![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভ্রমণে আপনার সেরা সঙ্গী
পুরানো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে বৈসাবি উৎসবের শুরু। এ উৎসব কে ত্রিপুরারা ‘বৈসু চাকমারা ’ বিজু তঞ্চঙ্গ্যারা ‘বিসু’ আর মারমারা ‘সাংগ্রাই বলে থাকে। এই চার সম্প্রদায়ের নামকে একত্র করে (বৈ+সা+বি) এই উৎসবের নাম এখন বৈসাবি।
বিজুর সাথে রয়েছে চাকমাদের ধর্মীয় অনুভূতির সম্পর্ক। আর ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ নববর্ষের আগের দিন হারি বৈসু পালন করে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মারমাদের সাংগ্রাইয়ের সূচনা। বৈচিত্রময় আয়োজনে বর্ষবরণে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি পল্লীগুলোতে চলছে নানা প্রস্তুতি।
বৈসাবি উৎসবের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি নারীদের গৌরবোজ্জল ইতিহাস জড়িয়ে আছে। তাই উৎসবের প্রতিটি পর্বে নারীর পুর্বাপর ভূমিকার বিষয়টি মাথায় রেখে এবারও নারীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী খেলাধূলা ও বয়নসহ নানা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে ।স্থানীয় পাহাড়িরা নিজেদের মতো করে বৈসাবি উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব হলো বিজু। এরা তিন ভাগে ভাগ করে বিজু উৎসব পালন করে। চৈত্র মাসের ২৯ তারিখে ফুল বিজু, ৩০ তারিখে মূল বিজু এবং বৈশাখের প্রথম দিনে গজ্যাপজ্যা বিজু নামে অনুষ্ঠান পালন করে।
ফুল বিজুর দিন গভীর অরণ্য থেকে ফুল সংগ্রহ করে চারভাগে ভাগ করে একভাগ ফুল ও নিমপাতায় ঘরবাড়ি সাজায়, দ্বিতীয়ভাগ ফুল বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে প্রার্থনা করে ও ভিক্ষুসংঘ কর্তক প্রদত্ত ধর্মোপদেশ শ্রবণ করে, তৃতীয়ভাগ ফুল নদী, খাল বা পুকুরের পাড়ে তৈরি পূজামন্ডপে রেখে প্রার্থনা করে এবং চতুর্থভাগ ফুল প্রিয়জনকে উপহার দেয় এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানায়।
মারমারা পুরাতন বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করার উৎসবকে সাংগ্রাই উৎসব বলে। তারা বৈশাখের প্রথম দিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ। পাচন, পিঠা এবং নানা মুখরোচক খাবারের আয়োজন করে মারমা জনগোষ্ঠী। সবাই নতুন পোশাক পরে, একে অপরের বাড়ি যায় এবং কুশল বিনিময় করে। সববয়সের নারীপুরুষ সম্মিলিতভাবে নাচ আর গানে মেতে উঠে। মারমা বৃদ্ধরা অষ্টশীল পালনের জন্য মন্দিরে যায়। এদিন বুদ্ধ মূর্তিকে চন্দন জলে স্নান করানোর পর বৃদ্ধবৃদ্ধারাও স্নান করে এবং নতুন পোশাক পরিধানকরে। বয়স্করা মন্দিরে ধর্ম অনুশীলনে রত হয়। মারমা জনগোষ্ঠীর এ দিনের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে জল অনুষ্ঠান বা পানি খেলা। মারমা ভাষায় জল অনুষ্ঠানকে বলা হয় রিলংপোয়ে। বাড়ির আঙিনায় আগে থেকে পানি খেলার জন্য প্যান্ডেল তৈরি করা থাকে। মারমা যুবকরা বাদ্য আর গানের তালে তালে এসে উপস্থিত হয় অনুষ্ঠানস্থলে। সেখানে ফুলে ফুলে সজ্জিত প্যান্ডেলের ভিতরে পানি নিয়ে অপেক্ষায় থাকে মারমা তরুণীরা। চলে যুবকযুবতীদের এক অপরের প্রতি জল ছিটানো। পানিকে পবিত্রতার প্রতীক ধরে নিয়ে মারমা তরুণতরুণীরা পানি ছিটিয়ে নিজেদের শুদ্ধ করে নেয়।
প্রত্যেক ঘরে ঘরে মেহমানদের আপ্যায়ন করা হচ্ছে মিষ্টি, বিশেষভাবে তৈরি পাঁচন, গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজ, বাঙ্গি ইত্যাদি দিয়ে। উপজাতি তরুণ তরুণীরা বৈসাবি উপলক্ষে নানা রঙ্গে সেজে বেড়াতে যাচ্ছে এক জায়গা থেকে অন্য যায়গায়
অন্যদিকে, বৈসাবি উপলক্ষে বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমাদের ঐতিহ্যবাহী ক্রীয়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
বৈসাবি উৎযাপন ও সাজেক ভ্যালী ভ্রমনের জন্য ভ্রমণ প্যাকেজ আয়োজন করবে ট্যুরিজম প্রমোটার ”ইকো ট্রাভেলাস”
যোগাযোগ: ০১৭১ ৪৪ ৪৪ ৩৩০
Facebook Link
©somewhere in net ltd.