নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমারও পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শক্তি

মধুখোর

জীবনের প্রথমে পেশায় ছিলাম আইনজীবি, সেটা পরিত্যাগ করে হলাম সরকারি চাকুরে। এটার যখন মেয়াদ শেষ হলো, তখন শুরু করলাম লেখা। আর লিখতে গেলে গবেষণা করতে হয়। এখন সেটা নিয়েই আছি। এ পর্যন্ত আমার ৬ টি বই বেরিয়েছে, যার মধ্যে দুটো মুক্তিযুদ্ধের, ১ টি আইনের, ১ টি ইতিহাসের এবং অপরটি আমার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে। এক সময় বাম রাজনীতি করলেও বর্তমানে আমি আদর্শের দিক থেকে ধর্মনিরপেক্ষ, উদার গনতন্ত্রী, মানবাধিকারে বিশ্বাসী ও ভিন্ন মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

মধুখোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ের কান্না যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন শেখ মুজিব, তাতে ঘি ঢেলেছেন জিয়া, ফু দিচ্ছেন খালেদা, ষড়যন্ত্রে পাকা খেলোয়ার আছে একটি বাহিনী, আছে বাঙালি নামে একদল পরগাছা সেটেলার শিখন্ডি। শেখ হাসিনা কি তা নিভাতে পারবেন? আমার দুটো প্রস্তাব

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

বলতে দ্বিধা নাই যে বাংলাদেশের মধ্যে যে কয়টি জায়গা আমার প্রিয় তার মধ্যে দ্বিতীয়স্থানে আছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এখন পার্বত্য চট্টগ্রাম জ্বলছে আগুনে এবং হিংসার আগুনে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ও পরদিন শনিবার থেকে জ্বলছে চট্টগ্রামের পাহাড়ী বস্তি এলাকা। বাঙালিরা পাহাড়িদের বাড়ীঘরে অগ্নি সংযোগ করেছে, চালিয়েছে অবাধ লুন্ঠন এবং হত্যাও বাদ যায়নি। সেনাবাহিনীও গিয়েছিল সেখানে দাঙ্গা দমনের নামে। পুলিশ থাকা সত্বেও তারা গুলাগুলিতে লিপ্ত হয় এবং মারা যায় ২ থেকে ৫ জন পাহাড়ি সম্প্রদায়ের লোক। পুলিশ থাকতে তারা কেন গেল সেখানে? কেন তারা গুলি করল? পার্বত্য চট্টগ্রামেত সেনা শাসন নাই। কোন অধিকারে তারা গুলি করার সাহস পায়? যেখানে পার্বত্য এলাকায় পাহাড়িদের নিপীড়ণের বিষয়ে সেনাবাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে পাহাড়িদের রয়েছে এন্তার অভিযোগ। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন, যার মধ্যে গুলিবিদ্ধ আছে ৫ জন। এ আগুন লাগিয়েছিলেন স্বয়ং শেখ মুজিব।

*

১৯৭২ সালে শেখ মুজিব রাঙামাটি সফরে গেলে তার কাছে ৪টি দাবী উত্থাপন করেছিলেন পাবর্ত চট্টগ্রামের গণপরিষদ সদস্য মানবেন্দ্র লারমা। দাবীগুলো ছিলঃ ১. পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্বশাসন ২. পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ১৯০০ সালের ম্যানুয়েল বহাল রাখা ৩. তিন জাতির চীফের দপ্তর অব্যাহত রাখা ৪. পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি আবাদিদের অনুপ্রবেশ রোধ করা। শেখ মুজিব তাতে কর্ণপাত ত করলেনইনা, উপরন্তু বললেন, তোরা বাঙালি হইয়া যা! শেখ মুজিবের ঐ উক্ত শোনার পরই পাহাড়ে সক্রিয় হয়ে উঠে শান্তিবাহিনী। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়। মানবেন্দ্র লারমা তাতে সই করতে অস্বীকৃতি জানালেন। তিনি বললেন, আপনারা আপনাদের জাতীয়তা অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে পারেন না। আমি একজন চাকমা, বাঙালি নই। আমি বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশি, আপনারাও বাংলাদেশি, কিন্তু আপনাদের জাতিয় পরিচিতি হচ্ছে বাঙালি...তারা (পাহাড়ীরা) কখনো বাঙালিতে পরিণত হতে পারে না। তার কথায় কেউ কর্ণপাত করল না। যে যুক্তিতে বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল, সেই একই যুক্তিতে অস্ত্র ধারণ করল পাহাড়ীরা, আর তাদের দমাতেও নেয়া হল পাকিস্তানি কৌশল। এমনিতে ১৯৫৭ সালে কাপ্তাই বাঁধের জন্য চাকমাদের ৫৪০০০ একর চাষের জমিসহ প্রায় ৪০০ বর্গমাইল এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায ১ লক্ষ পাহাড়ী শরণার্থীতে পরিণত হয়েছিল। তার মধ্যে জিয়াউর রহমান ও এরশাদের সময়ে ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে প্রায ৪ লক্ষ বুভুক্ষু বাঙালিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয় রীতিমত দাওয়াত দিয়ে। উদ্দেশ্য তাদের পুনর্বাসন নয়, তাদের দিয়েপাহাড়িদেরকে মোকাবেলা করানো। এইসব লোক আবাদি নামেই পরিচিত। আবাদিদের মাঝে অতঃপর গড়ে তোলা হয় সশস্ত্র আনসার ভিডিপি নামে স্বেচ্ছাসেবক দল। এছাড়াও পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনী এমনভাবে মোতায়েন করা হল যেন সেখানে রীতিমত একটি যুদ্ধাবস্থা চলছে।

১৯৮০ সালে কাউখালিতে শান্তিবাহিনীর এ্যামবুশে মারা যায় ২২ জন সৈন্য। এরপর থেকে শুরু হয় সাধারণ পাহাড়িদের উপর উন্মত্ত নিপীড়ণ। অভিযোগ আছে যে এসময় কাওখালি ও সংলগ্ন ২৪টি গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে প্রায় ৩০০ সাধারণ পাহাড়ি নারীপুরুষ হত্যা করা হয়। এই হত্যা,গুম, গ্রেপ্তার, নির্যাতন হয়ে উঠে নিয়মিত ঘটনা। দানিয়াল, ইব্রাহিম নামের সেনা কর্মকর্তারা তখন নির্যাতনের জন্য পাহাড়িদের কাছে টিক্কাখানের সমতূল্য হিসাবে বিবেচিত। ১৯৯২ সালে সংগঠিত হল লোগাং হত্যাকান্ড। সরকার স্বীকার করল যে মাত্র ১৩ জন লোক মারা গেছে। প্রকৃত নিহত সংখ্যা শতেক হবে বলে পাহাড়িদের অভিযোগ। এসময় খাগড়াছড়িতে ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন এরশাদের দক্ষিণ হস্ত হিসাবে পরিচিত ব্রিগেডিয়ার শরীফ। তিনি লাশগুলোকে পুড়িয়ে সব প্রমাণ নষ্ট করে ফেললেন।

*

ওদিকে পাহাড়িরাও বসে ছিল না। তাদের উৎপাতে বাঙালি আবাদিরা পাহাড় ছেড়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয শহরতলীর গুচ্ছগ্রামে। অবশেষে প্রায ২৫০০ নীরিহ জনগণনসহ আনুমানিক ৮৫০০ মানুষের লাশের উপর দাঁড়িয়ে ১৯৯৭ সালের ২ নভেম্বর স্বাক্ষরিত হল শান্তিচুক্তি। এই শান্তি চুক্তি সামরিক বাহিনীর একাংশের পছন্দ ছিল না। তাদের লাই পেয়ে সংগঠিত হল ১৯৯৯ সালে বাবু ছড়া হত্যাকান্ড, সেখানে হত্যা করা হল তিনজন পাহাড়িকে।

*

অনেক বাঙালির পাহাড়িদের উপর নির্যাতনের স্বচ্ছ ধারণা নাই। পার্বত্য এলাকায় অন্তত ৬ মাস বসবাস না করলে তাদের দুঃখবেদনা ভালভাবে উপলব্ধী করা কষ্টকর। পাহাড়ে জাতিগত ও জমিগত বিরোধের অবসানের ব্যবস্থা না করলে, সেখানে যে কোন দিন দুঃখজনক ঘটনার অবতারণা হতে পারে। বিশেষত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন না করার জন্য সরকারের ভেতরেই রয়েছে শত্রু ও ষড়যন্ত্রকারী। তারা পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি চায় না। সেখানে শান্তি স্থাপিত হলে তারা শান্তকরণের নামে লক্ষ লক্ষ টন গম আত্মসাৎ করতে পারেনা, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য বরাদ্ধকৃত ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেনা, বনাঞ্চল উজার করে নিজেদের ফ্লাট সুশোভিত করতে পারেনা। তবে আশা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। শেখ মুজিব পাহাড়িয়া অঞ্চলে যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন, আমাদের আশা শেখ হাসিনা তাতে ঝর্ণার করুণাধারা ঢেলে পার্বত্য অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে প্রদান করেবেন নিরাপত্তা ও শান্তি এবং জনগণকে দেবেন পার্বত্য অঞ্চলের অপরূপ নৈসর্গিক শোভা নিঃশংক চিত্তে ভোগ করার অবারিত সূযোগ।



পাহাড়ে শান্তি আনয়নে আমার দুটো প্রস্তাবঃ ১.পার্বত্য অঞ্চলে পরোক্ষ সেনাশাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা ২. জিয়া এবং এরশাদের আমলে যাদেরকে সেখানে প্রবেশ করানো হয়েছিল, তাদেরকে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা। এজন্য সমুদ্র উপকূলে জাগা নিঝুমচরহ পদ্মামেঘনাযমুনার জাগ্রত চরগুলোর কথাও ভাবা যেতে পারে। এসব আবাদি যতদিন পার্বত্য এলাকায় থাকবে,ততদিন সেখানে শান্তি স্থাপনের সম্ভাবনা খুবই কম।









মন্তব্য ১৫৪ টি রেটিং +৫১/-২৭

মন্তব্য (১৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৫৮

সালমান সিদ্দিকী বলেছেন: শেখ ফজলে এলাহী বুঝা যাচ্ছে আপনি ওই এলাকায় গিয়েছেন আমারও পার্বত্য তিন জেলাতে ভ্রমণনের সুযোগ হয়েছে ফিলিষ্টিন নিয়ে যারা ব্লগে গলা ফাটায় তারাই আবার নিজদেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার দমনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার থাকে দিন দিন আমারা যে কত বড় হিপোক্রেট হয়ে যাচ্ছি এই ঘটনা তারই প্রমাণ ধন্যবাদ আপনার এই সাহসি পোষ্টের জন্য মজার ব্যাপার হচ্ছে একথা বললে অনেকে বলতে চান আদিবাসীরা নাকি বাইরে থেকে আসছে ফিলিষ্টিনদের উপর যখন ইহুদি সেটেলারদের নির্যাতনের ইষ্টিম রোলার চলছে তারা এই একই যুক্তি ব্যবহার করেছে,

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৪

মধুখোর বলেছেন: কিছুদিন ছিলাম এবং সবকিছু দেখে বেদনায় দীর্ণ হচ্ছিলাম।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০২

একজন নাগরিক বলেছেন: হায় কপাল !
বিএনপিও মূলত বাঙালি জাতীয়তাবাদী !
কপাল খারাপ বাংলাদেশের !

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬

মধুখোর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন... আপনি সব বলে দিয়েছেন... ধন্যবাদ

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৬

মধুখোর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৪

ই য়া দ বলেছেন: রাঙামাটি আমার জন্মস্থান। আমি বাঙালি। আমার দাদা-নানা ও জমি হারিয়েছেন ১৯৫৭ সালে কাপ্তাই বাঁধ এর কারণে।

আপনার পোস্টে কোনো রেটিং দিলাম না।
শুধু এটুকু বলব, আপনার দুটো প্রস্তাব যদি বাস্তবায়ন করা হয় আমার জন্মস্থানে আমাকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১১

মধুখোর বলেছেন: পার্বত্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পাহড়িদের দ্বন্দ্ব নাই বলেই জানি। আর পাসপোর্টের কথা বলছেন? আমি যখন প্রথম খাগড়াছড়ি যাই তখন পার্বত্য জেলার শুরুর স্থানে একবার, মাটিরাঙায় একবার, চেঙ্গি ব্রিজে একবার রীতিমত বিদেশীদের মত চেক করা হয়েছিল। এছাড়া গিয়ে দেখলাম সকাল ৯টার আগে ও বিকাল ৪টার পরে কেউ পৌরসভার বাইরে যেতে পারেনা। তখন মনে হয়েছে, এটা বাংলাদেশের অংশ হলেও একটি বৃহদাকার জেলখানা। শান্তি চুক্তি হওয়ার পর এর অবসান হয়েছে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৬

মো. ইব্রাহীম হুসাইন বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম।
পিলাস।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২০

মধুখোর বলেছেন: আপনাকেও +

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:১৬

এইচ, এম, পারভেজ বলেছেন: ভাল লাগল। অনেক তথ্য জানতে পারলাম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫৯

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২২

সালমান সিদ্দিকী বলেছেন:
আপনার কথা সত্য হলে আপনি আদি বাসিন্দা পাহাড়ীরা আদি বাসিন্দাদের সম্মান করে কারণ তাদের অধিকাংশ শান্তিপূর্ণ ভাবে পাহাড়িদের সাথে বসবাস করছে সমস্যা হচ্ছে তখনই যখন সরকার সমতল ভূমি হতে লোক নিয়ে এসে পাহাড়ীদের গায়ের জোরে উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেখানে সমতল ভূমির লোকজনকে বসাচ্ছে

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

মধুখোর বলেছেন: একমত।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩২

শয়তান বলেছেন: শিরোনামেই প্লাস ।

ফেসবুকে শেয়ার করলাম লেখাটা ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:৪৭

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৫

জানপরী বলেছেন: পাহাড়ে শান্তি আনয়নে লেখকের দুটো প্রস্তাবঃ ১.পার্বত্য অঞ্চলে পরোক্ষ সেনাশাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা ২. জিয়া এবং এরশাদের আমলে যাদেরকে সেখানে প্রবেশ করানো হয়েছিল, তাদেরকে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা।

ভাল, ভাল প্রস্তাব। বুঝা যাচ্ছে, আপনার কাছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।
মাথা ব্যাথা হয়েছে তাই মাথা কেটে ফেলতে হবে। অবান্তর যুক্তি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:৩০

মধুখোর বলেছেন: মাথা কাটা নয়, ভাল ওষুধ দিতে হবে।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪

মৃদুভাষী বলেছেন: লেখা পড়ে বুঝা গেল যে আপনি পাহাড়ে বসবাস করেন না। যদি করতেন তাহলে আর এরকম মন্তব্য করতেন না, আপনার এরকম ধারনা হতো না। ঠিক এর উল্টোটা হতো।
সেখানে যারা বসবাস করে আসছে শুধু তারাই প্রকৃতপক্ষে জানে এবং বুঝে যে এখানকার কি অবস্থা, কি পরিস্থিতি।

আপনার মতো এরকম আরো বহু বিশ্বাসঘাতক বাঙালী আছে, নিজের রক্তের সাথে বেঈমানী করা বাঙালী আছে, সুশীল-বুদ্ধিজীবি নামক বেঈমান গুলা, নিজেদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতক গুলা, যারা পাহাড়িদের পক্ষ নিয়ে বাঙালীদের বিরূদ্ধে কথা বলে, বাঙালীদের বিরূদ্ধে বক্তব্য দেয়, বাঙালীদেরকে ঘৃনা করে তারা কেউই কিন্তু পাহাড়ে বসবাস করে না, ঢাকায় ফ্যান-এসির নিচে বসে পাহাড়ের চরমভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত-অসহায়-গরিব বাঙালীদের বিরূদ্ধে বিষোদাগার করে যাচ্ছে।

আপনি কি করে জানলেন যে পার্বত্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পাহড়িদের দ্বন্দ্ব নাই ?
আপনারা যদি সমতলে না থেকে কিছুদিন পাহাড়ে বাস করতেন, তাহলে আপনারা মোটেও এরকম বক্তব্য দিতেন না, পাহাড়ের বাঙালীদের চরম দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারতেন।
আপনার ওই প্রিয় দাদাদের মুল দাবি হচ্ছে স্বাধীনতা। সেনাবাহিনী-বাঙালীদের অত্যাচারের ধুয়া তুলে তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়াই মুল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে অবস্থান করে যেমন অনেক বাংলাদেশী মুসলমানের সন্তান বলে পরিচয়বহনকারী কিছু অমানুষ ফিলিস্তিনের মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়, তাদেরকে গালি দেয়; ঠিক তেমনি এদেশের সমতলের কিছু বাংলাদেশী কিছু না জেনেই পাহাড়ের বাঙালীদেরকে গালি দেয়, ওদের বিরূদ্ধে প্রতিনিয়ত বিষোদগার করে যাচ্ছে।
অথচ এইসব নিজেদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা সমতলের বাঙালীগুলা যদি কিছু পাহাড়ে বসবাস করতো, তাহলে এরা পাহাড়ের বাঙালীদেরকে গালি না দিয়ে এর উল্টোটা করতো।
কি আশ্চর্য !!! কেউ প্রকৃত ঘটনার কিছু না জেনেই নির্যাতনকারীর পক্ষ নিয়ে নির্যাতিতকে গালি দেয়, ওদের বিরূদ্ধাচরন করে।

আপনার পাহাড়িদের কাছে ন্যায়-অন্যায় বিবেচ্য বিষয় নয়; তাদের কাছে একটাই বিবেচ্য বিষয়, সেটা হলো ওরা পাহাড়ি, পাহাড় শুধু ওদের জন্য; আর কেউর সেখানে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, অন্যায়।

আপনাকে আমি অনুরোধ করবো আগে প্রকৃত বিষয়টা ভালো করে জানেন, তারপর কিছু বলেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৬

মধুখোর বলেছেন: ভালোভাবে জেনেই বলছি। জানিনা আপনি পার্বত্য এলাকার বাসিন্দা কিনা বা আপনার আত্মীয়স্বজন পার্বত্য এলাকায় বাস করে কিনা। পাহাড়িদের দুর্দশা নিজের চোখে দেখেছি। আপনার মন্তব্যের জন্য দোষ দেই না। অনেক বাঙালির মধ্যে এ মনোভাব আছে।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৩

মৃদুভাষী বলেছেন: আপনার ওই প্রিয় দাদারা এতোদিন নিজেদেরকে পাহাড়ী জুম্ম জাতি বলে দাবি করতো। কিন্তু এতে তেমন কোন সুবিধা করতে না পারায় নতুন জিগির তুলেছে, তারা হলো এখানকার আদিবাসী। এই জিগির তুলে ওরা এখন নতুন ভাবে আন্তর্জাতিক সহানুভুতি আদায়ের চেস্টা করছে।
এর অর্থ কি হয় ? তারাই এখানকার আদি জনগোষ্ঠি, আগে এখানে আর কেউ ছিল না। অথচ প্রকৃত ইতিহাস হলো, পাহাড়ীরা এখানে এসেছে মাত্র কয়েকশ বছর আগে, এর বহু পুর্ব থেকেই পাহাড়ে বাঙালীরা বসবাস করে আসছে। এখানকার আদিবাসী হলে বাঙালীরাই হবে আদিবাসী।

আপনার দাদাদের মুল কথা একটাই যা আপনারা বাইরে অট্রালিকায় বসে জানেন না, তা হলো- এই পাহাড়ে কোন বাঙালী থাকতে পারবে না। কোন বাঙালীর এখানে থাকার অধিকার নাই। বাঙালীরা এখানে অবৈধ অনুপ্রবেশ কারী। পার্বত্য চট্রগ্রাম তাদের স্বাধীন করে দিতে হবে। এর বাইরে যা কিছুই শুনেন তা সবই ধুয়া মাত্র।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১০

মধুখোর বলেছেন: বাঙালি জাতি পার্বত্য চট্টগ্রামের আদি বাসি এটা নূতন শুনলাম। কোন রেফারেন্স আছে কি? দিলে নিজেও জানতে পারব।

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:০৯

বিপরীত স্রোত বলেছেন:
ফজলে ভাই এরকম একটি বিশ্লেষণমূলক লেখার জন্য ধন্যবাদ ব্লগে এ বিষয়ে যতোগুলি লেখা পড়লাম আপনার লেখাটিকেই সবচেয়ে ভারসাম্যমূলক এবং যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে ব্লগে দেখা যাচ্ছে ওদুদ ভূইয়ার অনেক চেলা চামুণ্ডা ব্লগে লেখালেখি করছে এদের হুমকিকে পরোয়া করবেনা

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

মধুখোর বলেছেন: খুবই উৎসাহিত বোধ করলাম।

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২০

মৃদুভাষী বলেছেন: আপনি পাহাড়ীদের কতটুকু দুর্দশা দেখেছেন ? বাঙালিদের দুঃখ-দুর্দশা মনে হ্য় আপনার চোখে পড়েনি।

আপনি যে বললেন অনেক বাঙালির মধ্যে এ মনোভাব আছে, ঠিক, আপনিও সেরকমই একজন বাঙালী।

আপনার কাছে মনে হয় শক্ত রেফারেন্স আছে যে পাহাড়ীরাই এখানকার আদিবাসী।
আমার রেফারেন্স দেশপ্রেমী বাংলাদেশীরাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৩

মধুখোর বলেছেন: বাঙালির দুর্দশা দেখেছি। দেখেছি গুচ্ছগ্রামে কি নিদারুণ দারিদ্রের মধ্যে তারা বাস করে আর কী করে তাদেরকে ব্যবহার করা হয দাবার ঘুটি হিসাবে।

১৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২১

নেক্সাস বলেছেন: লেখা পড়ে বুঝা গেল যে আপনি পাহাড়ে বসবাস করেন না। যদি করতেন তাহলে আর এরকম মন্তব্য করতেন না, আপনার এরকম ধারনা হতো না। ঠিক এর উল্টোটা হতো।
সেখানে যারা বসবাস করে আসছে শুধু তারাই প্রকৃতপক্ষে জানে এবং বুঝে যে এখানকার কি অবস্থা, কি পরিস্থিতি




নব্য রাজাকারের উত্থান আপনাদের হাতেই।
আপনি পাহাড়ে কোনোদিন যাননি।গেলেও দুদিনের সফরকারী ছিলেন।
পাহাড়ে বাস করুন তারপর দেখুন এবং বিচার করুন।

কেন পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালিদের অপসারণ করতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমারেখার বাহিরে?

পার্বত্য চট্টগ্রাম কি কোন গোষ্ঠির কাছে লীজ দেওয়া হয়েছে??


আপনি কি ঢাকা শহরে বাস করার অধিকার রাখেন না??

আপনি যদি ঢাকা শহরে বাস করতে পারেন অন্যরা খাগড়াছড়িতে বাস করতে পারবে না কেন?

খাগরাছড়ি আর ঢাকা এই ২টা অঞ্চলের মধ্যে তফাত কি?


এত গালগল্প না বলে সরাসরি বলুন না পার্বত্য অঞ্চল স্বাধীন করে দিক।
আমরা তখন আমাদের মহান দেশপ্রেমী বাঙ্গালী প্রাকারান্তরে নব্য রাজাকারদের কে চিনে নিতে পারব।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৯

মধুখোর বলেছেন: ঠিক বলেছেন নি। আমি পাহাড়ি নই। তবে পার্বত্য অঞ্চলের অভিজ্ঞতা আমার আছে এবং সেটা দুদিনের নয়। বুঝা যাচ্ছে আপনার বাড়ি পার্বত্য এলাকায়।

১৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২১

অশ্ব ডিম্ব বলেছেন: পাহাড়ের সত্য ঘটনা জানতে চাই, ওখানে কি হচ্ছে তা নিরপেক্ষ ভাবে তুলে ধরার আহবান জানাই।

লেখক কে ধন্যবাদ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৪

মধুখোর বলেছেন: একমত এবং ধন্যবাদ। আরো জানতে Click This Link এখানে খোঁচা দিন। এখানে উল্লেখ আছে '' বাঘাইহাটে হামলা-পাল্টা হামলার কারণ হিসেবে ভূমি বিরোধের কথা বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ভূমি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার মতো বিরোধ ছিল না, নেইও। কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে আশির দশকে যখন বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের (সেটেলার) পাঠানো হয়, তখন বাঘাইহাট ও এর আশপাশে তেমন কোনো জনবসতি ছিল না। দুর্গম এলাকা বলে সেখানে বাঙালিদেরও পাঠানো হয়নি। ফলে আদিবাসীদের ব্যবহূত কিংবা দখলি ভূমিতে বাঙালিদের বসিয়ে দেওয়ার ফলে যে ভূমি বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামে সৃষ্টি হয়েছে, এখানে তা নেই-ই বলা যায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বাঘাইহাটে বর্তমানে যে আদিবাসী পরিবারগুলো বসবাস করছে, তারা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের যুদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হয়ে শরণার্থী কিংবা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী তাদের নিজস্ব বাড়িঘর ও জায়গা-জমি ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা তা না পেয়ে ’৯৮-৯৯ সালে এই পরিবারগুলো বাঘাইহাট এলাকায় বসতি স্থাপন করে।
এর অনেক বছর পরে ২০০৬ সালে ওই স্থানের পার্শ্ববর্তী গঙ্গারামমুখ এলাকায় ৩২টি বাঙালি সেটেলার পরিবারকে বসতি স্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। তখন থেকে সেখানকার ভূমি ব্যবহার নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আদিবাসীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন কয়েকটি আদিবাসী পরিবার অন্যত্র চলে গেলে তাদের ব্যবহূত জমিজমা বেহাত হয়। ওই ঘটনার দুই বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এবারের হামলা হলো।''

১৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৮

নেক্সাস বলেছেন: বিপরীত স্রোত আপনার নামেই প্রকাশ পায় বাংলাদেশের ভৌগলিক অখন্ডতার বিপরীতে আপনার অবস্হান।

আপনিও মনে রাখবেন আপনার মত সন্তু লারমার দোসর কিংবা চেলা চামুন্ডাদের আমরা ভয় পাইনা।

১৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:২৯

মৃদুভাষী বলেছেন: বিপরীত স্রোত এবং লেখক, জ্বি, ঠিক বলেছেন। আমরা ওয়াদুদ ভুইয়ার চেলা, তাই আমরা বাঙালীদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছি। পার্বত্য-চট্রগ্রাম তো ওয়াদুদ ভুইয়ার বাপের সম্পত্তি, তাই আমরা তার চেলা হয়ে বাঙালীদের পক্ষ নিয়েছি।

আপনারাও ঢাকায় বসে আন্দোলন শুরু করে দেন যাতে পাহাড়ীরা সহজেই তাদের অধিকার প্রতিস্ঠার জন্য পার্বত্য-চট্রগ্রাম কে স্বাধীন করতে পারে।

১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১২

নেক্সাস বলেছেন: ১৯৭১ যেখানে তিদিব রায়ের -নেতৃত্বে চাকমারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং মুক্তিবাহীনির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল
সেখানে সুদুর ফরিদপুরের বাঙ্গালী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রউফ পার্বত্য চট্টগ্রাম কে মুক্ত করতে গিয়ে জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং অবশেষে শহীদ হয়েছেন।

কি সেলুকাস বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ আবদুর রউফের রক্তস্নাত সেই পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে আজ বাঙ্গালীরা বাস করতে পারবেনা!সেই পার্বত্য চট্টগ্রাম আজ ছেড়ে দিতে হবে ত্রিদিব রায়ের অনুসারীদের !!

একদিকে বলা হচ্ছে রাজাকারদের বিচার চাই।আবার সেখানেই বলছে এদেশের অঙ্গ কেটে অন্য একদল রাজাকারদের দিয়ে দেওয়া হোক।


পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন বাংঙ্গালীর বাস করার অধিকার নাই।তাহলে শহীদ রউফ প্রাণ দিল কিসের জন্য??????

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৯

মধুখোর বলেছেন: পাহাড়িরা সকলেই ত্রিদিব রায়ের অনুসারী ছিল না। তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাও ছিল। লিংকটাতে খোঁচা দিন। আশাকরি আপনার ভুল ভাঙ্গবে। Click This Link .....

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৫

সালমান সিদ্দিকী বলেছেন: ত্রিদিব রায়ের কথা বললেন কিন্তু ৭১ এর মার্চ মাসে রাঙ্গামাটি জেলা সদরে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়েছিল রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজের তৎকালীন ছাত্রনেতা গৌতম দেওয়ান এবং সুনীল কান্তি দে এর নেতৃত্বে। অনুরূপভাবে ১৬ মার্চ রামগড় মহকুমার কাজী রুহুল আমিনকে আহ্বায়ক এবং সুবোধ বিকাশ ত্রিপুরাকে যুগ্ম সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সংগে যোগাযোগ রেখে দেশের চলমান রাজনৈতিক ধারায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন, রাজপথে মিছিল- েশ্লাগান, আন্দোলন, প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মুক্তি সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়াই এসব সংগ্রাম পরিষদের উদ্দেশ্য ছিল। তার কথা বললেন না কিংবা ১নং সেক্টরের আওতায় সর্বপ্রথম ৫ মে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা দল গঠন করা হয়। এই দল গঠনের নেতৃত্ব দেন হেমদা রঞ্জন ত্রিপুরা। এটি পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ কোম্পানী হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। শ্রী ত্রিপুরাকে কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। এই কোম্পানীর অধীনে গ্রুপ নং- ৯১, ৯২, ৯৩, ৯৪ এবং ৯৫ সংযুক্ত করা হয়। উক্ত গ্রুপগুলির ট্রেনিং কেন্দ্র ছিল ভারতের অম্পি নগর এবং ১নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার হরিণা। ১নং সেক্টরের অধীনে হরিণা থেকে ৩০ কিঃ মিঃ দূরবর্তী সীমান্ত এলাকা ভারতের বৈষ্ণবপুরে আগস্ট মাসের প্রথম দিকে সাব-সেক্টর স্থাপন করা হয়। সেখানে অবস্থানরত গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় গেরিলা আক্রমণ পরিচালনা করা হয়। পার্বত্য এলাকায় অবস্থানের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের চলাচলের সুবিধা, শত্রুপক্ষের ঘাঁটি আক্রমণ এবং পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার সুবিধার্থে বর্তমান খাগড়াছড়ি জেলার অন্তর্গত নাকাপা, কুমারীপাড়া, পাগলা পাড়া, মানিকছড়ি, ডাইনছড়ি, যোগ্যাছলা ও গাড়ীটানা এলাকার গহীন অরণ্যে মুক্তিবাহিনীর গোপন ক্যাম্প বা আশ্রয়স্থল করা হয়। এই সমস্ত গোপন গেরিলা ক্যাম্পে ঐ এলাকার হেডম্যান কার্বারীসহ সকল স্তরের জনগণ খাদ্যশস্য সরবরাহ করত এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ঐ সমস্ত এলাকার জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে পাকবাহিনীর গতিবিধি এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে সাহায্য করত। এই যে অবদান বাঙালিদের স্বাধীনতা আদায়ে পাহাড়িদের অবদান তাকে কি কি সুন্দর করে চেপে গেলেন খাগড়াছড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার বীরত্ব এর কাহিনীকি শুনেছেন কখনও নাকি তা জানেন না

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩২

মধুখোর বলেছেন: নেক্সাস -এর মন্তব্যের জন্য এরচেয়ে আর ভাল জবাব হয় না। ধন্যবাদ সালমান সিদ্দিকী

২০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩০

নেক্সাস বলেছেন: শুধুমাত্র ত্রিপুরা যুবকেরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল ব্যাপকহারে।

২১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩২

নেক্সাস বলেছেন: আমার প্রশ্নের শুধু উত্তর দিন

যে পার্বত্য চট্টগ্রামের মাটি বাঙালী শহীদের রক্তে রন্জিত হয়েছে সেই পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা থাকতে পারবেনা কেন?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪০

মধুখোর বলেছেন: বাঙালি থাকবে। যারা সেখানে ছিল স্থায়ীভাবে তারা ত থাকবেই। কেবল আবাদিদেরকে পুনর্বাসিত করা জন্য বলা হচ্ছে। আর বাঙালিরা কেন পার্বত্য অঞ্চলে জায়গা জমি কিনতে পারবে না, তা আর একদিন বিস্তারিতভাবে লেখার ইচ্ছা রইল। শুধু একটি বিষয় বলি। বাংলাদেশসহ প্রায় সকল এলাকাই একসময় সামাজিক মালিকানার অধীনে ছিল। সামাজিক মালিকানার জমিতে স্বত্ব নিতে হলে আপনাকে সেই সমাজের অন্তর্গত হতে হবে। সামাজিক মালিকানার দৃষ্টান্ত আপনার গ্রামের কবরস্থান, গোচারণ ভূমি, গোপাট ইত্যাদি। পার্বত্য অঞ্চলের অধিকাংশ ভূমিই সামাজিক মালিকানার অন্তর্গত।

২২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৩

ই য়া দ বলেছেন:

"অনেক বাঙালির পাহাড়িদের উপর নির্যাতনের স্বচ্ছ ধারণা নাই।"

আপনারও স্বচ্ছ ধারণা নাই বাঙালির উপর পাহাড়িদের নির্যাতনের।


আমার সব আত্নীয়-স্বজন রাঙামাটি থাকেন। তারা যখন শোনেন সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করা হবে তখন তাদের মনে যে নিরাপত্তাহীনতা জন্ম নেয়, সেটা ৩০০ কি.মি দূরের এই ঢাকায় বসেও টের পাই।

চাকমা-বাঙালি সংঘর্ষের ভয়াবহ রূপ যেমন দেখছি, তেমনি দেখছি সম্প্রীতির বন্ধন।

সাধারণ জনগণ শান্তি চায়।
শান্তি তারাই চায়না, যারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের অংশ ভাবতে নারাজ।

যতদিন পর্যন্ত অশান্তি সৃষ্টিকারী শান্তিবাহিনী থাকবে, ততদিন সেনাবাহিনী থাকবে।



২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪২

মধুখোর বলেছেন: আপনার আত্মীয় স্বজন থাকলে আপনি পার্বত্য এলাকার বিষয়ে নিরপেক্ষ হওয়া কঠিন। পার্বত্য এলাকা সম্পর্কে আমার মোটামোটি ধারণা আছে।

২৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৭

নেক্সাস বলেছেন: সালমান চাইলে আমি আপনাকে রেফেরেন্স দিয়ে রনবিক্রম ত্রিপুরার কাছে পাঠিয়ে দিতে পারি।
রনবিক্রম ত্রিপুরার ইতিহাস ভাল করেই আমি জানি।উনার ডাক নাম তাতু।উনাকে পার্বত্য অঞ্চলে তাতু বলেই লোকে চিনে

যাননা আকবার গিয়ে তাতুর কাছে জেনে আসুন মুক্তিযুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ চাকমাদের ভূমিকা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫০

মধুখোর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনি পার্বত্য এলাকার লোক। যদি তাই হয়, তাহলে আপনিই বলুন বাঘাইছড়িতে কেন কেবল পাহাড়িরাই মারা গেল গুলি খেয়ে? কেন আগুনে পুড়ল গীর্জা ও মন্দির? কোন মসজিদ পুড়েনি। এ থেকে কি কিছুই বুঝা যায় না??

২৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪২

ই য়া দ বলেছেন: পাহাড়ি আর বাঙালি'র সংঘর্ষের একটি নমুনা দেই।

ধরুন, কোন এক বিরোধ এর কারনে সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে একদল পাহাড়ি একরাতে বাঙালিদের কিছু ঘর জ্বালিয়ে দিল।

তারপর দিন আসবে সেনাবাহিনী। এবার পালা বাঙালিদের! সামনে যত পাহাড়ি গ্রাম আছে সব জ্বালানো শুরু!!

মিডিয়া যার যার সুবিধামত বর্ণনা করবে।



কোন রাজনীতি বুঝতে চাই না।

পাহাড়ে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত, তৃষ্ণার্ত হয়ে কোন এক চাকমা বাড়িতে পানি খেতে চাই, দা এর কোপ নয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬

মধুখোর বলেছেন: আমার আত্মীয় স্বজনের মধ্যে দুয়েকজন পাকিস্তান আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকুরিতে ছিলেন। তাদের মুখে পাহাড়িদের আথিতিয়তার যেসব কথা শুনেছি, তাতে চমৎকৃত হয়েছি। কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণ ও ১৯৮০ সালের পর থেকে দল বেঁধে বাঙালিরা প্রবেশ করার পর পাহাড়িদের বিরুদ্ধে তাদের আগ্রাসী কার্যকলাপে সম্প্রীতি নষ্ট হয়েছে।

২৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫১

নেক্সাস বলেছেন: তার মানে আপনি স্বীকার করে নিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা জায়গা কিন্তে পারবেনা।
তাহলে বলবেন কি পার্বত্য চট্টগ্রামের মালিকানা কোন দেশের ?

যদি বাংলাদেশের হয় তাহলে সেখানে যেতে আমাকে পাসফোর্ট লাগবে কেন?

আর সামাজিক মালিকানা বলতে আপনি কি বুজাতে চাচ্ছেন?

সমাজিক মালিকানা যদি হয় তাহলে পরোক্ষভাবে সেই জমির মালিক বাংলাদেশ সরকার।আর সরকার তার মালিকানাদিন জমিতে তার যেকোন নাগরিক কে পূনর্বাসন করতে পারে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৪

মধুখোর বলেছেন: আপনার গ্রামের কবরস্থান থাকলে তার মালিকানা কাদের হয়? গ্রামবাসীর। কবরস্থান কারো ব্যাক্তিগত সম্পত্তি নয়। কিন্তু গ্রামের সম্পত্তি। সেখানে অন্যগ্রামের লোকদের কবর দেয়া যায় ন। দিলে গ্রামের অনুমতি লাগে। গো চারণভূমি, গোপাট ইত্যাদিতেও বাঙালি সমাজে সামাজিক মালিকানার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

২৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২৮

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: খুবই মজার বিষয়, একটি প্রশ্নের উত্তর লেখক কোনভাবেই দিচ্ছেন না! কেন বাঙালী থাকতে পারবে না পাহাড়ে, যেখানে সেটাও আমাদের দেশ! নাকি নয়?? না আমার কথা হলো সব ঠিক আছে, আবাদীরা লোভী, পাহাড়ীরা চায় না বাংলাদেশের সাথে থাকতে, তারা ভাবে পাহাড় শুধু তাদের, বাঙালীদের পাহাড়ে প্রবেশের অনুমতি নেই, বুঝলাম। কিন্তু এর সমাধানতো আপনার ২ দফা দাবির কোথাও দেখতে পাচ্ছি না, বরং আপনিতো আগুনে ঘি ঢালার, লোভী বাঙালী স্যাটলারদের অজুহাত দেখানোর, বাংলাদেশের মাটি থেকে বাঙালীকে বঞ্চিত করার পায়তারা করছেন! আপনি কথা বলুন। অন্তত লেক্সাস সাহেবের প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার লেখাটা যদিও ভাল। প্লাস। কিন্তু ২ দফা দাবিটা যাচ্ছেতাই!!! একেবারে যাচ্ছেতাই!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:১১

মধুখোর বলেছেন: বাঙালি পাহাড়ে অবশ্যই থাকতে পারবে। পার্বত্য এলাকা আমাদের দেশের অংশ। ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য, প্রমোদ ভ্রমণের জন্য, সরকারি বেসরকারি চাকুরির জন্য অবশ্য সেখানে বাঙালিরা যাবে। তবে বাঙালিরা গিয়ে আদি বাসীদের জমিজিরাত ধ্বঙস করুক, তাদের তাড়িয়ে দিক, তাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্বার বিলোপ সাধন করুক, তাদের মন্দির, প্যাগোডা, গীর্জা পুড়িয়ে দিক সেসব চাই না। আর এসব ক্ষুদ্র জাতি সত্তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভূমির মালিকানায় শর্তারোপ প্রয়োজন। দেশের অন্যান্য জায়গায়ও ভূমি ব্যবহারে মালিকদের একচেটিয়া অধিকার নাই। যেমন, ঢাকায় ইচ্চা করলেই যেখানে সেখানে কলকারাখান করতে পারে না, ৬তলার উপরে বাড়ীঘর তৈরী করতে পারে না, গ্রামাঞ্চলে জলাশয় ভরাট করতে পারে না, সরকারের অনুমতি ব্যতীত নিজের বাড়ির গাছকাটাও আইনত দন্ডনীয়। তাই ভূমির মালিকানায় শর্তারোপ কোন নূতন ঘটনা নয়। বাঙালিরা আগেও পাহাড়িদের সাথে সম্প্রিতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সেখানে বাস করত। আমরা চাই ঐ সম্প্রীতি আবার ফিরে আসুক এবং ক্ষুদ্র জাতি সত্বা রক্ষা পাক আবাদিদের হাত থেকে।

২৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭

ভাবসাধক বলেছেন: আপনার মতো এরকম আরো বহু বিশ্বাসঘাতক বাঙালী আছে, নিজের রক্তের সাথে বেঈমানী করা বাঙালী আছে, সুশীল-বুদ্ধিজীবি নামক বেঈমান গুলা, নিজেদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতক গুলা, যারা পাহাড়িদের পক্ষ নিয়ে বাঙালীদের বিরূদ্ধে কথা বলে, বাঙালীদের বিরূদ্ধে বক্তব্য দেয়, বাঙালীদেরকে ঘৃনা করে তারা কেউই কিন্তু পাহাড়ে বসবাস করে না, ঢাকায় ফ্যান-এসির নিচে বসে পাহাড়ের চরমভাবে নির্যাতিত-নিপীড়িত-শোষিত-বঞ্চিত-অসহায়-গরিব বাঙালীদের বিরূদ্ধে বিষোদাগার করে যাচ্ছে।

আপনি কি করে জানলেন যে পার্বত্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে পাহড়িদের দ্বন্দ্ব নাই ?
আপনারা যদি সমতলে না থেকে কিছুদিন পাহাড়ে বাস করতেন, তাহলে আপনারা মোটেও এরকম বক্তব্য দিতেন না, পাহাড়ের বাঙালীদের চরম দুঃখ-কষ্ট বুঝতে পারতেন।
আপনার ওই প্রিয় দাদাদের মুল দাবি হচ্ছে স্বাধীনতা। সেনাবাহিনী-বাঙালীদের অত্যাচারের ধুয়া তুলে তাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়াই মুল উদ্দেশ্য।


সব দালাল !!!!!!!!!!! নব্য রাজাকার ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৪

মধুখোর বলেছেন: ভাব সাধক ভাই আরো ভাবুন। রাজাকার শব্দটা পায়খান পেসাবের মত। যত্র তত্র ফেলবেন না।

২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:০৮

রাগ ইমন বলেছেন: খুব ই ভালো পোস্ট , তাতে কোন সন্দেহ নাই । কিন্তু একটা ব্যাপার পরিষ্কার হলো না ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকাটা কি বাংলাদেশের বাইরে? বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইন বাংলাদেশের প্রতিটি এলাকায় প্রযোজ্য হলে , পার্বত্য চট্টগ্রামে হবে না কেন?

পাহাড়িরা কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় , স্কলারশীপ ইত্যাদি " বিশেষ এবং অতিরিক্ত সুবিধা গুলো নেওয়ার" সময় এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে না কেন?

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী কি কেবল পাহাড়েই আছে , বাংলাদেশের অন্য কোথাও নেই? তাদের সবাইকে বঞ্চিত রেখে বেছে বেছে কেবল পাহাড়িদের বিশেষ শাসন ও সুবিধা দিলেই মানবাধিকার রক্ষা হয়?

ঢাকার সাথে বাংলাদেশের আর অন্য কোন শহরের কোন মিল পাই নাই । ঢাকা যদি স্বায়ত্ব শাসন দাবী না করে , তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কেন? কিংবা সিলেট , নোয়াখালি , কুড়িগ্রাম নয় কেন?

পাহাড়ীরা যদি নাগরিকত্বের বলে বাংলাদেশের যে কোন এলাকায় জমি কিনতে পারে , ঘর বাড়ি বানাতে পারে , তাহলে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় আমি বা আমার মত কেউ কেন জমি কিনতে , আবাদ করতে, বাস করতে পারবে না ?

পাহাড়িরা " বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে বিশ্বাস করে কিনা?"

আমি যশোরিয়া , ঢাকাইয়া, সিলটি, নোয়াখাইল্লা , দিনাজপুরিয়া হয়ে যদি বাংগালী হইতে পারি , তাহলে পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ধর্ম বজায় রেখে তাদের বাংগালী , মতান্তরে বাংলাদেশী হইতে সমস্যা কোথায়?

সংঘাতটা কি আসলে জাতি বনাম জাতি , নাকি, রাজতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র ?

তবে , এইটা ঠিক , রাজনৈতিক দল, পাহাড়ি নেতা কিংবা বিদেশী " ইউনিয়ন" , কেউই বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ দেখে না । মানুষদের শান্তি চায় না । তারা কেবল ব্যক্তিদের স্বার্থসিদ্ধিতে ব্যাস্ত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০১

মধুখোর বলেছেন: সংরক্ষণের স্বার্থে আমরা যদি সুন্দরবনকে প্রটেক্ট করি, সেখানে গাছ কাটতে না দেই, সেখানে লাইসেন্স ব্যতীত মাছ ধরতেও না দেই, তাহলে যেখানে প্রায় ২১টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপজাতি বা আদিবাসী গোষ্টি রয়েছে, তাদের জীবনাচার, সংস্কৃতির বিকাশ ও সুরক্ষার স্বার্থে ভূমিতে মালিকানার বিষয়ে শর্তারোপের প্রয়োজন আছে।
এথানে পার্বত্য ভূমি ব্যবস্থাপনাও বিবেচনায় নিতে হবে। পার্বত্য এলাকায় ব্যাক্তিগত মালিকানার ভূমির পরিমাণ অল্প। বেশীর ভাগ জায়গাই হচ্ছে সরকারি, যার মধ্যে রয়েছে রিজার্ভ ফরেস্টও। এছাড়া পাহাড়ের ক্রাশট বা ঢাল হচ্ছে রাজার। আর এ সমস্ত বনভূমি ও পাহাড় আদিবাসীরা কোন ব্যক্তিগত মালিকানা লাভ না করেই শত শত বছর ধরে সামাজিক মালিকানার উত্তরাধিকার হিসাবে ভোগ করে আসছে। সমতলে যেমন চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মাধ্যমে জমির মালিক ছিল জমিদাররা এবং প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর ১৯৫০ সাল থেকে দখলকার প্রজারা ঐ জমির মালিকে রূপান্তরিত হয়েছে, পার্বত্য অঞ্চলে সেরকম হয়নি। সেখানে ছিল ৩টি সার্কেল ও সার্কেল চীফ। জমির মালিক ছিল তারাই। তবে ঐ জমি সামাজিক সম্পদ হিসাবে ভোগ করত পাহাড়িরা। এখন বাংলাদেশে হওয়ার পর সামাজিক মালিকানার পরিবর্তে পাহাড়িদের ব্যবহৃত ঐসব জায়গা বন্দোবস্ত দেয়া হচ্ছে বাঙালিদের। এটাই বিরোধের কারণ। এখন শত শত বছর যাবত চলে আসা প্রথাকে অস্বীকার করলে পাহাড়িরা কি করে সেটা গ্রহণ করবে? পাহাড়িরা ত খতিয়ান ও দাগ নম্বর দেখে কখনো চাষাবাদ করেনি। আর পাহড়িদের এই প্রথার নিরিখেই প্রণীত হয়েছিল ১৯০০ সালের ম্যানুয়েল। সেটা কার্যকর মানে ত পাহাড়িদেরকে ভিটে মাটি থেকে উচ্চেদের নামান্তর। আর অনগ্রসর জাতিসত্বা বা গোষ্টির জন্য সর্বদাই কোটা প্রথার বিধান থাকে। ভারতেও আছে, পাকিস্তানি আমলে শিডিউল কাস্টদের জন্যও শিক্ষা প্রতিষ্টান ও চাকুরী ক্ষেত্রে কোটা প্রথা ছিল। এটা নূতন কিছু নয়। আমাদের বড় কনসার্ন হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির চাপে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী না লুপ্ত হয়ে যায়।

২৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:১০

আরাফাত শাহরিয়র বলেছেন: এখন আপনার কথায় আমি অনেক বেশি যুক্তি খুজে পাচ্ছি। দীর্ঘ আলোচনার কারনে কি? বিশ্বাসে কি হয় বস্তুর!! তর্কে বিভাজন!! হে হে

৩০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৯

সেলটিক সাগর বলেছেন: প্রিয় পোস্টে গেল। অসাধারন লিখেছেন ভাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২০

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৭

রাজীব বলেছেন: +

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩০

রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশি

সহমত

পার্বত্য অঞ্চলে সেনা নিরাপত্তা সুষ্ঠু করতে হবে

সেনাবাহিনী কমান্ড প্রধানমন্ত্রীর হাতে তারা রাজনীতি খেলেন দোষ বহন করে অন্য প্রতিষ্ঠান।

৩৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪০

ব্রাইটসেন্ট্রাল বলেছেন:
কেউ কেউ দেখতেছি গলা ফাটায়া অধিকার অধিকার বৈলা চেঁচাইতেছে। বাংগালীগো অধিকার, পাহাড়ীগো অধিকার । কিন্তু আমি জানতে চাই ঘটনাটা শুরু হয় কিভাবে, কারা শুরু করলো। সেনাবাহিনী বিনা উস্কানীতে গোলাগুলী শুরু করে না দাঙ্গা-হাঙ্গামা থামাতে গুলী করে সেটা জানা দরকার। এই ব্যাপারে বেই দেখি কিছু কয় না। খালি কয় বালের মানবাধিকার আর মানবাধিকার!! কেউ প্রকাশ্যে সন্ত্রাস করলে তার আবার মানবাধিকার কি? সন্ত্রাস-উস্কানী ছাড়াই সৈন্যকা গুলী করলে সেটারও বিচার হওয়া দরকার।

আগে সৈত্যটা জানতে চাই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৪

মধুখোর বলেছেন: আমি ত প্রত্যক্ষদর্শী না। তবে পাহাড়িদেরকে আবাদি বাঙালিদের দ্বারা নির্যাতন করার উস্কানি ও ইন্ধন দাতা সেখানে আছে। তবে ভাশুর মানুষ, তাই তার নাম মুখে লয় না। আপনি বা-ছাল বাদ দিয়ে একটু মাথা খাটালে আশাকরি সেটা বুঝতে পারবেন।

৩৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪২

রাজীব রহমান বলেছেন: ভাল লাগল পোস্টটা...
সমস্যা হল সমস্যার সমাধান বোধহয় আমরা কেউই জানি না... আর ওখানে বাসিন্দাদের ভেতরে যে অবিশ্বাস কাজ করে তা মুছে দেয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়... সময়ও দরকার প্রচুর...

৩৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৬

রাগ ইমন বলেছেন: জমির মালিকানা বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ । সামাজিক মালিকানা যে সমান অধিকারের ভিত্তিতে ভোগ হয়নি বা হয় না সেইটা পাহাড়িদের ভিতরে নেতা ( চীফ বা মন্ত্রি) ইত্যাদির পাজেরো হাকানো দেখলে বুঝতে পারি । তাও যদি সেইটাই পাহাড়িদের পছন্দ হয়ে থাকে , আমার আপত্তি নাই।

সুন্দরবনকে সংরক্ষণ করা , পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করা আর সেখানে বসবাসকারী মানুষের জীবন যাত্রাকে " বিশেষ স্বীকৃতি ও সুবিধা" দিয়ে সংরক্ষণ করা যে এক জিনিস নয় , এইটা কিন্তু আপনিও বুঝেন !

একই নীতিতে বাংলাদেশের পুরানো রাজাদের সংরক্ষণ করবেন আপনি? রাজাদের দাস দাসীদের? তারাও তো শত শত বছর ধরে এই রাজতন্ত্র ধারন ও বহন করে আসছে। সংখ্যায় এই রাজারাও একেবারেই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী

হিসেবটা একটু গোলমেলে , তাই না? পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়িরা কেউই সেখানের আদিবাসী নয় , যেইটা তাদের বানানোর চেষ্টা চলছে আজকাল । বরং এই অঞ্চলে আমাদের ইতিহাস ২০০০ বছরের পুরানো । আমরাই আদিবাসী । এখন যদি আমরা বলে বসি , আমরা জনমানবহীন , শুধু পশুপাখি সমৃদ্ধ " আদি পর্বত , চট্টলা " চাই? সেইটা কি সংরক্ষণের নীতিতে পড়বে?

সুন্দরবনে সংরক্ষণের নীতিমালায় বনকে রক্ষার চেষ্টা করা হয় । বনরক্ষা না হলে সারা বাংলাদেশ মারা পড়বে ।

পার্বত্য উপজাতি কিংবা পাহাড়ি জীবনযাত্রার সাথে বাংলাদেশ রক্ষার কি সম্পর্ক?

বরং পাহাড় রক্ষার জন্য অবিলম্বে ঐখান থেকে সমস্ত মানুষ ( পাহাড়ি, আবাদি সবসহ ) সরিয়ে নেওয়া উচিত । আপনার পরিবেশ বিজ্ঞান কি বলে?

মানুষের বসবাস -ই কি পাহাড় এবং বনের প্রকৃতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি নয়?

আমাদের বড় কনসার্ন হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির চাপে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী না লুপ্ত হয়ে যায়।

সাঁওতাল কিংবা গারো এর ভিতরে পড়ে না?
দিনাজপুর কিংবা ময়মনসিংহে স্বায়ত্ব শাসন দরকার নেই কেন?


রাজনৈতিক ও ভৌগলিক ভাবে চরম গুরুত্বপূর্ণ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে " ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী" রক্ষাকারীদের কান্না কাটি দেখে আমার চোখে কেন জানি জল আসে না ।

কারণ পিছনের আন্তর্জাতিক রাজনীতি , গোষ্ঠী স্বার্থ ও বিভিন্ন ভন্ডামির চিত্রগুলা ধরা পড়ে যায় । এই সব রাজায় রাজায় যুদ্ধে পাহাড়ি ও আবাদি দুই দলই অসহায় ভাবে মারা পড়ে , বিভ্রান্ত হয় , ব্যবহৃত হয় । চিরকালই নেপোরা দই মেরে নিয়ে যায়।

ইন্দোনেশিয়া থেকে পূর্ব তিমুরকে ভেঙে স্বাধীন করে দেওয়ার কলকাঠি যেই ব্যক্তিটি নেড়েছিলেন , ইদানিং তাকে সকাল বিকাল বিবৃতি দিতে দেখি তো , তাই চোখের জল শুকিয়ে সেখানে সন্দেহের আগুন দানা বেধে উঠতে দেরী হয় না ।

কথা গুলো ভেবে দেখবেন। আশা করি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:০৫

মধুখোর বলেছেন: ''আমাদের বড় কনসার্ন হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির চাপে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী না লুপ্ত হয়ে যায়।'' আপনার এ উক্তির সাথে আমি সর্ম্পর্ণ একমত। সাওতাল, গারো, হাজং, সহ সকল ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তাকে টিকিয়ে রাখাই আমাদের সংখ্যাগরিষ্ট বাঙালির দায়িত্ব। কারা আদিবাসী কারা নয় তাদের নিয়ে লেখতে গেলে সেটা আর জবাব থাকে না, ব্লগ হয়ে যায়। সে কাজটা তোলা রইল ভবিষ্যতের জন্য। তবে বাঙালিরা যে পার্বত্য এলাকায় আদি বাসিন্দা সে বিষয়ে কোন সুত্র দিলে খুশী হব। এটা কোন চ্যালেঞ্জ নয়, কেবল আমার জানার জন্য। আর আপনি যে বলেছেন, চীফরা আয়েশ পূর্ণ জীবন যাপন করে, সেটা সত্য। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা চিরস্থায়ী বন্দেবস্তের মত কঠোর না হলেও, সেটা অবশ্যই সামন্তবাদীব্যবস্থা। কারণ পাহাড়ের ঢাল ব্যবহারের জন্য চীফরা দেওয়ান ও কার্বারিদের মাধ্যমে নামে মাত্র হলেও খাজনা আদায় করে। তবে এটা রহিত করা উচিত।

আর আমার বিশ্বাস আপনি এ বিষয়ে সচেতন যে সুরক্ষার বিষয়টি কেবল শক্তিহীন দুর্বলদের ক্ষেত্রেই বলা হয়।
একটা কথা অবশ্য প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে চাই যে পাহাড়ি ক্ষুদ্র জাতি গুলো পরিবেশকে অবশ্যি ব্যবহার করে, তবে উজার করে না। আপনি সিলেটের পাহাড়ী অঞ্চলে দেখবেন, সেখানে যেসব খাসিয়া অরণ্যের ভেতর বসবাস করে, তারা নিজেদের জীবন ও জীবিকার স্বার্থেই পাহাড়ের পরিবেশকে সুরক্ষা দান করে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৩০

জনৈক আরাফাত বলেছেন: পুরো দেশে সংখ্যাগুরু হিসাবে এই দায় বাঙালিদের উপরই বেশি বর্তায়। কিন্তু, কবে কখন কত পাহাড়ি মারা গেছে সেটার কথা বলেছেন, কিন্তু, কাঠুরিয়াদের কথা কী ভুলে গেছেন, যাদের জবাই করা হয়েছিলো?

তবে একটা কথা সত্য লাগছে, যে যুক্তিতে বাঙালি জাতি পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করল, সেই একই যুক্তিতে অস্ত্র ধারণ করল পাহাড়ীরা, আর তাদের দমাতেও নেয়া হল পাকিস্তানি কৌশল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩০

মধুখোর বলেছেন: কাঠুরিযাদের বিষয় আমার জানা নাই। তবে বিরোধ যখন সশস্ত্র হয়ে উঠে, তখন অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটে। আপনি যদি সোফিয়া লোরেন অভিনীত টু ওম্যান ছবিটি দেখে থাকেন, তাহলে নিশ্চয় দেখেছেন যে সেখানে মিত্র বাহিনীর হাতেই নায়িকা ও তার মেয়ের ধর্ষণের দৃশ্য দেখানো হয়েছে। সেজন্যই বিরোধ যেন দাঙ্গায় এবং দাঙ্গা যেন যুদ্ধে পরিণত না হয়, সেজন্য সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন।

৩৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:২৫

রাজীব বলেছেন: @নেক্সাস

আসলে পর্বত্য অন্চলে কখনো ভুমী জরিপ হয় নি, যার কারনে জমির মালিকানা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এখন একজন বাংগালী যদি সেখানে পাহাড়িদের জমি দখল করে তাহলে তার খেপবে না কেন?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৭

মধুখোর বলেছেন: এখানে বাঙালির রকমফের আছে। যেসব বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা, অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে নয়, সেখানে যেসব গরীব বাঙালি আবাদিকে প্রবেশ করানো হযেছে গোলমাল ঘটানোর জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে মূলত তারা। এবং তাদেরকে মদদ দিচ্ছে অনেকে। সরকারের ভেতর থেকেও।

৩৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

শয়তান বলেছেন: পর্যবেক্ষনে রাখলাম ।আশা করি খুব ভাল একটা গঠনমুলক আলোচনা দেখবো ।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:০৯

মধুখোর বলেছেন: দেখুন। কত রঙের মানুষ দিয়ে সাজানো আমাদের বাঙালি সমাজ!

৩৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৪৬

কৌশিক বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। প্রস্তাবের সাথে সহমত।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০৮

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৫০

ত্রিভুজ বলেছেন: বান্দরবানে ট্রেকিং করার সময় পাহাড়ীদের চমৎকার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়েছিলাম। একই সাথে ঐ এলাকায় বহিরাগত বাঙালিদের কিছু অত্যাচারের বিষয়েও শুনেছি.. কিছুটা ফিলও করেছি (কিছু লোকের ব্যবহারে)। পাহাড়িদেরকে আমার কাছে যথেষ্ট ভাল মনে হয়েছে। যদি বাঙালিদের কারণে উপজাতিদের সমস্যা হয় তাহলে ঐ এলাকা শুধু উপজাতিয়দের জন্য বরাদ্দ রাখায় কোন সমস্যা দেখি না...

যাই হোক, সত্যিকার দায়ীদের বিচার করা হোক.. এবং এই খুনোখুনি বন্ধ হোক।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০

মধুখোর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার কথা কিছু বললে যাদের পার্বত্য এলাকা সম্পর্কে ধারণা নাই, তারা উপকৃত হত।

৪১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০

রাগ ইমন বলেছেন: কৌশিককে দেওয়া মন্তব্য , প্রাসঙ্গিক অংশ এখানেও দিলাম।

---------
মানুষের মৃত্যু কি খুব মজার জিনিস?

পাহাড়িরা শান্তি বাহিনী গঠনের পরে সেইখানে কতজন সেনা অফিসার গুম আর খুন হয়েছে, সেই হিসাব আছে আপনার কাছে? কত বাঙ্গালী পাহাড়িদের ঠকিয়ে জমি নিয়ে নিয়েছে সেই হিসাব আছে? কত পাহাড়ি বাঙ্গালী নিধনে আর কত বাঙ্গালী পাহাড়ি নিধনে ব্যস্ত ছিলো সেই হিসাব আছে? সাধারণ পাহাড়ি আর সাধারণ বাঙ্গালী ( পড়ুন আবাদি) দেরকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করে কত পাহাড়ি নেতা, বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ , জামাত শিবির ইত্যাদি ফায়দা লুটতেছে , সেই খবর আছে আপনার কাছে?

পার্বত্য চট্টগ্রামের অশান্তি বজায় রাখার কাজটা জামাত শিবির , ইন্ডিয়া আর কিছু বাংলাদেশী চোরাচালানকারী রাজনৈতিকি নেতারা কি ভাবে জারি রাখার চেষ্টা করে সেই খবর রাখেন?

খালি আবেগে আপ্লুত হয়ে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতন লাফাইলে হবে?

এতদিন আর্মি থাকাতে আবাদিরা ত্রাস চালিয়েছে । এইবার আর্মি সরে এলে পাহাড়িরা শুরু করেছে পুরনো সন্ত্রাস । খালি এক পক্ষের খবর দেন কেন?

সীমানায় আর্মি, বি ডি আর পোস্ট না থাকলে সীমান্ত রক্ষা হবে কি করে?

পাহাড়িদের ক্ষেপিয়ে রাখলে সীমান্ত ও শান্তি রক্ষা হবে কি করে?

আবাদিদের পুনর্বাসন না করলে তারাই বা যাবে কোথায়?

পার্বত্য চট্টগ্রাম একটা রাজনৈতিক সমস্যা । সমাধান ও হতে হবে রাজনৈতিক ভাবেই । অস্ত্র দিয়ে এর সমাধান জীবনেও হবে না । আরেকটা ২৫শে মার্চ হবে শুধু ।

অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ হোক । সবাইকে নিয়ে এক সাথে বসে এর গ্রহনযোগ্য সমাধান হোক।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৩

মধুখোর বলেছেন: জামাত শিবির , ইন্ডিয়া আর কিছু বাংলাদেশী চোরাচালানকারী রাজনৈতিকি নেতার ছাড়া আরো বড় রাঘববোয়াল আছে। আর সাম্প্রতিক বাঘাইছড়ির ঘটনায় যে বাঙালি আবাদিরা দায়ী তা আমাদের পত্র-পত্রিকায়ও এসেছে। যেমন Click This Link এখানে খোঁচা দিন। এখানে উল্লেখ আছে '' বাঘাইহাটে হামলা-পাল্টা হামলার কারণ হিসেবে ভূমি বিরোধের কথা বলা হলেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ভূমি নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য এলাকার মতো বিরোধ ছিল না, নেইও। কারণ, পার্বত্য চট্টগ্রামে আশির দশকে যখন বাঙালি বসতি স্থাপনকারীদের (সেটেলার) পাঠানো হয়, তখন বাঘাইহাট ও এর আশপাশে তেমন কোনো জনবসতি ছিল না। দুর্গম এলাকা বলে সেখানে বাঙালিদেরও পাঠানো হয়নি। ফলে আদিবাসীদের ব্যবহূত কিংবা দখলি ভূমিতে বাঙালিদের বসিয়ে দেওয়ার ফলে যে ভূমি বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামে সৃষ্টি হয়েছে, এখানে তা নেই-ই বলা যায়।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, বাঘাইহাটে বর্তমানে যে আদিবাসী পরিবারগুলো বসবাস করছে, তারা মূলত পার্বত্য চট্টগ্রামের যুদ্ধ পরিস্থিতির শিকার হয়ে শরণার্থী কিংবা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু হয়েছিল। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও জনসংহতি সমিতির মধ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অনুযায়ী তাদের নিজস্ব বাড়িঘর ও জায়গা-জমি ফেরত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিনেও তারা তা না পেয়ে ’৯৮-৯৯ সালে এই পরিবারগুলো বাঘাইহাট এলাকায় বসতি স্থাপন করে।
এর অনেক বছর পরে ২০০৬ সালে ওই স্থানের পার্শ্ববর্তী গঙ্গারামমুখ এলাকায় ৩২টি বাঙালি সেটেলার পরিবারকে বসতি স্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। তখন থেকে সেখানকার ভূমি ব্যবহার নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৮ সালে আদিবাসীদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন কয়েকটি আদিবাসী পরিবার অন্যত্র চলে গেলে তাদের ব্যবহূত জমিজমা বেহাত হয়। ওই ঘটনার দুই বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে এবারের হামলা হলো।''

৪২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রাগ ইমন বলেছেন: আমাদের বড় কনসার্ন হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির চাপে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী না লুপ্ত হয়ে যায়
--------------- এইটা ২৮ নম্বর মন্তব্যের উত্তরে আপনার নিজের লেখা শেষ লাইন ।

''আমাদের বড় কনসার্ন হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির চাপে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠী না লুপ্ত হয়ে যায়।'' আপনার এ উক্তির সাথে আমি সর্ম্পর্ণ একমত।
---------------- এইটা ৩৫ নম্বরের উত্তরে আপনার নিজের লেখা প্রথম দুই লাইন।


নিজের সাথে নিজে একমত হইতে পারলেন বলে আমিও খুশি। :P :P :P :P :P =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০

মধুখোর বলেছেন: হাঁ ভুলটা আমার এবং তা ধরিযে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। তবে একটা বিষয় পরিস্কার যে আমি এখন এককথা এবং তখন এককথা বলি না। সেজন্য মনের অজান্তে আমার মন্তব্যকে আপনার মন্তব্য মনে করে সায় দিয়েছি। আপনি অনেক বিষয়েই আমার সাথে একমত দেখতে পাচ্ছি। তবে আমাদের দেশের একদশমাংশ জায়গার বিষয়ে সবাই সকল বিষয়ে একমত হবে, এটা আশা করা যায় না। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য আপনার যে উদ্বেগ আছে, সেজন্য আবার ধন্যবাদ।

৪৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: পাহাড়ীদের উপর যে কোন ধরনের নির্যাতন বন্ধ হোক।

সারাজীবন শুনে এসেছি, তারা উপজাতি, আজ শুনছি আদিবাসী। যতদূর জানি, ওরা উপজাতি, আদিবাসী নয়।

চাকমা বা মারমা রা এদেশে এসেছিল ষোল শতকের দিকে, আর বাংগালীর পূর্বপুরুষরা ১০০০ বিসিতে। আপনিই না হয় বিচার করুন কে আদিবাসী।

কিন্তু কিছুদিন ধরেই এই মিডিয়ার বদৌলতে উপজাতি হয়ে গেছে আদিবাসী - যার অর্থ পুরোটাই ভিন্ন, অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সায়ও আছে এতে।

আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদিবাসী কমিটি যখন ঢাকায় এসেছে বাংলাদেশের পর্যালোচনা করতে, ঠিক সেই সময় হঠাৎ করেই এমন একটি গন্ডগোলের কারনও অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। বিশেষ করে এই কমিটিতে রয়েছে সেই ব্যক্তিরা যারা পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা দিয়েছিল - ওদের আরেক লক্ষ্য যদি হয়ে থাকে, পাহাড়ীদের স্বাধীনতা দেয়া, তাহলে ষড়যন্ত্রের ব্যাপার উড়িয়ে দেয়া যায় না।

যাই হোক মূল কথা হচ্ছে নির্যাতন বন্ধ হোক যে কোন মূল্যে। আমরা সহাবস্থানের পক্ষে, কাউকে ছোট - বড় বা আলাদা করে নয়।

আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - এ জিনিসটি সমাধান করা খুবই কঠিন কিছু নয়, দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:০৭

মধুখোর বলেছেন: পাহাড়ীদের উপর যে কোন ধরনের নির্যাতন বন্ধ হোক।
আর আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - এ জিনিসটি সমাধান করা খুবই কঠিন কিছু নয়, দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা।

আপনার উপরের এ দুটো উক্তি সঠিক। তবে বাঙালি জাতির পূর্বপুরুষ ১০০০ বিসিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে ছিল, এটা মনে হয় একটু বেশী হয়ে গেল। বাঙালি একটা সংকর জাতি। ১০০০ বছর আগে বাঙালি জাতির উদ্ভব হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। তবে এটা নিশ্চিত যে ১৫০০ সালে চাকমারা কর্ণফূলি নদীর তীরে বাস করতে বলে পুর্তগীজরা উল্লেখ করেছে। চাকমাদের মূল বাসই ছিল চট্টগ্রাম, রাঙ্গুনিয়া ইত্যাদি সমতল ভূমিতে। বাঙালিরা তাদের খেদিয়ে কোথায় নিয়ে গেছে!!

৪৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০

কিরিটি রায় বলেছেন: কলাগাছৈ মারলাম তীর
হাটু বাইয়া রক্ত পড়ে
পোখ গেল রে বাবা!!!!

আপনার শীরোনাম কি? লীখলেন কি আর বুঝঅইতেছেন কি???

আপনার লেখঅ মতে মানবেন্দ্র লামমার মূল দাবীতো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদেই ছিল। কই তখনওতো সুবোধ বালকটির মতো অস্ত্র সমর্পন করেনাই??? এবং এই বিষয়ে কোন টাচ দিলেন না...

এই দেশের সমস্ত সুযোগ নিয়া.. এই দেশৈর সংখ্যাগরিষ্ট মানুষরে বঞ্চিত রাখার দাবীর পক্ষে বহুত জনার দরদ দেইখ্যা ...চউক্ষে পানি আহে...!!!!

আহা এই সুশীলরা কাশ্মীরের , আসাম মিজোরাম নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য ইট্ট্রও চাইয়া দেখে না..

তখন তাগো কলম বিবেক জ্ঞান সব বন্দী।
আর আত্ম ধ্বংসী.. দেশবিরোধী চক্রের পক্ষে কলম, কীবোর্ড কি সচল!!!!!!

এইরকম রাজাকার .. মীর জাফর কি শুধু বাংলাতেই জন্মে???????



২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১৮

মধুখোর বলেছেন: রাজাকার ও মীরজাফর শব্দ দুটো পেশাব পায়খানার চেয়েও খারাপ। যত্র তত্র এর ব্যবহার কাম্য নয়।

৪৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৩

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: কথাটি আমার না, নিচের সবগুলো লিংক পড়ে দেখুন।
উইকি থেকে,

Remnants of civilisation in the greater Bengal region date back 4,000 years,[20][21] when the region was settled by Dravidian, Tibeto-Burman and Austro-Asiatic peoples. The exact origin of the word Bangla or Bengal is unknown, though it is believed to be derived from the Dravidian-speaking tribe Bang that settled in the area around the year 1000 BCE.[22]

http://en.wikipedia.org/wiki/Bengali_people
Click This Link
http://en.wikipedia.org/wiki/Marma_people
http://memory.loc.gov/frd/cs/bdtoc.html

যাই হোক - মূল কথা সমস্যা সমাধান করা, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভম ততই মংগল।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৯

মধুখোর বলেছেন: উইকিপিডিয়া বা বাংলাপিডিয়া হচ্ছে সংকলন। আমি এ দুটোর উপর কম নির্ভর করি। আমি আপনার জন্য বাঙালি ও চাকমাদের উদ্ভব ও বসতি সম্বন্ধে একটি ব্লগ ভবিষ্যতে লিখব এবং আপনার ব্লগে পেস্ট করে জানিয়ে দেব। তবে উইকিপিডিয়ার কথা যে সম্পূর্ণ সত্য নয় তা বাংলাপিডিয়ার বক্তব্যেও স্পষ্ট করে বলা আছে। দেখুন বাংলাপিডিয়া

Two main theories have been put forward about the earlier history of Chakmas. Both assume that they migrated to their present homeland. The most convincing theory links Chakmas with central Myanmar and arakan, and with groups such as the Sak (Chak, Thek) who live in the Chittagong hills and Arakan. The other theory, for which historical evidence is lacking, assumes that Chakmas migrated to the Chittagong hills from Champaknagar in northern India. In the late eighteenth century, Chakmas were found not only in the Chittagong Hill Tracts but also in other hilly areas of the present-day districts of chittagong and cox's bazar.

৪৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:২৯

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ১০০০ বিসি মানে কিন্তু ১০০০ বছর আগে নয়,

আর ১০০০ বিসিতে বাংগালী জাতির জন্ম সেটি আমি বলিনি, বলতে চাইছি - বাংগালীরা যে ধারা থেকে এসেছে, সেই মূল ধারাটি ১০০০ বিসিতে এই ভূমিতে এসেছিল প্রথম। ১৫০০ মতান্তরে ১৬০০ হিসেবে চাকমারা বাস করত এই এলাকায় সেটি ঠিক, তবে বাংগালীরা কিন্তু সেই হিসেবে আগেই এসেছে।

আর বাংগালী শব্দটি প্রথম কাহ্নপদ আর ভুসুকের কবিতাতে ব্যবহৃত হয় সপ্তম শতকের দিকে, সেই থেকে ধীরে ধীরে জাতি হিসেবে গড়ে উঠেছে, সে হিসেবে জাতির সূচনাকাল এক হাজার বছরের কিছু আগে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৩৯

মধুখোর বলেছেন: আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানে যেটুকু জানি তা হল, বাঙালি জাতি একটি সংকর জাতি, যার উদ্ভব হয়েছে ভোট মঙ্গল, আদি অস্ট্রালয়েড ও দ্রাবিড় (যদিও দ্রাবিড় কোন জাতি নয়)-এর সংমিশ্রণে। এখন মঙ্গল জাতির মধ্যে খাসিযা, চাকমা প্রভৃতিরা আছে, আদি অস্ট্রালয়েডদের মধ্যে সাওতাল, মুন্ডা প্রভৃতি জাতি আছে। এদের মধ্যে দ্রাবিড়রা ব্যতীত অন্যান্যরা ১০০০ বিসিরও আগে এসেছে। তখন কিন্তু বাঙালি জাতির জন্ম হয় নি। বাঙালি শব্দটি প্রথম লিখিত রূপে পাওয়া গেছে চর্যাপদে ভূষুকের কবিতায়। ভুসুক বঙালি ভইলে। এখানে বঙালি অর্থ ভবঘুরে বা চালচুলোহীন। সুতরাং ধরা যায় যে ভুসুক পর্যন্ত বাঙালি একটি জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেনি। ফলে বাঙালির জাতিগত আত্মপ্রকাশ অনেক পরের বিষয়।

৪৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৫

প্রক্সিনিক বলেছেন: সাবাশ।

৪৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৩

মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার কথা বুঝতে ভুল করছেন - আমি কখনই বলছি না যে বাংগালীরা ১০০০ বিসিতে এসেছিল, আমি বলতে চাইছি এর পূর্বপুরুষরা যাদের কথা আপনি উল্লেখ করেছেন।

আর বাংলাপেডিয়া'র উপজাতিদের ইতিহাস নিয়ে মনে হয় একটু সমালোচনাও হয়েছে (তথ্য - উইকি আর এই লিংক: Click This Link)

যাই হোক, আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

আপাতত এই আলোচনা মনে হয় একটু মূল ব্যাপারটিকে ডাইভার্টই করবে।

সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ হোক এবং একটি শান্তিপূর্ন সমাধান চাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৭

মধুখোর বলেছেন: সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধ হোক এবং একটি শান্তিপূর্ন সমাধান চাই

চলুন আমরা সবাই সমস্বরে আপনার কথাগুলোর প্রতিধ্বনি করি।

প্রসঙ্গটি ডাইভার্ট না হওয়াই ভাল। ধন্যবাদ নিজে চিন্তা করার জন্য এবং আমাকেও চিন্তিত রাখার জন্য।

৪৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৫৭

প্রক্সিনিক বলেছেন: আমি যতটুকু জানি, এই টিবেটো-বার্মান গ্রুপ হিসাবে যারা পারিচিত, তারা ২০০০ খ্রী: পূ: চীনদেশের নানা জায়গা থেকে খাদ্যের সন্ধানে বেড়িয়ে পড়েন। কেউ বার্মা থেকে দক্ষিন-উত্তর পথ ধরে এগুতে থাকেন, কেউ অন্যদিকে।
যারা সা-উ দিয়ে আসছিলেন তারা মিজো হিলস, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জায়গায় আসেন, সেখান থেকেও আবার ত্রিপুরার দিকে যান অনকে, তাও অনেক আগে। শেষ মাইগ্রেশন ৫৫০ বছর আগে প্রায়।

তা যেদিনই , যেই আসুক, অন্তত এত বছর কাটাবার পর তো আর কাউকে বহিরাগত বলা যায় না , যদি বহিরাগত হয়ও ,তাহলে তারা এখন কোথায় যাবে যাদের আক্ষরিক বাপ-দাদা এখানে জন্মে মরেছেন। অন্যথায় তাদের কেন অধিকার দেয়া হবে না ?

ইংল্যান্ড থেকে যারা অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন, এখন তারাই সেখানের লোক। যদিও আদিবাসীরা তাদের চাপে সেখানে শেষ, সেটা অন্য কথা, অন্য পরিস্থিতি।

দেখা যাচ্ছে, এই চট্টগ্রামবাসীরা বিভিন্ন সময় শুধু অন্যের হাতেই খেলেছে, আরকান যুদ্ধ , মনে করা যাক।

এবং এটাও ঠিক ২০০০ খ্রী থেকে এরা শুধু খাবারের খোঁজে ঘুরেই বেড়াচ্ছে এবং এই আজকে একবিংশ শতাব্দীতেও একই অবস্থা, যদিও এখন সরকার, সমাজ, সবই কাগজে পত্রে ওয়েলফেয়ার গভর্নেন্স।

প্রয়োজনে সংরক্ষন অবশ্যই চালু করতে হবে, যতদিন না একটা সমতা আসে। চারা গাছ বেড়া দিয়ে রাখার মত। ধরুন না , প্রধানমন্ত্রীকে পাহারা দিয়ে রাখার মত কারন প্রধানমন্ত্রী একজন মানে সংখ্যালঘু কিন্তু তাকে রাখতে আগলে কারন তিনি জরুরী । ঠিকতাই কারো অধিকারও জরুরী, তাকেও আগলে রাখতে হবে যতদিন না তা সঠিক ভাবে খাড়া হতে পারছে।

এখানে বাঙালী জাতিয়তা বাদ, ২৫ মার্চ ১৯৭১ কেই মনে করেই দেবে, একই চরিত্র হয়ে যাচ্চে না ?

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০৮

মধুখোর বলেছেন: আসল বিষয়টিকে ডাইভার্ট করতে চাই না। শুধু এটুকু বলে রাখি যে গঙ্গা নদীর অনুস্বার, বাংলার অনুস্বার, পাঘাচং এর অনুস্বার ইত্যাদি অনেকে মনে করেন চীনীয় ভাষাগত। বাংলামুল্লক যে একবার মঙ্গোলীয় জাতির আখড়া ছিল সেটা রবার্ট রিজলী বেশ জোরেশোরেই বলছেন এবং সুকুমার সেনসহ অনেক পন্ডিত তাতে সায় দিয়েছেন। ড. সিরাজুল ইসলামের (বাংলাপিডিয়ার সম্পাদক) এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখেছি বৃটিশ আমলেও ময়মনসিংহ, সিলেটের হাওরাঞ্চল ইত্যাদিতে ছিল গারো বসতির প্রাধান্য।
প্রাচীন কালে নয় এখনো রুটিরুজি ছাড়াও আরাম ও শান্তিসহ উন্নত জীবনের জন্য মাইগ্রেশন অব্যাহত আছে।
যাক আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:০১

প্রক্সিনিক বলেছেন: * 2000 BC

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১০

মধুখোর বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। আবারো ধন্যবাদ।

৫১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৭

পি মুন্সী বলেছেন: শেখ ফজলে এলাহী আপনাকে আমার একটা "সুশীল" বলতেই হচ্ছে। সেই সঙ্গে "সুশীল" আপনার সমাধান প্রস্তাব।

আপনি শেখ মুজিব থেকে শুরু করলেন কেন? শেখ মুজিব কী কাপ্তাই বাঁধ দিয়েছিলেন? নাকি আগেই উত্তরাধিকার সূত্রে পূর্বপাকিস্তান থেকে পেয়েছিলেন? তবে এটা সত্যি যে পুরানো সমস্যাটাকে জাতিয়তাবাদের দম্ভে খাটো করে তিনি জবরদস্তি করতে গিয়েছিলেন।

এবার আপনার শিরোনামের শেষটা দেখুন। আপনি শেখ মুজিব থেকে শুরু করে সবার - আগুন দেয়া, ঘি ঢালা, ফু দেয়া, ষড়যন্ত্র - সবই দেখতে পেলেন কিন্তু কলোনি লর্ড আ্যববুরি ও তাঁর বাংলাদেশী "সুশীল দোসর" এবং তাদের সংগঠন "CHT কমিশন" - এদেরকে দেখতে বা চিনতে পেলেন না। কেন? আপনার পুরা আলোচনায় এই লর্ড তাঁর চামচ আর কমিশন এগুলোর তৎপরতা ভুমিকায় আপনার চোখ গেল না কেন? আপনি এই লর্ডদের প্রস্তাবই নিজের প্রস্তাব বলে হাজির করেছেন তাই?

খেয়াল করেছেন, লর্ডদের এই প্রস্তাবই বলছে ওরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে চায়। লর্ডের ট্র্যক রেকর্ড দেখুন, পূর্ব তিমুরে তিনি কী করেছেন। আর এবারের ঐ একই সংঘর্ষের দিনে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ভারতের সরকারের সাথে ঘনিষ্ট তথাকথিত মানবাধিকার সংগঠন "এশিয়ান সেন্টার ফর হি্উম্যান রাইটস"এসিএইচআর জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবী করে বিবৃতি দিচ্ছে, এই হায়নার দল আপনার তালিকায় জায়গা পেল না। জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ বুঝেন তো? ব্লু হেলমেট; মানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী। ভারতের এই মানবাধিকারের প্রবক্তাদের ফর্মুলা অনুযায়ী তো ভারতেই কয়েক শ বার গুজরাট, কাশ্মিরে ব্লু হেলমেটে ভরে যাবার কথা।
লর্ডের এই ব্লু হেলমেট ফর্মুলাতেই পূর্ব তীমুর আলাদা হয়েছিল।

আমার উপরের কথার সারকথা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সমস্যা, হুমকি তৈরির ইস্যুতে উত্তরণ ঘটাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ছিন্নভিন্ন করে করে ফেলার চেষ্টা এটা - এই ঘোলা জলে মাছ শিকারে নেমেছে লর্ড আ্যববুরি, তার বাংলাদেশি কিছু চাকর-বাকর আর ভারত। এদের নাম বাদ দিয়ে আপনার এই পাঠক সহানুভুতি যোগাড়ের চেষ্টা আপনাকে বাদ দিতে হবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ভুমি সমস্যা আমরা কী করে সমাধান করব সেটা এখন আর মুল ইস্যু নয় - বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করছে যারা সেই হায়নার দলের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াতে হবে। নইলে বাংলাদেশকেও বাঁচানো যাবে না। এরা শেখ হাসিনাকেও গিলে খাবে। এটাই আমাদের প্রথম কাজ।

এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গ:
পাহাড়ি এলাকায় সমতলের কেউ বসবাস করতে পারবে কী না? এটাই এক ব্লগের মুল ইস্যু হয়ে উঠেছে, পক্ষে বিপক্ষে আমরা কথা বলছি।

রাগ ইমন ঠিকই বলছেন, সাংবিধানিকভাবে এটা সারা বাংলাদেশের সব নাগরিকের অধিকার। কোন কোর্টও এটা রুখতে পারবে না কারণ এটা সাংবিধানিক অধিকার।

কিন্তু নীচে না নেমে আমরা সাজানো তর্কের ফাঁদে পরেছি।

প্রথমত পাহাড়ে বসবাসের অধিকার সবার আছে। এটা শেখ হাসিনা বা কোন সরকার প্রধান বা রাষ্ট্রপতি কেউই শন্তু লারমা বা কারও সাথে এমন চুক্তি করতেই পারবে না যা সমতলীদের পাহাড়ে "বসবাসের অধিকার" নাকচ করে। যদি করে তবে নিশ্চিত থাকতে পারেন কোর্ট সে চুক্তি বাতিল বলে ঘোষণা করতে বাধ্য, এমনকী কোন দলীয় ব্যকগ্রাউন্ডের বিচারক হলেও।

তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
আমরা "বসবাসের অধিকার" নিয়ে তর্ক করছি। "বসবাসের অধিকার" মানে কী কোন পাহাড়ি বা সমতলীর জায়গা জমি দখল করে বসবাস? এটাই হলো আমাদের চিন্তার গন্ডগোলের জায়গা।
কেবল পাহাড়ি এলাকায় কেন, ধরেন বগুড়াও গিয়েও কোন সমতলী কী অন্য কারো জমি দখল করে বসবাস করতে পারে? নিশ্চয় সবাই বুঝতেই পারছেন, তার প্রশ্নই আসে না।
কনষ্টিটিউশনে ও কোর্টের সায় দেয়া - "বসবাসের অধিকার" মানে অন্যের (এমন কী সরকারি খাস জমিতে) জমি বেদখল করে বসবাসের অধিকার বুঝায় না।
কাজেই সারকথা হলো, পাহাড়ি এলাকায় সমতলী যে কেউ নিজের বৈধ মালিকানা জমিতে অথবা বৈধ মালিক কারও বাসা বা জমি ভাড়া নিয়ে বসবাস, ব্যবসা করতে পারবে। দুনিয়ার কেউ নাই এটা বাধা দিতে পারে; তাতে কোথাও কোন শান্তিচুক্তি একটা হোক আর নাই হোক।

তাহলে আমরা কি এতই গর্ধব, বেকুব যে এই সামান্য "বসবাসের অধিকার" কথাটার অর্থ না বুঝেই চিল্লাচিল্লি করছি। না, আমরা কেউই গর্ধব, বেকুব নই। কথাটা উঠার একটা কারণ আছে। এই কারণের ভিতরেই কারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সমস্যা,হুমকির মুখে ফেলতে চায় তাও বুঝা সম্ভব। এরাই "বসবাসের অধিকার" এই সহজ কথাটা কৌশলে সহজ মানে থাকতে দেয়নি।

পাহাড়ি যারা ভুমি অধিকার নিয়ে লড়ছে এরা একটা ভূমি ব্যবস্হা চাচ্ছে যাতে উদ্বাস্তু জীবনের আগে সকলে যে যে জমিতে বসবাস, চাষাবাদ জীবিকা নির্বাহ করছিল সেখানে ফিরতে পারে। এককথায় এটাই মুল সমস্যা, সব বিতর্কের কেন্দ্র বিন্দু। এটা সমাধা করা গেলে বাকী অন্যান্য সবকিছু সমাধান করা সহজ।

কিন্তু বদ-মতলবীর অভাব নাই। পাহাড়ি মানুষের ভুমি অধিকারের আকাঙ্খাকে, দাবীকে ব্যবহার করে এর ফাঁক গলে একটা প্রচার সামনে নিয়ে এসে ফেলেছে এরা। যেন পাহাড়ি মানুষের ভুমি অধিকারের আকাঙ্খার মানে হলো, পাহাড়ি এলাকায় কোন সমতলী বসবাস করতে পারবে না। অর্থাৎ বৈধভাবে পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান কোন সম্ভাবনা যেন না থাকে।
এটা অত্যন্ত ক্রুসিয়াল, গুরুত্ত্বপূর্ণ পয়েন্ট। কারণ একমাত্র পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান কোন সমাধান নয় - এই দাবি আকারে ইঙ্গিতে জোরালো প্রচারে প্রতিষ্ঠা করা মানেই বিচ্ছিন্ন হওয়ার দিকে পরিস্হিতিকে ঠেলে দেয়া সম্ভব। বদ উদ্দেশ্য সফল।
আকারে ইঙ্গিতে বললাম এজন্য যে আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনায় কোন পাহাড়ি নেতার পক্ষে বৈধভাবে পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান বিরুদ্ধে কোন কথা, কোন দাবি তোলার তাদের সুযোগ নাই। বৈধভাবে অর্থাৎ কোন সমতলীই এমন জমিতে বসবাস করতে পারবে না যেটার আইনী মালিক সে নিজে নয়, অথবা তা সরকারের নিজস্ব বা খাস জমিও নয় ফলে তাকে বরাদ্দেরও প্রশ্ন নাই; আরও সাধারণভাবে বলতে পারি, ধরে নেই কোন এক আদর্শ ব্যবস্হায় বা ফর্মুলায় ভুমি কমিশন একটা নতুন ভূমি ব্যবস্হায় সমাধান হাজির করতে সক্ষম হলো; ফলে তা বৈধ সমাধান।

পাহাড়ি নেতাদের কারও পক্ষে সে সুযোগ নাই এর মেলা কারণ আছে:
১. বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কনষ্টিটিউশনের বিরুদ্ধে যায় এমন কোন দাবি করে ঐ কনষ্টিটিউশনের অধীনে পাহাড়িরা বাংলাদেশে থাকতে পারে না।
২. শান্তিচুক্তির প্রথম ভিত্তিমূলক একটা কথা লেখা আছে যে, বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশন মেনেই পাহাড়িরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করছে।
৩. এমনিতেই কনষ্টিটিউশনের বাইরে গিয়ে দুই পক্ষ আঁতাত করে কোন চুক্তি করলেও আমাদের কোর্টে সেই চুক্তিই বাতিল হয়ে যাবে।
৪. বৈধভাবে পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান যদি পাহাড়িরা নাই চায় তবে পাহাড়িদের সমঝোতা চুক্তি করতে আসার কোন মানে হয়না, দরকারই বা কী? এরকম আরও পয়েন্ট বলা যাবে কিন্তু পাঠককে মুল বিষয়টা বুঝাতে পেরেছি মনে করে এখানেই বিরত থাকছি।

আশা করি বদ-মতলবীদের গোড়াটা দেখাতে পেরেছি।
এই বদ-মতলবীর শিরমনির ভুমিকায় নেমেছে লর্ড আ্যববুরি, তার বাংলাদেশি কিছু চাকর-বাকর আর তাদের সংগঠন "CHT কমিশন"। পাহাড়ি জনগণ ও নেতাদের এরা ভাল মতন তা দিচ্ছে। অথচ এই হায়নার গুষ্ঠি ভাল করেই জানে, পাহাড়ি জনগণের ভুমি অধিকারের আকাঙ্খার মানে হলো, পাহাড়ি এলাকায় কোন সমতলী "বসবাস করতে" পারবে না" - এই দাবি:

১. ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির মৌলিকভাবে বিরোধী
২. বাংলাদেশের কনষ্টিটিউশনের বিরোধী, কোন আদালত এই দাবি বা চুক্তি গ্রাহ্য করবে না বরং বাতিল করে দিতে বাধ্য।
৩. বৈধভাবে পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান কোন উদ্যোগ, এনজিও কার্যক্রম - মূল কথা সহবস্হানের কোন ধারণা তাদের তৎপরতায় রাখে নাই।

"CHT কমিশন" বাংলাদেশে কে? কী এর এক্তিয়ার?

সন্তু লারমার সাথে ১৯৯৭ সালের চুক্তির পর এই চুক্তির বাস্তবায়ন "মনিটরিং" করার এক মানবাধিকার সংগঠন হিসাবে উসিলায় এসব হায়নার প্রবেশ ঘটে। এখন "মনিটর" নিজেই কীবোর্ড হয়ে ইনপুট দিতে শুরু করেছে। সে নিজেই বৈধভাবে পাহাড়ি-সমতলীর সহবস্হান বিরুদ্ধে সমস্ত তৎপরতার প্রধান কেন্দ্র ও বিচ্ছিন্নতা মুখপাত্র হয়ে গেছে। সরকারকে দাবি জানাচ্ছে, সাধারণভাবে সমতলীদের "বসবাসের অধিকারের" বিরুদ্ধে পাহাড়িদের তাতিয়ে তুলে বলছে বাঙালীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই নাকি একমাত্র সমাধান।
সরকার ভুমি কমিশনের মাধ্যমে কোন সমাধান যদি বের করতে চায়, সরকারি মালিকানাধীন জমিতে যদি কাউকে পুনর্বাসিত করতে চাই - না সেটাও সরকারের করার কোন সুযোগ তাঁরা রাখতে রাজী না। ভুমি কমিশন কাজই করতে পারলো না, কোন মাঠের সমাধান বের করা সম্ভব কি না তাও যাচাইয়ের কোন সুযোগ পেল না - এরা আমাদের সে সুযোগ দিতে চায় না। কোন শান্তিপূর্ণ সহাবস্হানের সমাধানের লক্ষ্যে কোন কাজ যেন না হয় - এটাই এর মূল লক্ষ্য। পাহাড়ি-বাঙালি পরপস্পরকে কেটে রক্তের হোলিখেলায় যেন মেতে উঠে - এছাড়া আর কোন সমাধান নাই এটাই যেন প্রমাণ হয় - সে পথে সবাইকে ঠেলে দিচ্ছে এরা। আর জাতিসংঘের শান্তিবাহিনী নামানোর জায়গা তৈরি করছে।

আমরাও পক্ষে বিপক্ষে ভাগ হয়ে এই হায়নাদেরকে চিনতে পারছি না।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:২৮

মধুখোর বলেছেন: পূর্ব তিমুরের মত ঘটনার জন্য লর্ড আ্যববুরিকে একা দোষ দিয়ে লাভ নাই। ইন্দোনেশিয় সেনাবাহিনী সেখানে কি করেছিল, বিশ্ববাসী তা জানে। আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হল পূর্ব তিমূর থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার আছে।

৫২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৫

রাগ ইমন বলেছেন: পি মুন্সী ভাই,

আপনার মন্তব্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে কপি করে নিয়ে গেলাম। শেয়ার করতে পারি। ফেস বুকে । নতুন পোস্ট হিসেবে দিতে অনুরোধ করছি । আপনি না দিলে আমিই দেব।

এক চক্ষু বিশিষ্ট পন্ডিত ও মানবতাবাদীদের চোখ না খুললে , আখেরে ভীষণ বিপদে পড়তে হবে আমাদের।

এলাহি ভাই, আমার মন্তব্যেও লর্ডের কর্মের ইঙ্গিত ছিলো , আপনি সযতনেই এড়িয়ে গেছেন । জানি না কেন । কোন মতলব খুঁজতে খারাপই লাগে।

৫৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২৩

নিস্তব্ধ বলেছেন:
পাহাড়িরা " বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে বিশ্বাস করে কিনা?"

আমি যশোরিয়া , ঢাকাইয়া, সিলটি, নোয়াখাইল্লা , দিনাজপুরিয়া হয়ে যদি বাংগালী হইতে পারি , তাহলে পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ধর্ম বজায় রেখে তাদের বাংগালী , মতান্তরে বাংলাদেশী হইতে সমস্যা কোথায়?
_________________________________________

রাগইমনের মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হলো মগবাজারের একটি ছাগী খোয়ার থেকে পালিয়ে চিল্লাচ্ছে।

পাহাড়িরা বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে বিশ্বাস করে কিনা তার চেয়ে বড় প্রশ্ন হলো পাহাড়িদেশ রাস্ট্র তার নাগরিক মনে করে কিনা? করলে অবশ্যই রাস্ট্রীয় সহযোগিতায় সেখানকার বাঙালীরা তাদের উপর হামলা নির্যাতন হতো না। রাস্ট্রের ভুমিকাটাই সবচেয়ে প্রশ্নবিদ্ধ।

যশোরিয়া , ঢাকাইয়া, সিলটি, নোয়াখাইল্লা , দিনাজপুরিয়া কোন এগুলি জাতিসত্তা নয় বরং একেকটি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা। এথনিসিটি বিষয়টি সম্পুর্ণ ভিন্ন জিনিষ। সংখ্যায় কম বলে তাদেরকে বাঙালী হইতে হবে? এদেশে মুসলমান ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষ যারা আছে তার সংখ্যায় কম বলে সবাইকে কি মুসলমান হতে বলবেন?

৫৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৩

রাজিব খান০০৭ বলেছেন: comment by: জানপরী বলেছেন: পাহাড়ে শান্তি আনয়নে লেখকের দুটো প্রস্তাবঃ ১.পার্বত্য অঞ্চলে পরোক্ষ সেনাশাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা ২. জিয়া এবং এরশাদের আমলে যাদেরকে সেখানে প্রবেশ করানো হয়েছিল, তাদেরকে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা।

ভাল, ভাল প্রস্তাব। বুঝা যাচ্ছে, আপনার কাছে মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি।
মাথা ব্যাথা হয়েছে তাই মাথা কেটে ফেলতে হবে। অবান্তর যুক্তি।

পোস্টে মাইনাস।একমাস ছিলাম পাহাড়ে।আধিবাসীরা কি চিজ তা দেখে এসেছি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

মধুখোর বলেছেন: মাত্র এক মাস। তাও সম্ভবত বাঙালি আত্মীয় স্বজনদের কাছে ছিলেন।

৫৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৫৪

পি মুন্সী বলেছেন: রাগ ইমন@ আপনার অনুরোধ রেখেছি। পোষ্ট দিয়েছি। দেখবেন।
মনে হচ্ছে এইপোষ্ট ভাঙ্গা হাট হয়ে গেছে।
Click This Link

৫৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৩

রাগ ইমন বলেছেন: পি মুন্সী,

দেখেছি , মন্তব্য করেছি। অনেক ধন্যবাদ ।
--------------------

উপরের ছাগল , আমরা মানুষরা একটু ব্যস্ত আছি । পরে আসো ।

৫৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৬

মনজুরুল হক বলেছেন:

আপনার অন্যান্য পোস্টের সাথে মিলিয়ে পড়লে কিছুটা বিভ্রান্ত হই, তবে এই পোস্টকে স্বতন্ত্রভাবে দেখলে এটি অসামান্য পোস্ট। প্রিয়তে এবং পর্যবেক্ষণে রাখলাম।

দেখি আলোচকরা কি আলোচনা করেন। আপাতত শুধু এটুকুই বলে যাচ্ছিঃ মাত্র শ'খানেক এক ভাষাভাষির মানুষও স্বায়ত্বশাসনের দাবি তুলতে পারে। সেই দাবি নিয়ে প্রতিবাদী হতে পারে। প্রতিবাদে জীবন বিপন্ন হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদি লড়াইয়ে সামিল হতে পারে। উগ্র জাতীয়তাবাদ যে চূড়ান্ত বিচারে ফ্যাসীবাদ সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬

মধুখোর বলেছেন: বিভ্রান্তির কিছু নাই। আমি যেমন করে বুঝি, তেমন করে প্রকাশ করি। আমার মাথা কারো কাছে বন্ধক নাই। আপনি আমার পোস্টটাকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন, তাতে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার ফ্যাসীবাদের বিষয়টা খুব ভাল লাগল। আসলে একথা আমার মাথায় আগে আসলে মূল পোস্টে একটা টাচ দিয়ে রাখতাম।

৫৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৪৪

কুঙ্গ থাঙ বলেছেন: অসাধারন লেখা। কিছু মন্তব্য পড়ে রীতিমতো আতঙ্কিত হলাম। অনেককে নতুন করে চেনা হলো। পাহাড়ে পাহাড়ী-বাঙালী সহাবস্থান যে সম্ভব নয় এদের কথাবার্তা এবং মানসিকতায় তা আরো স্পস্ট হয়ে উঠেছে। পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।

৫৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৭

নাজিরুল হক বলেছেন: হুমমম অনেক কিছু জানলাম।

সরকারের উচিৎ শান্তির পক্ষে কাজ করা। বাঙালী আর অবাঙালী বিষয়টি মাথায় না এনে আমরা সবাই একই দেশের নাগরিক, এই ভাবে ভাবতে হবে। জমি জমা বিষয়ক ইস্যুটাও সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারে।

আশা করি বর্তমান সরকার দিন বদলের সরকার তাই এই বিষয়টাকে শান্তি পূর্ণ ভাবে সমাধান করবে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৩৮

মধুখোর বলেছেন: আমরা সেই আশাতেই আছি।

৬০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:০৬

কার্ল মার্কস বলেছেন: খুব সহজ ভাবে বুঝি > বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সকল জায়গায় যাওয়ার, বসবাস করার এবং সম্পত্তি ক্রয় করার অধিকার আছে। যারা ঐ অঞ্চলে না থেকে, ঐ অঞ্চল কে জানার দাবী করছে> স্রেফ মিথ্যুক। যেহেতু পার্বত্য অঞ্চলের ভু কাঠামো গত কারণে এর নিরাপত্তা বিধান শুধু পুলিশ করতে পারে না তাই রাষ্ট্র যা যা প্রয়োজন তার ই নিয়োগ করবে। এত রাষ্ট্রে সু নাগরিকের সমস্যা হয় না, যারা অপরাধে জড়িত তারা ছাড়া। সেনা বাহিনী থাকা মানে মর্শাল ল নয়।

পি মুন্সি চমৎকার বলেছেন, সাথে রাগ ইমন ও নেক্সাস... ধন্যবাদ সকলকে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪৪

মধুখোর বলেছেন: যারা ঐ অঞ্চলে না থেকে, ঐ অঞ্চল কে জানার দাবী করছে> স্রেফ মিথ্যুক।
আপনার উপরের মন্তব্যে মনে হয আপনি পার্বত্য অঞলের বাসিন্দা। নিদেন পক্ষে আপনার আত্মীয়স্বজনও সেখানে থাকতে পারে। আমি পার্বত্য অঞ্চলে মোটামোটি সময় কাটিয়েছি। আমাকে একেবারে অনভিজ্ঞ বলতে পারেন না।

৬১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২২

খারেজি বলেছেন:




ফজলে এলাহী


সালাম। মুন্সী মার্কসের নাম নিয়া জাতীয়াতবাদী খোয়ারে বিউগল বাজায়, বাজাক।


আপনি দায় শোধ করলেন।

৬২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:২৬

খারেজি বলেছেন: বহুদিন পর একটা পোস্ট পেলাম, প্রিয়তে নেবার মতো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৮

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ

৬৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫৪

খারেজি বলেছেন: রাগইমনের নিকটা কি হ্যাকড হলো? না হিস্টিরিয়া!
রাগ ইমনের কমেন্টগুলোর একটা সংকলন কর্লাম।



দেখি একটা পর্যালোচনায় যাওয়া যায় কি না।

৬৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১৭

পারভেজ বলেছেন: পাহাড়ের ঘটনায় যতোটা না আতংকিত হয়েছি; তার চাইতে অনেক বেশী শংকা জাগলো মন্তব্য গুলি পড়ে!
আমরা মনে হয় মনুষত্ব্যকে নীচে ফেলে জাতীয়তা, ভূমি, স্বাধীকার আর স্বাধীনতা নিয়ে জানপ্রাণ খিঁচে ফেলছি!!
বাঙালী- বাংলাদেশী, আমার ভূমি/তোমার ভূমি এইসব স্টাবলিশ করতে না পারলে মনে হচ্ছে জীবনটাই বৃথা!
যে মা তার পু্ত্র হারায়, যে কন্যা তার পিতাকে, জাতপাত ভেদে তাদের শোকের ভেতর কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনা।
যে বসতগৃহতে আগুন লাগায় সে সন্ত্রাসী, যে নারীর শ্লিলতাহানীতে ইন্ধন যোগায় সেও ধর্ষক। এদের কোন জাতভেদ নেই। আগে প্রতিরোধ করতে হবে এদের আর যারা এতে ইন্ধন যোগায় তাদের।

ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৪০

মধুখোর বলেছেন: যে মা তার পু্ত্র হারায়, যে কন্যা তার পিতাকে, জাতপাত ভেদে তাদের শোকের ভেতর কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনা। যে বসতগৃহতে আগুন লাগায় সে সন্ত্রাসী, যে নারীর শ্লিলতাহানীতে ইন্ধন যোগায় সেও ধর্ষক। এদের কোন জাতভেদ নেই। আগে প্রতিরোধ করতে হবে এদের আর যারা এতে ইন্ধন যোগায় তাদের।
আপনার এ মন্তব্যের সাথে একমত। ধন্যবাদ আপনাকেও।

৬৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৪

স্তব্ধতা' বলেছেন: @কার্ল মার্কস বলেছেন:''বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে সকল জায়গায় যাওয়ার, বসবাস করার এবং সম্পত্তি ক্রয় করার অধিকার আছে।'' সহজভাবে বুঝলেতো হবেনা, সেই অধিকার আপনার আর নাই।৯৭ এর চুক্তি সে অধিকার হরণ করেছে।

3. (A) sub-clause (1) in clause 62 will be replaced by the following:

a) Whatever exists in the currently prevailing laws, without prior permission of the parishad, no lands, including leasable khas lands in the district, can be leased out, sold, purchased or transferred.

পরিষদ বলতে এখানে পাহাড়ী পরিষদের কথা বলা হয়েছে।বাংলাদেশের আর কোন অঞ্চলে জমি কিনতে এরকম পারমিশন লাগে এটা আমার জানা নাই।

b) Whatever exists in the currently prevailing other laws, the government cannot acquire or transfer any lands, hills and forests under the jurisdictions of the Hill District Parishad without prior discussion and approval of the Parishad.

পরিষদের ক্ষমতা দেখেন, এমনকি সরকারও পারবেনা ল্যান্ড এ্যাকুয়ার করতে, বাংলাদেশের আর কোথাও আছে এই জিনিস?

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

মধুখোর বলেছেন: পার্বত্য অঞ্চলে জমি ক্রয়ের বিষয়ে অপাহাড়িদের উপর শর্তারোপ নূতন নয়। অপাহাড়িদের আগ্রাসন থেকে পার্বত্য এলাকার লোকদের রক্ষা করার জন্য ১৯০০ সালেই পার্বত্য এলাকায় জমিক্রয়সহ সেখানে প্রবেশের উপর কড়াকড়ি আরোপ করেছিল। ১৯০০ সালের ম্যানুয়েলের প্রধান দুটি শর্ত ছিল
# Chittagong Hill Tracts was made out of bounds for a non hill man unless he was in possession of a permit issued by the Deputy Commissioner(D.C) at his discretion.
# The Deputy Commissioner was given the right to expel any one who was not a native of the district (non-tribal) if he was found to be harmful/injurious to the peaceful administration of the district.

শান্তিচুক্তির শর্ত আরো নমনীয়।

৬৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১:১১

রেজোওয়ানা বলেছেন: বেশ কিছু মন্তব্য পড়ে অতঙ্কিত হলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩০

মধুখোর বলেছেন: একটা গনতান্ত্রিক দেশে একটি বিষয়ে নানামত থাকতে পারে। এতে আতংকিত হওয়ার কিছু নাই। অধিকাংশ সচেতন বাঙালি দূর্বল আদিবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই আমার বিশ্বাস। আদিবাসীদের প্রতি যে পার্বত্য অঞ্চলে দলন হচ্ছে তা কিন্তু নয় রাজশাহী থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত বিসতৃত অঞ্চলে, বৃহত্তর ময়মনসিংহ, বৃহত্তর সিলেটেও আদিবাসীদের প্রতি এক শ্রেণীর বাঙালি নামধারি সন্ত্রাসী নিয়ত অত্যাচার উৎপীড়ণ চালিযে যাচ্ছে।

৬৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:২৫

কথেবিডি বলেছেন: চিন্তা গোষ্ঠী নিয়ে চিন্তা কইরে না । আপাতত পাহাড়ে গাছ কাটাই সামিল হই। এইসব তত্ত্ব ফত্ত্ব বাদ দিয়ে চলেন, সবাই পাহাড়ে যাই। সবাই মিলে গাছ উপরিয়ে ঘাস লাগিয়ে আছি। ভয় কিছের ১৫ কোটি মানুষের দুইটা হাতে দুইটা গাছ উপড়াইয়ে ফেললে তো পাহাড় আর থাকবে না আর পাহাড় না থাকলে পাহাড়িও থাকবে না, পাহাড়ি না থাকলে ভারতও এইসব ন্যাংড়া পাহাড়ও নিতে চাইবো না, আর ই ইউ ও পাহাড়ি গো স্বাধীন করার স্বপ্ন থাকবে না।
চল চল পাহাড়ে চল!
চল চল পাহাড় চল!
পাহাড়ে পাহাড়ে সুন্দর সুন্দর ঘাসের কার্পেটিং করবো, আহারে পাহাড়িরা ঘাসের কার্পেটের নিচে শুয়ে থাকবে, জুম্মুলেন্ড এর স্বপ্ন দেখবে শুয়ে শুয়ে। আর মহাপন্ডিত এবং মহাত্মা পি মুন্শী কে দিয়ে গাছ কাটা প্রকল্পের উদ্বোধন করানো হবে।


১৫ কোটি নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে কয়েক লাখ ( টাকা ) মাইনাস হলেও তেমন ক্ষতি নাই। সুতরাং সংখ্যা এবং অঙ্ক নিয়ে যাদের চিন্তা তাদের কাছে ডিজিট টা তো একটা ব্যাপার বৈকি।

আরেকটু বলি, অনেকেই জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বেশ চিন্তিত, কিন্তু জমি জমার হিসাব করতে গিয়ে উপমানু দের কথা কেউ চিন্তা করে না।

ভাইজান তোই আপনার এই শুকনো কথাই চিড়ে ভিজবে না, রাষ্ট্র - সরকার - শাসক শ্রেণী আপনার মতো সুশিলদের কথাও শুনবে না আর তেনাগোও শেষপর্যন্ত থাকা হবে না। এত্ত এত্ত মানুষ যামু কই, তাই পাহাড়িগো রাইখা ঝামেলা কইরা লাভ কি।

১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩২

মধুখোর বলেছেন: জানি চিড়ে ভিজবেনা, তবু অন্যায়ের প্রতিবাদ করার মধ্য দিয়ে অন্তত নিজের বিবেকের দংশণ প্রশমিত হবে।

৬৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৭

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় পোষ্ট। ফেইসবুকে শেয়ারড।

বাঙালীর চেয়ে খারাপ জাতি পৃথিবীতে আর একটা আছে, তার নাম ইসরাইল।
দলবেধে সবাই নীপিরণের পক্ষে।

ভাবতে কষ্ট হয় এই জাতির উপরেই পাকিরা ৭১ এ একই আচরন করেছিল। তবু এরা এমন!!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১২

মধুখোর বলেছেন: পুরো বাঙালি জাতিকে দোষী করা যায় না। বাঙালিদের মধ্যে যারা মতলব বাজ তারাই এসব কাজে রত। এরা প্রযোজনে পাহাড়িদের বিতাড়ণ করে, এরাই প্রয়োজনে চরের ধান জোর করে কেটে আনে। এরা হিন্দুর সম্পদ লুঠ করেছে, পাকিস্তানীদের পরিত্যক্ত সম্পদ আত্মসাৎ করেছে। এরা হল বুভুক্ষু পিরনাহ।

৬৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

চন্দন বলেছেন: একজন পাহাড়ী বাঙালীর, সমতলের সুশীল বাঙালীদের কাছে কিছু প্রশ্ন

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:২১

মধুখোর বলেছেন: জবাব আপনার ব্লগে দেখুন।

৭০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:২১

সুপান্থ রহমান বলেছেন: শেখ এর বেটা ফজলে..পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে পুরো জানতে হবে,আংমিক জানলেই সমস্যা। আপনি এর বড় একটি উদাহরণ। পাহাড়ের জমি সামাজিক মালিকানার তত্বটি কে দিছে আপনাকে?? কোন পাহাড়ী ? মিয়া ফাজলামি করার জায়গা পাননা.......
সামাজিক মালিকানার কথা আপনাদের বলে,খভর নিয়ে দেখেন.কোনটা সামাজিক?
এক একজন দেবাশীষ রায়,গৌতম দেওয়ান,সুজিত দেওযান,চিংকিউ রোয়াজা,একে দেওয়ান শত শত একর সম্পত্তির মালিক !! পাহাড়ের পাহাড়ী ভূমি দস্যুরা,এইসব গল্প বলে আপনাদের মতো গাধাদের বশ করে।।.............

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৯

মধুখোর বলেছেন: আপনার নামে সু লাগিয়ে যে ভাষায় মন্তব্য করেছেন তা অনবদ্য। তবে পাহাড়ে পাহাড়ি সামন্তদের জমি যে অনেক তা জানি। বাংলাদেশের আইনে পরিবার প্রতি ১০০ বিঘার অধিক কোন পরিবার জমি রাখতে পারেনা। পাহাড়ে যাদের ১০০ বিঘার বেশী জমি আছে, তাদের যেমন অতিরিক্ত জমি যেমন আইনমত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কথা, তেমনি উত্তরবঙ্গ, সিলেটসহ হাওরাঞ্চলে যাদের ১০০ বিঘার অতিরিক্ত জমি আছে, তাদেরও সকলেরই অতিরিক্ত জমি বাজয়াপ্ত করা আইনের দাবী। কিন্তু শাসকদলের শ্রেণী চরিত্র আধা সামন্তবাদী হওয়ায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সকলেরই সোচ্চার হওয়া প্রয়োজন। আর পাহাড়ে সামাজিক স্বত্ব ব্যাক্তিগত জমিতে কেউ দাবী করেনা। সামাজিক স্বত্বের কথা বলা হচ্ছে সরকারি খাস নামে অভিহিত বনভূমিসহ চীফদের পার্বত্য ভূমির ঢালের বিষয়ে। আর ব্যাক্তিগত সম্পত্তির বিষয়ে ১৯০০ সালের পার্বত্য ম্যানুয়েল অনুযায়ী সেটা পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারি স্থায়ী বাসিন্দাদের মধ্যেই হস্তান্তর সীমাবদ্ধ রাখার বিধান বলবৎ করাই পার্বত্য ভূমিতে অস্থিরতা দূর করার একমাত্র উপায়। আর ব্লগ কোন গবেষণাপত্র নয় যে একটি বিষয়ের সবকিছু ব্যাখ্যা করতে হবে। গাধা একটি নীরিহ প্রানী। সে মানবকুলের উপকার ব্যতীত কোন অপকার করেনা। অবশ্য আপনাকে ছাগচর্মে আবৃত্ত আবাদি নেকড়ে বলছি না।

৭১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:৩৯

মধুখোর বলেছেন: মন্তব্য অনেক হয়েছে। আমার পোস্টের পর এর প্রতিক্রিয়ায় আরো কয়েকটি পোস্ট জন্মলাভ করেছে। আমার কথা হল আমরা বাংলাদেশী হতে চাই, বাঙালিদেশী হতে চাই না। এখানেই শেষ করতে চাই মন্তব্য পর্ব। সবাইকে ধন্যবাদ।

৭২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ৩:৩৫

আরিফুর রহমান বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে গেলো।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:০৭

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৩| ০১ লা মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:২২

ইব্রাহীম আহমেদ বলেছেন: স হ ম ত + + +

০৩ রা মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৫৩

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১০ রাত ১২:০৮

মেটালিফেরাস বলেছেন: খারেজি বলেছেন:




ফজলে এলাহী


সালাম। মুন্সী মার্কসের নাম নিয়া জাতীয়াতবাদী খোয়ারে বিউগল বাজায়, বাজাক।


আপনি দায় শোধ করলেন।

৭৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১:২৭

িঠকানা বলেছেন: আপনি খুব ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার কাজের প্রশংসা না করলেই নয় । অনেক মন্তব্য উত্তর গুলি আপনার ছকের মধ্যেই দিয়ে যাচ্ছেন । আপনার মেধার দাম দিতে হয়। ১৯৭২ সালে ছিল ৪ দফা দাবী।

দাবীগুলো ছিলঃ ১. পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্বশাসন ২. পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য ১৯০০ সালের ম্যানুয়েল বহাল রাখা ৩. তিন জাতির চীফের দপ্তর অব্যাহত রাখা ৪. পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালি আবাদিদের অনুপ্রবেশ রোধ করা।

আর এখন ২০১০ সালে দালালির মাধ্যমে ২ দফা দাবী।

দাবীগুলোঃ ১.পার্বত্য অঞ্চলে পরোক্ষ সেনাশাসন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা ২. জিয়া এবং এরশাদের আমলে যাদেরকে সেখানে প্রবেশ করানো হয়েছিল, তাদেরকে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে পুনর্বাসন করা। এজন্য সমুদ্র উপকূলে জাগা নিঝুমচরহ পদ্মামেঘনাযমুনার জাগ্রত চরগুলোর কথাও ভাবা যেতে পারে। এসব আবাদি যতদিন পার্বত্য এলাকায় থাকবে,ততদিন সেখানে শান্তি স্থাপনের সম্ভাবনা খুবই কম।কাঁহার সাথে আপনার চুক্তি হয়েছে, গ্যারান্টি দিচ্ছেন। শান্তি চলে আসবে । বাঙালীদের চরে নির্বাসনে পাঠাতে চান।

আপনার কাছে অনুরোধ এই এক চিলতে মানচিত্র দ্বিখণ্ডিত করা থেকে বিরত থাকুন । ওদেরকে বলুন সমস্ত দেশ জুড়ে আমরা বাংলাদেশী মিলে মিসে থাকি যার যার ধর্ম,ভাষা, সংস্কৃতি তার তার ।

১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:১৯

মধুখোর বলেছেন: সেটেলারদের পার্বত্য এলাকা থেকে না সরালে সেখানে কখনো শান্তি আসবে না। কখখনো না। এ সত্যি কথাটা আমাদেরকে উপলব্ধী করতে হবে।

৭৬| ১০ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৫২

শূদ্র বলেছেন: কে আগে এসেছে পাহাড়ে আর কে পরে এসেছে এটা নিয়ে বিতর্কটার কোনো সমাধান হবেনা যতোক্ষণ না এই প্রশ্নের সমাধান হয় যে, কেন সমতল থেকে গরিব বাঙালিদের পাহাড়ে বসানো হচ্ছে।
শান্তি চুক্তির কথা বলছিলেন যারা তাদেরকে বলি এটা একদম ভেস্তে গেছে। সারা বাংলাদেশে যতো ক্যান্টনমেন্ট আছে তার চেয়ে বেশি সেনা চৌকি আছে তিন পার্বত্য জেলায়।
আমাদের দেশের সেনাবাহিনী কি এতোই জনতা প্রেমিক যে সাধারণ বাঙালিদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য সেনা ক্যাম্পে ছেয়ে ফেলেছে সবুজ পাহাড়?
হত্যাতো শুধু মেরে ফেললেই হয়না। আরো অনেক পদ্ধতি আছে মানুষ হত্যার। বিশেষত কোনো নৃ-তাত্বিক জাতি গোষ্ঠী হত্যার।
আমি একাধিকবার সাংবাদিকতার প্রয়োজনে পার্বত্য জেলায় গিয়েছি। সেখানে আমার খুব কাছের বাঙালি এবং পাহাড়ি বন্ধু আছে। তবে সে সবের ভিত্তিতেই এ মন্তব্য করছি না।
আমি যা দেখেছি তা থেকে এটা আমার মনে হয়েছে।
সাজেকে যখন বাঙালি এবং পাহাড়িদের ঘর পুড়িয়েছে ২০০৭ সালের জরুরী সরকারের সময়। তখন সাজেকের বাঙালি এবং পাহাড়িরা কিন্ত বলেছে রাতের আধারে সেনাবাহিনীর লোকেরা এই ঘরগুলোতে আগুন দিয়েছে। সেই আগুন জ্বালানোতে নেতৃত্ব দিয়েছে বাঘাইছড়ি জোনের তৎকালিন ক্যাম্প কমান্ডার কর্ণেল সাজেদ ইমতিয়াজ। আমেরা তখন সে কথা লিখতে পারিনি। কারণ দেশে তখন জরুরী অবস্থা চলছিলো। অবশ্য পাহাড়ে জরুরী অবস্থা চলেছ মুজিবের আমল থেকই।
প্রশ্নটা হলো কেন সেনবাহিনী এটা করে? এই প্রশ্নের সমাধান করা জরুরী।

আর আদিবাসী হত্যার হরেক রকম পথ এবং পদ্ধতি এই জমানায় চালু হয়েছে। তার অন্যতম একটি হলো জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের নামে তাদের সংখ্যা কমিয়ে দেয়া। ভাষা নষ্ট করা। সংস্তৃতির উপর আধিপাত্যকারী ভাষা (পাহাড়ে বাঙলা আর শহরে বহুজাতিক কোম্পানীর ভাষা) চাপিয়ে দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি।

১৩ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১২:১৬

মধুখোর বলেছেন: আপনি সত্যি কথা বলেছেন। আমিও কিছু কিছু বিষয় জানি। তাদের কাজ এতই লজ্জার যে সব প্রকাশ করতে আমার নিজেরই লজ্জা হয়।

৭৭| ১০ ই মার্চ, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ট্রয়লাস অফ দ্য সী বলেছেন: পোষ্টের চেয়ে কমেন্ট বেশী ভাল লেগেছে। প্রিয়তে।

১২ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:৪৪

মধুখোর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২৭

সুদিনের বার্তা বলেছেন: ভালো লাগল।

পাহাড়ে অনেকের জমি কেনার শখ মনে হচ্ছে কমেন্ট পড়ে... অন্য পোস্টেও বলেছি...ভারতের কাশ্মীরে যে কারণে নন-কাশ্মিরীরা জমি কিনতে পারে না ঠিক সেই কারণেই এখানেও সেই একই কারণে পাহাড়ে জমি কেনা জায় না...ভূমি আগ্রাসন ই জাতিসত্তা নিধনের অপর নাম। তবে জমিদখল তো আর থেমে নেই...চলছেই...যে জায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ...

বাঙ্গালিরা পাহাড়ের আদিবাসী এই কথা বলে হাস্যরসের স্রিষ্টি করার কোন মানে দেখি না....সেটেলার পাঠানোর প্রায় ৩০ বছর হলেও জারা পাহাড়ী পরিবেশে খাপ খাওয়াতে পারেনি বরং অনেকেই সরকারী মাসিক ৮৮ কেজি রেশনে পরনির্ভরশীল হয়ে পড়েছে; পাহাড় যে তাদের জন্য নয় তা দিবালোকের মত স্পষ্ট।

আর তাদের রাজাকার রাজাকার বলছেন...৭১ এও তো কয়েক লাখ বাঙ্গালী রাজাকার/স্বাধীনতা বিরোধী ছিল...এ জন্য কি পুরো বাঙ্গালি জাতি রাজাকার ? নিসচয় নয়...তাই ওই এক ত্রিদিব রায়ের কথা বলতে চাইলে সে সাথে মুক্তিজোদ্ধা বরেন ত্রিপুরা, মং চিনু মারমা, চিত্তরঞ্জন চাকমা, আনন্দ বাশী চাকমা, রমণি রঞ্জন চাকমা সহ প্রমুখের নামও বলা উচিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভারতের মাউন্টেন ডিভিশনের মেজর জেনারেল বি এফ গঞ্জাল্ভেজ পাহাড়ি মুক্তিজোদ্ধাদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং পরামর্শ দেন ভারতের গুর্খা,শিখ রেজিমেন্ট'র মত পাহাড়ি রেজিমেন্ট গঠন করতে। মুক্তিজুদ্ধর স্টেরিওটাইপ ভুল ধারণা ভাঙ্গার জন্য সাবেক রাষ্ট্রদূত এস এস (শরদিন্দু শেখর) চাকমার লেখা মুক্তিজুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রাম (অঙ্কুর প্রকাশনী) বইটি সাহাজ্য করবে।

ছোট মন নিয়ে দেশ পরিচালনা ঠিক নয়...ভারতে চাকমারা সীমিত পরিসরে হলেও স্বায়ত্বশাসন পেয়েছে..http://en.wikipedia.org/wiki/Autonomous_regions_of_India) দেশ ভাগ হওয়ার জুজু আর কত...

৭৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ৮:৩৩

ফুরামন ২ বলেছেন: সন্তু লারমার কালা চাকমাদের দল অনেক ভারি এটাই প্রমাণ করে এই পোস্ট।

১৮ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৪৬

মধুখোর বলেছেন: মনে হচ্ছে আপনার বাড়ি রাঙামাটি।

৮০| ১৯ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৪

ফুরামন ২ বলেছেন: মনে হওয়ার কিছু নাই, আমার নিক, ব্লগের শিরোনাম এবং ছবি সবই রাঙ্গামাটির মাটি আর বাতাসের সাথে মিশে থাকা ঐতিহ্যের প্রতীক। যা আমার রক্ত আর মানসিকতায় সমানভাবে মিশে আছে।

৮১| ০৩ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৩:৩৯

লুলু পাগলা বলেছেন: প্লাস এবং প্রিয়তে গেলো।

৮২| ০৮ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৫:০৪

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: প্লাস দিয়া ভুল করলাম...আপনাকে ইন্ডিয়ার দালাল ছাড়া আমার আর কিছুই মনে হচ্ছেনা...মন খারাপ কইরেন না...দালালি দেখতে ভাল্লাগেনা...নিরপেক্ষ কথা বলতে সিখুন ভাই...কন এন জি ওর কাছ থেকে কত খেয়েছেন? আমি তো জানি এসবের জন্য টাকা ঢালতে ওরা দিধা করেনা...

৮৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৬

সুপান্থ রহমান বলেছেন: কি আর বলব ? এইসব লেখার কোন জবাব আমি দিইনা কোনকালেই। একটি তথ্য বলি...এইরকম পেইড ব্লগার,সাংবাদিক,বুদ্ধিজীবি দেশে বহুত আছে। পাহাড়ে আসবেন,মদ খাবেন,পাহাড়ী মেয়ের দিকে লোলুপ চোখে তাকিয়ে মুগ্ধ হবেন,আর ফিরে গিয়ে আমাদের.........মারবেন। আপনারা পাহাড়ে ৩০ হাজার বাঙালির মৃত্যু নিয়ে কিছূ বলেন না,চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্য নিয়ে কিছু বলেননা.আর পাহাড়ীদের কিছু হলেই.................হা হা হা.......হায়রে বাংলাদেশ। যে মাটিকে রক্ষা করতে এই পাহাড়ে প্রাণ দিলো বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ , সেই পাহাড়ে বাঙালী থাকতে পারবেনা !!!!!!!!

৮৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৮

এক্স বলেছেন: আপনার দাবীর সাথে সহমত... এই জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের সমাপ্তি আশু কামনা করি.

৮৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১

এক্স বলেছেন: সুপান্হ - এই সমস্যার কারন হল জাতীয়তাবাদ এবং শোষন... সুবিধা বন্চিত বাঙ্গালীদেরকে ফোর্স করে পাহাড়ে পাঠিয়ে পাহাড়ীদের ভূমিতে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে. তার ফলাফল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারা মারি. এইখানে কোন সাইড নেয়ার সুযোগ নেই কারন দুই সাইডই একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীর ফসল.

৮৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৮:৪৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না। উপজাতিদের যদি সামর্থ্য থাকে তারাও সারা বাংলাদেশের যেখানে খুশী সেখানে জমি কিনবে। ঠিক তেমনি বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রামে জমি কিনতে শর্তারোপ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের জন্য সহায়ক হবে।

৮৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

পিচ্চি চাপাবাজ বলেছেন: what do you think army is very much fond of hill tracts??

so that they can die beacuse of mosquito,chakmas,leaving there family on plain land.

think about it.

৮৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

পিচ্চি চাপাবাজ বলেছেন: শূদ্র dont spread ur dirty shit in this blog.do u think an army colonel will go to burn chakmas house??where as hs has so many under command to do this.

৮৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:০০

মোহাম্মাদ রাকিবুল হাসান বলেছেন: ভাই কিছু মনে করবেন না, ব্যক্তি আপনাকে কিছুই বলছিনা..

লেখা, কমেন্ট সব মিলিয়ে মনে হয়েছে.. আপনি বিশেষ একটি গোষ্ঠির দাবীকে প্রতিষ্ঠা করতে ভাড়া খাটছেন... এবং বেশীরভাগ মানুষ জোড়ালো ভাবে আপনাদের বিপক্ষে.। আমিও শুনেছি সেনাবাহীনি.. সেখানে অমানুষিক নির্যাতন করেছে... তো জোর দাবী তুলুন সেখানে যাতে প্রশাসন আরো ভালো ভাবে কাজ করে.... সেখানকার ভুমি বন্দোবস্ত আরো সুষম হোক, সেখানকার অসাম্য ব্যাবস্থা থাকলে সেগুলো সমাধান করা হোক, সে গুলো বলবেন না, আপনাদের একই কথা .. পাহাড়ে বাঙ্গালী থাকবেনা। বলি পাহাড় কি আপনার দাদাদের নাকি বাংলদেশের?

দেশের স্বধীনতা সবার উপরে, শুধু রাজাকার আর ভারতীয় দালালরা এর বিপক্ষে।আর আমাদের জাতীয়তাবাদ তো বাংলাদেশী ... পাহাড়ী কোন জাতীয়তাবাদ নয়... আমরা কেউ বাঙ্গালী কেউ চাকমা, ত্রিপুরা, কুকি খুমি.. ইত্যাদি... কিন্তু সবার উপরে আমরা সবাই বাংলাদেশী। যারা এ বাইদে অন্য কোন কিছু চিন্তা করে তারাই প্রকৃত দেশদ্রোহী হওয়ার কথা।

৯০| ২৪ শে মে, ২০১১ রাত ৮:৪৫

lekidon1 বলেছেন: biplob ke jumma kukor diye choda dile tar ei nirlojjo dalali bondho hote pare.. khankir pola pahari der ass diye tor khaislot kharap hoye gese.. tor moto sosta prostitute ke vadro mase pahari jumma kukor diye chudano usit.

৯১| ১১ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:২৮

ভাবসাধক বলেছেন: বাংলাদেশে বাঙালীরাই আদিবাসী। আর উপজাতী হিসাবে এখন যারা পাহাড়ে বসবাস করছে তারা বাংলাদেশের অবৈধ ইমিগ্রেন্ট।

উপজাতিরা আদিবাসী না তারা বাংলাদেশের অবৈধ মাইগ্রেন্ট। তারা এসেছে বার্মা, আসাম, ত্রিপুরা এই সব দেশ থেকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.