নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সুশীল ব্লগার না..নিরপেক্ষও না।

যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী করছি

এস্কিমো

"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।

এস্কিমো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের সম্ভাব্য আন্দোলন নিয়ে কিছু কথা

০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৫

গত পাঁচ বছর অবিরাম বিএনপির সমালোচনা করেছি। কারন ছিলো মুলত দুইটা - প্রথমত বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে আইনী, রাজনৈতিক এবং শক্তি দিয়ে সহায়তা করছিলো এবং বিএনপির ভিতরেও যুদ্ধাপরাধীর আশ্রয় আছে - এমনকি বিচারাধীন আসামীও বহাল তবিয়তে আছে। আর দ্বিতীয়ত বিএনপি তাদের শাসনামলে যে সকল ভুল এবং অন্যায় করেছিলো - তার নিয়ে সামান্য দুঃখিততো হয়নি বরঞ্চ তাদের দুর্ণীতিগ্রস্ত নেতাদের পুর্নবাসন করতে গিয়ে নিজের দলকেও দূর্বল করেছে - যা মুলত সরকারকে আরো বেপোরোয়া হওয়ার সুযোগ দিয়েছে।



আর আমাদের মতো অনেকেই যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে সরব থাকার সুবিধাটাও পেয়েছে আওয়ামীলীগ - যা অনেকটা বাধ্য হয়েই আমাদের করতে হয়েছে - কারন বিএনপি জামায়াত রাজনৈতিক ভাবে একটা অন্ধকার কানাগলিতে ঢুকে পড়েছে।



এইতো গেলো পুরানো কাসুন্দি। এখন কি?



বিএনপি (জামায়াতের রহস্যজনক নিরবতার মাঝে) আন্দোলনের হুমকী দিচ্ছে। বাস্তবতা হলো - বিএনপির এই হুমকী একটা বায়বীয় হুমকী হিসাবেই দেখা ভাল। কারন হলো - বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা। বাংলাদেশে প্রতিবার যাই - দেখি সাধারন মানুষের পরিবর্তন। এখন প্রায় পুঁজিবাদী সমাজে উত্তীর্ন হয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেখানে সবার মাঝে আছে স্বপ্ন। হতাশা নেইই বললেই চলে। তাই ৫২, ৬৭, ৬৯ অথবা ৯০ এর মতো আন্দোলনে সাধারন মানুষের আগ্রহ থাকার কথা না - কারন সময় মানেই টাকা। সময় নষ্ট করে নেতা-নেত্রী বত্তৃতা শুনা আর রাস্তা গিয়ে পুলিশের নির্যাতন সহ্য করে একটা আন্দোলন করার মতো সময় সাধারন মানুষের নেই বলেই মনে করছি। তবে ডাইহার্ট সমর্থক আর পেইড কর্মীদের কথা আলাদা। সেখানে আছে অর্থকড়ির বিষয়। খোড়া ঘোড়ায় বাজি ধরার মতো মানুষ কম - তাই প্রচুর অর্থ খরচ করে কিছু করা্র মতো সরবরাহও পাওয়া সম্ভাবনা নেই। দ্বিতীয় যে কারনে বিএনপি আন্দোলন সুবিধা করতে পারবে না তা হলো - দলের সাংগঠনিক দূর্বলতা। দীর্ঘদিন ধরে একটা মহাসচিব নিয়োগ দিকে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। বয়সের ভারে নূজ্যমান দলের প্রধানের ঘাটতি পুরন করতে পারতো একজন দক্ষ মহাসচিব। কিন্তু তার পক্ষে কাজ করাও কঠিন হতো - কারন বিএনপির দ্বৈত নেতৃত্ব। একজন লন্ডন থেকে ফোনে নির্দেশ দিচ্ছে আরেকজন ঢাকায় বসে দলের কাজ করছেন গভীর রাতে - ফলে নেতাকর্মীরা প্রকৃতপক্ষে বিভ্রান্ত এবং দিশাহারা।



মজার বিষয় হলো - আওয়ামীলীগও জানে যে বিএনপির আন্দোলনের চাবি এখন তাদের হাতে। কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতাদের কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে তারাই চাইছে বিএনপি আন্দোলনের নামুক - রাস্তায় বাস পুড়ুক - টিভির পর্দায় জ্বলত্ব বাসের ছবিতে ভরপুর হয়ে যাক - ফলে তাদের দূর্বলতা গুলো ঢকা পড়ে যাবে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপি নির্বাচনের আগে আওয়ামীলীগের ফাঁদে পা দিয়েছিলো - খেলেছে আওয়ামীলীগ আর বিএনপি দৃশ্যমান ভুমিকায় ভিলেন হয়ে গেছে। এবারও তাই হবে।



এখান একটা কথা না বললেই নয় - তা হলো বিএনপি বায়বীয় কিছু ইস্যুতে আন্দোলন করার চেস্টা করছে যার প্রকৃত কোন মূল্য নেই বাস্তবে। জনগনের ভোটের অধিকার মানেই কি একদল ক্ষমতায় পাঠানো বা সরানো? ধরা যাক - বিএনপি গত নির্বাচনে ১৪৯ সিট পেলো - কিন্তু তারা কি সে্ ইনির্বাচন মেনে নিতো - আমরা আগেও দেখেছি - বিরোধীদল কোন ভাবেই সংসদীয় প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে না। বিএনপি গত পাঁচ বছরে বিরোধীদল হিসাবে ইতিহাসের সবচেয়ে নির্লজ্জ ভূমিকায় ছিলো। তাই মানুষের কাছে সংসদের বিরোধী থাকা না থাকার বিষয়টা সমান। তাইলে মানুষে চায় কি? মৌলিক চাহিদাগুলোর বিষয়ে নিশ্চয়তা, অর্থনীতিতে অগ্রগতি, বিদ্যুৎ আর জ্বালানির নিশ্চয়তা তথা দেশের উন্নতি। তা তো হচ্ছে - তাইলে মানুষের কাছে ভোটের অধিকারের বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ন হবে?



প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের যে ইস্যুতে বিরোধীদল সবচেয়ে সরব হতে পারতো তা হলো দূর্নীতি এবং সুশাসন। বিশেষ করে দূর্নীতি ইস্যুতে বিরোধীদল সবচেয়ে সুবিধা করতে পারতো। গত ছয় বছরে কি বিপুল পরিমান সম্পদ দেশ থেকে পাচার হয়ে গেছে তার কিছু ধারনা পাওয়া যাবে যদি কেউ টরন্টোর বাইরে রিচমন্ডহিল শহরে বাংলাদেশীদের মিলিয়ন ডলারের বাড়ি কেনার হিড়িক দেখে্ই অনুমান করা যায় - যাদের মধ্যে সরকারী দলের অনেকেই আছেন।



দুঃখজনক হলেও সত্য - এই ইস্যুতে বিএনপি দূর্বল। কারন তাদের নিজেদের ঘরেই দূর্নীতির আখড়া। কানাডায় বাড়ি কেনায় যেভাবে আওয়ামীলীগের নেতার আছেন - তেমনি আছেন বিএনপির নেতারাও। বিএনপির ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির নেতাদের অনেকেরই পরিবারের অর্ধকে টরন্টোতে বাস করেন - সচিব এবং আহ্বায়কের পরিবার থাকে টরন্টোয় - দেশ থেকে ডলার আসে - কিভাবে আসে তা না হয নাই বললাম। মুল কথা হলো - এদের পক্ষে সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ করা সম্ভব নয়। কারন এরা ক্ষমতায় থেকে যে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছিলো তা রক্ষা করাই এদের প্রধান কাজ হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো - লন্ডনে বসে ফিনফিনে শার্ট পড়ে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হল ঘরে সরকার বিরোধী জ্বালাময়ী বত্তৃতা দেওয়া আর পল্টনের উত্তপ্ত পীচের রাস্তায় নেমে জনগনকে আন্দোলনের ডাকা কখনই সমান না - মানুষও এই বুঝে।



তাই পরামর্শ দিচ্ছি বিএনপির উচিত নয় আওয়ামীলীগের ফাঁদে পা না দিয়ে প্রথমত নিজেদের ঘর গুছানো। সেই কাজে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তারেক রহমানকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া, খালেদা জিয়াকে উপদেষ্টা করে একটা কার্যকরী সভাপতিমন্ডলী তৈরী করে প্রতিটি জেলা/থানায় সন্মেলন করে দলের কাঠামো নির্মান করা এবং মেধাবী এবং দক্ষদের নেতৃত্বে আনা। তার সাথে সাথে ধান্ধাবাজ টকশো জীবিদের পরামর্শ গ্রহন থেকে বিরত থাকা (বিশেষ করে মান্না, মুজাহিদুল ইসলাম, আসিফ নজরুল, পিয়াস করিম,ইত্যাদি, কারন গত পাঁচ বছর ওদের পরামর্শ শুনেই বিএনপি ভীষন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে)। দ্বিতীয়ত রাজনীতির বিষয়ে বায়বীয় ইস্যুকে (বিসমিল্লাহ শেষ হবে, ভারত দেশ নিয়ে যাবে, ভোটের অধিকার ইত্যাদি) বাদ দিয়ে অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে দূর্নীতিকে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা।



এই জন্যে দরকার ধৈর্য্য। আর বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটা মিমাংসা করে নিজেদের অবস্থান সুস্পষ্ট করা জরুরী বটে। যুদ্ধাপরাধের বিচার, জামায়াতের সাথে সম্পর্ক, খালেদা জিয়া জন্মদিন, স্বাধীনতার ঘোষক ইত্যাদি ইস্যতে সত্যকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমে উদারতার পরিচয় দেওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হলো - আগামী দশ বছর পর বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চায় বিএনপি তার একটা রূপরেখা তৈরী করে জনগনের কাছে সুষ্পষ্ট ভাবে পৌছানো - যাতে সেই স্বপ্নটা সাধারনের স্বপ্নের সাথে মিশে যায় - তা হলে আর বিদেশী শক্তি আর দেশীয় কুচক্রিদের উপর নির্ভর করতে হবে না - সাধারনের সমর্থনেই বিএনপি ক্ষমতায় যেতে পারবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১১

এস্কিমো বলেছেন: দীর্ঘ বিরতির পর আবার ফিরে এলাম। বিএনপির সমর্থকরা কই, আসেন কিছু আলাপ আলোচনা করি।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৩

তিক্তভাষী বলেছেন: ”..তাইলে মানুষের কাছে ভোটের অধিকারের বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ন হবে?”

অনেকদিন পর ব্লগে ফিরে আসাকে স্বাগতম জানাচ্ছি।

তবে, আপনি সেই দলকানাই থেকে গেলেন। উন্নতি আর হলো না। আওয়ামীরা ক্ষমতায় এসে জনগনের ‘না’ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলো, ‘গনভোট’-এর অধিকার কেড়ে নিলো, তত্বাবধায়ক বাতিল করে এমনকি নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যা্ওয়ার অধিকার কেড়ে নিলো, নির্বাচনী আইন পরিবর্তন করে দলবাজি আর অসৎ দুর্নীতিবাজদের দলে ভেড়ানোর সুযোগ করে নিলো। এককথায় বলতে গেলে- জনগনের সত্যিকারের প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকারটাই কেড়ে নিলো-এসব কিছুই কি আপনাকে স্পর্শ্ করে না? এখনো আওয়ামী লীগ আর বিএনপির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছেন।

শুধুমাত্র ফ্যাসিস্টরাই জনগনের ভোটের অধিকারের বিষয়টি অগুরুত্বপূর্ণ মনে করে থাকে।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:০২

এস্কিমো বলেছেন: আওয়ামীলিগ এই কাজগুলোকে আমি সমর্থন করলাম নাকি? ভাল করে পড়েন।

আর বিএনপি সব কিছুতেই তো বিরোধীতা করলো - কি লাভ হলো। আরো পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বিএনপিকে - অবশ্যই যদি সঠিক পথে থাকে - নতুবা বাকী জীবন বিরোধীতা করাই সার হবে।

ভোটের অধিকার এর আগেও কেড়ে নিয়েছিলো এরশাদ, জিয়া আর খালেদা ৯৬ সালে। সব অধিকারই ফিরে পেয়েছে মানুষ আন্দোলনের মাধ্যমে এবঙ সবগুলো আন্দোলনের মুলে ছিলো আওয়ামীলীগ - এই কথা যেমন সত্য। আজকে ভোটের অধিকারকে যদি আপনি প্রাধান্য দেন তবে তা রক্ষা দায়িত্ব নিয়ে বিএনপি জামায়াত আন্দোলন করেছে এবঙ ব্যর্থ হয়েছে - কেন ব্যর্থ হলো আর সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা না নিলে আওয়ামীলীগকে বাকী জীবন গালি দিয়েই যেতে হবে আপনাকে।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯

কলাবাগান১ বলেছেন: ওয়েল কাম ব্যাক

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:০৫

মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর পর্যবেক্ষন আর বিশ্লেষণ । বিএনপি বাস্তবতা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবে ততোই ভালো ।


ফিরে আসার শুভেচ্ছা ভাই ।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:২৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: এত দিন পরে হলেও ফিরেছেন দেখে ভাল লাগলো। স্বাগতম। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.