কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ নির্মানের ফলে সৃষ্টি হয় সুবিশাল কাপ্তাই হ্রদ। মূলত পানি বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য এই বাঁধ নির্মিত হয়। কোল ঘেঁষে বয়ে চলা আঁকাবাঁকা বিশাল কাপ্তাই হ্রদে নৌবিহারে অনুভূতি এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বাঁধ দিয়ে সবুজ পাহাড়ের কোল জড়িয়ে রাখা শান্ত লেকের বুকে নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়নোর এমন আনন্দময় অনুভূতি আপনার ক্লান্তির ক্ষতে পরশ বুলিয়ে যাবে নিমিষেই। কাপ্তাই জেটি গেট থেকে নৌকা নিয়ে আপনি চলে যেতে পারেন চাকমা রাজবাড়ী, রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত ব্রিজ হয়ে একেবারে সুবলং ঝর্ণা পর্যন্ত।তবে এই ঝর্ণাকে জীবন্ত পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে ভরা বর্ষায়। বছরের বাকী সময়ে ঝর্ণাটি ক্ষিণ ধারায় বহে। ভ্রমণ পথে কখনো কখনো বেশ বড় বড় পাহাড় আপনার চোখে পড়বে। এর দৃষ্টিনন্দন শীলা খন্ড আপনার নজর কাড়বেই।
এখানেই ছিল প্রাচীন রাজবাড়ি
মাঝ পথের জন্য পর্যাপ্ত খাবার দাবার এবং পানীয় সংগে নিয়ে নেয়া ভাল। আর পেডা তিং তিং নামের চাকমা ধাচেঁর রেস্তোরেন্ট তো আছেই। তাছাড়া কাপ্তাই লেকের পানি বর্ষা মৌসুমে কানায় কানায় পূর্ণ থাকে। যারা সাঁতার কাটতে জানেন না, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নাই। কারণ এই লেকের পানি খুবই শান্ত, নিস্তরঙ্গ।ভ্রমন শুধু দেহ মনের ক্লান্তিই দূর করে না, এটি দেশকে জানার জন্য এবং দেশপ্রেম জাগানোর জন্য সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ উপায়ও বটে।
ঝুলন্ত ব্রিজ
পথে হবে দেখা
ইতিহাস: পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সালে আমেরিকার অর্থায়নে কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ শুরু করে। ১৯৬২ সালে এর নির্মাণ শেষ হয়। ইন্টারন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি এবং ইউতাহ ইন্টারন্যাশনাল ইনকর্পোরেট ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ ও ৫৪.৭ মিটার উচ্চতার এ বাঁধটি নির্মাণ করে। এ বাঁধের পাশে ১৬টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দীর্ঘ একটি পানি নির্গমন পথ বা স্প্রিলওয়ে রাখা হয়েছে। এ স্প্রিলওয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক ফিট পানি নির্গমন করতে পারে। এ প্রকল্পের জন্য তখন প্রায় ২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা বাজেট নির্ধারণ করা হলেও পরে তা ৪৮ কোটি ছাড়িয়ে যায়।
কাপ্তাই হ্রদের কারণে ৫৪ হাজার একর কৃষি জমি ডুবে যায় যা ঐ এলাকার মোট কৃষি জমির ৪০ শতাংশ। এছাড়া সরকারি সংরক্ষিত বনের ২৯ বর্গমাইল এলাকা ও অশ্রেণীভুক্ত ২৩৪ বর্গমাইল বনাঞ্চলও ডুবে যায়। প্রায় ১৮ হাজার পরিবারের মোট এক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়। এমনকি তৎকালীন চাকমা রাজবাড়ি এ লেকে তলিয়ে যায়, ডুবুরি অনুস্ধানে এখনও সে রাজবাড়ির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
ইকো ট্রাভেলার্স বলেছেন: ভ্রমন শুধু দেহ মনের ক্লান্তিই দূর করে না, এটি দেশকে জানার জন্য এবং দেশপ্রেম জাগানোর জন্য সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ উপায়ও বটে।
Click This Link