নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের সাধারন ক্ষমা নিয়ে একজন আইনজীবির মিথ্যাচার এবং প্রকৃত ঘটনা

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪৭



বাংলাভিশনের এক টক শোতে সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি বলছেন – শেখ মুজিব যুদ্ধপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। যারা বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে সামান্য জানেন তারা কথাটা যে কত বড় মিথ্যাচার তা স্বীকার করবেন। জামায়াতের নেতাদের রক্ষার জন্যে খন্দকার মাহবুব হোসেনের কেন এই মিথ্যাচার?



আসল ঘটনা কি ঘটেছিলো বঙ্গবন্ধুর “সাধারন ক্ষমা”য়?



১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যখন পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরনপণ সংগ্রামে লিপ্ত – তখন “ জামায়াত এবং তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ” একটা সংগঠন হিসাবে নীতিগত কারনে সেই মুক্তির সংগ্রামের শুধু রাজনৈতিক ভাবে বিরোধীতিই করেনি – রাজাকার, আল-বদর, আলশাসম বাহিনী তৈরী করে সক্রিয় ভাবে পাকহানাদারদের হত্যা, ধর্ষন, লটপাট এবং অগ্নিসংযোগে সহায়তা করেছে। দেশের মানুষ যখন মুক্তি আশায় অসহনীয় কঠিন সময় পাড়ি দিচ্ছিল – তখন জামাত একটা সংগঠন হিসাবে তাবেদার মন্ত্রী সভায় গিয়েছে, পাতানো নির্বাচনের অংশগ্রহন করেছে। এর সবই প্রমান মিলে তাদের পত্রিকা “দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৯৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে।



এরই প্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর জামাতসহ স্বাধীনতা বিরোধী দলগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। স্বাধীনতার পরপরই জামাতের অনেক নেতাকর্মী জেলে যায়, অনেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নেয়। বিদেশে থাকা জামাত নেতারা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। যতদিন না দেশে তাদের জন্যে অনুকূল পরিবেশ তৈরী হয় – ততদিন তারা বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম চালাতে থাকে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ ১৯৭৫ সালের হত্যাকান্ড পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকে।



তারপর সামরিক শাসক মে: জে: জিয়াউর রহমানের সাথে আঁতাত করে এরা দেশে ফিরে আসে। তখন থেকেই প্রচার শুরু হয় বঙ্গবন্ধু এদের ক্ষমা করে দিয়েছে। এটা একটা বিরাট ভুল ও প্রপাগান্ডা। সাধারন ক্ষমার আওতায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী সাধারন কর্মীদের ক্ষমা করা হয় – যাতে এরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সাধারন ক্ষমার আওতায় সেই ৩৪ হাজার ৬০০ রাজাকার, মুসলিমলীগ কর্মী, জামাত কর্মীদের ক্ষমা করা হলেও তাদের পুরানো বিশ্বাসের রাজনীতি করা অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের সেই অধিকার ফিরে পাবার জন্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।



অনেকের কাছে প্রশ্ন যে স্বাধীনতার পরপরই কেন বিচার করা হলো না। এই প্রশ্ন আসার কারন হলো দীর্ঘ সময় ধরে সামরিক শাসকরা আমাদের ইতিহাস বিকৃতি করেছে এবং অনেক কিছু গোপন করে রেখেছিলো। ফলে একটা প্রজন্মের কাছে অনেক কথাই অষ্পষ্ট থেকেছে। এখানে ষ্পষ্ট করা দরকার যে - স্বাধীনতার পরপরই Bangladesh Collaborators (Special Tribunals) Order, 1972 (P.O. No. 8 of 1972), এর আওতায় বিচার কাজ শুরু হয় - সেই বিচারের পরিসংখ্যান হলো -



১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আটক হয় - ৩৭ হাজার ৪ শত ৯১ জন



ট্রাইবুনাল গঠিত হয়- ৭৩ টি ( সারা বাংলাদেশে )



১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উক্ত ট্রাইবুনাল গুলোতে দায়ের করা মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় মোট ২ হাজার ৮ শত ৪৮ টি মামলা ।



দোষী প্রমাণিত হয় - মোট ৭৫২ জন



মামলায় খালাশ পায় - ২ হাজার ৯৬ জন ।



আইনগত ব্যাবস্থায় দ্রুততা আনার জন্য সে সময় ৭৩ টি ট্রাইবুনালের ব্যাবস্থা করা হলেও প্রতিদিন ৩-৪ টির বেশী মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি এবং মাসে যার পরিমাণ ছিলো ১৩০ টির মত মামলা ।



পরে জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে সামরিক ফরমানে আইনটি বাতিল করেন - যা ৫ম সংশোধনীর সুবাদে সংবিধানের অংশ হয়ে যায়।



Click This Link



এখানে উল্লেখ্য যে, সাধারন ক্ষমা ঘোষনায় সুস্পষ্ঠ ভাবে উল্লেখ ছিল যে,



“এই আদেশ বলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩০৪ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ৩৭৬ ধারা (ধর্ষন), ৪৩৫ ধারা (অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরক দ্বারা ক্ষতি সাধন) ৪৩৬ ধারা (বাড়িঘর ধ্বংসের অভিপ্রায়ে অগ্নিসংযোগ বা বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অপকর্মের চেষ্টা) মোতাবেক অভিযুক্ত বা দন্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক ক্ষমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হইবে না”



এখানে যেমন ঢালাও ভাবে ক্ষমা করা হযনি – তেমনি বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার সময়েও অনেক অপরাধীর বিচার চলছিলো। ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সামরিক আদেশে সেই বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান নির্বাহী আদেশ দন্ডপ্রাপ্তদের জেল থেকে মুক্তি দেন।



এরপর পঞ্চম সংশোধনীর সুবাদে জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়। আজ দেখি বিএনপির নীতিনির্ধারকগন জামায়াতের পক্ষে উকালতি করতে কোর্টে যাচ্ছেন। বিএনপির প্রধান আদালতের রায়ের আগেই জামায়াতের নেতাদের নিষ্পাপ হিসাবে ঘোষনা দিচ্ছেন।



খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার কথা যে স্বাধীন দেশের টিভিতে বসে পরাজিত শক্তির পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবি ফোরামের নেতা অবলীলায় মিথ্যাচার করছেন ইতিহাস নিয়ে – যে ইতিহাসের সাথে ৩০ লক্ষ মানব সন্তানের মৃত্যু আর ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম জড়িত।



(সদালাপ ডট অর্গ এ প্রকাশিত)



এই পোস্টের সম্পুরক তথ্যাবলীর জন্যে দেখুন - (নিঝুম মজুমদারের পোস্ট) Click This Link

মন্তব্য ২৭৮ টি রেটিং +১২১/-১

মন্তব্য (২৭৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৯

দ্বিতীয়নাম বলেছেন: +++

২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৩

পীরসাহেব বলেছেন: ছক্কা!

৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮

তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: অনেক দরকারি একটা লেখা।

৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: "নিঝুম মজুমদার" এর ব্লগ থেকেঃ

এর মধ্যে দালাল আইন সম্পর্কিত একটা ছোট্ট তথ্য দিয়ে নেই পাঠকদের। জেনে রাখা ভালো।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা যখন পাকিস্তানী ঘাতক সৈন্যদের আমাদের কাছে আত্নসমর্পনে বাধ্য করেছিলাম ঠিক তার ৩৯ দিনের মাথায় অর্থ্যাৎ ২৪ শে জানুয়ারী পাকিস্তানী হানাদারদের যারা সাহায্য ও সহযোগিতা করেছিলো তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার " বাংলাদেশ দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ ১৯৭২" জারি করে । পরবর্তীতে ১৯৭২ সালেরই ৬ ফেব্রুয়ারি, ১ জুন এবং ২৯ আগস্ট তারিখে এই আইনে তিনটি সংশোধনী আনা হয় এবং শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।

এক নজরে দালাল আইনে গ্রেফতারকৃতদের ও শাস্তি পাওয়াদের পরিসংখ্যান তুলে ধরা হলো-

এই দালাল আইনে -

আটক হয় - ৩৭ হাজার ৪ শত ৯১ জন

ট্রাইবুনাল গঠিত হয়- ৭৩ টি ( সারা বাংলাদেশে )

১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উক্ত ট্রাইবুনাল গুলোতে দায়ের করা মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় মোট ২ হাজার ৮ শত ৪৮ টি মামলা ।

দোষী প্রমাণিত হয় - মোট ৭৫২ জন (এর মধ্যে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত হয় প্রায় ২০ জন)

মামলায় খালাশ পায় - ২ হাজার ৯৬ জন ।

নাগরিকত্ব বাতিল হয় ১৪৫ জনের



Click This Link

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪০

এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: "নিঝুম মজুমদার" এর ব্লগ থেকেঃ

ক) রাজাকার কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার পর প্রথম মামলা হয় ১৯৭২ সালে। মামলার নম্বর হচ্ছে- (৫)৭২, জি আর নং- ২৫০ (২) ৭২। মামলা করেন শহীদ বদিউজ্জমানের ভাই হাসানুজ্জামান। উল্লেখ্য যে, কামারুজ্জামান তখন পলাতক আসামী ছিলো।

খ) সাকা চৌধুরীর নামে ১৯৭২ সালে দালাল আইনে চট্রগ্রাম জেলার হাট হাজারী থানায় ১৩/৪/১৯৭২ তারিখে ১৭ নং মামলা দায়ের হয়। রাউজান থানা ৪১(১)৭২ নং এবং ৪৩(১)৭২ নং মামলা দায়ের করা হয়।

গ) পিরোজপুরের মেধাবী ছাত্র গণপতি হালদার হত্যাকান্ডের একজন অন্যতম আসামী দেলোয়ার হোসেন ওরফে দেইল্যা। ১৯৭২ সালে তার নামে মামলা ৩০২ ও দালাল আইনের ১১(ক) ধারায়।


Click This Link

৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫১

শ।মসীর বলেছেন: এখনই সময় কলঙ্ক মোচনের..........

৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫২

তানভী৫১৫২ বলেছেন: বহুত দিন পর আবার একটা পোস্ট স্টিকি হইলো।

পেলাচ

http://www.somewhereinblog.net/blog/tas5152

৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

জহির_জুয়েল বলেছেন: Click This Link

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

জহির_জুয়েল বলেছেন: +++++++++

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

নষ্ট কবি বলেছেন: ওরা মিথ্যাচার করবে না তো করবে কে?

ওরা যে যুদ্ধা পরাধী

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৬

জহির_জুয়েল বলেছেন: এখানে উল্লেখ্য যে, সাধারন ক্ষমা ঘোষনায় সুস্পষ্ঠ ভাবে উল্লেখ ছিল যে,

“এই আদেশ বলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩০৪ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ৩৭৬ ধারা (ধর্ষন), ৪৩৫ ধারা (অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরক দ্বারা ক্ষতি সাধন) ৪৩৬ ধারা (বাড়িঘর ধ্বংসের অভিপ্রায়ে অগ্নিসংযোগ বা বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অপকর্মের চেষ্টা) মোতাবেক অভিযুক্ত বা দন্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক ক্ষমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হইবে না”

১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৬

তীর্থযাত্রী বলেছেন:

"তারপর সামরিক শাসক মে: জে: জিয়াউর রহমানের সাথে আঁতাত করে এরা দেশে ফিরে আসে। তখন থেকেই প্রচার শুরু হয় বঙ্গবন্ধু এদের ক্ষমা করে দিয়েছে। এটা একটা বিরাট ভুল ও প্রপাগান্ডা। সাধারন ক্ষমার আওতায় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী সাধারন কর্মীদের ক্ষমা করা হয় – যাতে এরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। কিন্তু সাধারন ক্ষমার আওতায় সেই ৩৪ হাজার ৬০০ রাজাকার, মুসলিমলীগ কর্মী, জামাত কর্মীদের ক্ষমা করা হলেও তাদের পুরানো বিশ্বাসের রাজনীতি করা অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। তাদের সেই অধিকার ফিরে পাবার জন্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, সাধারন ক্ষমা ঘোষনায় সুস্পষ্ঠ ভাবে উল্লেখ ছিল যে,

“এই আদেশ বলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩০৪ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ৩৭৬ ধারা (ধর্ষন), ৪৩৫ ধারা (অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরক দ্বারা ক্ষতি সাধন) ৪৩৬ ধারা (বাড়িঘর ধ্বংসের অভিপ্রায়ে অগ্নিসংযোগ বা বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অপকর্মের চেষ্টা) মোতাবেক অভিযুক্ত বা দন্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক ক্ষমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হইবে না” "

১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

কলাবাগান১ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার কথা যে স্বাধীন দেশের টিভিতে বসে পরাজিত শক্তির পক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবি ফোরামের নেতা অবলীলায় মিথ্যাচার করছেন ইতিহাস নিয়ে – যে ইতিহাসের সাথে ৩০ লক্ষ মানব সন্তানের মৃত্যু আর ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম জড়িত।

১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: যত দ্রুত সম্ভব এইসব বেঈমানদের বিচার চাই।

১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৮

আসিবি বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৯

ইয়েন বলেছেন: +++++ ভাল লাগল লেখাটা পড়ে...

১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৯

তীর্থযাত্রী বলেছেন: fvby‡K wbqwgZ al©Y Ki‡Zb mvC`x

১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০১

এস বাসার বলেছেন: শুধুমাত্র দলীয় নোংরা স্বার্থ এদেশের রাজনীতিবিদরা প্রায় সারাক্ষন মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সেটা সংসদেই হোক বা বারে বা পল্টনেই হোক।

সময়ে সময়ে আলীগ বা বিএনপি। আমরা সাধারন মানুষ, তাই ওরা মনে করে আমরা কিছু বুঝিনা, ওরা যা বলে তাই সত্যি।

আজ সাধারন রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে শিক্ষিত সমাজের অধিকাংশ মানুষ এদেরকে রাস্তার কীট বা ডাস্টবিনের ময়লার সমান মূল্যও দেয়না। যদিও সেটা বুঝার ক্ষমতা এইসব কুলাংগারদের নাই।

১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০১

বিষন্ন পথিক বলেছেন: ' এর সবই প্রমান মিলে তাদের পত্রিকা “দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৮৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে '

লেখক কে অনুরোধ করছি ১৮৭১ কে ১৯৭১ করে দিতে। ভালো একটা লেখায় ছোট ভূল থাকা মানায় না।

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক করে দিলাম।

২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০২

রাজসোহান বলেছেন:

এর সবই প্রমান মিলে তাদের পত্রিকা “দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৮৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে।


সংখ্যাটা ১৯৭১ হবে, ঠিক করুন প্লিজ!

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৭

রাফা বলেছেন: এই হিপোক্রেটরা সব কিছু জেনে বুঝেই সব কিছু কোরছে ,যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার পুর্বে এদের বিচার করা উচিত।সর্ব প্রথম খালেদা জিয়াকে দিয়ে বিচার কাজ শুরু করা দরকার।

অনেকদিন পর ব্লগে দেখতে পেলাম আপনাকে ,এতদিন কোথায় ছিলেন? আশা করি আবার গায়েব হোয়ে যাবেননা,ধন্যবাদ

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

এস্কিমো বলেছেন: পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

রুদ্রপ্রতাপ বলেছেন: স্টিকি করার জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

জহির_জুয়েল বলেছেন: হারামজাদা নিজামী (মইত্যা রাজাকার নামে সর্বাধিক পরিচিত)৩১শে মার্চ ১৯৪৩ইং কোনো এক কুক্ষনে পাবনার সাথিয়া উপজেলার মনমথপুর গ্রামে মহাপাপ নিয়া জন্মাইছিল । ৭১ সালে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা (গণহত্যা ও বিশেষ করে ১৪ই ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবি হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী), নারী ধর্ষন, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগ সহ এমন কোন পাপ নাই যা এই হারামজাদা করে নাই

২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১০

মাইনাস এইটিন_পন্ডিত বলেছেন: এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি অনেকের সাথে তর্ক করছি। আপনার লেখাটা পেয়ে ভালো হল। ধন্যবাদ।

একটু শুধরে নিয়েন এই অনশটুকু- এর সবই প্রমান মিলে তাদের পত্রিকা “দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৮৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে।

২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

জহির_জুয়েল বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা কুদ্দুস জানান, হারামজাদা নিজামী তার নিজ গ্রামের বটেশ্বর সাহা নামক এক তরুণ মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ হাতে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। নিজামীর বিরুদ্ধে প্রায় অনুরূপ অভিযোগ এনেছেন সাঁথিয়া থানার মিরপুর গ্রামের মোহাম্মদ শাজাহান আলী, পিতা জামাল উদ্দিন। যুদ্ধের সময় হঠাৎ রাজাকারদের হাতে ধরা পড়লে আরও কয়েকজন আটক মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তার গলায়ও ছুরি চালানো হয়েছিল। একই সঙ্গে আটক অন্যদের জবাই করে হত্যা করতে সক্ষম হলেও শাজাহান আলী ঘটনাচক্রে বেঁচে যান। কিন্তু তার সহযোদ্ধা দারা, চাঁদ, মুসলেম উদ্দিন, আখতার উদ্দিন, শাজাহান প্রমুখদের বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে গরু জবাই করার লম্বা ও ধারালো ছুরির আঘাতে আঘাতে জবাই করে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন প্রায় ১০/১২ জন মুক্তিযোদ্ধাকেও ওরা হত্যা করেছিল। মুক্তিযোদ্ধা কবিরের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। মইত্যা রাজাকার ওরফে হারামজাদা মাওলানা মতিউর রহমান ও তার সহযোগী আলবদরদের নৃশংস বর্বরতার অজস্র কাহিনী পাবনা, ঢাকাসহ বাংলাদেশের সর্বত্র আজও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৯

এস্কিমো বলেছেন: বিচার হবেই ইনশাল্লাহ।

২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৩

১১স্টার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক সেই সাথে নিরাপরাধীরা মুক্ত হোক।

২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

জহির_জুয়েল বলেছেন: রাজাকার হচ্ছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী কর্তৃক গঠিত একটি আধাসামরিক বাহিনী। এটি অখন্ড পাকিস্তানপন্থী বাঙালী এবং উর্দুভাষী অবাঙালী অভিবাসীদের নিয়ে গঠিত হয়। অবরুদ্ধ বাংলাদেশে স্বাধীনতার জন্যে লড়াইরত মুক্তিবাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য ১৯৭১ সালের মে মাসে খুলনায় প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। খানজাহান আলী রোডে একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াতে ইসলামী কর্মী সমন্বয়ে জামায়াতে ইসলামীর পূর্ব পাকিস্তান শাখার সহকারী আমীর মাওলানা এ কে এম ইউসুফ প্রথম রেজাকার বাহিনী গঠন করেন। তবে পরবর্তীতে জনগণের কাছে 'রেজাকার' শব্দটি 'রাজাকার' শব্দে পরিণত হয়। আরবী শব্দ রেজা এবং ফার্সী শব্দ কার যুক্ত হয়ে রেজাকার শব্দের উত্পত্তি হয়। এর অর্থ স্বেচ্ছায় যারা কাজ করে। রেজাকার বাহিনী কোরআন ছুঁয়ে শপথ নিতো, "I shall bear true allegiance to the constitution of pakistan as framed by law and shall defend Pakistan, if necessary, with my life." অর্থাৎ, "আমি আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানের সংবিধানের প্রতি সত্যকার আনুগত্য প্রদর্শন করব এবং জীবন দিয়ে হলেও পাকিস্তানকে রক্ষা করব।" পরবর্তীকালে টিক্কা খানের সরকার সারা প্রদেশে বাধ্যতামূলকভাবে অনেক চোর ডাকাত ও সমাজবিরোধীকে রেজাকার বাহিনীর অন্তর্ভূক্ত করে

২৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

টিকলু বলেছেন: অনেক ভালো লাগছে।

২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

আত্তার প্রতিধ্বনি বলেছেন: ভাল লাগছে পইরা। দরকারি পোস্ট। ধন্যবাদ ++++++

---------------------------------------
আমার প্রকাশিত ৩টি রচনা পড়ুন
১ম রচনা......
২য় রচনা......
৩য় রচনা......
অপ্রাসঙ্গিক লিংক পোস্টের জন্য দুঃখিত

৩০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২০

ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: +++++++++++

৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সুবিধাভোগের জন্য এই দেশের মানুষ মিথ্যাচার করতে কখনও পিছ পা হয় না। এমনকি বড় মাপের মানুষরাও কিছু সুযোগ সুবিধার লোভে ভোল পাল্টে ফেলে যখন তখন। এটা আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা।

৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯

শারমিন সোনালী বলেছেন: খুব ভাল পোস্ট।

৩৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০

গ্রাম্যমানুষ বলেছেন: আনেক মিথ্যাচার চলছে । আর, বি. এন. পি. আবারও ভুল করছে এবং এই ভুলের মাসুল খুব ভাল ভাবেই পরবর্তি নির্বাচনে দিতে হবে । বি. এন. পি. ভুলে গেছে যে জনগন এখন অনেক সচেতন । তারা কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা তা ভাল ভাবেই বুঝতে পারে ।

ধন্যবাদ লেখককে ।

৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩২

ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন:

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১২

এস্কিমো বলেছেন: এই ধরনের কাজ খুবই দু:খজনক।

জাতীয় সংসদভবনের কাছে আরেকজন বাংলাদেশবিরোধী সবুর খানকে কবর দিয়েছে জেনারেল জিয়া। সেই কবরটাও তুলে খুলনায় পাঠানো হউক। তা ছাড়া বাংলা ভাষাবিরোধী নুরুল আমিনের কবরও আছে তিন নেতার মাজারে - সেখান থেকে সেটাকেও সরানো হউক।

ইতিহাসের পরিশুদ্ধ রূপটাই একটা খাটি প্রজন্ম তৈরী করবে।

৩৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫

সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: +++

৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৮

chai বলেছেন: ++++

৩৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৩

হিম১২৩ বলেছেন: ++++। খুব ভাল পোস্ট।

৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: শ।মসীর বলেছেন: এখনই সময় কলঙ্ক মোচনের..........

৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৬

প্রশংসা বলেছেন: আপনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার কত পার্সেন্ট সত্য, আর কত পার্সেন্ট মিথ্যা? ইউটিউবে ব্যারিস্টার নজরুলের দুইটা টিভি অনুষ্ঠানের বক্তব্য দেখেন (প্রথমঃ
দ্বিতীয়ঃ

ওনার বক্তব্যের সাথে আপনার কথা অনেক কন্ট্রাস্ট করে।
---
খুব করে বলছেন যে জামাতের নেতাদের নেতৃত্বে অপরাধ হয়েছে, কিন্তু, ৭২-৭৫ এই সময়ে যখন এভিডেন্স ছিলো সবচেয়ে বেশি, সেই সময়ে কেন জামাতের নেতাদের বিচার হয় নি? তারা দেশে ছিলেন না (যেটা রাজনৈতিক কারণে) বলে তাদের বিচার করতে তো কেউ সেই সময়ে নিষেধ করে নি। বিচারে তাদের ফাসাতে পারেন নি কেন? আর এখন দলীয় বিচারক দিয়ে 'আন্তর্জাতিক' মানের মকারি করছেন কেন?
---
আপনার বক্তব্য দিয়ে শাহ্রিয়ার কবিরের কথার প্রতিধবনি শুনি - উনি যেমন ধর্মভিত্তিক ইসলামী রাজনীতি দেখতে পারে না, আপনার কথাতেও সেই সুর। কিন্তু আল্লাহ তার নূরকে সবসময় প্রজ্জ্বলিত রাখবেন। দ্বীন-ইসলাম শুধু মসজিদে মাথা নোয়াবার ধর্ম নয়, এটা সবকিছুর - রাজনীতিও তার বাইরে নয়।

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২১

এস্কিমো বলেছেন: ৭২-৭৫ সালে বিচার চলছিলো দালাল আইনে। ইতিহাস জানার চেষ্টা করুন। ৭৫ সালে শেখ মুজিবকে হত্যা করে ক্ষমতায় আসা জেনারেল জিয়া সেই আইন স্থগিত করে ট্রাইবুন্যালগুলো স্থবিব হয়ে যায় এবং গোপনে জেল থেকে সাজাপ্রাপ্তদে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্ত করা হয়।

ইসলাম আর জামায়াতে ইসলাম এক করে দেখলে সমস্যা। জামায়াত এই পর্যণ্ত যা করেছে সবই ইসলামের শিক্ষার বিরোধী। ৭১ সালে আক্রান্ত একটা মজলুম জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কোরানের নির্দেশ অমান্য করে জালেমের পক্ষে জুলুমে শরিক হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতায় গিয়ে একটা কাজও করেনি যা ইসলামের পক্ষে যাবে। নিজেদের জন্যে প্লট বরাদ্ধ আর টিভি লাইসেন্স নেওয়া আর চোরদের সহযোগীতা ছাড়া কিই বা করেছে।

ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলে কো সমস্যা নেই। কিন্তু নাৎসীদের যেমন জার্মানীতে রাজনৈতিক অধিকার নেই - তেমনি গনহত্যার সহযোগী সংগঠন জামায়াতেও বাংলাদেশে রাজনীতির অধিকার নেই। কুটচালের রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে যতদ্রুত বাংলাদেশের মানুষ জামায়তকে আস্তাকূড়ে ফেলবে - ততদ্রুতই বাংলাদেশের রাজনীতিতে মংগল আসবে।

৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৭

ডাইনোসর বলেছেন:
এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই।
আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫২

রাসায়নিক অপদার্থ বলেছেন: ১১স্টার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাপরাধীর বিচার হোক সেই সাথে নিরাপরাধীরা মুক্ত হোক।
কি বুঝাইলেন ভাই???

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২

এস্কিমো বলেছেন: বিচারও তো তাই - অপরাধীরা শাস্তি পাবে। নিরাপরাধ ছাড়া পাবে।

৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৩

ধ্রুব২১১ বলেছেন: এই দেশের মাটিতেই একদিন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে.।
সেই দিনের প্রত্যাশায়।

৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০১

এসাসিন বলেছেন: এখনই সময় কলঙ্ক মোচনের..........

৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০১

যোগী বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন এবং সময়পোযোগি একটা পোষ্ট সাবাস @এস্কিমো ++++

৪৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৫

েসাহা৬৬৬ বলেছেন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর অনৈতিক কাজে কাজে তিন মাসের গর্ভবতী এক নারী...

৪৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭

সৈয়দ কেফায়াতুল্লাহ হোসইন বলেছেন: পোস্ট পড়বার পর ফেসবুকে শেয়ার দিন সবাই

৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৮

জহির_জুয়েল বলেছেন: প্রশংসা সাহেব আপনি রাজাকারের দালালি কইরেন না,,, আপনি এবং আপনার নেতারা হাজার চেষ্টা করে এই বিচার রুখতে পারবেন না.......

৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২০

এই আমি রবীন বলেছেন: এই প্রথম কোন ষ্টিকি পোষ্টে মন্তব্য করলাম!

লেখক এবং সামু দুজনকেই ধন্যবাদ।

৪৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২৩

প্রশংসা বলেছেন: বার এসোসিয়েশনের সভাপতির অবস্থান এখানে দেখেনঃ


---
@জহির_জুয়েলঃ দালালি করছি না ভাই। এখন লীগের সরকার, তারা চাইলে কোন বিচার না করেই ফাসি দিতে পারে। কিন্তু মিথ্যা গল্প দিয়ে, সাজানো নাটক করার কি দরকার?

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪

এস্কিমো বলেছেন: ইসলামী বিধান মেনেই যদি জামায়াতের বিচার হয় তাইলেও ঝামেলা থাকে না।

৫০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৬

তীর জোক বলেছেন: >
জাতির পিতা-মাতা ভাই ব্রেদার, যদু মদু যে কেও ক্ষমা করলেও আমি রাজাকারগো ক্ষমা করতাম না।
ক্ষমা কি এত সহজ?

৫১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৩৮

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: সাবাস এস্কিমো !!! +++++++++++




@ প্রশংসা, ক্রস ফায়ার০০৭ - আপনাদের নীতিবোধ এতটাই দেউলিয়া হয়ে গেছে যে, যেখানে সেখানে লেদাতে বদে পড়েন। আপনাদের জাত চেনানোর জন্য এই পোষ্ট না। সেটা করতে হইলে বাইরে যান।

৫২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৪

অনিন্দিতা_একা বলেছেন: ভাল লাগল। ভাল একটি লেখা...।

৫৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

ব্লগীয়ষণা বলেছেন: কাকে কান নিচে অবস্থা। =p~



আপনাদের হাসিনা মায়ের আচঁলের নীচে যেসব রাজাকার আরামে বসে আছে তাদের বিচার চান না কেন??

৫৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

ব্লগীয়ষণা বলেছেন: জহির_জুয়েল বলেছেন: প্রশংসা সাহেব আপনি রাজাকারের দালালি কইরেন না,,, আপনি এবং আপনার নেতারা হাজার চেষ্টা করে এই বিচার রুখতে পারবেন না......

=p~



আওয়ামী কুত্তালীগ যে করেই হোক মিথ্যা মামলা সাজিয়ে হলেও এই বিচার করবে , তাদের আচঁলে যারা বসে আছেন তাদের মাথায় হাত বুলিযে ঘুম পাড়াবেন।

৫৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: +++++++
ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য

৫৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫০

আহমেদমিশুক বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন:
এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই।
আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

৫৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫২

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

মুক্তিযুদ্ধের এতগুলা বছর পার হয়ে গেল, মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের ভূমিকা নিয়ে কেউই গবেষণা করল না, কোন থিসিস লিখলো না! আমরা এমনই অভাগা জাতি একটা। আজ ব্লগে ব্লগে ঘুরে কি আমরা টুকরা টুকরা মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা পড়ব, জানবো কি করেছিল রাজাকারেরা?

এত যে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বলে জাহির করা-ওয়ালারা, তাদের কাছেই তো অনেক কাহিনী নাই। এমন করে করে দিন পার করে এখন ঐ সব নর-পিশাচদের বিচার করতে গেলে তো সমস্যা হবেই। যতই ব্যঙ্গ করুন না কেন, তারা তো সমাজে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

১৯৭৫-এ মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা - আমার ধারনা - এখনকার চেয়ে অনেক বেশিই ছিল। তা হলে প্রশ্ন হচ্ছে, সেই সময়ে কি ভাবে এবং কেন রাজাকাররা প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করল?

শেখ সাহেবের ধানমন্ডীর বাসায় কি ফজলুল কাদের চৌধুরী বাস করেন নাই ১৯৭১ সালের পরে দেশে ফিরে?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

এস্কিমো বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের ভুমিকা নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। একটু খোঁজ নিন।

৫৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৫

তামীম বলছি বলেছেন: দিবালোকের মত স্পষ্ট বিষয় নিয়ে মিথ্যাচার করা আমাদের রাজনীতির একটা পার্ট হয়ে গিয়েছে।
যেমন - তারেক জীবনেও দূর্নীতি করে নাই! সব আওয়ামিলীগের চক্রান্ত। অথবা দেশের মানুষ এখন অনেক সুখে আছে। দ্রব্যমূল্য সব ঠিক আছে। কেননা অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের দ্রব্য এখনো সস্তা।

যাইহোক, সব মিথ্যাবাদীদের মুখে থাপ্পর দিয়ে আগে যুদ্ধাপরাধের বিচার করা দরকার।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৬

এস্কিমো বলেছেন: একমত।

৫৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০২

তাইয়িব বলেছেন: এই মিথ্যাবাদী আইনজীবিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত। শেখ সাহেব বাঙ্গালি জাতির মালিক নয়। তার ক্ষমা করার অধিকার নেই। খুনের বদলা খুন্। রক্তের বিনিময়ে রক্ত চাই। হোক না তা ১০০ বছর আগের হত্যাকান্ড। জীবিত খুনিদের মৃত্যুদন্ড দিতেই হবে।

৬০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৪

টুনা বলেছেন: এদের বিচার করে জাতিকে কলন্কমুক্ত করা হোক।এবং এ নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগটাও চিরতরে বন্ধ হোক। সময়োপযুগী পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ এবং স্টিকি করার জণ্য সামুকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।





“দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৮৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে।
ভাই সম্ভবত টাইপিং মিসটেক।দয়াকরে ঠিক করে দিন।

৬১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১০

দস্যু রত্নাকর বলেছেন: ++++++

৬২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৩

তীর্থযাত্রী বলেছেন: যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলেন তারাও যুদ্ধাপরাধী।
সকল প্রকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছি।

৬৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২০

জহির_জুয়েল বলেছেন: ব্লগীয়ষণা বলেছেন, আপনাদের হাসিনা মায়ের আচঁলের নীচে যেসব রাজাকার আরামে বসে আছে তাদের বিচার চান না কেন??


আপনারা চান বিচার। কেউ তো মানা করে নাই। বিচার বাধাগ্রস্থ কেন করেন?? আপনার খালেদা ম্যাডাম কে বলেন যে, যেই যুদ্ধাপরাদীররা আচলের তলে আছে তাদের নাম প্রকাশ করে বিবৃতি দিতে এবং বিচার চাইতে।মিডিয়া তো অনেক শক্তিশালী। আর বাংলাদেশে বিএনপিপন্থী মিডিয়া অনেক বেশী তাই নয় কি?? বাংলাদেশের কোন লোকটা না জানে যে নিজামী, সাঈদী, সাকা, মুজাহিদ যুদ্ধাপরাধী এবং রাজাকার। একমাত্র একজন একজন মহিলা আছেন যিনি জানেন না তারা রাজাকার, সে হল আপনাদের খালেদা ম্যাডাম। জানবেন কি করে কারন মুক্তিযুদ্ধের সময় তো তিনি পাক অফিসারদের মনোরঞ্জনে ব্যস্থ ছিলেন। তাকে ফেরত আনানোর জন্য জিয়া চেষ্টা লোক পাঠানোর পরে সে আসেন নি।

৬৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫১

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: আহমেদমিশুক বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন: এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই। আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

৬৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫২

নতুন পাপী বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন:
এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই।
আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।
সাথে "প্রশংসা" নামের ব্লগারেরও বিচার হওয়া উচিৎ। নব্য রাজাকার ব্লগে ঘুইরা বেরাইতাছে, হেতেরে ধইরা ডিম থেরাপী দেওয়া হোক। X((

৬৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৬

মরুভূমি থেকে বলছি বলেছেন: কোন মাফ নাই, কোন ক্ষমা নাই,
বিচার চাই বিচার চাই,
রাজাকারের বিচার চাই

৬৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০১

আবদুর রহমান (রোমাস) বলেছেন: ৩৭ তম ভাল লাগা.............

৬৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টটিকে স্টিকি দেখে ভালো লাগলো। ছাগুদের লেজে আগুন ধরে গেছে এখন তারা উল্টাপাল্টা বকছে (এইটা অবশ্য নতুন কিছু না!)

৬৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

ইসলাম রফিকুল বলেছেন: চমৎকার লেখা , লেখককে ধন্যবাদ । একটা কথা না বলে পারছি না, যারা জামায়াত-শিবির যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে তাদের জন্ম বৃত্তান্তটা ভালভাবে খুঁজে দেখার দরকার । স্বাধীনতার ৪০ বছর পরে এসেও রাজাকার-আলবদরদের পক্ষে সাফাই গায় তারা জাতির কুলাংগার, হারামজাদা --------------- এদেরকে এখনই প্রতিরোধ করতে হবে ।আসুন , সবাই আরেকবার জোট বাঁধী এদের বিরুদ্ধে ।

৭০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১২

অক্টোপাস বলেছেন: রাজাকারের আবার বিচার কী?

এগুলার চোদ্দগোষ্ঠীরে খুইজা পল্টন ময়দানে নিয়া ব্রাশফায়ার করা হোক!! X( X(

৭১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২২

পুদিনা পাত০০৭ বলেছেন: +++++

৭২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৫

সুদীপ্ত কর বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টটিকে স্টিকি দেখে ভালো লাগলো। ছাগুদের লেজে আগুন ধরে গেছে এখন তারা উল্টাপাল্টা বকছে (এইটা অবশ্য নতুন কিছু না!)


এদের বিচার চাই।

৭৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

পথিক মানিক বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। চমৎকার উপস্হাপনা। জাহানারা ঈমাম কে কেন যেন আজ খুব মনে পড়ছে আপনার লেখা পড়ে.......

৭৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

এলোমেলো রকস বলেছেন: নতুন প্রজন্মকে জানানো দরকার যে অনেক রক্তের বিনিময়ে কেনা এ দেশ , আর রাজাকার , আলবদর নামে এক প্রজাতির কুকীর্তি...তা না হলে মুক্তিযুদ্ধ এক সময় রুপকথা হয়ে যাবে....

৭৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫

সোজা আঙ্গুল বলেছেন: "কাদের সিদ্দিকীও যুদ্ধাপরাধী" তাকেও এদের সাথে বিচারের আওতায় আনা হোক। যুদ্ধাপরাধী সব শালাকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হোক।

৭৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

মানব মানিক বলেছেন: " এর সবই প্রমান মিলে তাদের পত্রিকা “দৈনিক সংগ্রাম”এর ১৮৭১ সালের সংখ্যাগুলোতে '

লেখক কে অনুরোধ করছি ১৮৭১ কে ১৯৭১ করে দিতে। ভালো একটা লেখায় ছোট ভূল থাকা মানায় না।............"


"রাজাকারের আবার বিচার কী?

এগুলার চোদ্দগোষ্ঠীরে খুইজা পল্টন ময়দানে নিয়া ব্রাশফায়ার করা হোক!! ".............

৭৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

কলম.বিডি বলেছেন: তাইয়িব বলেছেন: এই মিথ্যাবাদী আইনজীবিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত। শেখ সাহেব বাঙ্গালি জাতির মালিক নয়। তার ক্ষমা করার অধিকার নেই। খুনের বদলা খুন্। রক্তের বিনিময়ে রক্ত চাই। হোক না তা ১০০ বছর আগের হত্যাকান্ড। জীবিত খুনিদের মৃত্যুদন্ড দিতেই হবে।

সঠিক দাবী

৭৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

েছাট বালক বলেছেন: যুদ্ধাপরাধি ও মানবতা অপরাধির সংজ্হা চাই।

৭৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৩

ত্রিশোনকু বলেছেন: যে ইতিহাসের সাথে ৩০ লক্ষ মানব সন্তানের মৃত্যু আর ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম জড়িত।

- টাকার জন্য আমরা আমার মায়ের সম্ভ্রমও বিকিয়ে দিতে পারি।

আমার ভায়ের রক্তে রাংগালো একুশে ফেব্রুয়ারীর রচয়িতা যদি জ্বয়নাল হাজারীর জীবনী লিখতে পারেন তাহলে যে কোন কিছুই সম্ভব আমাদেরকে দিয়ে করানো।

এখানে সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হল দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবি ফোরামের নেতা সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সংখ্যা গুরু সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত। তারমানে কি এই নয় যে সুপ্রিম কোর্টে্র বেশীরভাগ উকিল মনে করে যে সাঈদীর চরিত্র ফুলের মত পবিত্র কিম্বা অন্ততঃ এইটুকু ভাবে যে দেলু রাজাকার একাত্তরে এমন কিছু করে নাই যার জন্যে চল্লিশ বছর পর তার বিচার করা যেতে পারে?

আরো কষ্টের হল আওয়ামী লীগের দেশ পরিচালনাকে ল্যাজে গোবরে করাকে পুঁজি করে মতি-নিজামী-সাঈদীদের ধোয়া তুলসী পাতা সনদপত্র প্রদানকারিনী আবার ক্ষমতায় আসবেন।

তারপর কি হবে তা কি আমরা অতীত থেকেই জানতে পারিনা কি?

৮০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪

শিপু ভাই বলেছেন: বিচার চাই বিচার চাই,

৮১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২২

সিলেটি জামান বলেছেন: বিচার যেন প্রহসহ না হয়, চমৎকার উপস্হাপনার জন্য ধন্যবাদ।

৮২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

মাসুম বাবু বলেছেন: জাশি ল্যঞ্জা কেটে ফেলা হোক

৮৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

নাভদ বলেছেন:
এইসব চোখে ধুলা দেয়া কথাবার্তা বলে জামাতি পেইড এজেন্টরা কিছুই করতে পারছে না - এরা সেটা বুঝে গেছে, তাই এই কান্নাকাটি মাহবুব টাইপের বিক্রি হয়ে যাওয়াগুলোর।


অফটপিক: অনেকদিন পর, ভালো আছেন আশা করি। :)

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৮

এস্কিমো বলেছেন: ভালই আছি - ধন্যবাদ।

৮৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫

সান্টু বলেছেন: আপনার অর্থাৎ লেখকের বয়স কত জানতে মুন্চাই।

মাইন্ড নিয়েননা।
আলীগের যে যুদ্ধাপরাধী আছে তাদের বিচার কে করবে?
খালেদা যুদ্ধাপরাধী সেটা মেনে নিলাম বঙ্গবীর যুদ্ধাপরাধী এর জবাব একটু ভাল করে দিলে খুশি হব।
আসলে যুদ্ধাপরাধী একটা ফালতু অধ্যায় এটা থেকে এদেশের মানুষ পরিত্রাণ পেতে চায়।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০

এস্কিমো বলেছেন: লেখকের বয়স মন্তব্যকারীর চেয়ে ১ ঘন্টা বেশী হবে।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই।

৮৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪৫

আলাদীন বলেছেন: বিচারটি হোক নিষ্কলুষ, আন্তর্জাতিকমানের। যেন কেউ ভবিষ্যতে প্রশ্ন তুলতে না পারে। আর কুটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক যেন শুধু হানাদারদের দোসর নয়, যুদ্ধাপরাধী সত্যিকার হানাদারদেরও আসামীর কঠগড়ায় তোলা যায়।

৮৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

মো: তৌহিদ বলেছেন: অনেকদিন পর মনে হইল একটি নিরপেক্ষ লেখা, যা শুধু জাতির বিবেক এবং সন্মানকে রক্ষার জন্য লিখা।

শুধু পেষ্টটি লাইক দিয়ে নয়, অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

এস্কিমো বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৮৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৮

থাবা_বাবা বলেছেন: মিথ্যেয় যাদের জন্ম, মিথ্যে ছাড়া তাদের কি থাকে বাকি!!!

৮৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৫

ফানার বলেছেন: সময় উপযোগী পোষ্ট। ধন্যবাদ আপনাকে ।

৮৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫১

অনিক আহসান বলেছেন: ..এটা নিয়া অনেক রাজনীতি হইছে...অনেক ব্যবসা হইছে ..আর না.. এক বছরের মধ্যে বিচার কর এবং ঝুলায় দাও..

৯০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৬

সুমন এম রহমান বলেছেন:

এই লেখাটিতে মিথ্যাচার ঠিক বলব না। পুরোপুরি ঠকবাজির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। এই জাতির ভাগ্য যে প্রেসিডেন্ট জিয়ার মত একজন শাসক ক্ষমতায় এসেছিলেন। এখানে একটি কথা স্পষ্ট বাকশাল এর সাথে এই রাজাকার নিধনের কোন সম্পর্ক নাই । একটি গোষ্ঠি চিরকাল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ই শুধু বাকশাল করেছিল। জিয়ার হাত ধরে আমাদের গনতন্ত্রের দিকে যাত্রা শুরু হয়। যদি এখাবে বাকশাল মুক্ত করে কোন নেতা , তবে সেই রকম সামরীক শাসক ও আমি বারবার চাই।

এখন বক্তব্য হচ্ছে, রাজাকার দের পুনর্বাসনে জিয়া কতটা দাযী? আমি লেখককে বলব, ব্রিগে, জেনারেল এম এ হামিদ পিএসসির একটি বই আছে, তিনটি অভ্যুত্থান ও কিছু না বলা কথা। এটি পড়ার জন্য । দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি হো যায়েগা।
তবে আমি সংক্ষেপে বলি। যদি আপনি বহুদলীয় গনতন্ত্রের স্বপ্ন্বই দেখেন তবে ঠক বেছে বেছে তো আর দল কে অনুমোদন দেয়া যায না। জিয়াও সেটাই করেছে। গো. আজম এর নাগরিকত্ব তো দেশের সর্বোচ্চ আদা"লত দিয়েছে। তো? আর সেই অধিকার বলেই তো এখন তার বিচার করা সম্ভব। ভাই ইতিহাস তার নিজ গতিতে চলে। তবে একটি ঘটনা বিশ বছর পরে একটু দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে লিখলে কাউকে ভিলেন সাজানো কোন ব্যাপার না। এই জাতির কৃতজ্ঞতা বোধ থাকলে , জিয়ার মত সামরিক শাসক নিয়া গর্ব করত। আমাদের দুর্ভাগ্য যে একজন গনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এদেশের গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিল , আর একজন সামরিক শাসক সেই গনতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে। সুতরাং আমি এই লেখাটাকে আদৌ নিরপেক্ষ মনে করি না।

এই সরকার শুধু নয় , সবার ই উচিৎ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে স্বাগত জানানে। কিন্তু যে প্রশ্নগুলো এখনও তোলা হচ্ছে, তা আপনি ও জানেন।

লেখককে আমার জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে , সাধারন ক্ষমার মানে কি?
আর ক্ষমা যদি করেই থাকে তাতে তো এই সরকারের কিছু যায় আসে না। হাসিনা কিছু না বুঝেই তো বিডিআর বিদ্রোহীদের সাধারন ক্ষমা ঘোষনা করেছিলেন। আবার এখন বিচার হচ্ছে। এরা জগতের কোন জায়গায় কথা রাখতে পারে নি । এখানে কথা রাখার তো প্রশ্নই আসে না। সরকার তাদের রাজনৈতিক প্রয়োজনে এই ইস্যুকে ব্যবহার করছে। সেটাকে ধিক্বার জানাই।

আপনি ভাল মানসিকতা নিয়ে প্রকৃতপক্ষে সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চান , আমরা সবাই আছি। কিন্তু আর এই কথা যে ই ব"লবে তাকেই বাকশালী শক্তি রাজাকার আখ্যা দিচ্ছে। এটা জাতি হিসেবে আমাদের বিভক্ত করে ফেলছে।
তিন বছর বসে মাত্র পাঁচজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ধরে বিচার বিচার বলে চিল্লাবেন, আর সবাইকে বোকা বানিয়ে রাখবেন, কেউ কিছু ব"লতে গেলেই তাকে রাজাকার বলবেন। এসব কি?

বিগত আওয়ামী সরকারের সময় পুরো সময়টা তারা একটি ইস্যু নিয়ে কাটিয়েছে। কথায় কথায় বলেছে যে বিরোধী দ"ল বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে চায়। পরে বিরোধীরা ক্ষমতায় এসেও সেই মামলা খারিজ করে নি। চুনকালী তো তখনই পড়ার কথা। আবার এখন শুরু করেছে ফালতু সব যুক্তি। এই দলটি ইতিহাস আশ্রিত একটি দল। সারা জীবন তো আর আমরা এসব ইস্যু নিয়ে বেঁচে থাকব না। প্রয়োজনে সব রাজাকারের লিষ্ট করার জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হোক। সেই কমিটি দেখবে যে কে কে রাজাকার। কমিটিতে সব দলের সদস্য থাকবে। বিএনপি বা আওয়ামীলীগ দু দলেই খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন। সুতরাং তাদের নিয়ে কমিটি হতে পারে।

এরপর দয়া করে সব রাজাকার রে গুলি করে মারেন। তাও ভাওতাবাজি বাদ দিয়ে দেশটা ভালভাবে চালানোর দিকে মন দেন। সেটাই দেখতে চাই।

৯১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০০

লেখোয়াড় বলেছেন: ওই ব্যাটা তো রাজাকারের থেকেও অধম। এই জন্য অমন কথা বলে বেড়ায়।
লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৯২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: -------এই মিথ্যাচারের মূল কারন হল তাদের পা চাপা স্বভাব, তারা স্বীকার করতে লজ্জা পায় যে 'শেখ মুজিব ঐ নরপশু গুলকে মুক্তি দিয়ে অন্যায় করেছেন।'
..................................বঙ্গবন্ধুর সাধারন ক্ষমা : কিছু প্রশ্ন শেয়ার ওরাকল ব্লগ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিষয় হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ত বটে ওয়েবে ও ব্যাপক আলোচনা এই বিষয়কে ঘিরে। আর যখনই এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সূত্রপাত হয় তখন অবধারিত ভাবেই কিছু বিষয় নিয়ে চরম মতানৈক্যের সৃষ্টি হয় :

১। ১৯৫ জন চিন্হিত ও ১১,০০০ প্রাথমিক দোষী পাকিস্তানী সামরিক-বেসামরিক নাগরিকের বিনা বিচারে পাকিস্তানের নিকট হস্তান্তর।
২। বঙ্গবন্ধু কর্তিক ঘোষিত সাধারন ক্ষমা।
৩। প্রেসিডেন্ট জিয়া কর্তিক দালাল আইন বাতিক ও তথ্য প্রমানের অভাবে বিচার ঝুলে যাওয়া ১০,০০০ জন দেশী কোলাবরেটরের মূক্তি।

১ম ব্যাপারটি নিয়ে ইতি মধ্যেই আমি লেখা-লেখি করেছি এবং এটা নিয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে লিখেছেন।আজ ২য় ব্যাপারটি নিয়েই লিখছি কারন আজকেই এ ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছি আমার ব্লগের সৌজন্যে-


বঙ্গবন্ধু আমলে দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা: ৩৭,৪৭১
নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা: ২,৮৪৮

নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলর মধ্যে অভিযুক্ত ব্যাক্তির সংখ্যা : ৭৫২ জন, বাকি ২,০৯৬ জন খালাস পেয়েছিল।

অর্থাৎ এই সাধারন ক্ষমা ঘোষনার আওতায় প্রায় ২০ হাজার লোক মুক্তি পায় বাকি প্রায় ১০ হাজার বিচারের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন।

এই সাধারন ক্ষামা যাদের জন্য প্রযোজ্য নয় তারা হলেন [ ১৯৭২ সালের দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ (পি.ও নং-৮, ১৯৭২ সালের)]

১. দুনম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিদের ও অপরাধ সমূহের ক্ষেত্র ছাড়া :
(ক) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী দন্ডবিধি ৪০১ নং ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত আদেশবলে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনবলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
(খ) কোনো বিশেষ ট্রাইবুনালের সম্মুখে অথবা কোনো বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উক্ত আদেশবলে বিচারাধীন সকল মামলা সংশ্লিষ্ঠ ট্রাইবুনাল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে প্রত্যাহার করা হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলে তাদের হাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
(গ) কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উল্লিখিত আদেশবলে আনীত সকল মামলা ও তদন্ত তুলে নেওয়া হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে বিচার বা দন্ডযোগ্য আইনে সে অভিযুক্ত না হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। উল্লিখিত আদেশবলে ইস্যু করা সকল গ্রেফতারী পরোয়ানা, হাজির হওয়ার নির্দেশ অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুলিয়া কিংবা সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ দেয়া থাকলে তা প্রত্যাহার বলে বিবেচিত হবে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়ার বলে কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে হাজতে আটক থাকলে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য সে ব্যক্তি উল্লিখিত দালাল আদেশ ছাড়া কোনো বিচার বা দন্ডযোগ্য অপর কোনো আইনে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা না থাকে তবেই।
যাদের অনুপস্থিতিতেই সাজা দেওয়া হয়েছে অথবা যাদের নামে হুলিয়া বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ঝুলছে তারা যখন উপযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করবে কেবল তখনই তাদের বেলা ক্ষমা প্রযোজ্য হবে।

২. দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারা (হত্যা), ৩০৪ নং ধারা, ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৪৩৫ ধারা (গুলি অথবা বিস্ফোরক ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন), ৪৩৬ ধারা (ঘর জ্বালানো) ও ৪৪৮ ধারায় (নৌযানে আগুন বা বিস্ফোরণ) অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তগণ এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষমার আওতায় পড়বে না।

এই সাধারন ক্ষমার আওতায় যেমন অনেক পাতি রাজাকার মুক্তি পেয়েছেন ঠিক তেমনি অনেক রাঘব বোয়াল ও মুক্ত হন -

'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, আটককৃত বা সাজাপ্রাপ্ত অনেক প্রাক্তন নেতা এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় মুক্তি লাভ করিবেন। তিনি বলেন যে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্ণর ডাঃ এ এম মালেক ও তাহার মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ শীঘ্রই মুক্তিলাভ করিবেন। অন্যদের মধ্যে যাহারা মুক্তি পাইবেন তাহাদের মধ্যে ডঃ কাজী দীন মোহাম্মদ, ডঃ হাসান জামান, ডঃ সাজ্জাদ হোসেন, ডঃ মোহর আলী (প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দালাল শিক্ষক) ও খান আবদুর সবুরও রহিয়াছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাহাদের সম্পত্তি ফেরত পাইবেন এবং দেশের নাগরিকদিগকে প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করিবেন। ' - তথ্যসূত্র ১

তা এই পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্ণর ডাঃ এ এম মালেক ও তাহার মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ হলেন - (কৃতজ্ঞতা: ব্লগার এহহামিদা [আমু ব্লগ])

১)ড: এ.এম. মালিক
২)আবুল কাশেম
৩)আব্বাস আলী খান (জামাতের প্রাক্তন সেক্রেটারী জেনারেল, মুজাহিদ যার স্থলাবিষিক্ত হয়)
৪)আখতারুদ্দিন আহমেদ
৫)এ.এস.এম. সোলায়মান
৬)ওবায়দুল্লাহ মজুমদার
৭)প্রফেসর শামসুল হক
৮)মাওলানা মোহাম্মদ ইশহাক
৯)নওয়াজিশ আহমেদ
১০)মাওলানা এ.কে.এম ইউসুফ (তত্ব আমলে নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পরে এই লোক ছিল ভারপ্রাপ্ত আমির)
১১) মং সু প্রু চৌধুরী!!

অথচ এই নরপশুগুলর নারকিয় কর্মকান্ডের বিষদ বর্ননা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত তুমুল জনপ্রিয় 'চরমপত্র' এর রচয়িতা এম আর আখতার মুকুল রচয়িত 'চরমপত্র' গ্রন্থে। এই লোকগুলর অধিনেই পাক আর্মি সারা বাংলায় নারকিয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ৯ মাস !

দ্ধিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার অথবা সাম্প্রতিক সময়ের বুশ হয়ত এক জন ব্যাক্তিকে ও নিজ হাতে হত্যা করেনি ইরাকে। কিন্তু তাই বলে এর দায় বা বিচার এড়াতে পারেনি হিটলার; যদি বিচার হয় তবে বুশ ও দন্ডিত হবেন নিশ্চিত। তবে কেন আমরা ৭১ এর ঐ সব মাস্টারমাইন্ড গুলর বিচার করব না ? পাকিগুলর ক্ষেত্রে না হয় কিছুই করার নাই কিন্তু এগুল ত বাংলাদেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবে এগুলকে কেন ধরা হবে না ?


আপডেট : অনেক হাম্বা আবার এই বলে পার পেতে চায় যে এরা সবাই মৃত। এই মিথ্যাচারের মূল কারন হল তাদের পা চাপা স্বভাব, তারা স্বীকার করতে লজ্জা পায় যে 'শেখ মুজিব ঐ নরপশু গুলকে মুক্তি দিয়ে অন্যায় করেছেন।'

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

এস্কিমো বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

কাউসার রুশো বলেছেন: সাধারন ক্ষমা ঘোষনায় সুস্পষ্ঠ ভাবে উল্লেখ ছিল যে,

“এই আদেশ বলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩০৪ ধারা (হত্যার চেষ্টা), ৩৭৬ ধারা (ধর্ষন), ৪৩৫ ধারা (অগ্নিসংযোগ অথবা বিস্ফোরক দ্বারা ক্ষতি সাধন) ৪৩৬ ধারা (বাড়িঘর ধ্বংসের অভিপ্রায়ে অগ্নিসংযোগ বা বিস্ফোরক দ্রব্য দ্বারা অপকর্মের চেষ্টা) মোতাবেক অভিযুক্ত বা দন্ডিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ১নং অনুচ্ছেদ মোতাবেক ক্ষমা প্রদর্শন প্রযোজ্য হইবে না”

৯৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

কাউসার রুশো বলেছেন: সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এই শুয়োরটাকেও ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে

৯৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

রাহীম বলেছেন: প্রকৃত দোষীদের বিচার করা হোক । কোন অবস্থায় যেন নিরাপরাধ ব্যক্তি রাজনৈতিক প্রতি হিংসার স্বীকার যেন না হন, এই আশা করি। এক কলংক দূর করতে যেয়ে যেন অন্য কলংক করে না বসি।

৯৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০২

মোবাশ্বের আহমেদ বলেছেন: রাজাকার ফজলুল কাদের চৌধুরী ৭১ সালের পর বিদেশ থেকে ফিরে শেখ সাহেব ধানমন্ডীর বাসায় বাস করেছেন আর তার ছেলে নাকি রাজাকার !
শ্রমমন্ত্রীর বাবা রাজাকারের কমান্ডার হলেও যুদ্ধাপরাধী নয় শুধুই রাজাকার !
সোজা আঙ্গুল বলেছেন: "কাদের সিদ্দিকীও যুদ্ধাপরাধী" তাকেও এদের সাথে বিচারের আওতায় আনা হোক।
হা হা হা
আর টিপাইমুখে বাঁধ দিয়ে সিলেট অন্চলকে মরুভুমি বানানোর ষড়যন্ত্র যখন শেষ পর্যায়ে তখন মুখ বন্ধ রাখার জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে ভারতরত্ন পুরষ্কার আর দেশের স্বার্থ জলান্জলী দিয়ে তাতেই বাকবাকুম !
আজব দেশ আজব কারবার !

৯৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৪

ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:

স্টিকি করার জন্য ধন্যবাদ।

৯৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা এবং মুক্তিযুদ্ধে তার কর্ম এবং কর্ণেল তাহেরকে হত্যার বিষয়ে লেখা

জিয়ার কর্ম নিয়ে কর্ণেল তাহের এর জবানবন্দি

বঙ্গবন্ধু হত্যার বিষয়ে জিয়ার অবস্থান


৯৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

রোজেল০০৭ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তি্যোদ্ধা নিয়ে কিছু সহ্য করা যায় না।তীব্র নিন্দা জানাই।

১০০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৮

বেঈমান আমি বলেছেন: দারুন পোস্ট।+++

১০১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৬

স্বাধীনতার_অপেক্ষায় বলেছেন: খন্দকার মাহবুবের কথা বাদ দেন। একজন শহীদের স্ত্রী (হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবালের মা) এর এই কথা কিভাবে ডিফেন্ড করবেনঃ

"..কিন্তু সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হলো না। এ দেশের ত্রিশ লাখ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানের নব্বই হাজার সৈন্য সসম্মানে তাদের দেশে ফিরে গেল। এ দেশের সরকার একটি বার তার বিচারের কথা উচ্চারণ পর্যন্ত করল না। ত্রিশ লাখ প্রাণের প্রতি অবমাননা এর থেকে বড় উদাহরণ পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটিও নেই। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারকে আমি কখনো সে জন্যে ক্ষমা করিনি। এরপর প্রত্যেকবার নতুন সরকার আসার পর আমি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে আবেদন করে বলেছি, ... কোনো লাভ হয়নি।... আমার বক্তব্য অত্যন্ত সরল, আমি বাহাত্তর সালে একটি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে পিরোজপুর থানায় কেস ফাইল করেছি, স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমি সেই বিচার আশা করতে পারি। এ দেশের কোর্টে হত্যাকারীর বিচার করা হোক। পাকিস্তান সরকারের কাছে সেই হত্যাকারীকে ফেরত চাওয়া হোক। আয়েশা ফয়েজ,জীবন যে রকম,সময়,ঢাকা, পৃঃ ৮৩-৮৪)”

১০২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

নিঃসংগ যোদ্ধা বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই।

এই পোস্টে জিয়াউর রহমানকে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে হেয় করার ব্যার্থ চেস্টার নিন্দা জানাই।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে একজন গনতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এদেশের গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিল , আর একজন সামরিক শাসক সেই গনতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯

এস্কিমো বলেছেন: বাংলাদেশে যতটুকু গনতন্ত্র চলছে তা ১৯৯০ সালের গনআন্দোলনের ফসল। জিয়াউর রহমান গনতন্ত্রের নামে যা দিয়েছিলো তা সাদ্দাম আর হোসনী মোবারকও দিয়েছিলেন। সেই সময়ের ইতিহাস বলে জিয়ার গনভোটে ৯০ ভাগ "হ্যা" ভোট পড়েছিলো - যা সাদ্দামের ভোটের সাথে তুলনা করা যায়।


মীথ নয় ইতিহাস জানুন।

১০৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮

মানুষ বলেছেন: অনেক দিন আগে ব্লগার শওকত হোসেন মাসুম এসংক্রান্ত একটা ব্লগ লিখেছিলেন। সময়োপযোগী ব্লগের জন্য থ্যাংকু ভাইজান।

১০৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৫

গেদু চাচা বলেছেন: আমরা কায়মন চিত্তে যুদ্ধাপরাধীদে বিচার চাই। কিন্তু সে বিচার নিয়ে যখন একটি দল নিছক রাজনীতি করছে তখন সেটা জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। ঠিক তখনি সেই দলের সমর্থক একজন ব্লগারের মনগড়া একটি পোষ্ট সামু ষ্টিকি করে চরম পক্ষপাতিটার পরিচয় দিয়েছে। ঐ দলটি গত তিন বছর ধরে বিচারের মুলা ঝুলিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে।

কারো রাজনৈতিক পোষ্ট ষ্টিকি করা সামুর কাজ নয়।

আসুন জাতিয়তাবদী ব্লগার বন্ধুরা সমস্বরে প্রতিবাদ করি।

১০৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৯

মুক্ত আকাশ বলেছেন: রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

আমরা যারা এই প্রজন্মের, তারা আসলেই ডেশের ইতিহাস নিয়ে কনফিউজড।স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও এখনো দেখি স্বাধীনতার ঘোষক কে তা নিয়ে মারামারি করতে।কেউ বলেন ,মুক্তিযুদ্ঢের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমান যুদ্ধই করেন নি, কারো ভাবসাব আবার এরকম"শেখ মুজিব? সে আবার কে, মুক্তিযুদ্ধের সময় তার আবার কোন আবদান ছিল নাকি!"এই যখন রাজনীতির অবস্থা, তখন সত্যি মিথ্যার প্রভেদ করি কি করে?

আরো দেখি, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্দা নিয়ে এত মায়াকান্না, অথচ আলোচনায় শেখ মুজীব আর জিয়া ছাড়া আর কেউ নেই। যেন, এই দুজন ছিলেন সুপার হিরো।দুজনের দুটো ঘোষনাতেই দেশটা স্বাধীন হয়ে গেলো।অন্যদের কথা তেমন কোন আলোচনাতেই নেই,শুধু বিশেষ দিবসে দু লাইনের দুটো বিবৃতি ছাড়া।এক তাজউদ্দীনের কথাই বলি।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্তিতে তার যে সাংগঠনিক ক্রিয়াকর্ম, সেটি না থাকলে এত দ্রুত দেশটা স্বাধীন হতনা।অঠচ প্রচার বিমুখ, দেশপ্রেমিক এই মানুষদের সম্পর্কে আমরা কতটুকু জানি?

মুক্তিযুদ্ধ আর জিয়া মুজীব নিয়ে যে পরিমান চাটুকারিতা আর স্বার্থপরতার রাজনীতি হচ্ছে তাতে লজ্জাই লাগে।

আওয়ামী লিগ জামাতের লিডারদের সাথে বসে আন্দোলন করলেন, তখন তারা এত খারাপ ছিললেন না। যখনই বিএনপির সাথে জামাত গেলো, তখন তাদের মত এমন অমানুষ বাংলার মাটিতে আর পাওয়া যাচ্ছেনা।

আমার মনে হয়না, এই সরকার যুদ্ধাপরাদের বিচার করবে।তাতে একটি ইস্যুর অপমৃত্যু ঘটবে।বরং তারা যা করবে, তা হল ইলেকশনের আগে একটা রায় দিয়ে জামাত নেতাদের ইলেকশন থেকে দুরে রাখবে।পাশাপাশি জংনের কাছে ভোট চাইবে এই বলে "আমরা বিচার শুরু করেছি।এটি সমাপ্ত করতে আবার ামাদের ক্ষমতায় যাওয়া জরুরী।অতএব..."

আমাদের রাজনীতি যখনর চেহারাই যখন এমন, আমরা নিজেরাও যখন ইস্যু নয় বরং সঠিক বেঠিক যাচাই করি দলীয় দৃষ্টিভংগইতে..টখন খন্ডকার মাহবুবের ভুমিকা কি ছিল না ছিল, তা অবান্তর।

সবই রাজনীতির খেল।আর রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।

১০৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৭

এ হেলাল খান বলেছেন: তাইয়িব বলেছেন: এই মিথ্যাবাদী আইনজীবিকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত। শেখ সাহেব বাঙ্গালি জাতির মালিক নয়। তার ক্ষমা করার অধিকার নেই। খুনের বদলা খুন্। রক্তের বিনিময়ে রক্ত চাই। হোক না তা ১০০ বছর আগের হত্যাকান্ড। জীবিত খুনিদের মৃত্যুদন্ড দিতেই হবে।

তাইয়িব ভাই শেখ মুজিব ক্ষমা করে নাই এ সংক্রান্ত প্রমানতো এ পোষ্টে আছে। এ ছাড়া আপনার বাকী বক্তব্যের সাথে সহমত। আমারও একই কথা বিচার হতেই হবে। না হলে পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। এই পোষ্টে কিছু ছাগুর আস্পালন দেখা যাচ্ছে। আপসোস!! তারা কি এ দেশের নাগরিক?

১০৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এ হেলাল খান বলেছেন: পোষ্টে লেখক এবং সামুকে ধন্যবাদ জানাই।

১০৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

অনিরূদ্ধ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসলাম আর জামায়াতে ইসলাম এক করে দেখলে সমস্যা। জামায়াত এই পর্যণ্ত যা করেছে সবই ইসলামের শিক্ষার বিরোধী। ৭১ সালে আক্রান্ত একটা মজলুম জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কোরানের নির্দেশ অমান্য করে জালেমের পক্ষে জুলুমে শরিক হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতায় গিয়ে একটা কাজও করেনি যা ইসলামের পক্ষে যাবে। নিজেদের জন্যে প্লট বরাদ্ধ আর টিভি লাইসেন্স নেওয়া আর চোরদের সহযোগীতা ছাড়া কিই বা করেছে।


খাঁটি সত্য কথা।
অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক কে

১০৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

ওওওওওওও বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: -------এই মিথ্যাচারের মূল কারন হল তাদের পা চাপা স্বভাব, তারা স্বীকার করতে লজ্জা পায় যে 'শেখ মুজিব ঐ নরপশু গুলকে মুক্তি দিয়ে অন্যায় করেছেন।'
..................................বঙ্গবন্ধুর সাধারন ক্ষমা : কিছু প্রশ্ন শেয়ার ওরাকল ব্লগ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা আলোচিত বিষয় হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ত বটে ওয়েবে ও ব্যাপক আলোচনা এই বিষয়কে ঘিরে। আর যখনই এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সূত্রপাত হয় তখন অবধারিত ভাবেই কিছু বিষয় নিয়ে চরম মতানৈক্যের সৃষ্টি হয় :

১। ১৯৫ জন চিন্হিত ও ১১,০০০ প্রাথমিক দোষী পাকিস্তানী সামরিক-বেসামরিক নাগরিকের বিনা বিচারে পাকিস্তানের নিকট হস্তান্তর।
২। বঙ্গবন্ধু কর্তিক ঘোষিত সাধারন ক্ষমা।
৩। প্রেসিডেন্ট জিয়া কর্তিক দালাল আইন বাতিক ও তথ্য প্রমানের অভাবে বিচার ঝুলে যাওয়া ১০,০০০ জন দেশী কোলাবরেটরের মূক্তি।

১ম ব্যাপারটি নিয়ে ইতি মধ্যেই আমি লেখা-লেখি করেছি এবং এটা নিয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে লিখেছেন।আজ ২য় ব্যাপারটি নিয়েই লিখছি কারন আজকেই এ ব্যাপারে কিছু তথ্য পেয়েছি আমার ব্লগের সৌজন্যে-


বঙ্গবন্ধু আমলে দালাল আইনে আটক ব্যক্তিদের মোট সংখ্যা: ৩৭,৪৭১
নিষ্পত্তিকৃত মামলার সংখ্যা: ২,৮৪৮

নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলর মধ্যে অভিযুক্ত ব্যাক্তির সংখ্যা : ৭৫২ জন, বাকি ২,০৯৬ জন খালাস পেয়েছিল।

অর্থাৎ এই সাধারন ক্ষমা ঘোষনার আওতায় প্রায় ২০ হাজার লোক মুক্তি পায় বাকি প্রায় ১০ হাজার বিচারের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন।

এই সাধারন ক্ষামা যাদের জন্য প্রযোজ্য নয় তারা হলেন [ ১৯৭২ সালের দালাল (বিশেষ ট্রাইবুনাল) আদেশ (পি.ও নং-৮, ১৯৭২ সালের)]

১. দুনম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ব্যক্তিদের ও অপরাধ সমূহের ক্ষেত্র ছাড়া :
(ক) ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী দন্ডবিধি ৪০১ নং ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত আদেশবলে আটক ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের রেহাই দেওয়া হচ্ছে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনবলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকলে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার অনতিবিলম্বে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
(খ) কোনো বিশেষ ট্রাইবুনালের সম্মুখে অথবা কোনো বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে উক্ত আদেশবলে বিচারাধীন সকল মামলা সংশ্লিষ্ঠ ট্রাইবুনাল ও ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে প্রত্যাহার করা হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে তাদের বিরুদ্ধে বিচারাধীন কোনো মামলা বা অভিযোগ না থাকলে তাদের হাজত থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
(গ) কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উল্লিখিত আদেশবলে আনীত সকল মামলা ও তদন্ত তুলে নেওয়া হবে এবং উল্লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনো আইনে বিচার বা দন্ডযোগ্য আইনে সে অভিযুক্ত না হলে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। উল্লিখিত আদেশবলে ইস্যু করা সকল গ্রেফতারী পরোয়ানা, হাজির হওয়ার নির্দেশ অথবা কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে হুলিয়া কিংবা সম্পত্তি ক্রোকের নোটিশ দেয়া থাকলে তা প্রত্যাহার বলে বিবেচিত হবে এবং গ্রেফতারী পরোয়ানা অথবা হুলিয়ার বলে কোনো ব্যক্তি ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে হাজতে আটক থাকলে তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হবে। অবশ্য সে ব্যক্তি উল্লিখিত দালাল আদেশ ছাড়া কোনো বিচার বা দন্ডযোগ্য অপর কোনো আইনে তার বিরুদ্ধে যদি কোনো মামলা না থাকে তবেই।
যাদের অনুপস্থিতিতেই সাজা দেওয়া হয়েছে অথবা যাদের নামে হুলিয়া বা গ্রেফতারী পরোয়ানা ঝুলছে তারা যখন উপযুক্ত আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা ও বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করবে কেবল তখনই তাদের বেলা ক্ষমা প্রযোজ্য হবে।

২. দন্ডবিধির ৩০২ নং ধারা (হত্যা), ৩০৪ নং ধারা, ৩৭৬ ধারা (ধর্ষণ), ৪৩৫ ধারা (গুলি অথবা বিস্ফোরক ব্যবহার করে ক্ষতিসাধন), ৪৩৬ ধারা (ঘর জ্বালানো) ও ৪৪৮ ধারায় (নৌযানে আগুন বা বিস্ফোরণ) অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্তগণ এক নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লিখিত ক্ষমার আওতায় পড়বে না।

এই সাধারন ক্ষমার আওতায় যেমন অনেক পাতি রাজাকার মুক্তি পেয়েছেন ঠিক তেমনি অনেক রাঘব বোয়াল ও মুক্ত হন -

'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে, আটককৃত বা সাজাপ্রাপ্ত অনেক প্রাক্তন নেতা এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার আওতায় মুক্তি লাভ করিবেন। তিনি বলেন যে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্ণর ডাঃ এ এম মালেক ও তাহার মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ শীঘ্রই মুক্তিলাভ করিবেন। অন্যদের মধ্যে যাহারা মুক্তি পাইবেন তাহাদের মধ্যে ডঃ কাজী দীন মোহাম্মদ, ডঃ হাসান জামান, ডঃ সাজ্জাদ হোসেন, ডঃ মোহর আলী (প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দালাল শিক্ষক) ও খান আবদুর সবুরও রহিয়াছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা তাহাদের সম্পত্তি ফেরত পাইবেন এবং দেশের নাগরিকদিগকে প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করিবেন। ' - তথ্যসূত্র ১

তা এই পূর্ব পাকিস্তানের প্রাক্তন গভর্ণর ডাঃ এ এম মালেক ও তাহার মন্ত্রীসভার সদস্যবৃন্দ হলেন - (কৃতজ্ঞতা: ব্লগার এহহামিদা [আমু ব্লগ])

১)ড: এ.এম. মালিক
২)আবুল কাশেম
৩)আব্বাস আলী খান (জামাতের প্রাক্তন সেক্রেটারী জেনারেল, মুজাহিদ যার স্থলাবিষিক্ত হয়)
৪)আখতারুদ্দিন আহমেদ
৫)এ.এস.এম. সোলায়মান
৬)ওবায়দুল্লাহ মজুমদার
৭)প্রফেসর শামসুল হক
৮)মাওলানা মোহাম্মদ ইশহাক
৯)নওয়াজিশ আহমেদ
১০)মাওলানা এ.কে.এম ইউসুফ (তত্ব আমলে নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পরে এই লোক ছিল ভারপ্রাপ্ত আমির)
১১) মং সু প্রু চৌধুরী!!

অথচ এই নরপশুগুলর নারকিয় কর্মকান্ডের বিষদ বর্ননা পাওয়া যায় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত তুমুল জনপ্রিয় 'চরমপত্র' এর রচয়িতা এম আর আখতার মুকুল রচয়িত 'চরমপত্র' গ্রন্থে। এই লোকগুলর অধিনেই পাক আর্মি সারা বাংলায় নারকিয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ৯ মাস !

দ্ধিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার অথবা সাম্প্রতিক সময়ের বুশ হয়ত এক জন ব্যাক্তিকে ও নিজ হাতে হত্যা করেনি ইরাকে। কিন্তু তাই বলে এর দায় বা বিচার এড়াতে পারেনি হিটলার; যদি বিচার হয় তবে বুশ ও দন্ডিত হবেন নিশ্চিত। তবে কেন আমরা ৭১ এর ঐ সব মাস্টারমাইন্ড গুলর বিচার করব না ? পাকিগুলর ক্ষেত্রে না হয় কিছুই করার নাই কিন্তু এগুল ত বাংলাদেশেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, তবে এগুলকে কেন ধরা হবে না ?


আপডেট : অনেক হাম্বা আবার এই বলে পার পেতে চায় যে এরা সবাই মৃত। এই মিথ্যাচারের মূল কারন হল তাদের পা চাপা স্বভাব, তারা স্বীকার করতে লজ্জা পায় যে 'শেখ মুজিব ঐ নরপশু গুলকে মুক্তি দিয়ে অন্যায় করেছেন।'

১১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মো আব্দুল করিম বলেছেন:

[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/geduchacha01/29488357#comments| বীর উত্তম [প্রয়াত] জিয়াউর রহমানকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এই পোস্টটি স্টিকি করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য সামুর মডারেটরদেরকে অনুরোধ জানাচ্ছি।]

১১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মো আব্দুল করিম বলেছেন:
[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/geduchacha01/29488357#comments| বীর উত্তম [প্রয়াত] জিয়াউর রহমানকে হেয় করার উদ্দেশ্যেই এই পোস্টটি স্টিকি করার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।নিরপেক্ষতা প্রমাণের জন্য সামুর মডারেটরদেরকে অনুরোধ করছি।]

১১২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মো আব্দুল করিম বলেছেন:
Click This Link

১১৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

মৃগয়া বলেছেন: হ জিয়া হইছে আস্ত রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার । মার শালারে। আর আমগো টাউক্কা কাম্রুল হইছে বীরশ্রেষ্ঠ।

১১৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৩০

মঈনউদ্দিন বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

সব রাজাকারের ফাসি চাই......

কোন রাজাকারের এ দেশে থাকার কোন অদিকার নেই....

১১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫১

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দালালীর জন্য ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আটক হয় - ৩৭ হাজার ৪ শত ৯১ জন

ট্রাইবুনাল গঠিত হয়- ৭৩ টি ( সারা বাংলাদেশে )

১৯৭৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত উক্ত ট্রাইবুনাল গুলোতে দায়ের করা মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয় মোট ২ হাজার ৮ শত ৪৮ টি মামলা ।

দোষী প্রমাণিত হয় - মোট ৭৫২ জন

মামলায় খালাশ পায় - ২ হাজার ৯৬ জন ।

আইনগত ব্যাবস্থায় দ্রুততা আনার জন্য সে সময় ৭৩ টি ট্রাইবুনালের ব্যাবস্থা করা হলেও প্রতিদিন ৩-৪ টির বেশী মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব হয়নি এবং মাসে যার পরিমাণ ছিলো ১৩০ টির মত মামলা ।

সাধারন ক্ষমা সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধুর একটি ভিডিও লিঙ্কঃ

Click This Link

যারা বঙ্গবন্ধুর সাধারণ ক্ষমা কে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করতে চায় বরাবর-ই তাদের উদ্দেশ্য ছিলো এই ক্ষমা'র কথা বলে নিজেদের ঘৃণ্য অপরাধকে আড়াল করা । কিন্তু বাস্তব বড় নির্মম । যা সত্য , তা সত্যই । একে লুকোনো বা আড়াল করবার ক্ষমতা কারো নেই ।

এই সাধারণ ক্ষমা বিষয়ক প্রপাগান্ডার কয়েকটি জলজ্যান্ত উদাহরণ আপনাদের আজ দেখাচ্ছি ।পাঠকরা দয়া করে সময়কাল গুলো লক্ষ্য করবেন ভালো করে । সাধারণ ক্ষমা ঘোষিত হয়েছিলো ১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর । রাজাকার-আলবদর আর তার দোসররা এই ক্ষমাকে যে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করে তা আপনাদের আগেই বলেছি । লক্ষ্য করুন নীচের লেখাগুলো-

১) ইত্তেফাকের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে,

দুইজন আলবদরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

“ঢাকার ৩য় স্পেশাল ট্রাইবুনাল জজ জনাব এস এম মাহমুদ গত শনিবার হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার দায়ে আল বদর মকবুল হোসেন , আয়ুব আলী ও আতিয়ার রহমানকে দোষী সাব্যাস্ত করিয়া যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন । আসামী আতিয়ার রহমান পলাতক বিধায় তাহার গ্রেফতারের দিন হইতে রায় কার্যকরী হইবে” (সংক্ষেপিত)

২) দৈনিক পূর্বদেশের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৪ সালের ২-এপ্রিল

দালালীর দায়ে বরিশালে ১৪ জনের মৃত্যুদন্ড

“বরিশাল জেলার সেশন জজ জনাব আর কে বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনীর সাথে সহযোগিতা ও হত্যার অভিযোগে আব্দুল মালেক বেগ সহ আরো ১৪ ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেছেন । আদালতের কার্যবিধিতে বলা হয়েছে ১৯৭১ সালের ২২ শে আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অভিযুক্তরা মেহেদীগঞ্জ থানার ভাষাঞ্চর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের ততকালীন কোষাধ্যক্ষ জবনাব আব্দুল বারী মোল্লার দোকানে চড়াও হয় । তারা আব্দুল বারী মোল্লাকে হত্যা করে ও দোকান লুট করে ।

৩) দৈনিক সংবাদের একটি রিপোর্টঃ ১৯৭৫ সালের ২০ শে এপ্রিল

পাক দালালীর দায়ে দু’জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

“কুমিল্লা জেলার দায়রা জজ এবং ১ নং বিশেষ আদালতের সভাপতি জনাব কায়সার আলী সম্প্রতি দালালীর দায়ে দু;ব্যাক্তিকে যাবজ্জেবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন । মামলার বিবরণে প্রকাশ শহীদ রফিক উদ্দিন আহমেদ তদানীন্তন পাকিস্তান আর্মির হাবিলদার এবং ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন । ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী বাঙ্গালীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে তিনি পালিয়ে এসে কিছু কাল বুড়িচং থানার আরাম আনন্দপুরস্থ তার নিজ বাড়ীতে অবস্থান করেন । পরে তিনি ভারতে চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধের যোগ দেন । কিন্তু দৈহিক অপারগতার দরুণ তিনি আবার নিজ বাড়ীতে ফিরে লুকিয়ে থাকেন । ১৯৭১ সালের ২৩ শে সেপ্টেম্বর কথিত বিবাদীদ্বয় কয়েকজন রাজাকার নিয়ে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর লোকেরা রফিক উদ্দিনের বাড়ী ঘেরাও করে এই বাড়ীর আব্দুর রশিদকে তার ঘর থেকে বের করে আনে । পরে বিবাদী দু’জন সহ পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরেরা রফিক উদ্দিনের ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করে এনে বিবাদী আব্দুল হামিদের সম্মুখে একত্রিত করে উক্ত মামলার সরকার পক্ষের মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় এবং সরাক্র পক্ষের মামলা পরিচালনা করেন সরকারী উকিল কাজী হাচিবুর রহমান । আদালত বিবাদীদেরকে বাংলাদেশ ফৌজদারী দন্ড বিধির ৩৬৪/৩৪ ধারার সাথে রাষ্ট্রপতির আদেশ ৮ এর ১১(এ) মতে দোষী সাব্যাস্ত করেন এবং উপোরোক্ত কারাদন্ডের নির্দেশ দেন” (আসামী দ্বয় হচ্ছেন- আব্দুল হামিদ আজিজুল্লাহ ও আব্দুস সোবাহান । উল্লেক্ষ্য মামলা চলাকালীন সময়ে আব্দুস সোবাহানের মৃত্যু হয় )

উপরের তিনটি পত্রিকার রিপোর্ট দেয়ার মানে হচ্ছে এই , যদি ৩০ শে নভেম্বর ১৯৭৩ সালের সাধারণ ক্ষমাতে সব রাজাকার রা মাফ-ই পেয়ে যেতো , তবে সেই তারিখের পর দুই বছর পর্যন্ত কিভাবে জাজ সাহেব রায় দিলেন বা মামলা চলেছিলো?

সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার ৫নং ধারার (ক) অনুচ্ছেদে যে বিধান রাখা হয় তাতে সত্যিকার অর্থে কোন যুদ্ধাপরাধী মুক্তি পাওয়ার কথা নয়। কারণ ঘোষণার ৫ নং ধারায় বলা হয়েছে - ( এই অংশটি সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন ব্লগার একরামুল হক শামীম ভাই)

" যারা বর্ণিত আদেশের নিচের বর্ণিত ধারাসমূহে শাস্তিযোগ্য অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত অথবা যাদের বিরোদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে অথবা যাদের বিরোদ্ধে নিম্নোক্ত ধরা মোতাবেক কোনটি অথবা সবকটি অভিযোগ থাকবে

"(১) ১২১ (বাংলাদেশের বিরোদ্ধে যুদ্ধ চালানো অথবা চালানোর চেষ্টা), (২) ১২১ ক (বাংলাদেশের বিরোদ্ধে যুদ্ধ চালানোর ষড়যন্ত্র), (৩) ১২৮ ক (রাষ্ট্রদ্রোহিতা), (৪) ৩০২ (হত্য), (৫) ৩০৪ (হত্যার চেষ্টা), (৬) ৩৬৩ (অপহরণ), (৭) ৩৬৪ (হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ) (৮) ৩৬৫ (আটক রাখার উদ্দেশ্যে অপহরণ), (৯) ৩৬৮ (অপহৃত ব্যক্তিকে গুম ও আটক রাখা), (১০) ৩৭৬ (ধর্ষণ), (১১) ৩৯২ (দস্যুবৃত্তি), (১২) ৩৯৪ (দস্যুবৃত্তিকালে আঘাত), (১৩) ৩৯৫ (ডাকাতি), (১৪) ৩৯৬ (খুনসহ ডাকাতি), (১৫) ৩৯৭ (হত্যা অথবা মারাত্বক আঘাতসহ দস্যুবৃত্তি অথবা ডাকাতি), (১৬) ৪৩৫ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে ক্ষতিসাধণ), (১৭) ৪৩৬ (বাড়িঘর ধ্বংসের উদ্দেশ্যে আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার), (১৮) ফৌজদারী দন্ডবিধির ৪৩৬ (আগুন অথবা বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে কোন জলযানের ক্ষতি সাধন) অথবা এসব কাজে উৎসাহ দান। এসব অপরাধী কোনভাবেই ক্ষমার যোগ্য নন।"

এখন প্রশ্ন হলো সুনির্দিষ্টভাবে এই ১৮টি ধারা উল্লেখ করার পরও কি কেই বলতে পারে যে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের ছাড়া পেয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে ? সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও ১১ হাজারের বেশি ব্যক্তি এ সকল অপরাধের দায়ে কারাগারে আটক ছিল এবং তাদের বিচার কার্যক্রম চলতে ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর দালাল আইন বাতিল করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই প্রসঙ্গে এই রচনায় আলোচনা না করে ফিরে যাই সাধারণ ক্ষমা প্রসঙ্গে। এই সাধারণ ক্ষমা নিয়ে একটা বিতর্ক থেকেই যায়। শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন কিসের ভিত্তিতে ? সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি কি শুধুই সহানুভুতিতার বিষয় নাকি সেখানে সাংবিধানিক কোন বৈধতা রয়েছে ? বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষমা প্রদর্শনের সুযোগ রয়েছে। লক্ষ করি বর্তমান সংবিধানের ৪৯ নং অনুচ্ছেদ (১৯৭২ সালের সংবিধানের ৫৭ নং অনুচ্ছেদ)

" The President shall have power to grant pardons, reprieves and respites and to remit, suspend or commute any sentence passed by any court, tribunal or other authority."

অর্থাৎ " কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দন্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোন দন্ড মওকুফ স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে।"

সুতরাং বলা যায়, শুধুমাত্র শাস্তি এবং দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার আছে রাষ্ট্রপ্রধানের। কিন্তু যারা শাস্তি কিংবা দন্ড পাননি তাদেরকে কি সাধারণ ক্ষমা করা যাবে?

আরেকটি কথা এখানে বলে রাখা ভালো যে সাধারণ ক্ষমার এমন নিদর্শন কম্বোডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রেও দেখা যায় । ১৯৯৬ সালে রাজা নরোদম সিহানুক রেভ্যুলুশনারী ট্রাইবুনালে খেমাররুজ নেতা মানে পলপট সরকারের বিদেশ মন্ত্রী ইয়েং স্যারির দন্ডের মার্জনা ঘোষনা করেন । তবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য যে , কম্বোডিয়ায় দন্ড পাওয়ার পর যুদ্ধাপরাধী স্যারির দন্ড মওকুফ করা হয়েছে কিন্তু ১৯৭২ সালের সংবিধান অনুযায়ী ৫৭ নং অনুচ্ছেদে শুধু মাত্র দন্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা ঘোষনার এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির থাকলেও , বঙ্গবন্ধু দন্ডিত হননি এমন ব্যাক্তিদের সাধারণ ক্ষমা করেছেন । এই যুক্তিতে সাধারণ ক্ষমা ঘোষনাটিকেও বাদ করা যেতে পারে অসংবিধানিক সূচিত করে ।

সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার প্রাক্কালে কিছু জাতীয় ঘটনার দিকে তাকাইঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ আবু মোঃ দেলোয়ার হোসেন “স্বাধীনতাত্তোর দালালদের বিচার প্রক্রিয়াঃ একটি পর্যালোচনা” শীর্ষক তাঁর লেখা একটি প্রবন্ধে লিখেন – “যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে আওয়ামীলীগ সরকারের দূর্বলতার সুযোগে পাকিস্থান আমলই ভালো ছিলো এই প্রচার চালানো হয় এবং এ পর্যায়ে “মুসলিম বাংলা আন্দোলন” বিভিন্ন অঞ্চলে বাংলাদেশ-বিরোধী ততপরতায় লিপ্ত হয় । ধর্ম ভিত্তিক দলগুলো পিকিংপন্থী দলগুলোর সঙ্গে একত্রিত হয়ে দালালদের মুক্তির দাবী তোলে । ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসে নির্বাচনের প্রাক্কালে দালাল ও স্বাধীনতা বিরোধীদের সমর্থন পেতে ন্যাপ (ভাসানী) এবং আতাউর রহমানের জাতীয় লীগসহ আওয়ামী বিরোধী পিকিংপন্থী জোট নির্বাচনের আগেই দালালদের মুক্তি দাবী করে । এ সময় মাওলানা ভাসানী হুমকি দেন যে, ১৯৭২ সালের ৩১ শে ডিসেম্বরের মধ্যে দালাল আইন বাতিল না করলে তিনি দূর্বার আন্দলোন গড়ে তুলবেন”

এইদিকে ১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পর ১৯৭৪ সালের ৯ ই এপ্রিল ঐতিহাসিক “ত্রিপক্ষীয় চুক্তি”সাক্ষরিত হয় । যেই চুক্তির কারনে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে “An Act of Clemency” এর মাধ্যমে ভারতের কারাগার থেকে পাকিস্তানের সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবে জানতে হলে যে কোনো পাঠকদের জন্য জনপ্রিয় ব্লগার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিরাজুর রহমানের "যে কারনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ব্যার্থ হলাম" শীর্ষক লেখাটি-ই যথেষ্ঠ । এই বিষয়ে আরেকজন ব্লগার সাঈদ আহমেদের আরেকটি লেখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ । এই দুইটি লেখাতেই বিস্তারিত ভাবে লেখা হয়েছে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তরের রাজণৈতিক , অর্থনৈতিক , সামাজিক বিভিন্ন কারণ ও তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের সকল কাহিনী । আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি এই দুই লেখকের এই বিষয়ক লেখা গুলো পড়লে আপনিও বুঝতে পারবেন কেন ছেড়ে দিতে হয়েছিলো এই ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে ।

ডঃ কামাল সে সময়কার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন এবং তিনি-ই বাংলাদেশের পক্ষে ওই চুক্তিটি সাক্ষর করেন । তার ভাষ্যমতে , পাকিস্তান ১৯৫ জন পাকিস্তানী আর্মিকে তাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিচার করবে বলে কথা দিয়েছিলো । জন্ম থেকেই বেঈমান জাতি পাকিস্তান অবশ্য তা কখনোই করেনি ।

পড়ুন মিরাজুর রহমানের ১৯৫ জন পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দেবার বিষয়ক লেখা " যে কারনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ব্যার্থ হলাম" । পড়ুন সাঈদ আহমেদের ঐ একই বিষয়ক "সেই ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী" শীর্ষক সিরিজটি । (Click This Link)

আবার এই ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধীদের পাকিদের হাতে তুলে দেবার ব্যাপারটি আইনসম্মত কি না , কিংবা এখনো এই ১৯৫ জনকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যাবে কি না সেই সম্পর্কেও আইনের চমতকার একটি ব্যখ্যা দিয়েছেন বিশিষ্ট আইন আইনজীবি , মানবাধিকার কর্মী ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ডঃ তুরিন আফরোজ । তিনি বলেন-

১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি বাংলাদেশের জন্য একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি (International Treaty)। বাংলাদেশ সংবিধানের ১৪৫(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ‘বিদেশের সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি রাষ্ট্রপতির নিকট পেশ করা হইবে, এবং রাষ্ট্রপতি তাহা সংসদে পেশ করিবার ব্যবস্থা করিবেন।’ এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করা হলো একটি executive act এবং এরূপ চুক্তির validity প্রশ্নে সংসদের সম্মতি গ্রহণ করা আবশ্যক নয়। তবে যদি কোন আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে প্রতিষ্ঠিত দায়বদ্ধতা বাংলাদেশের প্রচলিত কোন আইনের পরিপন্থী হয়, তবে সেই আন্তর্জাতিক চুক্তিকে অবশ্যই আইন রূপে সংসদে পাস করিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের আদালত দেশীয় আইনকেই প্রয়োগ করতে বাধ্য থাকবে। ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তি কখনই বাংলাদশের সংসদে আলোচিত হয়নি। আবার এই আন্তর্জাতিক চুক্তিটি বাংলাদেশের প্রচলিত আইন আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এর পরিপন্থী। সুতরাং বাংলাদেশের কোন আদালত ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তিটি প্রয়োগে বাধ্য নয়। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩-এর অধীনে ফেরত পাঠানো ১৯৫ পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দীদেরও বিচার করা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর নিহত হবার পর ১৯৭৫ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে দালাল আইন কে বাতিল করা হয় জিয়ার নির্দেশে। ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে কিন্তু এখানে সংযুক্ত করতে পারছি না।

১১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫২

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: তৎকালীন আর্মি চিফ জিয়ার নির্দেশে দালাল আইন বাতিল করা হয়। সেই বাতিল করন একটি গেজেট নোটি ফিকেশনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয় জাস্টিস মুনিমের সাক্ষর সহ। তার দলিল নীচে দেয়া হলো-



২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩২

এস্কিমো বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ - ডকুমেন্টগুলো দরকার ছিলো।

১১৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৮

কালো স্বপ্ন বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই এটা সবারই প্রানের দাবী।আপনার কথার সাথে আমি একমত।তবে আপনার উদ্দেশ্যর সাথে একমত না।কারন আপনার মূল উদ্দেশ্য ছিল জিয়াকে হেয় করা।যদি সম্ভব হয় আরো তথ্য,উপাত্ত দিয়ে নিরপেক্ষ ভাবে ব্যপারটা তুলে ধরুন।

১১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৯

আহম্মেদ রানা বলেছেন: রাজাকারের শাস্তি আমরা সবাই চাই। কে কাকে ক্ষমা করেছিল, আর কে কাকে আতাঁত করে দেশে নিয়ে এসেছিল তা ইতিহাসে সাক্ষ্য হয়ে আছে। এগুলো নিয়ে বিচার-বিবেচনার আর দরকার নেই। এটা একটা সেটেল্ড ইস্যু। তবে কাওকে একা দোষারোপ করে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আমি মনে করি না। আমাদের রাজনীতিবিদেরা সবাই সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। নইলে রাজাকার বা স্বৈরাচারেরা কিভাবে এতদিন টিকে থাকে! শুধু টিকেই নেই, তারা বড় দুই দলের হাতিয়ার হয়ে কাজ করছে।

তাই আসুন কাওকে দোষারোপ না করে, আমরা রাজাকারদের বিচার চাই, স্বৈরাচারের বিচার চাই। তবে বিচার হতে হবে বৈধ এবং গ্রহনযোগ্য। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে সম্পৃক্ত করতে পারলে ভাল হবে। দেশের যা অবস্থা তাতে আগামীতে কে ক্ষমতায় আসে কে যানে! আর বিচার প্রক্রিয়াতো এখন ক্ষমতার কাছে জিম্মি হয়ে আছে। তাই যা করবার এখনই করা দরকার....

১১৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০২

এমদেশ বলেছেন: ১৯৫ জন পাকিস্তানী সেনা অফিসার যারা এই দেশে প্রত্যক্ষভাবে খুন, জখম, ধর্ষণের সাতে জড়িত ছিল তাদের ভারতে হাতে হস্তান্তর ছিল শেখ মুজিবের ক্ষমাহীন অপরাধ। এই ১৯৫ জন খুনী, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার অধিকার শেখ মুজিবকে বাংলার জনগণ দেয়নি।
'৭১ -এর স্বাধীনতা যুদ্ধে শেখ মুজিব ও তার পরিবারকে কিছু হারানো তো দূরের কথা, কোনো দুঃখ-কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়নি। তাই শেখ মুজিব সহজেই কাউকে ক্ষমা করার কথা বলতে পারেন।

আজ শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, শেখ সেলিমের বেয়াই ফরিদপুরের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী মুসা বিন শমসেরকে কেন যুদ্ধাপরাধী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়নি তাও বিরাট প্রশ্ন।

১২০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: খুবই দুঃখজনক এবং লজ্জার কথা যে স্বাধীন দেশে টিভিতে বসে একটি লাইভ টকশো তে পরাজিত শত্রুপক্ষের পক্ষে কথা বলছেন দেশের সর্বোচ্চ আইনজীবি ফোরামের নেতা।
অবলীলায় মিথ্যাচার করছেন লাইভ অনুষ্ঠানে ...

১২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৪

সুমন এম রহমান বলেছেন: ওই মিয়া, জিয়া পূর্ন সংসদ নির্বাচন দিয়েছিলেন, সেটা হাঁ না ভোটের পরে। ইতিহাসের জাহাজ! একটা ফালতু পোষ্ট দিছেন মিয়া আবার কথা বলেন। পাইছেন এক ইস্যু আর সেটা নিয়া দালালী করতে লাইগ্যা যান খালি। বাকশালী ভাবটা আছেই।

১২২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৪

আহম্মেদ রানা বলেছেন: ও আর একটা কথা বলি, যারা রাজাকার বা ঘাতক-দালালদের মুক্তির গেজেট দেখিয়ে রাজাকারের বিচারের চাইতে তৎকালীন সরকার ও জিয়াকে সম্পৃক্ত করে মজা লুটার চেষ্টা করছেন, তারা বিষয়টাকে ভাল ভাবে অনুধাবন করলে খুসী হবো। দেখে মনে হয়, আপনাদের উদ্দেশ্য হলো জিয়াকে যে ভাবেই হোক এর সাথে সম্পৃক্ত করা, আর মুজিবকে তার দায় থেকে মুক্তি দেয়া। কিন্তু এটা কোনো ভাল উদ্যোগ নয়। যা ঘটেছে তার জন্য অতীতের কেও দায়মুক্ত হতে পারে না। আমি কারও পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে চাইনা। আমি চাই, রাজাকারদের বিচার হোক্ ।

কিন্তু আমার সন্দেহ, হাসিনা রাজাকারদের বিচার করবে তো!

১২৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪

নরাধম বলেছেন: এস্কিমোভাই, আপনাকে দেখে ভাল লাগছে। কেমন আছেন? পোস্ট বরাবরের মতই জ্যোস।

১২৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৭

উন্মাদ অভিক বলেছেন: প্রশংসা নামক জামাতের দালাল গুলা এভাবে কথা বলার সুযোগ পায় কিভাবে??? আমি অবাক হলাম এরা কিভাবে এভাবে কুত্তার পা চাটে!!!!!! এই ব্যাটার অ্যাকাউন্ট এ ঢুকে দেখলাম ''ভানুকে নিয়মিত ধর্ষণ করত সাঈদী...'' নামক একটি পোস্ট এ সে কমেন্ট করেছে
প্রশংসা বলেছেন: এটা বিশ্বাসের অযোগ্য। আল্লাহ হয়তো এই সব মিথ্যাচারের বিনিময়ে আল্লামাকে বেহেশত নসীব করবেন।

আর কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না!!!!!!


পোস্ট এর ব্যাপারে +++

১২৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪০

ইমন কুমার দে বলেছেন: + +

১২৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪১

এমদেশ বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার সবচেয়ে ভালো সময় ছিল স্বাধীনতার ঠিক পর পরই। '৭৫-এর ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ৩ বছর ৭ মাস ক্ষমতায় ছিল, কিন্তু তারা তখন বিচার করে যায়নি।
১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল তখনো তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নেয়নি। আওয়ামী লীগ এ ব্যাপারে কখনোই আন্তরিক ছিল না। এখনো তারা আন্তরিক নয়।

১৯৫ জন পাকিস্তানী খুনী, ধর্ষক সেনা অফিসারকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া ছিল একটি জঘন্য অপরাধ। শেখ মুজিবকে কে অধিকার দিয়েছিল এই ১৯৫ খুনী-ধর্ষক পাকিস্তানী অফিসারকে ছেড়ে দেওয়ার?

যেসব অবাঙ্গালী খুনী বিহারী এদেশে বাঙ্গালী নিধন করেছিল তাদের কয়জনের বিচার হয়েছে?

হাসিনা ও শেখ সেলিমের বেয়াইদের গ্রেফতার করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ উদ্বোধন করলে সবচেয়ে ভালো হতো। তাই এই বিচার নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।

১২৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৫

অহিদুজ্জামান অহিদ বলেছেন: ঐ খ মাহাবুব সব দল খাইছে এখন খালেদা ববির চশমার ফাক দিয়া রাজাকার গুলার সাদা জঙ্গলের বিচি দেখে । শালা মির জাফর !!

১২৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৭

রবিন-৭৭ বলেছেন: জাতাম শিবিরের পা চাটা কুত্তা সুমইন্যা এইখানে আছে। এই মদনাকে কিছুদিন আগে দৌড়ানি দিছিলাম। শালা আস্তা একটা দালাল

১২৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৮

আহম্মেদ রানা বলেছেন: এস্কিমো ভাইয়ের কাছে অনুরোধ, দয়া করে বলবেন কি মাত্র ১৯৫ জনকে কেনো বিচার করা হলো? আর বাকীদের ক্ষমা করলো কে? মাওলানা ভাসানী কেনো দালাল আইনের বিরোধীতা করেছিলেন? অনেকেই (বিশেষ করে দাদারা) হয়তো আপনার লেখাকে বাহবা দিচ্ছে, কিন্তু দয়া করে বলবেন কি, আওয়ামীলীগারদের রাজাকার-আত্বীয়দের কে বিচার করবে? বাকশালী অপকর্মের কে বিচার করবে? সিরাজ শিকদারের হত্যার কে বিচার করবে?

১৩০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০৮

উন্মাদ অভিক বলেছেন: ব্যারিস্টার নজরুলের শাস্তি দাবি করছি

১৩১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৪

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: ছাগুরা জ্বলে এই লেখা পড়ে, এর থেকে আনন্দের আর কি আছে? দিনটাই চমৎকার যাচ্ছে।

১৩২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৫

পাগলমন২০১১ বলেছেন: প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।

১৩৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

আহম্মেদ রানা বলেছেন: @নিঝুম মজুমদার: দাদা চমৎকার দিনে একটু টিপাইমূঁখ ঘুরে আসুন! পারলে মমতাকে বলে আসুন, রাজাকারদের বিচার শেষ, জিয়াকে জড়িত করা গেছে!!!

১৩৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩১

সোহেল আরমান বলেছেন: কয়েকটা চিহ্নিত ছাগু ছাড়া সবাই এই পোষ্টে সহমত জানাবে।

লেখকে ধন্যবাদ।

১৩৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩২

দেশী পোলা বলেছেন: যেই শালাদের এই লেখা পইড়া জ্বলন হইতেছে, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা, ১৯৭১ এ তগো বয়স কতো ছিলো? তোর বাপ মা চৌদ্দ গুস্টির কাউরে কি পাকিস্তান আর্মি আদর সোহাগে পাইলা পুইষা রাখছে? সিরিয়াস কোশ্চেন, সিরিয়াসলি উত্তর দিবি

১৩৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: অনেকে প্রশ্ন তুলছেন -
ঐ সময়ের আওয়ামী লীগ সরকার কাকে জিজ্ঞাস করে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সামরিক অফিসারকে ছেড়ে দিছিলেন ?

তারা কিছুই জানে না মনে হয়।
পাকিস্তান হাজার হাজার বাঙ্গালি আর্মি-পুলিশ সহ আড়াই লাখ বাঙ্গালিদের আটক ও জিম্মি করে রেখেছিল ৭১ থেকে ৭৪ পর্যন্ত।

তাদের শর্ত ছিল যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ১৯৫ জন পাকি আর্মিদের ছেড়ে না দেয়া পর্যন্ত কোন বাঙ্গালিকেই ছাড়া হবেনা।

UNHR, Red cross. সহ অনেকের চেষ্টা সত্তেও আড়াই লাখ আটক বাঙ্গালি দের ছাড়িয়ে আনা সম্ভব হয় নাই। পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও বেসামরিক নাগরিক দের এতো দির্ঘ সময় আটকে রাখার কোন উদাহারন দেখা যায় না। আটক আড়াই লাখ বাঙ্গালি সবাই মুসলমান হলেও আরব মুস্লিমজাহান ও সাম্রাজ্যবাদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট এই ব্যপারে পাকিস্তান কে সমর্থন দেয়।
ইতিমদ্ধে আটক নাগরিক দের অবস্থা দিনে দিনে আরো খারাপ হতে থাকে। তাদের পলায়ন ঠেকাতে শিবিরে-জেলে স্থানান্তর সুরু করে পাকিস্তানি রা।
এদিকে OIC সম্মেলনের পুর্বে বংগবন্ধু বিভিন্ন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন front থেকে তিব্র চাপের সম্মুখিন হয়। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশ ১৯৫ জন যুদ্ধপরাধি বিচার করা থেকে পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়।

নিরুপায় বাংলাদেশ ১৯৫ জন যুদ্ধপরাধি কে ছেড়ে দেওয়ার সময় পাকি রা কয়েকটা শর্তযুক্ত চুক্তিপত্রে শাক্ষর করে, একটি ছিল 'এই ১৯৫ জন কে ছাড়া হবেনা। যুদ্ধপরাধের বিচার পাকিস্তানেই করা হবে'।
কিন্তু পরে পাকিস্তান তা করেনি।

আরোকিছু জানতে -
Click This Link

১৩৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৯

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
পোষ্ট ষ্টিকি করায় সামহোয়ারইন ব্লগ কে অভিনন্দন।
এটি হতে যাচ্ছে একটি ঐতিহাসিক দালিলিক পোষ্ট ।

পেলাস সহ প্রিয়তে নিলাম।

পোষ্ট পর্যবেক্ষনে .....

১৩৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫০

মাহিরাহি বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে দলীয় মনোভাবকে জলান্জলী দিতে হবে।

অপরাধীদের বিচারে কোন ধরনের অজুহাত দাড় করানোটা হবে লজ্জাজনক।

১৩৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫২

ফ্লাইওভার বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এবং রাজাকার[/s-] আওয়ামী লীগের দুইটা রাজনৈতিক ব্যবসার ব্র্যান্ড। যখন আওয়ামী লীগ কোনঠাসা হইয়া পড়ে তহনই খালি এই দুইটি প্রোডাক্টের মার্কেটিং শুরু হয়। আইজকা যেমন কোনঠাসা আওয়ামী লীগকে বাঁচাইতে এস্কিমোর মত ভাড়াইট্টা ব্লগার রাজাকারদের সাথে বিএনপি তথা শহীদ জিয়াকে জড়াইয়ে সস্তা, কুৎসিত লেখা সামুতে স্টিকি করতে বাধ্য করছে।

আমি যদি লটারীতে এক কোটি টাকা পাইতাম তাইলে সেইটা দিয়া ফুর্তি করতাম। আর আমি যদি মাথার ঘাম পায়ে ফেইলা দশ কোটি টাকার মালিক হইতাম তাইলে প্রত্যেক পাই পয়সার প্রতি মায়া থাকত। দশ টাকা চইলা গেলে সেইটার হিসাব নিতাম।
শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়া পাকিস্তানীদের হাতে স্বেচ্ছায় ধরা দিছেন যাতে নিরাপদ থাকা যায়। আর এদিকে গরীব মায়ের সন্তানেরা বনেবাদাড়ে, হাওড়েবাওড়ে, দিনেরাতে, খাইয়া-নাখাইয়া, ঘুমাইয়া-নাঘুমাইয়া দেশ স্বাধীন করছে। তাই প্লেন থাইকা নাইমাই শেখ মুজিবের মনে হইছে, এ তো মজার ঘটনা! না চাইতেই দেশ স্বাধীন! খুশির চোটে উনি আগের দিনের রাজাবাদশাগো মতন কইয়া দিছেন- যা তগো সবাইরে মাফ কইরা দিলাম!
দেশে থাইকা নয়মাস যুদ্ধে নেতৃত্ব দিলে আর নিজের চোখে রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধীদের অপকর্ম আর নৃশংসতা দেখলে শেখ মুজিবের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার কলিজা হইত না। যেইটার জন্য কোন কষ্ট করতে হয় নাই, সেইটার প্রতি মায়া আইব কেমনে! সন্তান জন্ম দেয়ার কষ্ট মা ছাড়া অন্যে বুঝব কেমনে!

অতএব, এইসব ধুনফুন ইতিহাস আমাগো শুনাইয়ো না। পাবলিক কইলাম সব বুঝে! ৫ বছরেও বিএনপির ভুত তোমাগো ঘাড় থেইকা নামে নাই।

১৪০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৭

গুরু গোলাপ বলেছেন: জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
পোষ্ট ষ্টিকি করায় সামহোয়ারইন ব্লগ কে অভিনন্দন।
এটি হতে যাচ্ছে একটি ঐতিহাসিক দালিলিক পোষ্ট ।

পেলাস সহ প্রিয়তে নিলাম।

পোষ্ট পর্যবেক্ষনে .....

১৪১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২২

বেকার যুবক বলেছেন: যুদ্ধ, রক্ত, অশ্রু, অপরাধ এবং ....
মুনীর চৌধুরীর রক্তাক্ত প্রান্তর
আর মিশ্রিত লগ্ন মাধুরীর জলে ভেজা কবিতায়
স্বাধীনতার সুখ
ভালোবাসা খুজে ফেরে ক্লান্ত কোন পথিক
অসময়ে
দুঃখিত অসংলগ্ন কথার জন্য যদি তাহয় কথোপকথনের প্রারম্ভে
বিদায় বন্ধু তোমাদের বলছি আমি
বেকার যুবক

১৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৬

চাটিকিয়াং রুমান বলেছেন: সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই।

ফয়সাল তূর্য বলেছেন: আহমেদমিশুক বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন: এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই। আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।


১৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৭

মেঘে ঢাকা তারা বলেছেন: আপনারা আর কত মিথ্যাচার করবেন? দালাল বলে যাদের বিচার করার কথা ছিল সেইটা আসলে একটা কলঙ্কিত আইন। প্রেসিডেন্ট জিয়া যদি সেইটা বাতিলই করে থাকেন তবে তাকে সাধুবাদ জানাই। মুজিবর রহমানের নিজেরই কিছুর ঠিক ছিলনা, পুত্ররা ছিল কুলাঙ্গার, সে আবার করবে দালাল বিচার!

১৪৪| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯

ফাহাদরক্স বলেছেন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর অনৈতিক কাজে কাজে তিন মাসের গর্ভবতী এক নারী....। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও ওনারা এহেন কাজ সম্পাদনে বেজায় সিদ্ধহস্ত, এই বয়সেও কুকুরের লেজের সোজা হওয়াটা আর হলোনা। আসলে হবেওনা। এতেই বুজা যায়, কারা ঐ সময় এই সমস্ত অপরাধ করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা - ওদের এই প্রজন্ম বিষয়টা আরও ক্লিয়ার করে দিচ্ছে, বিগত বছরগুলোর দিকে দেখলেই সাংগঠনিক কোন দলের লোকেরা হত্যা, ধর্ষণ, টেণ্ডাড়বাজী, ছিনতাই, রাহাজানি, এমণ কী নিজেদের লোকদেরকেও খুন, কারা সবচেয়ে বেশী করেছে।
তাই বলি কি, বঙ্গবন্ধু মনেহয় এজন্য এইপথে বেশিদূর আগাননি। তিনি জাতনেতা, ইতিহাসের নির্মাতা তিনি জানতেন থুতু মাথার উপরের দিকে ফেলা যাবেনা, ফেললে নিজের গায়ে এসে পড়বে। আমি রাজনৈতিক দেওলীয়া, অদূরদর্শী নিজামীদের পক্ষে কথা বলছিনা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরা যাযাবর ছিল, আছে, থাকবেও। লেখক আমার লেখাই মাইন্ড করিয়েননা। আজ বাঙালী অভিমান করবে এটাই স্বাভাবিক।
অভিমান কারসাথে করা যায়, বলুন?
.. আপন জনের সাথে।
মুক্তিযোদ্ধারাই আমার আপনজন। কবি বেলাল মোহাম্মদ যেমন বলেন -২৫ পরিবারের কাছথেকে মুক্ত হয়ে আজ ২৫০০ পরিবারের হাতের ক্রিয়াণক হয়েছে আমার প্রিয় স্বদেশ।
ভাই, আমাকে বলেনতো, ৭২ পরবর্তী মূজীব কেন৭২ পূর্ববর্তী মুজীব হতে পারলেননা। কেন তাঁর হাতে গড়া, যবন কোরবানি দেয়া এসকল সংগঠন থেকে নিরন্তর চোর বেরোচ্ছে, আজও এই ধারা অব্যাহত আছে।
তাই বলি,আগে আমার আপনার পরিসুদ্ধতা দরকার, তারপর এর সবকিছু।
তা না হলে এই পাঁচজন অহংকারী রাজনৈতিক নেতার বিচার হবে, যুদ্ধাপরাধীদের নয়। সবাই ভাল থাকবেন।

১৪৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭

েখারেশদ আলম বলেছেন: সময়পুযুগী পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৪৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৩

ফাহাদরক্স বলেছেন: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন রাজুর অনৈতিক কাজে কাজে তিন মাসের গর্ভবতী এক নারী....। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও ওনারা এহেন কাজ সম্পাদনে বেজায় সিদ্ধহস্ত, এই বয়সেও কুকুরের লেজের সোজা হওয়াটা আর হলোনা। আসলে হবেওনা। এতেই বুজা যায়, কারা ঐ সময় এই সমস্ত অপরাধ করেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা - ওদের এই প্রজন্ম বিষয়টা আরও ক্লিয়ার করে দিচ্ছে, বিগত বছরগুলোর দিকে দেখলেই সাংগঠনিক কোন দলের লোকেরা হত্যা, ধর্ষণ, টেণ্ডাড়বাজী, ছিনতাই, রাহাজানি, এমণ কী নিজেদের লোকদেরকেও খুন, কারা সবচেয়ে বেশী করেছে।
তাই বলি কি, বঙ্গবন্ধু মনেহয় এজন্য এইপথে বেশিদূর আগাননি। তিনি জাতনেতা, ইতিহাসের নির্মাতা তিনি জানতেন থুতু মাথার উপরের দিকে ফেলা যাবেনা, ফেললে নিজের গায়ে এসে পড়বে। আমি রাজনৈতিক দেওলীয়া, অদূরদর্শী নিজামীদের পক্ষে কথা বলছিনা, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এরা যাযাবর ছিল, আছে, থাকবেও। লেখক আমার লেখাই মাইন্ড করিয়েননা। আজ বাঙালী অভিমান করবে এটাই স্বাভাবিক।
অভিমান কারসাথে করা যায়, বলুন?
.. আপন জনের সাথে।
মুক্তিযোদ্ধারাই আমার আপনজন। কবি বেলাল মোহাম্মদ যেমন বলেন -২৫ পরিবারের কাছথেকে মুক্ত হয়ে আজ ২৫০০ পরিবারের হাতের ক্রিয়াণক হয়েছে আমার প্রিয় স্বদেশ।
ভাই, আমাকে বলেনতো, ৭২ পরবর্তী মূজীব কেন৭২ পূর্ববর্তী মুজীব হতে পারলেননা। কেন তাঁর হাতে গড়া, যবন কোরবানি দেয়া এসকল সংগঠন থেকে নিরন্তর চোর বেরোচ্ছে, আজও এই ধারা অব্যাহত আছে।
তাই বলি,আগে আমার আপনার পরিসুদ্ধতা দরকার, তারপর এর সবকিছু।
তা না হলে এই পাঁচজন অহংকারী রাজনৈতিক নেতার বিচার হবে, যুদ্ধাপরাধীদের নয়। সবাই ভাল থাকবেন।

১৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫

েখারেশদ আলম বলেছেন: মেঘে ঢাকা তারা.......আর কত ভন্ডামী করবেন স্বাধনিতা নিয়া,আপনারা সবেই পারেন, দেশ বিরোধী!!!!!!!!!

১৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৪

অমিয় উজ্‌জ্‌বল বলেছেন: এস্কিমো ++++

১৪৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬

অিপ্রয়ংবদা বলেছেন: চরমভাবে মাইনাস.........আপনাদের জাতির পিতা লক্ষ লক্ষ বাঙ্গালীর হত্যাকরীদের এক মুহুর্তে ক্ষমা করে দিলো কিন্তু তার কন্যা বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ৩৮ বছর পরও ক্ষমা করতে পারলো না.........তাহলে কি ৭১ এ নিহত শহীদদের মূল্য এতই কম যে এক নিঃশাসে তাদের হত্যাকারীদের ক্ষমা করে দিলো, এই অধিকার বঙ্গবন্ধুকে কে দিয়েছিলো..

এতই যদি তথ্য প্রমান থাকে তাহলে অভিযোগপত্র তৈরি করতেই দেড় বছর সময় লাগলো কেন? এটা কি তথ্য প্রমান খুজতে গিয়ে নাকি নতুন নাটক সাজাতে গিয়ে ?

আর অভিযোগ করতে লাগলো দেড় বছর আর সেই অভিযোগ খন্ডাতে সময় দেয়া হলো দেড় মাস, এইটা ন্যায় বিচার না ?

জামায়াত তো পাকিস্তান বিরোধি অবস্থানের জন্য ৬৮/৬৯ এ নিষিদ্ধ হয়েছিলো.সেই ইতিহাস টা চেপে গেলেন যে.......

সংগ্রামের অনেক খবর তো দিলেন, আওয়ামীলীগের বিজয়ের পর যে জামায়াতের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আওয়ামীলীগের হাতে ক্ষমতা দেয়া অনুরোধ করা হয়েছিলো তা আপনাদের নজরে পড়েনি ?

যে লোক দলিয় একটি সাজানো আদালতের তদন্তে ছিলেন তিনি এখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান.........প্রহসন আর কাকে বলে....এই বিচারের রায় কি হবে তাতো বোঝায় যাচ্ছে. যেখানে কোন অভিযোগ ছাড়া দেড় বছর আটক রাখা হয়..কিসের এতো ভয় সাঈদীকে বাহিরে রাখতে.

সাঈদীর যত অপরাধ পিরোজপুরে আর সেই হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা থেকে তিনি সুধাংশ শেখর হাওলাদারকে পরাজিত করে নির্বাচিত হলেন...ওখানকার মানুষ কি গাজা খাইছিলো নাকি আপনারা টান দিছেন

নিজামী সাহেব বটেশ্বর সাহাকে হত্যা করেছে আর বচেশ্বর সাহার ভাই এ ব্যাপারে নিরব...কেন ?হুমায়ূন আহমেদের পিতার হত্যার অভিযোগ সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে আর হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন তিনি কোন মন্তব্য করবেন না , কেন ? তিনি কি তার বাবার বিচার চান না নাকি মৃত্যুপথযাত্রী ভেবে কোন মিথ্যাচারে জড়াতে চাচ্ছেন না

১৫০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪

স্বাধীনতার_অপেক্ষায় বলেছেন: 15. In the light of the foregoing and, in particular, having regard to the appeal of the Prime Minister of Pakistan to the people of Bangladesh to forgive and forget the mistakes of the past, the Foreign Minister of Bangladesh stated that the Government of Bangladesh has decided not to proceed with the trials as an act of clemency. It was agreed that the 195 prisoners of war may be repatriated to Pakistan along with the other prisoners of war now in process of repatriation under the Delhi Agreement.
১৯৭৪ সালের ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি পড়ুন এখানে। তারপর কথা বলেন।

১৫১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৪

মেঘে ঢাকা তারা বলেছেন: অিপ্রয়ংবদা ভাই, একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন। সাইদী-নিজামীর নামে কোন তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনা, তাই মিথ্যা মামল।

১৫২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২০

স্বাধীনতার_অপেক্ষায় বলেছেন: যে শেখ মুজিব বলেছিলেনঃ

"Asked if there was any question of abandoning the trials, Sheikh Mujib said "How can you expect it? Three million people were cold-bloodedly murdered. Two hundred thousand girls have been raped by the Pakistan Army. Ten million people had to migrate to India and another fifteen million people moved from place to place out of fear. The world should know what had happened."

(সুত্রঃ Shaikh Mujibur Rahman affirms intention to try 1,500 soldiers for alleged war crimes, Pg 5, The Times, Wednesday, JUNE 21, 1972),

সেই শেখ মুজিব ডিগমাজী মারলেনঃ

The Shaikh, who gave me an hour interview, was quiet indulgent towards Pakistanis, particularly President Bhutto. This was in sharp constrast to his observations during an interview with me in the middle of 1972......

"I am impressed by Bhutto's sincerity", the Shaikh said this time. "I am overwhelmed by the love and affection shown by the people of Pakistan. Thousands of them lined the route from the airport to the venue of the Islamic summit. They called me by my name Mujib. They- boys and girls also- lustily cheered me when they saw familiar kurta-pyjama clad figure among them.
When I interrupted him to remind him of the atrocities and destruction that Pakistan had committed in Bangladesh and the instances which he had cited last time, he said "I want to forget all those. I want my people to forget those. We have to start afresh." after a pause he added: "You know that people's memory is short."
Again, reverting to Mr. Bhutto, he said, " I want to help him. He is an old friend."
(সূত্রঃ Shaikh Mujib willing to help India and Pakistan resolve their differences and live as neighbours, Kuldip Nayar, Pg 10, The Times, Thursday, February 28, 1974.)

১৫৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০

এফ এন এফ বলেছেন: পোষ্ট ষ্টিকি করায় সামহোয়ারইন ব্লগ কে অভিনন্দন।আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

১৫৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৬

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ১২ এবং ১৯ নাম্বার মন্তব্যে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই পোস্টের। সন্মানিত ব্লয়াগদের দৃষ্টি কামনা করছি আবারো।

১৫৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৯

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: লেখক আপনাকে অভিনন্দন এমন একটা পোস্ট দেয়ার জন্য, রাজাকারের বিচার দাবি করছি।


সেই সাথে টিপাইমুখবাধ নিয়েও আপনার পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।


সামুকে ধন্যবাদ এই পোস্ট স্টিকি করার জন্য সেই সাথে টিপাইমুখ বাধ নিয়েও যেন কোন পোস্ট করা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।


সকলকে ধন্যবাদ।

১৫৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭

ফাহীম দেওয়ান বলেছেন: আমার বিশ্বাস করতে লজ্জা হয় যে এদেশের কিছু মানুষ এই ঘৃন্য যুদ্ধাপরাধী নরপশূদের বিচারের ব্যপার আসলেই পাশ কাটিয়ে অন্যান্য দোষে দোষীদের ব্যাপার নিয়ে বিশেষ করে আওয়ামীলিগের নেতাদের কর্মকান্ড নিয়ে হুলুস্থুল শূরু করে জাহির করতে চায় যে যুদ্ধাপরাধ অপরাধের দিক থেকে একটা ছোট বিষয়। আরে অন্য অপরাধ বা অন্য নেতাদের আকাম কুকাম নিয়া আলাদা পোষ্ট দে, এইখানে আইসা অন্য বিষয় নিয়া লাফাইলে লাত্থি একটাও মাটিতে পড়বনা।

যেই অন্ধ জাশির দালাল গুলা ল্যাঞ্জা পোঁড়ার জ্বালায় চোখ বন্ধ কইরা যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমার ব্যাপারটা নিয়ে মিথ্যাচার করে বংগবন্ধুকে এক হাত নিচ্ছে, তাদের উদ্দ্যেশে , " আর কতো কাল নিজেদেরকে মিথ্যার আড়ালে বন্দি রাখবেন? চোখ খুলেন, এই ব্লগেই অনেকের কমেন্টে সব উত্তর আছে, তার প্রমান ও দলিল ও আছে, পড়ে ভাবুন, আপনি কি জানেন? কার কাছে শুনেছেন, তার ভিত্তি কি ??? কাদের পক্ষে কথা বলেন আপনি? শ্রম দেন ? এই রাজাকার , আল বদর গুলা ৪০ বছর পরেও মানুষের মনে ঘৃনার পাত্র, হাজার বছর পরেও তাই থাকবে। এখন সিদ্ধান্ত নিজের।

মিথ্যার জন্য আর কতো নিজেকে বিলিয়ে দিবেন??

অনেক হুমকি ধামকি দেখেছি এই ব্লগেই, অনেক আস্ফালন দেখেছি এই ব্লগেই !!!
তাদের উদ্দ্যেশ্যে এবার বলি, আবার তোরা মানুষ হ !! ফিরে আয় সত্যের পথে !! দেশকে ভালোবেসে, নিজের মাকে ভালোবেসে !!! তারপর নাহয় দেশের বাকি সব খারাপ কে সোজা করা যাবে!!! কিন্তু ততদিন নয় যতদিন নিজের সত্য ইতিহাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলা করবি!!! দেশের রাজনীতিকে, দেশের মানুষকে মিথ্যার জালে দ্বিধা বিভক্ত করে রাখবি ? এদেশ এতো হাল্কা নারে যে এখানে লিবিয়ার মতো গৃহযুদ্ধের স্বপ্ন দেখবি, আফগানিস্থান বানানোর স্বপ্ন দেখবি, দেশের অনেক বড় বড় পর্যায়ে এমন কি সেনা, নৌ বা বিমান বাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে নিজেদের লোক বসিয়ে রেখে ক্যু করে ক্ষমতায় গিয়ে ৭১ এ অখন্ডিত পাকিস্তান বানানোর অপুর্ন ইচ্ছার কিঞ্ছিত স্বাদ মেটানোর স্বপ্ন শূধু স্বপ্ন ই হয়ে থাকবে। বাংলার মানুষের অল্পতে ভুলে এটা যেমন ঠিক, তেমনি সময়ের প্রয়োজনে সেই ভুলে থাকা স্মৃতি হাতরে সত্য জাগিয়ে তুলতে ভুল করেনা।

আর একটা কথা যুদ্ধাপরাধ নিয়ে যেই নাটক করুক কারো শেষ রক্ষা হবেনা। সময় কথা বলে আর ইতিহাস তার সাক্ষী। শূধু বরত্মান সরকার না সব দল মতের ই এটা মনে রাখা দরকার।

১৫৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১১

পোয়েট ট্রি বলেছেন: অর্ধসত্য।

১৫৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৫

পোয়েট ট্রি বলেছেন: বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা করেছেন : মিথ্যা ।
বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা করেননি : মিথ্যা ।

১৫৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৫

মেঘেরদেশ বলেছেন: দেশের উপর চলে ইন্ডিয়ান ট্রাক,আমার এলাকায় রাস্তা ঘাট এর এমন অবস্থা সাইকেল ও ঠিক ভাবে চালানো যায় না,সেখানে বিশাল বিশাল ট্রাক চলে,টিপাইমুখ দিয়া দেশের ১২টা বাজানুর চেস্টা ,সরকারের কয়েক নাপুংসুক ব্যাক্তিরা বলে উঠে এটা ভারতের ইন্টারনাল ব্যাপার।কই যাই,আরে বেটা তোরা তো আমাদের টাকায় হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছিস,তোদের তো আর সমস্যা হবে না,কিসু হইলেই ইউরোপ আম্রেরিকা চলে যাবি।আমরা আছি যুদ্ধাপরাধি নিয়ে।দু একটা রে ফাসি তে ঝুলালেই তো হয়।শেখ সাহেবের খুনিদের যেভাবে ফাসি দিসিল। এই ইস্যু কেয়ামতের আগে মনে হয় না শেষ হবে।নিজেরে বাঙালি হিসেবে আর কিভাবে জানান দিয়ে গর্ব বোধ করব,বুজতেছি না :( নাকি উনারা শুধু বাঙালি ,আমরা আবাল জনতা X( X( X( X(

১৬০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৪

পারভেজ আলম বলেছেন: জরুরি পোস্ট। যতবার মিথাচার হবে ততবার সত্য সবার সামনে আনা উচিৎ। আমাদের স্মৃতিশক্তি খারাপ, দুইদিন পর পর প্রোপাগান্ডায় সত্য ভুলে যাই। তাই বারবার সত্যের চর্চা দরকার।

১৬১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৫

চিন্তিত ইমরান বলেছেন: আপনার এ শ্রমসাধ্য সুন্দর লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সকলকে যারা বিভিন্ন তথ্য যোগ করে আরো তথ্যবহুল এবং সহজ পাঠের আগ্রহ ও আনন্দ যোগ করলেন। এমন কিছু লেখা খুঁজছিলাম। ভালো লাগলো।

১৬২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৮

বিরোধী দল বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট +++++++

১৬৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৪৮

পোয়েট ট্রি বলেছেন: যার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কেউ অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারবে না; এটা আইনের বিধান এবং ইসলামেরও বিধান। যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করার অধিকার জাতির পিতা বা জাতির পিতামহকে (আইন বা ধর্ম ) প্রদান করেনি। আমার শরীরে আপনি যদি আঘাত করেন, আপনাকে কেবল আমিই ক্ষমা করতে পারবো; আপনাকে ক্ষমা করার অধিকার এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যিনি স্রষ্টা, সেই আল্লাহ তা'আলাও নিজের হাতে নেননি; ধর্ম ঘেঁটে দেখুন!

কাজেই, কোনও তর্ক চাই না; বিতর্কও চাই না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করেছেন কী করেননি, সেই গবেষণাও তেমন দরকারী নয়।

দরকার : যথাদ্রুতসম্ভব, যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া।

ধানাই-পানাই চাই না। অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধীর আইনত মৃত্যুদণ্ড হবে। আন্তর্জাতিক "প্রভূ"দের দিক থেকে "চাপ" আছে; যেন মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

কিন্তু
সেটা হবে, এই রাষ্ট্রের প্রগতিশীল মানুষের পক্ষে এক আত্মঘাতি ব্যাপার।

কাজেই, মৃত্যুদণ্ডের স্থলে ছাড় দিয়ে "যাবজ্জীবন" কারাদণ্ড দেয়ার মত সমঝোতা হবে আরেকটি অপরাধ। ( শাস্তি কম-বেশি করার ডিস্ক্রিশান বিচারকের থাকে; সর্বোচ্চ সাজার ওপরে যাওয়া যায় না, তবে নিচে নামা যায়...)

এবং,
জনকের নাতনীর শ্বশুড়ও যদি অপরাধী হয়, তাকেও বিচারের আওতায় আনা ন্যায় বিচারেই অংশ।

১৬৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫০

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ। যারা এখানে অযথা 'ত্যানা প্যাঁচাচ্ছেন' তাদের উদ্দেশ্য বুঝতেও কষ্ট হয়না। আওয়ামী লীগে 'যুদ্ধাপরাধী' আছে বলে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা যাবেনা এটা কেমন যুক্তি? এটা যে বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবীদ্ধ করার অপপ্রয়াস সেটা দিবালোকের মতোই পরিষ্কার। লেখককে আবারো অভিনন্দন প্রয়োজনীয় লেখাটির জন্য।

১৬৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫৯

বেঈমান আমি বলেছেন: ছাগু গুলান বুজে না কোন পোস্টে কি কমেন্ট করবে?পারবে শুদু ত্যানাপ্যাচাইতে।

১৬৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০০

পোয়েট ট্রি বলেছেন: যার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, সেই ব্যক্তি ব্যতিত অন্য কেউ অপরাধীকে ক্ষমা করতে পারবে না; এটা আইনের বিধান এবং ইসলামেরও বিধান। যুদ্ধাপরাধীকে ক্ষমা করার অধিকার জাতির পিতা বা জাতির পিতামহকে (আইন বা ধর্ম ) প্রদান করেনি। আমার শরীরে আপনি যদি আঘাত করেন, আপনাকে কেবল আমিই ক্ষমা করতে পারবো; আপনাকে ক্ষমা করার অধিকার এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যিনি স্রষ্টা, সেই আল্লাহ তা'আলাও নিজের হাতে নেননি; ধর্ম ঘেঁটে দেখুন!

কাজেই, কোনও তর্ক চাই না; বিতর্কও চাই না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমা করেছেন কী করেননি, সেই গবেষণাও তেমন দরকারী নয়।

দরকার : যথাদ্রুতসম্ভব, যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া।

ধানাই-পানাই চাই না। অধিকাংশ যুদ্ধাপরাধীর আইনত মৃত্যুদণ্ড হবে। আন্তর্জাতিক "প্রভূ"দের দিক থেকে "চাপ" আছে; যেন মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

কিন্তু
সেটা হবে, এই রাষ্ট্রের প্রগতিশীল মানুষের পক্ষে এক আত্মঘাতি ব্যাপার।

কাজেই, মৃত্যুদণ্ডের স্থলে ছাড় দিয়ে "যাবজ্জীবন" কারাদণ্ড দেয়ার মত সমঝোতা হবে আরেকটি অপরাধ। ( শাস্তি কম-বেশি করার ডিস্ক্রিশান বিচারকের থাকে; সর্বোচ্চ সাজার ওপরে যাওয়া যায় না, তবে নিচে নামা যায়...)

এবং,
জনকের নাতনীর শ্বশুড়ও যদি অপরাধী হয়, তাকেও বিচারের আওতায় আনা ন্যায় বিচারেই অংশ।

১৬৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:২২

বাল্মীকি বলেছেন: রাজাকারদের ফাঁসিতে না ঝুলাইলে কি টিপাইমুখ বাঁধ বানানো ভারত বন্ধ করে দিবে? রাজাকারদের ফাঁসিতে না ঝুলালে কি দেশের সব সমস্যার সমাধান হবে?
ইউরোপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর চরম সমস্যায় থাকার পরেও নাজীদের বিচার করছে, এখনও করতেছে, ওদের দেশে তখন সমস্যা ছিল দেখে বিচার একদিনের জন্যও বন্ধ হয় নাই।
সুন্দরবনে একটা বাঘ মারা গেলে বা একটা অতিথি পাখি মারা গেলে আমি শোকগ্রস্ত হবো, বাস্তুসংস্থানের জন্য ঐগুলার দরকার আছে, দেশে হোমো সেপিয়েন্সের সংখ্যা অত্যধিক বেশি, কিছু কুলাঙ্গার ফাঁসিতে ঝুইলা মরলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে না।

দাঁড়িপাল্লারে কইছেন আগামী ১০ দিন না খেয়ে থাকার কথা, রাজাকাররা কি আমার মুখে আইসা ভাত তুইলা খাওয়াইয়া যায়?


সত্য-মিথ্যা জানি না, ধরলাম যোগাযোগ মন্ত্রী আকাম করছে, এখন রাজাকারদের বিচার বন্ধ হলে মন্ত্রী সাহেব কি সন্যাস ধর্ম গ্রহণ করে বনবাসী হবেন?

এইখানে যেইসব ছাগু অভিমত রেখে গেছে আমাকে বুঝাইয়া দাও, রাজাকারদের ফাঁসিতে না ঝুলাইলে এই দেশ কোন কোন দিক থেকে লাভবান হবে? রাজাকাররা কারেন্ট তৈয়ার করে দিবে, না ট্রাফিক পুলিশ এর কাজ করবে রাজপথে এসে, নাকি চাষ করে খাবার দিবে।

ছাগুদের যুক্তি অনুযায়ী দেশের সব খুনের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার না করেই ছেড়ে দেয়া উচিত, ছেড়ে দিলেই দেশের সব সমস্যার সমাধান।


১৬৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৩

স্বাধীকার বলেছেন:
রাজাকারদের বিচারের দাবী থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। বিচার হতেই হবে।

-------------------------------------------------------------------------
কিন্তু এই পোস্টের লেখক ইচ্ছাকৃতভাবে জিয়াকে হেয় করার মানসিকতা দেখিয়েছেন যেটার দরকার ছিলোনা। আমাদের আলোচিত বিষয় যুদ্ধাপরাধের বিচার। এখানে জিয়াকে কলংকিত করার ধান্ধা করতে গিয়ে সংগত কারণে শেখ মুজিব চলে এসেছে। অথচ এই ব্যক্তিপূজাঁর কারণে কোনো একটি ভালো কাজ দেশে হয়নি যেখানে সবাই একমত হতে পারি। লেখকের দাবী অনুযায়ী জিয়া যদি সাদ্দাম বা হোসনী মুবারক এর মতো জিয়া-ভালো কথা। জিয়ার কারণে আম্লীগ আবার গজিয়ে উঠার আগে নিশ্চয় আপনি বাকশালের কোনো দায়িত্বশীল পদেই ছিলেন-এটা আশা করা যায়। তাহলে জিয়ার সময়ে তার কারনে আম্লীগ কেন, বাকশালের হয়ে আজ শেখহাসিনা কেন নির্বাচন করেনা।
আজ যাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, সেই খ। মাহবুব হলো আপনার আওয়ামী প্রডাক্ট-যাদের পক্ষে যা খুশী বলা যায়, যা খুশী তা-ই ইতিহাসে ঢুকানো যায়। নিজেদের পক্ষে থাকলে রাজাকারও ভালো, খিলাফত ভালো। আর না থাকলে কাদের সিদ্দিকীও রাজাকার। কাদের সিদ্দিকীকে রাজাকার বলার পর আপনাদের মতো মতলববাজরা কি এক বারও প্রতিবাদ করেছিলো? মুক্তিযুদ্ধের প্রতি এত ভালবাসা থাকলে-এখানে কবি নীবর কেন। এক আম্লীগের এমপি যখন এই দুঃসাহস দেখায়, আর আম্লীগ তা সমর্থন দেয়, তখন সংগত কারণে প্রশ্ন করা যায়-আপনাদের যত মুক্তিযুদ্ধপ্রেম বা রাজাকার বিরোধীতা তা কখনোই আন্তরিক নয়, কেবল সুবিধাবাদীতাই আসল চরিত্র।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র এসেছে ৯০ এর পর থেকে-এটা লেখকের দাবী। ভালো কথা সেই নির্বাচনে নিশ্চয় নিঃশেষ হওয়া বাকশালীরা জিতেনি-এটাকে কিভাবে দেখেন? তারপর আপনার গণতন্ত্রের সময়ানুযায়ী আপনার দল যখন ক্ষমতায় আসে,তখন জামাতকেই সাথে নিয়ে আসে প্রথম বার, এটা কি মিথ্যা।
এত সেনসিটিভ এবং প্রয়োজনীয় একটি বিষয় যুদ্ধাপরাধের বিচার-এটা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়ে লেখক আসলেন জিয়া বিরোধীতায়। জিয়ার মতো মুক্তিযোদ্ধাকে চর বলতে যাদের বুক কাঁপেনি, এই মিথ্যাচারে যাদের ফেনা উঠে তাদের মুক্তিযুদ্ধপ্রেমকে বিশ্বাস করার কিছু নেই। সত্যিকার আম্লীগের যারা যুদ্ধাপরাধের বিচার চান এবং ক্ষতিগ্রস্ত-তারা আর যাই হোক আপনাদের মতো জ্ঞানপাপী নয়। আগাচৌধুরীর মতো হাজারীপ্রিয় নন। আপনার ল্যাজ এভাবে বের না করলেও পারতেন।

কথায় কথায় জিয়ার নাম না নিলে কি পূণ্য অর্জন হয়না? খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধের বিচার না চাইলেই কি রাজাকারদের অপরাধ শেষ হয়ে যায়? দেশে কি মানুষ নেই? মুক্তিযোদ্ধারা নেই? বিএনপি না চাইলেই বা কি? ভালো কাজের জন্য সাথে থাকবে দেশের জনগণ, এটাই শক্তি। কিন্তু আপনাদের মতো ব্লগার, মোজা বাবুর মতো লেখক, কামুক-রুলের মতো মেধাবীদের(!) দিয়ে আর যাই হোক যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য জনমত গঠন সম্ভব নয়, বিচারকে বিশ্বাসযোগ্য করাও সম্ভব নয়। আপনাদের কাজই হলো যাকে ভালো লাগবেনা- গরুর রচনাতেও তাকে সেই নদীতেই নামাতে হবে। কোনোভাবে এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করা গেলে এরপর মৌলবাদী রাজাকাররা সুযোগ পেলে কি করবে বুঝতেই পারছেন-তাই নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে সত্যিকার বিচারটি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে জনগণের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী করুন।

আপনি কি বঙ্গবন্ধুর চেয়েও বেশী দেশপ্রেমিক? বাংলাদেশে ভুট্টোকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে কি বঙ্গবন্ধু দেশবিরোধী হয়েছেন? যদি না হয়ে থাকে তাহলে কাদের সিদ্দিকী, জিয়া, অলি, সিরাজ-এরা আপনাদের মতো জ্ঞানীদের কাছে কিভাবে দেশবিরোধী হয়, রাজাকার হয়, চর হয়?

খন্দকার মাহবুব একজন আইনজীবী, তিনি রাজনীতিবিদ-তাও আবার আ্ম্লীগ প্রডাক্ট-তাদের কাছ থেকে এ ধরণের সুবিধাবাদী কথা গত ৪০ বছর ধরেই এদেশের মানুষ শুনেছে। আজ এই পোস্টেও দেখলাম।

নিশ্চয় আপনি কাদের সিদ্দিকীর মতো মুক্তিযোদ্ধাও নন। তাহলে আপনার মতলবি কথাকে কিভাবে একজন দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধার চরিত্র হননের জন্য ব্যবহার করবো? জিয়া জিয়া করলে যদি পূণ্য হয় আপনার, তাহলে ভিন্ন কথা। কথায় কথায় মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করা একটি প্রবাদকে মনে করিয়ে দেয়, অতি ভক্তি.........লক্ষণ।

যে দাবীতে আছেন সেখানেই থাকুন, ‘‘রাজাকারদের ক্ষমা নেই।’’

১৬৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৮

রফিকুল ইসলাম তনি বলেছেন: অফটপিকঃ
//চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে।//

ভাইজান, ধলেশ্বরীর পাড়ে কত বার গেছিলেন? নেক্সট টাইম যাওয়ার সময় আমাকেও সাথে নিয়েন।

১৭০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৫১

কান্নার ছায়া বলেছেন: ৮৩ তম ভাল লাগা :)
হাসান মাহবুব বলেছেন: পোস্টটিকে স্টিকি দেখে ভালো লাগলো। ছাগুদের লেজে আগুন ধরে গেছে এখন তারা উল্টাপাল্টা বকছে (এইটা অবশ্য নতুন কিছু না!)

১৭১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:২৩

সিংহরাজ বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে জটিল এবং কঠিন সব যুক্তি

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

এস্কিমো বলেছেন: চমৎকার হয়েছে।

১৭২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৫৬

রোবোট বলেছেন: গুড পোস্ট। ছাগু মাতম দেইখা আনন্দ পাইলাম। গরু হারাইলে এমনি হয়।

১৭৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৯

রোবোট বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে ভারত বানাইবে না আর টিপাইমুখে বাঁধ
যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে খাইবো কোরমা পোলাও মিটায়া মনের সাধ
যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে কারেন্ট যাইবে না আর
যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে কৃষক পাইবে তাহার সার
যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে মরিবে না সীমান্তে আর কোনো অভাগী ফেলানি
যুদ্ধাপরাধের বিচার না হইলে ওবামা আসিয়া বলিবে, শরীরটা তোর ভালানি

১৭৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:২৭

এ হেলাল খান বলেছেন: পোয়েট ট্রি আপনার ১৬৮ নং কমেন্টসটা সেই রকম হইছে। আমাদের মূল কথা হল রাজাকারদের বিচার হতেই হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় নাই। প্রয়োজনে রাস্তায় নামব, তার পরও আমার দেশকে রাজাকার মূক্ত করতে হবে।

১৭৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:৪৮

ওঙ্কার বলেছেন: ++

১৭৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:১৮

মেঘে ঢাকা তারা বলেছেন: বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ পাকিস্তান ক্রিকেট টিম সাপোর্ট করে। তাইলে তারাও কি রাজাকার? তাদেরও বিচার করেন তাইলে। ফালতু সব। আল্লাহ আপনাদের ক্ষমা করবেনা।

১৭৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৩৭

তাহের বলেছেন: +++

১৭৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:০১

নইম বলেছেন: যে শালারা বলে সাঈদী ধর্ষণ করেছে তারা অমানুষের বাচ্ছা।বর্তমানে যারা মদন মোহন কলেজে,ইডেন কলেজে,জাবিতে ধর্ষণ করে তারাই তখনএই অপকর্ম করেছে।

১৭৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪৩

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: এই লেখারো হাজারো লাইনের তলে
কত ছাগু যে হলো বলিদান...
লেখা থাকবে অশ্রুজলে...

১৮০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৭:৪৮

রাসায়নিক অপদার্থ বলেছেন: অনিরূদ্ধ বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসলাম আর জামায়াতে ইসলাম এক করে দেখলে সমস্যা। জামায়াত এই পর্যণ্ত যা করেছে সবই ইসলামের শিক্ষার বিরোধী। ৭১ সালে আক্রান্ত একটা মজলুম জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কোরানের নির্দেশ অমান্য করে জালেমের পক্ষে জুলুমে শরিক হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতায় গিয়ে একটা কাজও করেনি যা ইসলামের পক্ষে যাবে। নিজেদের জন্যে প্লট বরাদ্ধ আর টিভি লাইসেন্স নেওয়া আর চোরদের সহযোগীতা ছাড়া কিই বা করেছে।

+++++++++++++++

১৮১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:০৫

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো- আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহন করিনা।

১৮২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৪

মো: তৌহিদ বলেছেন: ভাই, ব্লগার "অিপ্রয়ংবদা" কি ছাগু নাকি পেইড ব্লগার?

ওর হিসটোরী ভাল না। পুরোটাই আওয়ামীলীগ এর বিপক্ষে এবং বিএনপি জামাত এর পক্ষে গান গাইতাছে। এই জন্যই এই পোষ্ট পইড়া এ্যার বেশী জ্বলতাছে।

১৮৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪১

রাশেদ_০৭৯ বলেছেন: যুদ্ধাপরাধীর বিচার করার পূর্ণ সমর্থন করছি, তবে করতে হলে আশা করি দলমত নির্বিশেষে করতে হবে, জামায়াত শুধু নয়, আওয়ামিলীগের ও বি,এন,পি র যারা আছে, তাদের ও করতে হবে, সাথে এখন যারা দেশটা কে বেচে দেয়ার পায়তারা করতেছে (উদাহরন , টিপাইমুখী বাধ নিয়ে দালালী করতেছে), তাদের ও বিচার করতে হবে, একটা নিয়ে পড়ে না থেকে প্যারালালী সব ই দেখতে হবে, না হলে সুযোগীরা সুযোগ নিয়ে সব শেষ করে দিবে, আর আমরা আবাল জনগন এই ব্লগে আইসা ... ফালানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারবোনা।

১৮৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২১

আহমাদ ০০৭ বলেছেন: লেখক বাবুর যে যুদ্বাপরাধী-রাজাকার বিরোধী নন বরং তিনি যে রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী তার বিরোধীদের চরিত্র হননের দিকে নজর দিটেই বেশি ব্যস্ত তা বুঝা যায় “ইসলামী বিধান মেনেই যদি জামায়াতের বিচার হয় তাইলেও ঝামেলা থাকে না”, “গনহত্যার সহযোগী সংগঠন জামায়াত”, “যতদ্রুত বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে আস্তাকূড়ে ফেলবে” জাতীয় লেখা থেকে। জামায়াত কে নিয়ে এত অসভ্য গালিগালাজ এত নোংরামি কথাবার্তা ব্লগগুলোকে করে চলেছে কলুষিত সেই বিষয় নিয়ে কিছু কথাবার্তা না বললেই নয়। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধী বিষয় কিছু বলতে বা লিখতে গেলে কিছু প্রশ্ন চলেই আসে। যেমনঃ
প্রথমত, স্বাধীনতাবিরোধী কি তাহলে শুধুই জামায়াত? যদি হয়েই থাকে শুধু জামায়াত তাহলে ৩০ লক্ষ বাঙ্গালী হত্যা তাদের মাত্র কয়েক হাজার কর্মীই করেছে!!! তাও আবার সারা দেশে???
দ্বিতীয়ত, জামায়াত যদি স্বাধীনতা বিরোধী হয়েই থাকে তাহলে জনসমর্থন পেয়ে তারা তাদের স্বয়ং নিজের এলাকা থেকে বারবার সাংসদ নির্বাচিত হন, তাও আবার সেই এলাকারই গনমানুষ দ্বারা???
তৃতীয়ত, যুদ্ধাপরাধ যদি করেই থাকে তাহলে সেই যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কে মানবতাবিরোধী বিচার বলে চালানোর কারন কি?
চতুর্থ যে বিষয় তা হচ্ছে স্বাধীনতার ৪০ বছর হয়ে গেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তার কন্যা তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি কতবারই না ক্ষমতায় গেল তারাই বা বিচার না করে বরং তাদের সহায়তা নিয়েছে কেন?
অনেকই হল। এবার কথায় আসা যাক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করলে তৎকালীন জামায়াত আমীর মাওলানা মওদূদী পাকিস্তান সরকার কে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে শেখ মুজিব এর সাথে একত্রে ব্যপক চেষ্টাও করেছিলেন। এখানে একটা কথা বলে রাখা প্রয়োজন বিশেষ করে তা হচ্ছে শেখ মুজিব কখনি স্বাধীনতা দাবী করেন নি। যদি তিনি সেই সময় স্বাধীনতার দাবীই করতেন তাহলে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর এর জন্য বসে থাকতেন না। বারবার পাক শাসকদের সাথে বৈঠকে বসার প্রস্তাব করতেন না। তিনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্বশাসন। তার ৭ ই মার্চের আগে দেয়া বক্তব্যই তার ঊপযুক্ত প্রমান। তাহলে জামায়াত কিভাবে স্বাধীনতাবিরোধী হিসাবে স্বীকৃতি পায়?
স্বাধীনতাবিরোধী যে কেবল জামায়াত নয় তা মনে হয় বেমালুম ভুলে গেছেন রাজনৈতিক দল বিশেষের টাকা পাওয়া সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সহ “জামায়াত-যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধী” বলে ধোয়া তোলা ব্যক্তিগন । বর্তমান সরকারের শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া সহ সকল বামপন্থী দলই যে ছিল স্বাধীনতাবিরোধী তা কি কারও অজানা? নাম সর্বস্ব দল সাম্যবাদী দল এর দিলীপ বড়ুয়া সহ পতিত বামপন্থি দল গুলো যে ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব সপরিবারে নিহত হলে স্বাগত পর্যন্ত জানিয়েছিল তা হয়ত অনেকে ভুলেই গেছে। আজকে যখন তারা আওয়ামী লীগ সাথে সরকার গঠন করল তখন তারা দুধে ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে গেল!!! হয়তো আওয়ামীলীগ এর সাথে থাকলে
দ্বিতীয়ত, জামায়াত যদি লুটতরাজ, ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ করে থাকে, তাহলে সেইসব নেতারা তাদের নিজ এলাকা থেকে বারবার (মাও মতিউর রহমান নিজামী ২বার, আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ৩ বার, মাও আব্দুস সুবহান ৩ বার) নির্বাচিত হলেন? তাও আবার নিজ নিজ এলাকা থেকে!!! আমরা জানি তাদের সমৃদ্ধ রাজনৈতিক ইতিহাস এর কথা। প্রথমবার এর মত নির্বাচন করে ১৯৮৬ সালে ১০ টি আসন তারা কিভাবে পায় যেখানে মাওলানা আব্দুস সুবহান ও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাহলে কি যে মা হারিয়েছিল তার সন্তান কে, যে বোন হারিয়েছিলেন তার ইজ্জত, তারা তাদের সব কষ্ট ভুলে গিয়েছিলেন মাত্র ১৪ বছরের মধ্যে!!! এছাড়া রাজাকার বাহিনীর যারা ছিল তারা সবাই স্বাধীনতার পরে পালিয়ে গিয়েছিল আবার কেউ মরে গিয়েছিল মুক্তিবাহিনীর হাতে। তাহলে সাঈদী, নিজামী, মুজাহিদ কারো বেচে থাকার কথা নয়। যদি পালিয়েই থাকতেন তবে ফিরে এসে আর যাই হোক নির্বাচন করতে পারতেন না। সেখানে তারা নির্বাচন করলেন, জয়লাভ করলেন, সংসদে গেলেন তাও আবার একক ভাবে (১৯৮৬ সালে ১০ টি, ১৯৯১ সালে ১৮ টি, ১৯৯৬ সালে ৩ টি) !!!!!!!!!! তারা যে জনপ্রতিষ্টিত একটি দল তা বোঝা যায় তাদের সাংসদীয় ইতিহাস থেকে। ১৯৮৬ থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে তাদের আসন সেই কথাই বলে। যেখানে বামদের আসন বলতে আওয়ামীলীগ এর দান করা কয়টি (১৯৭৩-২০০৮) ছাড়া। যাদের এমন সাফল্য দেখে হিংসা হয় তারাই এমন জঘন্য মিথ্যাচার করতে পারে।
বিশ্বের এমন কোন ইতিহাস আছে কিনা যেখানে “যুদ্ধাপরাধের” বিচার করতে করতে সেটা “মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের বিচার” বলে চালানো হয়। এর মূল কারন হচ্ছে যুদ্ধাপরাধ এর নামে বিচার করতে গেলে সে আওতায় তাদের প্রমান দিতে এমন কি শাস্তি দিতে পারবে না। তাই মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডের অজুহাত। কারন তাদের কে শাস্তি দিতেই হবে যে। তাও আবার ব্যক্তি নয় জামায়াত কে!!!
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ দাবিদার আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় গেল কতবার। তখন প্রয়োজন পড়েনি যুদ্ধাপরাধের বিচার করার। কারন তখন তো তারা আওয়ামিলীগ এর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ছিল না। তখন একসাথে বসে চা পান করেছেন, মতিঊর রহমান যখন আক্রান্ত হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তখন শেখ হাসিনার প্রতিনিধি হয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন তারই আপ্ন ফুফাত ভাই শেখ সেলিম তখন তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না!! ১৯৯৬ এর সংসদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে গোলাম আযম এর বাড়ি প্রতিনিধি প্রেরন করেন হাতে পায়ে পড়ে ভোট ভিক্ষা চান তখন তিনি যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না ,যখন কেয়ারটেকার আন্দোলন চলছিল তখন জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল মতিঊর রহমান নিজামী র সাথে এক টেবিলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তখন মনে পড়েনি যুদ্ধাপরাধের কথা। থাকবেই বা কেন তখন তো পেয়েছিল অন্যতম রাজনৈতিক মিত্র হিসাবে। এসবই হল রাজনৈতিক কার্যকারন। আসল যুদ্ধাপরাধী বিচার তাদের লক্ষ্য নয়। আসল লক্ষ্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমন করা।

সর্বশেষ, স্বাধীনতা যুদ্ধ করে আমাদের এই দেশ স্বাধীন করেছেন যে স্বপ্ন দেখে, আমরা তার বাস্তবায়ন করেতে পেরেছি কতটুকু তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। যুদ্ধাপরাধ আমাদের এক নম্বর সমস্যা নয়। আমরা সাধারন জনতা চাই সুন্দর বাসযোগ্য একটি পরিবেশ। পরস্পর হানাহানি মুক্ত স্বাধীন সার্বভৌম, স্বাধীন, স্বকীয় একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। আমাদের প্রধান সমস্যা বিদ্যুত, গ্যাস সংকট, কর্মসস্থান অভাব, অর্থনৈতিক অচলাবস্থা। অদূরদর্শি তল্পিবাহি পররাষ্ট্রনীতি আমাদের ভোগাচ্ছে বহু জনম ধরে আরো ভোগাবে যুগযুগ ধরে। যার ভয়াবহ পরিনাম ফারাক্কার মরন বাধ এর চেয়েও ভয়াবহ। আমরা সেই বিষয় কে এড়িয়ে যাচ্ছি মনের অজান্তেই।

১৮৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৪

আহমাদ ০০৭ বলেছেন: আমার অবাক লাগে। আমাদের শত্রু মিত্রের সংজ্ঞা এখন কারা দিচ্ছে? আজীবন জেনে আসলাম রাজাকাররা খারাপ,তাদের বিচার হওয়া উচিত। যেইনা উনি বললেন রাজাকাররা সবাই খারাপ না, যারা 'মানবতাবিরোধী' কাজ করেছে তারা খারাপ, অমনি সব্বাই এমনকি পত্রিকাগুলা পর্যন্ত বোল পালটে ফেলল? এই কথাটা জামায়াত বলছে কত আগে থেকে, তখন এরাই বলসে 'হেঃ হেঃ আত্নপক্ষ সমর্থন'।
একজন ব্লগার এর খেদোক্তি দিয়েই শেষ করছিঃ
“গেরিলা' দেখলাম সেদিন। এ টি এম শামসুজ্জামানের মৃত্যূদৃশ্যের পর মনে হইলো, ভালো হইসে মরে গেসে।বেঁচে থাকলে রক্ষীবাহীনির হাতে মরা লাগতো, তা-ও হয়ত রাজাকারের অপবাদ নিয়ে”

১৮৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

ওরাকল বলেছেন: সমস্য হল বাংলাদেশে যখন কেউ ইতিহাস বর্নণা করে তখন নির্মহো ভাবে কেউ সত্য বলে না। এই যেমন আপনার লিখাটিও এর ব্যতিক্তম নয়।

১। ৭১ এর যুদ্ধের পর যে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয় তাতে ১৯৫ জন পাকিস্তানী সামরিক-বেসামরিক নাগরিকতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিন্হিত করা হয় যাদের ৭৩ এর সিমলা চুক্তির অধিনে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

২। যদ্ধে হত্যা,লোন্ঠন ও ধর্ষণকারীদের বিচারের জন্য প্রণয় করা হয় কোলাবোরেটর এক্ট। এর অধিনে প্রায় ৩ হাজার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। ৭৫ এ শেখ মুজিব হত্যায় সময় এরকম বিচারাধিন মামলার সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার যার অনেকগুলই স্বাক্ষি-প্রমানের অপেক্ষায় ঝুলে গিয়েছিল। এর এই সব অভিযুক্ত অপরাধীকে মুজিব সরকার কোলাবেরেট হিসেবে চিন্হিত করেছিল যুদ্ধাপরাধী নয়।

এখন অনেকেই বলবেন যে কোলাবোরেটর ও যুদ্ধাপরাধীদের মধ্য তফাত কী ? এই প্রশ্নটা আমার ও 'মুজিব সরকার' কেন এই ডিসকৃমিনেশন তৈরী করেছিল তার জবাব নিশ্বই তারাই ভাল দিতে পারবেন।

৩। এটা সত্যি যে জিয়া ঐ ১০ হাজার মামলা বাতিল করে ৭৩ এ প্রনিত দালাল আইনটি বাতিল করে দেন এবং নিশিদ্ধ ঘোষিত সকল রাজনৈতিক দলকে বইধতা দেন। যার সুফল জামাত, ন্যাপ, মুসলিম লীগ, আওয়ামিলীগ সহ তৎকালী বৃহত বাম দলগুল ভোগ করেছে।


প্রচার চালান হয় জিয়া 'যুদ্ধাপরাধী' দের পুনর্বাসন করেছেন। অছচ এই কাজটি শুরু করেছিল শেখ মুজিব স্বয়ং। তিনি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে শুধু বিনা বিচারে ছেরেই দেন নি বরং যুদ্ধকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের কর্তা ব্যক্তিদেরও ছেরে দিয়েছিলেন -- যাদের অনেকেই যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ছিলেন।

১)ড: এ.এম. মালিক
২)আবুল কাশেম
৩)আব্বাস আলী খান (জামাতের প্রাক্তন সেক্রেটারী জেনারেল, মুজাহিদ যার স্থলাবিষিক্ত হয়)
৪)আখতারুদ্দিন আহমেদ
৫)এ.এস.এম. সোলায়মান
৬)ওবায়দুল্লাহ মজুমদার
৭)প্রফেসর শামসুল হক
৮)মাওলানা মোহাম্মদ ইশহাক
৯)নওয়াজিশ আহমেদ
১০)মাওলানা এ.কে.এম ইউসুফ (তত্ব আমলে নিজামী গ্রেফতার হওয়ার পরে এই লোক ছিল ভারপ্রাপ্ত আমির)
১১) মং সু প্রু চৌধুরী!!

সূত্র : Click This Link


শুধু তাই নয় যুদ্ধের ৯ মাস যে সকল বাঙ্গালী ডিসি, এসপি, পুলিশ, সম্মাদক, কলামিস্ট পাকিস্টানী প্রসাষন-পত্রিকা চালিয়েছে তাদের বিচারের সম্মুখিন করেননি বরং বিনা প্রশ্নে নব গঠিত বাংলাদেশ সরকারে তাদের আত্বিকরন করেন।


জিয়া ১০ হাজার বিচারাধিন ব্যাক্তিকে ছেড়ে দিয়ে যে পরিমান সমালচিত হয়েছেন/ হচ্ছেন তার এক দশমাংশ সমালোচনার শিকার ও মুজিব সরকার হয় না ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী ও যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা করে। সুতরাং জিয়া নয় যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসনের হোতা হল 'মুজিব সরকার'।

১৮৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৭

প্রিয় বলেছেন: চমৎকার! +

১৮৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

তার ছিড়া 74 বলেছেন: ভাই, আমি কম জানি, তাই জানতে চাই। আমা অজ্ঞতাকে আবার কোনো দলীয় বলে চালাবেন না। প্রথম কথা হলো, শেখ মুজিব আসলেই একটি সাধারণ ক্ষমা তোষণা করেছিলেন এবং যার ফলশ্রুতিতে অনেক ‌'রাজাকার'ই' 'স্ভাভাবিক' জীবন শুরু করে আবার। কিন্তু সে সাথারণ ক্ষমা কি ছিল, কেন ছিল, সেটি জানা টা দরকার। কেউ কি জানেন? বলবেন? দ্বিতীয় কথা, মানবতা বিরোধী বলেন বা দুদ্ধপরাধী বলেন, এভাবে বিচার কখনোই সম্ভব নয় যদি না এখানে সরকার ম্যানুপিলেট করে। তবে হ্যা, একমাত্র উপায় ছিল যদি স্বাধীনতা বিরোধী বলে দলটির বিরুদ্ধে কোনো বিচার কাজ শুরু করা যেত। তেমন কঠিন কিছু না, শুধু একটি বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করলেই হতো।

১৮৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১২

বোকাসোকাবেস্ট বলেছেন: এই পোষ্ট ষ্টিকি করার ফলে ষ্টিকি পোষ্টের ’গুরুত্ব’ নষ্ট হল ।

১৯০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩১

রাশেদ_০৭৯ বলেছেন: বোকাসোকাবেস্ট বলেছেন: এই পোষ্ট ষ্টিকি করার ফলে ষ্টিকি পোষ্টের ’গুরুত্ব’ নষ্ট হল

একমত...

১৯১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৫

শর্বরী-শর্মী বলেছেন: পোস্টে ৫।

রাজাকারের কিছু শুভাকাঙ্খীও দেখি এখানে হাজির!

১৯২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৪৬

আরজু পনি বলেছেন: ভালো লাগলো...
পোস্ট আর মন্তব্য মিলিয়ে অনেক কিছু জানা গেল...
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃনা তারে যেন তৃণ সম দহে...

১৯৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সকল মন্তব্যকারী এবং যারা সত্যিকার ইতিহাস জানতে আগ্রহী তাদের সবাইকে -

আমি শুধু ব্লগারদের মতামতগুলোই নীচে তুলে ধরছি এই জন্যে যে এর বাইরে আর কোন্ও সত্য নেই - আপনারা এই সত্যগুলোকে অনুধাবন করবেন এই আশায় ।
যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি তারা অনুগ্রহ করে যুদ্ধ পরবর্তী রাজনৈতিক ফয়দা হাসিলের কারনে বিকৃত ( যেমন এই পোষ্টের খন্দকার মাহবুব হোসেন ..) ইতিহাসের কাছে বন্দি থাকবেন না । আপনার জাতিগত আত্মসম্মানের চেয়ে আপনার পছন্দের দল বা ব্যক্তি কখোনই বড় নয় , এটুকু শুধু মনে রাখবেন । এতো লেখার ভিড়ে আমার এই মন্তব্য হয়তো অনেকের চোখে পরবেনা তবু্ও সত্যের জন্যে এ লড়াইয়ে অংশ নিতে খুব ইচ্ছে হলো । আর একটি কথা- নিঝুম মজুমদারের তথ্যসমৃদ্ধ লেখাগুলো্ও পর্যায়ক্রমে ষ্টিকি করা হোক এই আ্ওয়াজ তুলুন সকলে ।

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সুবিধাভোগের জন্য এই দেশের মানুষ মিথ্যাচার করতে কখনও পিছ পা হয় না। এমনকি বড় মাপের মানুষরাও কিছু সুযোগ সুবিধার লোভে ভোল পাল্টে ফেলে যখন তখন। এটা আমাদের একটা জাতীয় সমস্যা।

এস বাসার বলেছেন: শুধুমাত্র দলীয় নোংরা স্বার্থ এদেশের রাজনীতিবিদরা প্রায় সারাক্ষন মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। সেটা সংসদেই হোক বা বারে বা পল্টনেই হোক।

লেখক বলেছেন: এই ধরনের কাজ খুবই দু:খজনক।

জাতীয় সংসদভবনের কাছে আরেকজন বাংলাদেশবিরোধী সবুর খানকে কবর দিয়েছে জেনারেল জিয়া। সেই কবরটাও তুলে খুলনায় পাঠানো হউক। তা ছাড়া বাংলা ভাষাবিরোধী নুরুল আমিনের কবরও আছে তিন নেতার মাজারে - সেখান থেকে সেটাকেও সরানো হউক।

ইতিহাসের পরিশুদ্ধ রূপটাই একটা খাটি প্রজন্ম তৈরী করবে।



অক্টোপাস বলেছেন: রাজাকারের আবার বিচার কী?

এগুলার চোদ্দগোষ্ঠীরে খুইজা পল্টন ময়দানে নিয়া ব্রাশফায়ার করা হোক!!



নিঝুম মজুমদার.............উপরের তিনটি পত্রিকার রিপোর্ট দেয়ার মানে হচ্ছে এই , যদি ৩০ শে নভেম্বর ১৯৭৩ সালের সাধারণ ক্ষমাতে সব রাজাকার রা মাফ-ই পেয়ে যেতো , তবে সেই তারিখের পর দুই বছর পর্যন্ত কিভাবে জাজ সাহেব রায় দিলেন বা মামলা চলেছিলো?

এস্কিমো, আপনার এই পোষ্ট এবং এর মন্তব্য শুধু আপনার একার নয় এটি সুস্থ্যমস্তিকের যে কোন্ও বাঙালীর মনের কথা তাই আপনার এই পোষ্টে ভর করে নিজের অনুভুতিটুকু জানালাম ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০

এস্কিমো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১৯৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০০

মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: ফয়সাল তূর্য বলেছেন: আহমেদমিশুক বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন: এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই। আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

১৯৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৫

মোঃ গোলাম কিবরিয়া বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন:
এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই।
আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

১৯৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৮

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: মাহাবুব সাহেবকে আক্ষরিক অর্থে আইনজীবি বলতে পারেন ,তারচে বড় হল-উনি একজন জামাতের এজেন্ট আর এখনকার বিএনপি নেতাদের দলীয় চরিত্র বুঝা মুশকিল! এই নরঘাতকদের বিচার করা অবশ্যই সম্ভব শুধু পুরো বিচার প্রক্রিয়াটার কাঠিন্য ধরে রাখতে হবে।সবাই এটা জানে যে,ওরা মরণ কামড় দিতে প্রসতুত ,ঘাতকরা সর্বস্ব রকম চেষটা চালাবে।আমি কেন, সবাই এটা জানে যে,বিএনপি ৭১এর ঘাতকদের মদদদাতা।বিএনপি আজ যদি ঘোষণা করে যে আমরা আর কোন রকম রাজনীতির সংশ্রব জামায়াতকে দিব না তাহলে তারপরের দিন থেকে জামায়াতকে চিরদিনের জন্য এই বাংলার মাটিতে কবর দিয়ে দেয়া যাবে।ছোট মুখে আরেকটা কথা বলি..বিএনপি এককভাবে কারো সাহায্য ছাড়া সরকার গঠন করার মত ক্ষমতা রাখে। কিন্তু তারা কেন এই কথাটা উপলব্দি করে না এটাই হল অষ্টম আশ্চর্য!!!!

১৯৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮

মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: এতদিন তাহলে ভুল জেনেছি।বঙ্গবন্ধু সাধারন ক্ষমা করে সব যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দিয়েছিলেন, এটা তাহলে অপপ্রচার ছিল !! তথ্য বহুল পোষ্টে পেলাস।
লেখককে ধন্যবাদ এ ধরনের একটি পোস্ট দেয়ার জন্য। কিছু মানুষ দ্বিমত পোষণ করবেনই । তবে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালোই বলবে অধিকাংশ মানুষ।আগত বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে এই পোষ্ট ষ্টিকি করায় সামুকে অভিনন্দন।

১৯৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৪

অরিয়ন বলেছেন:
এটা সত্যি যে জিয়া ৭৩ এ প্রনিত দালাল আইনটি বাতিল করে দেন এবং নিশিদ্ধ ঘোষিত সকল রাজনৈতিক দলকে বইধতা দেন এবং বহুদলীয় গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনেন। যার সুফল জামাত, ন্যাপ, মুসলিম লীগ, আওয়ামিলীগ সহ তৎকালী বৃহত বাম দলগুলো ভোগ করেছে।যার ফলস্রুতিতে আজ শেখ হাছিনা প্রধানমন্ত্রী।

প্রচার চালান হয় জিয়া 'যুদ্ধাপরাধী' দের পুনর্বাসন করেছেন। অছচ এই কাজটি শুরু করেছিল শেখ মুজিব স্বয়ং। তিনি ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীকে শুধু বিনা বিচারে ছেরেই দেন নি বরং যুদ্ধকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের কর্তা ব্যক্তিদেরও ছেরে দিয়েছিলেন -- যাদের অনেকেই যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ছিলেন।

জিয়া ১০ হাজার বিচারাধিন ব্যাক্তিকে ছেড়ে দিয়ে যে পরিমান সমালচিত হয়েছেন / হচ্ছেন তার এক দশমাংশ সমালোচনার শিকার ও মুজিব সরকার হয় না ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী ও যাবৎজীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত অপরাধীদের ক্ষমা করে। সুতরাং জিয়া নয় যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসনের হোতা হল 'মুজিব সরকার'।

তবে যাই হোক সকল যুদ্ধাপরাধীর বিচার যত তাড়াতরি শেষ হবে ততই ভাল, তাহলে এই ইস্যুনিয়ে নিয়ে তাদের রাজনীতির সুযোগ থাকবে না। এই সরকার বিচার করবে বলে মনে হয় না।
আজ দেশের সার্বিক অবস্থা দেখে সাধারন জনগন যখন হতাশায় নিমজ্জিত। তখন বিচারাধীন ( তা যেরকম বিচারই হোক ) ও বিতর্কিত এই ইস্যু নিয়ে সামুর আচরন দেখে অনেকেই আশাহত। দেশের স্বধীনতা সার্ভোভৌমত্ব,মানবাধীকার, গনতন্ত্র, বিচার ব্যাবস্থা, বাকস্বধীনতা ও সমাজ জীবনের স্থিতিশীলতা যেখানে হুমকির মুখে সেই মুহুর্তে এইরকম একটি ইস্যু কে স্টিকি পোষ্ট করে জনগনের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোড়ানোর জন্য নয় তো ?

১৯৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০০

বাক স্বাধীনতা বলেছেন: +++++++++++++++++

২০০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬

রবিন-৭৭ বলেছেন: মুখোশে ঢাকা আমি মুকিত বলেছেন: এতদিন তাহলে ভুল জেনেছি।বঙ্গবন্ধু সাধারন ক্ষমা করে সব যুদ্ধাপরাধীদের মাফ করে দিয়েছিলেন, এটা তাহলে অপপ্রচার ছিল !! তথ্য বহুল পোষ্টে পেলাস।
লেখককে ধন্যবাদ এ ধরনের একটি পোস্ট দেয়ার জন্য। কিছু মানুষ দ্বিমত পোষণ করবেনই । তবে সাদাকে সাদা আর কালোকে কালোই বলবে অধিকাংশ মানুষ।আগত বিজয়ের মাসকে সামনে রেখে এই পোষ্ট ষ্টিকি করায় সামুকে অভিনন্দন।

২০১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫

িজ েচতনা বলেছেন: :| লেখককে ধন্যবাদ এ ধরনের একটি পোস্ট দেয়ার জন্য :|

২০২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

মুক্ত কাহন বলেছেন: পুরো পোষ্ট টা পরলাম। ভাল লাগল। আর ও ভালো লাগলো comment গুলো। পুরো লেখা পরে আমার একটাই অনুভুতি আমার এখন ভাবতে কষ্ট হচ্ছে আমি এই বাংলাদেশ এর নাগরিক। যেখানে সত্য কে মানুষ মিথ্যা বানাতে পারদর্শী। রাজাকার আমার মনে হই না কোনও দলের হতে পারে। তা হলে রাজাকার আওয়ামী না বি এন পি র তা নিয়াই আমাদের মাথা বেথা বেশি। কেন সব রাজাকার এর বিচার করা যাই না। যে দল এরই হোক। সব রাজাকার এর বিচার হোক।

২০৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭

বাবু_আহমেদ বলেছেন: +++++++++++++++++

২০৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১০

ববিজী বলেছেন: আওয়ামীলীগ সরকার করবে যুদ্ধাপরাধীর বিচার। ১০০% মিথ্যা কথা।
হই হই, রই রই করে তিন বছর কোন মতে পার করল, আর আছে দুই বছর। এর পর তো পাঁচ..... বছর অপেক্ষা !!!
তারপর দেখবেন আওয়ামীলীগ-জামাত জোট সরকার।
এই হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত ! রাজনীতিক দল আও-লীগের আসল রুপ।

২০৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৮

কপালপোড়া বলেছেন: জিয়াভাইর মতাদর্শ কি আবার পাল্টি খেল?

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩

এস্কিমো বলেছেন: বুঝলাম না।

২০৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

দ্রাবিড় দোলন বলেছেন: এখনো যারা রাজাকারদের পক্ষে সাফাই গাচ্ছে তাদের প্রতি ঘৃনা, ঘৃনা আর ঘৃনা।

২০৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৬

নাজমুল হাসান বাবু বলেছেন: আমার মাথায় ঢুকে না মাননীয় খালেদা জিয়া একজন বীরঙ্গনা হয়েও কিভাবে ধর্ষকদের মজলিসে বসে তাদের পায়ের বুড়ো আঙুল চুষেন।
ফতুয়া বাজদের দেয়া রায়ে ধর্ষকদের সাথে (বহুবচন) ধর্ষিতার বিয়ে। ফতুয়াবাজরা কারা? বিয়েটা কি ইচ্ছায় নাকি অনচ্ছিায়?

২০৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: আমি কোন সরকারকেই বিশ্বাস করি না....... এই সরকারও বিচারের নামে মুলা ঝুলিয়ে রাখছে !! আপনার কথায়ও আপনাকে আওয়ামীমনা মনে হচ্ছে !! যাই হোক কে কি মনা সেটা তার একান্তই নিজের ব্যাপার, তবে এই পোষ্টে আমি অনেক সন্দ্যহের গন্ধ পাচ্ছি কেন জানি !!

























রাজাকারদের বিচার ইসলামী শরিয়া আইনে হলে আমি সবথেকে খুশি হব !!

২০৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১

চারু_চারবাক বলেছেন: আহম্মেদ রানা বলেছেন: @নিঝুম মজুমদার: দাদা চমৎকার দিনে একটু টিপাইমূঁখ ঘুরে আসুন! পারলে মমতাকে বলে আসুন, [/sb

এই ছাগু গুলা টিপাইমুখ কোথায় তাই জানেনা, আবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে !!!!!!! মমতা মনিপুর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রি =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

২১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫০

সােয়ম উল আলম বলেছেন: shibir shuorer bascader logic dekhle hasi pai.......ora naki islamer rokkhok.........amar first prosno......ogo ntara nari nettrito huga cate ken?2nd koita shurer basca dari rakhe?hortal dai ki kore?71 a jakhon adesher manushek khun dhrshon kora hoschilo takhon oi shurer bassader islam rokkha koi chilo.......koita khnkir bascha blog a dhuka jamat shibir er geet gai......khankir bassara pakisthan jaia islam rokkha kor............71 a oporadh koira jatir kache khoma caoa to durer thak....logic dekhs je kono oporadh koros nai................sakh mujib toder khoma kore dice.........?khankir bascara ai dese ki muktijoddhara akhon bece nai?toder kon kormokado islami shoriot maina koros?islami bank?toder poti ar theke valo vasa use korle manob jati k opoman kora hoi...........

২১১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৩

জয়নুল হক বলেছেন: Click This Link

২১২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৩৭

অধরা নীল বলেছেন: ++++++++++

২১৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯

মোঃ আল জাহান বলেছেন: যুদ্ধাপরাধের বিচার একটা ফালতু বিষয় এবং দেশের অধিকাংশ মানুষই মনে করে এই বিচারের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বিরোধীদলীয় নেতাদের নির্যাতন করা । আর বেশি দিন বাকি নেই যেদিন এদেশের মানুষ সম্মানি লোকদের অপদস্ত করার জবাব দেবে ।

আর এই লেখক যে আওয়ামীলীগের দালাল তা যে কেউ বুজতে পারে । কারন সে যুদ্ধাপরাধের বিচারের গান গাইতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গীকভাবে জিয়ার সমালোচনা করেছে ।

২১৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪২

সন্যাসী বলেছেন: ডাইনোসর বলেছেন:
এত কিছু বুঝিনা। দ্রুত বিচার চাই।
আমার দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

২১৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫০

সােয়ম উল আলম বলেছেন: md. bal jahan,,,,,,chagol blog er comment gulo dekhe bol desher99.99999999999999999% lok tor jamati bap dadader bicar cai.................surer basca shibir,,,,,,,,,,,,

২১৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১১

জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
অনেক সন্মনিত ব্লগার বিষয় বস্তুর বাইরে কিছু মন্তব্য করছেন। পোষ্টের বক্তব্য সত্যি মেনে আগেই সহমত জানিয়েছি।
" তোমার সত্যকে ঢেকনা , আর জেনে শুনে মিথ্যাকে সত্যির উপর স্থান দিও না। " এমন কথা আমরা যারা মুসলমান তাঁরা মনে হয় শুনেছি। একটি সত্য বিষয় মিথ্যা দিয়ে ঢাকা ছিল। আজ তা সামুতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে কাউকে ছোট করা কেন হবে ? এখানে অনেক প্রমানিত ডকুমেন্ট আছে। এসব তো সত্যি।

আমরা একজনকে দেবতা বানাতে গিয়ে অন্যকে কেন দানব বানাব ? সমস্ত বিশালত্ব এবং ক্ষুদ্রতা নিয়েই আমরা মানুষ। শেখ মুজিব এবং জিয়াউর রহমান কোন নবী ছিলেন না যে তাঁরা ভুল করবেন না। সঠিক এবং ভুলের মাঝে যেটা বেশী ভালো আমরা তা দেখিনা কেন ? ভালোটা দেখে আমরা সামনে এগিয়ে যাই।

রাজনীতির কারনে , আমরা অনেক কৌশল অবলম্বন করতে দেখি রাজনীতিবিদদের । তাতে একপক্ষ ভালো বলি , অন্য পক্ষ ক্ষুব্দ হই । এটাই স্বাভাবিক। ফলাফলের দিকে চোখ রাখেন সাধারন জনতা , এবং সিদ্ধান্ত নেন। এই পোষ্টে দুই পক্ষ তাঁদের মতামত দিচ্ছেন। সাধারন ব্লগাররা কিন্তু বুঝতেছেন আসলে কি হয়েছিল।

লেখক / বিভিন্ন মন্তব্য কারী এখানে কিছু ডকুমেন্ট দিয়েছেন। উত্তেজিত না হয়ে আমরা এর পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন কেন করিনা ?

নিরপেক্ষভাবে পোষ্ট সংশ্লিষ্ট তিনটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে আমার মুল্যায়ন :
* আওয়ামী লীগে আশ্রয় নেয়া যুদ্ধাপরাধীদের মুখ থেকে রাজাকারদের বিচার চাই , এটা আওয়ামী লীগ বলাতে পেরেছে। যদিও তারা নাকি প্রতীকী বিচার করবে।

* বিএনপিতে আশ্রয় নেয়া রাজাকারা জেড ফোর্সের অধিনয়কের প্রতিষ্ঠত দলটিকে দিয়ে বলাতে পেরেছে - নিজামী ,সাইদী গংরা যুদ্ধাপরাধী নয়।

* জামাতে তো রাজাকারদের প্রতিষ্ঠিত দল।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। তা আওয়ামী লীগ করুক বা না করুক, কিছুই আসে যায় না তাতে। আমরা এই দাবী করে যাব , যতদিন আমাদের দেহে আল্লাহ প্রান রাখবেন।

২১৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৫

ফাহাদরক্স বলেছেন: আওয়ামী লীগ হল একটি ছাতার নাম, যেখানে সকল যুদ্ধাপরাধীরা আশ্রয় নিয়েছিল, যেমন আজও মানিকসহ সকল বাঙ্গালী স্কুলকলেজের নারীদের ধর্ষণ করে হয় ছাত্রলীগ নয়তো যুবলীগ,ধরসনলীগে আশ্রয় মেলে।পৃথিবীর এমন কোন সক্তি নাই যে হেরগো বিচার দূরের কথা,অভিযোগও করতে পারবেনা।

আসলে অতি উতসাহি বাম-কামগুলা আমার নেত্রীরে ডুবাইতেছে।

২১৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৫

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: ++++++

২১৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৩

বিপ্লব৯৮৪২ বলেছেন: ++++

২২০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৭

ইল্যুশনিস্ট বলেছেন: অসাধারণ+++++++++++++

২২১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এই পোস্ট স্তিকি করে সামু কি বুজাতে চাইল????

২২২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৪৯

Hanif বলেছেন: ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আটক হয় - ৩৭ হাজার ৪ শত ৯১ জন

আমার বিনীত প্রশ্ন : এদের মধ্যে জামাতের কোন কোন নেতা ছিলেন ? বর্তমানে যারা আটক আছেন তারা ছিলেন কিনা ? যদি না থেকে থাকেন তাহেলে তারা আজকে কিভাবে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী হয়ে গেলেন ???

২২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:১৭

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: প্লাস প্লাস

২২৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৫

কলাবাগান১ বলেছেন: আমদের দেশ রাজাকার মুক্ত হোক।

২২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৫

গোলাম রাব্বানী রকি বলেছেন: আপনি কি আওমিলীগ করেন ?আপনার লিখাটা পড়ার পর মনে হল আমার , আর যারা আপনার লিখার ওপর মন্তব্য করেছে সবাই আওমিলীগ আর চামচা,না হলে সবাই বিরধী দলকে কানো দসারপ করবেন , আপনার কাছে আমার প্রশ্ন আপনারা এখন যে আদালত এ বিচর করছেন সে আদালত কতটা নিরপেক্ষ ?

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:০২

এস্কিমো বলেছেন: না - আমি আওয়ামীলীগ করি না। কখন করিনি বা করার সম্ভাবনা নেই।

আমি একজন বিচারপ্রার্থী সাধারন মানুষ।

২২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

ছোট্ট রাজকণ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য.....
+++++++++

২২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

আশার রাজ্যে নিরাশার মেঘ বলেছেন: অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে জিয়াকে টেনে এনে এই পোস্ট রাজনৈতিক হয়ে গেছে, আর সেই অজুহাতে সামুর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন। তাদের ভাবটা এমন, দালাল আইনের জন্ম, শৈশব আর যুবক বয়স নিয়ে কথা বলা যাবে, কিন্তু, দালাল আইনের মৃত্যু নিয়ে কথা বলা যাবে না।

যারা এত দিন মুজিব কে সাধারণ ক্ষমা করার জন্য মিথ্যা দায়ী করতেন, তাদের বুকে এখন জালা শুরু হবে এই রকম সত্য জানার পর, এটাই নরমাল। আর দালাল আইনের ইতিহাস নিয়ে কথা বললে, জিয়া প্রসংগ এমনিতেই চলে আসবে, কেননা জিয়া নিজেই দালাল আইন বাতিল করেছেন। কেউ তো দাবি করলেন না যে জিয়া দালাল আইন বাতিল করে নাই। আসলে জিয়া ভক্তরা সারাজীবন আংশিক আর বিকৃত ইতিহাস শুনে শুনে এখন সত্য জেনে কি করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না।

কেউ যদি মনে করেন যে জিয়া দালাল আইন বাতিল করে ভাল একটা কাজ করেছেন, তার কাছে জিয়া একজন হিরো। আর কেউ যদি ভাবেন যে জিয়া ঠিক কাজ করেন নাই, তাহলে, জিয়া তার কাছে ভিলেন। কিন্তু যে যাই ভাবুক, এটা তো ইতিহাস।

সত্যি কথা কার কাছে রাজনৈতিক মনে হলে কার কি করার আছে, ইতিহাস তো ইতিহাসই, তাকে কি সারা জীবন মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায়।

২২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

ফোটোনিক্‌স বলেছেন: পোষ্ট স্টিকি করার জন্য সামু কে ধন্যবাদ। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ঠিক নয়। সত্যকে সবসময় স্বীকার করা উচিৎ। রাজাকার সবসময়ই রাজাকার। যারা এদের পক্ষে সাফাই গায় তারা হল নব্য!! কে কার আত্নীয় সেটা বড় কথা নয়। আসল রাজাকার দের চিনতে হবে। কোন কমপ্লিট লিস্ট আছে কারোকাছে?

আমার জন্ম ১৯৭১ এর অনেকঅনেক বছর পরে তবে আমার সৌভাগ্য!! (না দুর্ভাগ্য জানিনা ) যে আমাদের আশেপাশে অনেক গুলো বড়মাপের!! রাজাকার ছিল (আছে) যারা এখন বেশ বিখ্যাত। (এলাকার মুরব্বিদের কাছ থেকে শোনা)

১. ফজনু মুন্সিঃ আমাদের স্কুলের পাশেই। এখন ঢাকাতে থেকে, প্রতি বছর ওরষের সময় বাড়ীতে আসে।
২. নুরু খুনকার (খোন্দকার)ঃ আমাদের পাশের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিল। আর বর্তমান তো সবাই জানে।
৩. মুজাহিদঃ এই নির্বাচনের আগের রাতে টাকার গাড়ী নিয়ে আমাদের গ্রামে ঢুকেছিল, যে দাবরানী টা দিয়েছিলাম না!!!! গ্রামের লোকজন মিলে। ভোটের দিন হাতের কাছেই পেয়েছিলাম, বিখ্যাত হওয়ার! সুযোগ টা হারিয়েছি।
৪. নুলা মুসাঃ বাড়ি কাজীকান্দা গ্রামে। মামাবাড়ি থেকে জেনেছি প্রথমে।
৫. বাচ্চু রাজাকারঃ বোয়ালমারীর, এখন নাকি বিশাল বড় মওলানা। নাম টাও নাকি পাল্টেছে। টিভিতে নিয়মিত অনুষ্ঠান করে।

এক এলাকাতেই যদি এইরকম ৫ জন বিখ্যাত!! রাজাকার থাকে তাহলে সারাদেশে কত থাকতে পারে। এমনিতেই অনেক দেরি হয়েগেছে, আওড় দেরি করলে হয়ত এরাও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যাবে (আওয়ামীলীগ আর জাতীয়তাবাদীদের দরদে)।

আগামী ২ বছরে না হলে আর কখনোই হবে না ।।

২২৯| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৭

গদাম বলেছেন: BAL এর দালাল এস্কিমো আগে ক খুনি মুজিব কেন সাধারন ক্ষমা করল। রাজারারের লগে নাতির বিয়া দিব তাই।

২৩০| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৫

জিয়াউল ২০১১ বলেছেন: ইসলাম আর জামায়াতে ইসলাম এক করে দেখলে সমস্যা। জামায়াত এই পর্যণ্ত যা করেছে সবই ইসলামের শিক্ষার বিরোধী। ৭১ সালে আক্রান্ত একটা মজলুম জনগোষ্ঠীকে রক্ষার কোরানের নির্দেশ অমান্য করে জালেমের পক্ষে জুলুমে শরিক হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতায় গিয়ে একটা কাজও করেনি যা ইসলামের পক্ষে যাবে। নিজেদের জন্যে প্লট বরাদ্ধ আর টিভি লাইসেন্স নেওয়া আর চোরদের সহযোগীতা ছাড়া কিই বা করেছে..................ধর্মের নামে দূষিত রাজনীতি বন্ধ হোক।

২৩১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৭

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: প্রয়োজনিয় পোস্ট, প্রিয়তে রাখলাম

২৩২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৩৪

জাতির নানা বলেছেন: এই বিচার দীরঘাইত করে কি আওয়ামীলীগের পরবর্তীতে ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা করছে???????????

২৩৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৮

বাঙ্গাল৭১ বলেছেন: জামাতের পেইড ব্লগার ছাগু গুলো গেলো কৈ

২৩৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

তাপস চন্দ্র বর্মন বলেছেন: DARUN POST+++


http://www.friendhost.in

HOST UR WEBSITE IN CLOUD HOSTING SERVER.

২৩৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:২০

ডলুপূত্র বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর সময়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইবু্নালের প্রধান আইনজীবী ছিলেন বর্তমান বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি যখন বলছেন তখন ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এ লোক যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষ নিল কেন? তাহলে কি বঙ্গবন্ধু ভুল লোক নির্বাচন করেছিলেন? নাকি সত্যিই ডাল মে কুচ কালা হ্যায়!!!!

সরকার মুখে বলছে যুদ্ধাপরাধের বিচার। কাগজে কলমে বলছে- মানবতাবিরোধী অপরাধের। মন্ত্রীরা একবার বলছেন- বিদেশীদের চাপ আছে আরেকবার বলছেন নেই। একবার বলছেন আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল আবার বলছে দেশীয়। একবার বলছে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই বিচার হচ্ছে কিন্তু প্রতিনিয়ত বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করছেন। মন্ত্রীরা বলছেন- ফাঁসি দেয়া হবে, এটা হবে, সেটা হবে। ফলে আমজনতা তো বিশ্বাস হারাই ফেলতেছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মত আইনের সমস্ত পদ্ধতি সুষ্ঠুভাবে মেনেই কি যুদ্ধাপরাধের বিচারটা করা যায় না। যে বিচার নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলার সাহস হয় না।

এত তাড়াহুড়ো, এতো বাকোয়াজ কেন???? !!!!!



২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২২

এস্কিমো বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর সময়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইবু্নালের প্রধান আইনজীবী ছিলেন বর্তমান বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।


- এই তথ্য কোথায় পেলেন -ইনটারেস্টিং - একটা সূত্র দেন।

২৩৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৮

শাফি উদ্দীন বলেছেন: বেঈমানদের বিচার হ'য়া জরুরী দরকার।

২৩৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮

অভীত বলেছেন:

২৩৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০২

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: +++++++++

২৩৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৯

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মিথ্যাচারের উপযুক্ত জবাব এই পোষ্ট...........

২৪০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৫৬

নীল আশিক আকাশ বলেছেন: +++

২৪১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৫:১৫

প্রশংসা বলেছেন: @উন্মাদ অভিক - ওই পোস্টে আমি যে কমেন্ট করেছি, তা আমার বিবেচনাবোধ থেকে করেছি। এইখানে একটা লেখা আছে, পড়েন -
কি কারনে জামায়াত নেতাদের ধর্ষণ প্রবণতা বন্ধ হয়ে গেল !!!!

আফসোস!
সেঞ্চুরী মানিক জামাতের সদস্য ছিলো না,
স্পিরিট খেয়েও জামাত/শিবিরের কর্মীরা মারা যায় না

২৪২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৩৯

নিঝুম মজুমদার বলেছেন: জিয়া ভাই, মাহবুব হোসেনের ব্যাপারে উপরের আপনার মন্তব্যের সূত্র ধরে--

মাহবুব হোসেন ১৯৭২ সালে দালাল আইনে আটককৃত দালালদের বিচারের ক্ষেত্রে চীফ প্রসিকিউটর ছিলো। এখন ১৮০ ডীগ্রি টার্ন নিয়েছে। এই নিয়ে আমি ekTa lekhaএকটা বিস্তারিত তথ্য নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। এখানে দেখতে পারেন । likh

২৪৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০১

নইম বলেছেন: যুদ্দ্বটা হয়েছিলো জামাতি রাজাকার আর আওয়ামী হাইজাকারের ভীতর তাই না !

২৪৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: বিরোধী আইনজীবিরা যাই বলুক, যেহেতু আইনী পদ্ধতি শুরু হয়েছে, তাই সময় মত যুদ্ধাপরাধের বিচার হোক এটাই কাম্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্দেশ্যেই আইনীকর্মকান্ড চলুক।

যেহেতু অতীতে নন-আওয়ামী/সামরিক সরকারগুলো নানা ভাবে বিচার এবং এই সম্পর্কিত তথ্য বিকৃতির চেষ্টা করেছে, তাই আমরা চাইব এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে থাকতেই বিচার সম্পন্ন হোক। এই বিচার প্রক্রিয়াকে আগামী নির্বাচণের জন্য কোন অসমাপ্ত ইস্যু হিসেবে দেখতে চাই না। এটা গত নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ছিল এবং এইবারই এই সমাপ্তি হতে হবে।

আগামী দিন গুলোতে আমরা শুধু শুনতে চাই নিজামী, সাইদী, সাকাদের কার কি বিচার হল।

২৪৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০২

shapon বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে । এখানেই মানুষের জন্য মানুষ।

২৪৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০৪

ডলুপূত্র বলেছেন:
বঙ্গবন্ধুর সময়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারে গঠিত ট্রাইবু্নালের প্রধান আইনজীবী ছিলেন বর্তমান বার সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।


- এই তথ্য কোথায় পেলেন -ইনটারেস্টিং - একটা সূত্র দেন...

নিচের লিংক দেখুন

Click This Link

Click This Link

২৪৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৬

মুন্তাছির রহমান বলেছেন: ফাঊল এবং ফ্লপ একটা পোস্ট স্টিকি করা হল এই প্রথম দেক্লাম ।

২৪৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২০

অনিরূদ্ধ বলেছেন:
মেজাজ কিন্তু খারাপ হইতাছে X( X(
মডারেটর, এই পোস্ট নামান জলদি স্টিকি থেকে,
আর টিপু ভাইয়ের জন্য ব্যানার বানান।
মানুষ হয়া থাকলে উনার পোস্ট টাও স্টিকি করেন....

২৪৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২০

অনিরূদ্ধ বলেছেন:
@লেখক: নো অফেন্স টু ইউ

২৫০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩২

মাধুকরী বলেছেন: সকল যুদবাপরাধীদের বিচার চাই, এই একটা ব্যাপারেই আওয়ামী লীগ কে সমর্থন জানাই , যদিও ৯৬-০১ আমলে এই এজেন্ডা ছিলনা , ২০০১ সালের বিএনপি জামাত জোটের বিপুল ভোটের জয়ে দিশেহারা হয়ে রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে ভোটের রাজনীতির জন্য এবার আওয়ামীলীগ ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অন্তরভুক্ত করেছে, তার ফল এই বিপুল জয় আজকের তরুণদের পক্ষ থেকে , এই একটা ইস্যু শতভাগ সফল । হায় এই ভোটের রাজনীতি থেকে কবে আমরা বের হব

সাকা , গোলাম আযম, নিজামী, সাইদী সহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে বিচার চাই, একমাত্র আওয়ামী লীগ ই এই কাজটা করতে পারবে, খালেদা ম্যাডাম তোঁ জামাত শিবিরের আজ্ঞাবাহক , দুই দল্কে আলাদা করা যাচ্ছেইনা !

২৫১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭

লিন্কল্ন বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.