![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভ্রমণে আপনার সেরা সঙ্গী
ময়মনসিংহ বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা । ১৭৮৭ সালের মে ১ তারিখে এই জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ময়মনসিংহ শহর হয় ১৮১১ সালে। শহরের জন্য জায়গা দেন মুক্তাগাছার জমিদার রঘুনন্দন আচার্য। ময়মনসিংহ জেলার উত্তরে গারো পাহাড় ও ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে গাজীপুর জেলা, পূর্বে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে শেরপুর, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত। জেলার ভৌগোলিক পরিবেশ বিচিত্র হওয়ায় বলা হয়-‘‘হাওর, জঙ্গল, মইষের শিং-এ নিয়ে ময়মনসিং” । ময়মনসিংহ জেলা মৈমনসিংহ গীতিকা (ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রচলিত পালাগানগুলোকে একত্রে মৈমনসিংহ গীতিকা বলা হয়।) জন্য সকলের নিকট পরিচিত। মৈমনসিংহ গীতিকায় অন্তর্ভূক্ত পালা সমূহ
• মহুয়া (রচয়িতা দ্বিজ কানাই)
• চন্দ্রাবতী (রচয়িতা নয়নচাঁদ ঘোষ)
• কমলা (রচয়িতা দ্বিজ ঈশান)
• দেওয়ানা মদিনা (রচয়িতা মনসুর বয়াতী)
• দস্যু কেনারামের পালা (রচয়িতা চন্দ্রাবতী)
• কঙ্ক ও লীলা
• মলুয়া
• দেওয়ান ভাবনা
• কাজলরেখা
• রূপবতী
ভ্রমণ কাল: সারা দিন ব্যাপি
ভ্রমণের ধরন: ইতিহাস,ঐতিহ্য ও জনপদ ভ্রমণ
ভ্রমণকারীর ধরণ: যে কেউ এমনকি পরিবারের সদস্য সহ
ভ্রমণের তারিখ: ৮ নভেম্বর
ভ্রমণ খরচ: ১৭০০ টাকা জন প্রতি
রেজিষ্টেশন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
০১৭১১৩৬৯৩৪৪
০১৭১৯৩৯৯০৯৫
০১৭১৪৪৪৪৩৩০
নামের ইতিহাস:
মোগল আমলে মোমেনশাহ নামে একজন সাধক ছিলেন, তাঁর নামেই মধ্যযুগে অঞ্চলটির নাম হয় মোমেনশাহী। ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তাঁর পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ'র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। নাসিরাবাদ নাম পরিবর্তন হয়ে ময়মনসিংহ হয় একটি ভুলের কারণে। বিশ টিন কেরোসিন বুক করা হয়েছিল বর্জনলাল এন্ড কোম্পানীর পক্ষ থেকে নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এই মাল চলে যায় রাজপুতনার নাসিরাবাদ রেল স্টেশনে। এ নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পরবর্তীতে আরো কিছু বিভ্রান্তি ঘটায় রেলওয়ে স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে ময়মনসিংহ রাখা হয়। সেই থেকে নাসিরাবাদের পরিবর্তে ময়মনসিংহ ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
লোহারকুঠি নামে পরিচিত আলেকজান্ডার ক্যাসেল
জয়নুল আবেদিনের সংগ্রহশালা
ময়সিংহে আছে:
ময়মনসিংহ সদরে আলেকজান্ডার ক্যাসেল (১৯২৬ সালে ইতিহাসের এক স্বর্ণ অধ্যায়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন এই ময়মনসিংহে এবং আলেকজান্ডা ক্যাসেলে উঠেছিলেন। আলেকজান্ডা ক্যাসেল ইতিহাসের সেই সাক্ষ্যবহন করে চলেছে। গৌরীপুরের জমিদার ব্রজেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কাঠের তৈরি বিলাস ভবনটি শহরের মধ্যেই অবস্থিত। চীন দেশ থেকে চীনা কারিগর এনে এই ভবন তৈরি করেছিলেন এই জমিদার।
), জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালা, বিপিন পার্ক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আনন্দমোহন কলেজ, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, ময়মনসিংহ টাউনহল, দুর্গাবাড়ী, ব্রহ্মপুত্র নদ, কাশবন, গৌরীপুর রাজবাড়ী, মুক্তাগাছার রাজবাড়ী, কেল্লা তাজপুর ইত্যাদি।
ভ্রমণ পথ:
ঢাকা > ত্রিশাল বিশ্ব বিদ্যালয়>ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় >মুক্তাগাছা রাজবাড়ি > ঢাকা।
নোট: ঢাকা থেকে মুক্তা গাছার দূরত্ব কম বেশী ১৪৫ কি:মি:
সংক্ষেপে ভ্রমণ পরিচিতি:
৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু
যাত্রা পথে ত্রিশাল বিশ্ব বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেখে চলে যাব
মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, রাজবাড়ি দেখে ও মন্ডা খেয়ে রওয়ানা দিব ঢাকার উদ্দেশ্যে
ঢাকা পৌছাব রাত ৯ টার মধ্যে ইনশাল্লাহ।
**** বি:দ্র: কেউ মন্ডা বাসায় আনতে চাইলে আগে থেকে জানাতে হবে এবং ভ্রমণের আগের দিন টাকা পাঠাতে হবে।
আসল মন্ডা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা
কেজিতে মন্ডা হয় ২০ পিজ।
ফেসবুক এ ইভেন্টটি :আজ আমাদের ছুটি: ময়িমনসিংহ ভ্রমণ ও মন্ডার নিমন্ত্রণ
জনপেদর নাম ত্রিশাল
ত্রিশালের শুকনী বিল ছোঁয়া নামাপাড়া গ্রামখানি কবির খুব ভাল লাগত। কবির হৃদয়ে জাগাত কাব্যভাবের স্পন্দন। নজরুল প্রিয় গোটা ত্রিশাল যেন বাংলার চিরায়ত প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে। নজরুলের দুরন্ত শৈশবের নামাপাড়ার বুকে শতবর্ষী বটগাছ আজ মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। বিচ্যুতিয়া বেপারী বাড়ীতে আছে নজরুল মিউজিয়াম। এখানে কবির নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের প্রথম ও এ যাবতকালের একমাত্র সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয়। যার নাম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ত্রিশালে ১৯৬৪ সাল থেকে প্রতি বছর ১১ জ্যৈষ্ঠ ,২৫ মে নজরুল জন্মজয়ন্তী পালিত হয়ে আসছে।
দেশের কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়৷ ময়মনসিংহ শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১২০০ একর জায়গা নিয়ে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রবাদ আছে, “খাল কেটে কুমির আনা"
ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে উথুয়া ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রাম এখন কুমির চাষের মডেল। হাতিবেড় এলাকায় কুমির চাষ প্রকল্প স্থাপনে ১৩ একর জমির মধ্যে চার একর জমির মাটি কেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ৩২ পুকুর তৈরি করে রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডে । পুকুরগুলোর তলদেশ পাকা। তিন ফুট ইটের ওপর তিন ফুট কাঁটাতারের বেষ্টনী। প্রাকৃতিক পরিবেশে কুমির পালন ও বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করার জন্য চারপাশে ৪০ প্রজাতির ছয় হাজার ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে কৃত্রিম ঘাসও। কুমিরের খাবার হিসেবে দেয়া হচ্ছে মাছ ও মাংস। জনপ্রতি ২৫০ টাকা টিকেটের বিনিময়ে যে কেউ খামারটি ঘুরে দেখতে পারবে।
বাংলা ১৩৫২ সালে নিমিত উপমহাদেশের প্রথম ঘুর্ণায়মান মঞ্চ মুক্তাগাছা রাজবাড়ি
মুক্তাগাছা রাজবাড়ির প্রধান ফটকটি অনেক বড়। রাজবাড়িটির ঠিকমাঝখানে রয়েছে শ্বেতপাথরের সয়ংক্রিয়ঘূর্ণায়মান রঙ্গমঞ্চ।পাশে নান্দনিক কারম্নকার্যখচিত রাজরাজেশ্বরীমন্দির। পেছনে রাজকোষাগার, টিন ও কাঠের সুরম্য দ্বিতল রাজপ্রাসাদ। প্রাসাদলাগোয়া রাজমাতার অন্দরমহল। রাজরক্ষী ও প্রহরীদের আসত্মানা। রাজবাড়ির সম্মুখভাগের বিশাল লোহার ফটক পেরম্নতেই সু-উচ্চকরিডর। এর এক পাশে রাজদরবার ও দ্বিতল কাছারিঘর। আরেকপাশে লাইব্রেরী। করিডরের দুপাশে ছিল হাতির ছয়টি মাথার উপর শিকারকরা বাঘের নমুনা। রঙ্গমঞ্চ আর এই করিডরের মাঝখানে ছিল লক্ষ্মীপুজো, দুর্গাপুজোর ঘর। এসবের অনেককিছুই এখন কিংবদনত্মি।
ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি:মন্ডা
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার সঙ্গে মিশে আছে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টিজাত দ্রব্য মন্ডার নাম। মুক্তাগাছার মন্ডার নাম শোনেননি ভোজনরসিকদের এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর । মুক্তাগাছায় বেড়াতে এসে জমিদারদের বাড়ি দেখে যাওয়া যেমন অপরিহার্য , তেমনি এখান থেকে প্রকৃত মন্ডার স্বাদ না নিয়ে ফিরে গেলে ভ্রমনটাই অসম্পূর্ণ থেকে যায় বলে পর্যটকদের অভিমত। মন্ডা নিয়ে একটি কিংবদন্তি রয়েছে। এখন থেকে ২০০ বছরেরও অধিক আগে মুক্তাগাছার প্রসিদ্ধ মন্ডার জনক গোপাল পাল এক রাতে স্বপ্নাদিষ্ট হলেন । শিয়রে দাঁড়িয়ে এক ঋষি তাকে আদেশ দিচ্ছেন মন্ডা মিষ্টি তৈরি কর। পরদিন গোপাল ঋষির আদেশে চুল্লি খনন শুরু করলেন । দৈবাৎ উদয় হলো সাধু । তিনি হাত বুলিয়ে দিলেন চুল্লিতে। শিখিয়ে দিলেন মন্ডা তৈরির কলাকৌশল গোপালকে । দুধ ও চিনি দিয়ে তৈরি হলো মন্ডা। গোপাল তার নব উদ্ভাবিত মন্ডা পরিবেশন করলেন তৎকালীন জমিদার মহারাজা সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর রাজদরবারে। মন্ডা খেয়ে মহারাজা পেলেন পরম তৃপ্তি , আর বাহবা দিলেন গোপালকে । শুরু হলো মন্ডার যাত্রা। গোপাল সম্বন্ধে জানা যায়, বাংলা ১২০৬ সালে ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। নবাব সিরাজদৌলার মৃত্যুর পর গোপাল রাজশাহীতে চলে আসেন। পরে বাংলা ১২৩০ সালে তিনি মুক্তাগাছায় বসতি গড়েন। প্রথম মন্ডা তৈরি হয় বাংলা ১২৩১ সালে। পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান, পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মূখ্য মন্ত্রী ডাঃ বিধান কৃষ্ণ রায়, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সারোদ বাদক ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ এই মন্ডা খেয়ে উচ্ছসিত প্রশংসা করেছেন।কেউ মন্ডা বাসায় আনতে চাইলে আগে থেকে জানাতে হবে এবং ভ্রমণের আগের দিন অর্থাৎ ৭ নেভম্বর টাকা পাঠাতে হবে।
আসল মন্ডা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা
কেজিতে মন্ডা হয় ২০ পিজ।
ভ্রমণের তারিখ: ৮ নভেম্বর
ভ্রমণ কাল: সারা দিন ব্যাপি
ভ্রমণের ধরন: ইতিহাস,ঐতিহ্য ও জনপদ ভ্রমণ
ভ্রমণকারীর ধরণ: যে কেউ এমনকি পরিবারের সদস্য সহ
ভ্রমণ পথ:
ঢাকা > ত্রিশাল বিশ্ব বিদ্যালয়>ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় >মুক্তাগাছা রাজবাড়ি > ঢাকা।
নোট: ঢাকা থেকে মুক্তা গাছার দূরত্ব কম বেশী ১৪৫ কি:মি:
সংক্ষেপে ভ্রমণ পরিচিতি:
৮ নভেম্বর সকালে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু
যাত্রা পথে ত্রিশাল বিশ্ব বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেখে চলে যাব
মুক্তাগাছা রাজবাড়ি, রাজবাড়ি দেখে ও মন্ডা খেয়ে রওয়ানা দিব ঢাকার উদ্দেশ্যে
ঢাকা পৌছাব রাত ৯ টার মধ্যে ইনশাল্লাহ।
ভ্রমণ খরচ: ১৭০০ টাকা জন প্রতি
রেজিষ্টেশন ও বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
০১৭১১৩৬৯৩৪৪
০১৭১৯৩৯৯০৯৫
০১৭১৪৪৪৪৩৩০
©somewhere in net ltd.