![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেষ কথা দিয়েছিলাম অতীতে
হৃদয় জমিন পরিণত হয়েছে বিরান ভূমিতে
পাখিদের কোলাহল আর সরষে ফুলের হলুদ রঙে
শোভিত হৃদ বাগানে এখন শূন্য বীজের চাষ-
যেন রাত্রির পিচঢালা রাজপথের বাঁকে বাঁকে
তীর্থ কাকের প্রতীক্ষার মতই আঁধারের বসবাস।
বেদনার বুকটা ধ্বক করে ওঠে
অঞ্জনকে ফেলে এসেছে সে অতীতের চার দেয়ালে-
তবে আজো তাদের খুনসুটির মায়াময় স্মৃতিগুলো
ভীষণ চারা দেয় মনের ওলিগলি!
ভালোবাসার প্রজাপতিরা যখন তুলতুলে পাখার
ছোঁয়ায় হৃদয় বাগানে নরম-সরম আবীর ছড়িয়ে
দিত ঠিক সেই সময় অঞ্জন একটি কবিতার বই
উপহার দিয়ে বলেছিল, আছি কাছাকাছি-পাশাপাশি-
আদুরে-আমুদে ভালোবাসার পরশ নিয়ে।
হাত বাড়ালেই পাবে আমাকে যখন ইচ্ছে তেমন
তোমার কবিতার মতন।
শেষ কথার মতই আজ সে অতীত অথচ
কবিতার বইটি বেদনার হাতে সুরক্ষিত আছে!
কবিতার বইটি আজ বেদনার একান্ত সঙ্গী-
কথা দিয়েছে শুক্লা দ্বাদশীর কোনো শুভক্ষণে
সবাই ছেড়ে চলে গেলেও সে সাথেই রয়ে যাবে!
মাঝে মাঝে প্রশ্নরা এসে মনে এলোমেলো
ঝড় তোলে শেষ কথা কেন রাখতে পারেনা মানুষ?
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে রাত পেরিয়ে সকালের
আগময় হয় তা বেদনা বুঝতেই পারেনা!
হটাৎ রোদ গালে মিষ্টি পরশ বুলিয়ে জানিয়ে দেয়
এখনো অনেকখানি পথ বাকী সামনের দিকে এগোনোর-
তাজা তাজা অক্ষরবৃন্তরা বেদনার কোল জুড়ে খেলছে!
তখনও কবিতার বইটি হাতেই রয়ে যায়
তার শেষ কথাটি বজায় রেখেই।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবিতার পরতে পরতে দীর্ঘশ্বাস ! কবিতায় জি পি এ ৫ দিয়ে গেলাম ।