নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি. সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি?

একদম_ঠোঁটকাটা

একদম_ঠোঁটকাটা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুধর্ম ভাবনা -৩ (অধুনালুপ্ত সতীদাহ প্রথার উৎপত্তি)

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

সতী প্রথার উৎস বেশ বিতর্কিত। বাল্মীকি রামায়ণ এবং বেদ এর মত প্রাচীন শাস্ত্রে সতী প্রথার কোন উল্লেখ নেই বরং সেইসময় বিধবা নারীরা বাড়ীতে ও সমাজে আত্ম-সম্মান নিয়ে জীবনযাপন করতেন। মহাভারতে কয়েকটি উদাহরণ রয়েছে যেখানে নারী আত্মহত্যা করে - কিন্তু তা কোন অনুশোচনা / চরম দুঃখের থেকে [রানী মাদ্রি সতী হন,সঙ্গমকালে তার স্বামী পান্ডুর মৃত্যুতে শোকে ]। পান্ডুর অন্য বিধবা রানী কুন্তি বিধবা হিসাবে ভালভাবে বেঁচে ছিলেন,যেমন হস্টিনাপুরের অন্যরা ছিলেন।

সুপ্রাচীন হিন্দুধর্মে জোরপূর্বক বিধবা নারীকে পোড়াবার কোন রীতি ছিলনা। আরও প্রমাণ হিসাবে বলা যেতে পারে , বুদ্ধ ও মহাবীর কখনো তৎকালীন সমাজে এই প্রথাটির চলিত থাকার কোন উল্লেখ করেন নি, এমনকি প্রাচীন বৌদ্ধ / জৈন ধর্মগ্রন্থে এর কোনটিইর উল্লেখ নেই। যদিও বুদ্ধ জীব হত্যা নিয়ে এত কথা বলেছেন, তাহলে কীভাবে তিনি ও অন্যরা নারীদের জোরপূর্বক হত্যা নিয়ে কোন উল্লেখ করেন নি ? আদি শংকরআচার্য এবং অন্যান্য ধর্ম সংস্কারকদের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যেতে পারে। সুতরাং, এটা বলা যেতে পারে এই প্রথা সম্ভবত নগণ্যভাবে বিদ্যমান ছিল কিন্তু মানার জন্য কোন জোর জবরদস্তি ছিল না।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কখন এসেছে এবং কেন? সেখানে পৌঁছানোর জন্য আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, কোথায় এই প্রথার প্রচলন ব্যাপক হয়ে ওঠে।

উত্তরপূর্ব ভারতে রাজপুত পরিবারগুলির মধ্যে সতীদাহ প্রথার নিয়ম ব্যাপক আকার ধারণ করে কিন্তু ভারতের অন্যান্য অংশে সতীর এরকম প্রচলন ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, তামিল সাহিত্যে, সতী সম্পর্কে কোনও উল্লেখ পাওয়া যায় না, প্রাচীন ভারতীয় সাহিত্যে অনেক জনপ্রিয় নারী ব্যক্তিত্ব বিধবা ছিলেন।

এখন কথা হল, উত্তরপশ্চিম ভারত এর বিশেষত্ব কোথায়? এর কারণ নিহিত আছে ভারতে বহিঃশত্রুর আক্রমণের প্রবেশদ্বার ছিল উত্তরপশ্চিম ভারত, সেই কারণেই সেখানে সতীদাহ প্রথার উত্তান দেখতে পাই। আগ্রাসী বহিঃ শত্রুদের দ্বারা ঘিরে থাকা গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষাংশে জোরপূর্বক সতীদাহর ঘটনা কিছু কিছু ঘটেছে । সেই সময়ে লিখিত পুরাণগুলিতে সতীপ্রথা উল্লেখ করা হয়, কিন্তু তাতে পরস্পর বিরোধিতা ছিল। কেউ এই অনুশীলন এর প্রশংসা করে আবার অন্যরা এটি নিষিদ্ধ করে।

কিন্তু ১৪তম শতাব্দীতে ইসলামী আগ্রাসনের সাথেসাথে রাজপুৎ রাজত্ব গুলিতে এই প্রথার প্রচলন ব্যাপক ধারণ করে। বহিঃ শত্রুর আক্রমণের কারণে ব্যাপক হারে - গণধর্ষণ এবং দাসত্ব এড়াতে হিন্দু নারীরা জহর নামে গণ আত্মহত্যা করে। এর বিখ্যাত উদাহরণ হল - আলাউদ্দিন খিলজীর আক্রমণের সময় রানী পদ্মিনীর আত্মহত্যা। এই আত্মহত্যা একটি প্রধান কারণ হয়ে ওঠে, ভারতবর্ষে এই সতীদাহ প্রথার বিপুল প্রসারণ ও প্রশংসিত হওয়ার জন্য। হঠাৎকরে চারদিকে তার আত্মহুতির সম্মানে মন্দির তৈরি হতে থাকে এবং আত্মহত্যা একটি পুণ্যের বিষয় হয়ে ওঠে।

তার মৃত্যুর পর রানী পদ্মিনী একটি জনপ্রিয় চরিত্র হয়ে ওঠে এবং সেইথেকে বিধবাদের আগুনে ঝাঁপ দেওয়া একটি রীতি হয়ে ওঠে সেই অঞ্চলে। যেসব নারীরা এটা প্রত্যাখ্যান করেছিল,হয় তাদের আগুনে নিক্ষিপ্ত ছিল অথবা কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।

অবশেষে এই জঘন্য প্রথা এবং রানী পদ্মিনীর গল্প অন্যান্য রাজপরিবারে যেমন মারাঠা এবং বিজয়নগর সাম্রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

সেই সময়ের দক্ষিণ এশিয়াকে বোঝার এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল psychology of fear- ধর্মচ্যুত হবার ভয়। এখনো পাকিস্তানে হিন্দুদের দুঃখজনক জীবনযাপন ভারতের সাথে সীমান্ত অঞ্চলকে এবং রাজনীতিকে উত্তপ্ত করে - সেটা হল সেই ভয়ের থেকেই। এই ভয়ই কিছু হিন্দুকে অতিরক্ষণশীল করে তোলে এবং যুক্তিবিজ্ঞান শুনতে অপারগ হয়ে ওঠে। এটি হিন্দুধর্মের সমস্ত মন্দতার উৎস। এখন লক্ষ্য এটাই, এই সম্প্রদায় তার সমস্ত ভয় ছুঁড়ে খোলসের বাইরে বেরিয়ে আসুক।

তথ্যসূত্র - ইন্টারনেট

আমার অন্যান্য পোস্টগুলি-
হিন্দুধর্ম ভাবনা -২
হিন্দুধর্ম ভাবনা

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৮

অচেনা হৃদি বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়ে খুব হাসি এলো!
সতীদাহ প্রথার জন্য ইসলাম দায়ী?
হিহিহি...
ব্লগে আমি আসার পর হতে আপনার যত লেখা দেখেছি, সবগুলো পড়ে আমার ধারণা হল- আপনার জানাশোনার পরিধি খুব কম, তবে ব্লগার হবার ইচ্ছেটা খুব বড়।
শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আপনাকে একটা পরামর্শ দিই, আগে পড়ালেখা করে জ্ঞান অর্জন করুন, তারপর ব্লগিং করুন। যদি আপনার মনে হয় যতটুকু জ্ঞান আছে এটাই যথেষ্ট, আর বাড়ানো সম্ভব নয় তাহলে ব্লগিং করা ছেড়ে দিন। ব্লগিং ব্যপারটা আপনার জন্য আসেনি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৩

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: এ আর ১৫ এর দেওয়া নিচের লিঙ্কটি দেখে আবার কমেন্ট করার অনরোধ রইল।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪১

গেছো দাদা বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্ট । ধন্যবাদ ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সতী প্রথা এসেছে শিবের স্ত্রী সতী যখন নিজেকে আগুনে নিক্ষেপ করলেন তা থেকে। সতীদাহ প্রথা বহু পুরোনো এক প্রথা। গুপ্ত রাজবংশের সময় বেশ কিছু সতীদাহের কথা ইতিহাসে সংরক্ষিত হয়েছে। আপনি সতীদাহকে জহরের সাথে গুলিয়ে ফেলতে চাইছেন। জহরব্রত আর সতী সমার্থক নয়। জহরব্রত বা আত্মহনন যুদ্ধে পরাজয়ের কারনে হয়ে থাকত। পরবর্তীতে যুগের প্রগতির সাথে সাথে ভারতে দাসপ্রথা নিষিদ্ধ হয়। পৃথিবীর অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনেক আগেই বরং ভারতে দাসপ্রথা শেষ হয়ে যায়। মোগলরা যার কৃতিত্ব অনেকটাই দাবী করতে পারে। আকবর প্রথমে হিন্দু দাস নেয়া নিষিদ্ধ করেন। সেই সাথে শেষ হয় জহর প্রথা। কিন্তু সতীদাহ থেকে যায় আপন মহিমায়। যা অনেক পরে ব্রিটিশ রাজ নিষিদ্ধ করে।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: নাম আলাদা হলেও দুটি একই পদ্ধতি। আমি এই পোস্টে আলোচনা করতে চেয়েছি এটাই যে সতীদাহ কিভাবে ভারতবর্ষে কোথায় এবং কি জন্য ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে, যার প্রাচীন ভারতে তেমন কোন উল্লেখ ছিল না।

সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই রকম পোষ্ট লিখতে হলে খুব পরিশ্রম করতে হয়।

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: ঠিকই। তবে সেটা তখনি সার্থক হয় যখন এটা পড়ে কারো ভুল ধারনা ভাঙ্গে।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: সতীদাহ প্রথার উৎপত্তি সম্পর্কে জানত ছয় মিনিটের এই ভিডিওটি শুনুন ----
সতীদাহ প্রথা কিভাবে এলো ?
হিন্দু ধর্মের কোন গ্রন্থে সতীদাহের কথা বলা নেই। তাহলে কিভাবে এলো ?
বিশ্লেষণ করছেন সাবেক মুসলিম লন্ডলে বাঙালি আইনজীবী মুফাস্সিল ইসলাম ..

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: লিঙ্কটা দেখলাম । আইনজীবী মুফাস্সিল ইসলাম যেটা বলেছেন সেটা আমার পোস্টটিকে পুরোপুরি সমর্থন করে। অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কটি শেয়ার করার জন্য।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

ইনাম আহমদ বলেছেন: প্রবন্ধ: নারীর মূল্য
লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

"প্রথম, সতীত্বের বাড়া নারীর আর গুণ নাই। সবদেশের পুরুষই এ কথা বোঝে, কেন না, এটা পুরুষের কাছে সবচেয়ে উপাদেয় সামগ্রী। এবং স্বামীর অবাধ্য হওয়া,- তিনি অতি বড় পাষন্ড হইলেও- তাঁহাকে মনে মনে তুচ্ছ করার মতো দোষ আর নাই। এই সতীত্ব যে নারীর কতবড় ধর্ম হওয়া উচিত, রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণাদিতে সে কথার পুনঃ পুনঃ আলোচনা হইয়া গেছে। এ দেশে এ তর্ক এতো অধিক হইয়াছে যে, এ সম্বন্ধে আর বলিবার কিছু নাই। এখানে স্বয়ং ভগবান পর্যন্ত সতীত্বের দাপটে কতবার অস্থির হইয়া গেছেন। কিন্তু সমস্তই একদফা, একা নারীরই জন্য।........এতবড় একটা প্রাচীণ দেশে পুরুষের সম্বন্ধে নাই এ কথা খুলিয়া বলিলে হাতাহাতি বাধিবে, না হইলে বলিতাম। ইংরাজ, 'Chastity', তবুও ইহার দ্বারা তাহারা নরনারী উভয়কেই নির্দেশ করে, কিন্তু এ দেশে ও কথাটার বাংলা করিলে 'সতীত্ব' দাঁড়ায়, সেটা নিছকই নারীর জন্য। শাস্ত্রকারেরা বনে জঙ্গলে বাস করিতেন বটে, কিন্তু তাঁহারা সমাজ চিনিতেন। তাই একটা শব্দও তৈরী করিয়া তাঁর জাত-ভাইকে অথবা পুরুষকে inconvenient করিয়া যান নাই। তাহার প্রবৃত্তি নারী সম্বন্ধে যত রকমে হাত-পা ছড়াইয়া খেলিতে পারে তার জায়গা রাখিয়া গিয়াছেন। পৈশাচ বিবাহটাও বিবাহ।...........যাহাই হউক, নারীর জন্য সতীত্ব। পুরুষের জন্য নয়। এ সতীত্বের চরম দাঁড়াইয়াছিলো- সহমরণে। কবে এবং কি হইতে ইহার সূত্রপাত, সে ইতিহাস লেখে না। রামায়ণে স্বামীর মৃত্যুতে কৌশল্যা বোধ করি একবার রাগ করিয়া সহমরণে যাইবেন বলিয়া ভয় দেখাইয়াছিলেন। কিন্তু শেষে তাঁহার রাগ পড়িয়া গিয়াছিলো। দশরথকে একাই দগ্ধ হইতে হইয়াছিলো। এ গ্রন্থে এ সম্বন্ধে আর কোন উচ্চবাচ্য শোনা যায়না। তাই অনুমান হয়, ব্যপারটি লোকের জানা থাকিলেও, কাজটা তেমন প্রচলিত হইয়া পড়ে নাই। মহাভারতে মাদ্রী ভিন্ন আর যে কেহ এ কাজ করিয়াছিলো তাহা বলিতে পারি না। কুরুক্ষেত্রের লড়াইয়েয়ের পর কতক কতক ঘটিয়া থাকিলেও তাহা কম। .................যাহারা অশোক রাজার রাজত্ব দেখিয়াছিল, তাহারা বলে, সে সময় বিধবাকে দগ্ধ করার প্রথাটা আর্যাবর্তে ছিলো না, দাক্ষিণাত্যে ছিলো। কিন্তু আর্যাবত্যের আর্যেরা যেই খবর পাইলেন, অসভ্যেরা অসভ্য হউক, যাই হউক, বড় মন্দ মতলব বাহির করে নাই-ঠিক ত! পরলোক যদি সত্যই কিছু থাকে ত সেখানে সেবা করে কে? অমনি উঠিয়া পড়িয়া লাগিয়া গেলেন, এবং এত বিধবা দগ্ধ করিলেন যে, স্পেনের ফিলিপেরও বোধ করি লোভ হইত।.........কিন্তু এই ব্যপারে যদি কেহ প্রতিবাদ করিয়া বলেন, এ দেশে সমস্ত সতীকেই কি জোর করিয়া সহমরণে বাধ্য করা হইতো? স্বেচ্ছায় আত্মবিসর্জন কি ছিলো না? রাজপুতের জহরব্রতের কথা কি জগৎ শুনে নাই? এই ত সেদিনও বাঙালীর ঘরে স্বামীর মৃত্যুসংবাদ শুনিবামাত্র স্ত্রী সর্বাঙ্গে কেরোসিন ঢালিয়া পুড়িয়া মরিয়াছে।.......ইহার ওপরে ধর্মের গন্ধ আছে। সে বেচারার হাতে নাকি গীতা ছিলো। গীতায় কি ওই কথা বলে? কিন্তু সে ভাবিল, গীতা হাতে থাকিলে আরও ভালো। এখানে অশোভন উদাহরণ দিবার ইচ্ছা আমার না হইলে এই গৌরবান্বিত কেরোসিন আত্মহত্যায় এমন মেয়ের কথাও বলা যাইতে পারিত, যে সতীও নয়, এবং ঠিক স্বামীর শোকেও এ কাজ করে নাই। তা ছাড়া, শ্বাশুড়ীর গন্ঞ্জনায়, সময়ে বিবাহ না হইবার লান্ঞ্ছনায়-ইত্যাদি ইত্যাদি আরও অনেক সংবাদ খবরের কাগজ লিখে।........স্বামীর মৃত্যুতে কাহারও কাহারও আত্মহত্যা করিবার কি যে একটা ঝোঁক হয়, তাহা যাহারা চোখে দেখিয়াছে তাহারাই জানে। আমি এমন একজনকে তেতলার ছাদ হইতে পড়িয়া মরিতে দেখিয়াছি, আর একজনকে গলায় দড়ি দিতে দেখিয়াছি-বিষ খাইয়া মরিতে অনেক শুনিয়াছি। কিন্তু তাই বলিয়া এ মরা আর চিতায় বসিয়া একটু একটু করিয়া দগ্ধ হওয়া এক বস্তু নয়। একটায় ঝোঁকের মাথায় মরা, কিন্তু আর একটায় আগুনের তাপে সে ঝোঁক বহুপূর্বেই কাটিয়া যায়; তখন আত্মবিসর্জন খুনে পরিণত হয়।"

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আমি ঐতিহাসিকরা কি বলেছেন সেটাই পোস্টে বলতে চেয়েছি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার সাহিত্যে তৎকালীন বঙ্গসমাজের এই জঘন্য প্রথাটিকে নারীর অধিকারকে বঞ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হত সেটা দেখিয়েছেন। আর সতীদাহ প্রথা খুব কম . প্রচলন ছিল কারণ তানাহলে কাশি ও বৃন্দাবনে এত হিন্দু বিধবার বাস হত না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.