![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"যখন যুবক ছিলাম, ছিলাম চালাক, তাই চেয়েছিলাম নিজের মতো করে পৃথিবীকে বদলিয়ে নিতে - এখন বয়স বেড়েছে - অভিজ্ঞতা হয়েছে, বেড়েছে জ্ঞান - তাই চাচ্ছি নিজেকে বদলাতে" - ------------------------- জালালুদ্দিন রুমি I think free speech is free speech no matter what, even if it does promote hatred. We also have the freedom to not listen to hatred. [এস্কিমো ব্লগের সতর্কীকরন: রাজাকার, আল বদর, আল শামস্, শান্তি কমিটি, ও '৭১ এর দালাল সমর্থকরা নিজ দায়িত্বে প্রবেশ করুন... (জামাত ও শিবির না আসাই ভাল!)] জন্ম: পিতার কর্মস্থল নোয়াখালীর হরিনারায়নপুর রেলওয়ের কোয়ার্টারে। শৈশব কেটেছে হবিগঞ্জের শায়েস্থাগঞ্জে। ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে দেশে সরকারী/বেসরকারী চাকুরী করে দেশ ত্যাগ...পথিমধ্যে নেদারল্যান্ডসে গাধার পিঠে আরো কিছু বই চাপিয়ে কানাডার টরন্টোতে চলে আসা। চেষ্টা চালাচ্ছি কানাডার হিমশীতল মাটিতে বসত গড়তে...কিন্তু শিকড়ের টানে সবসময়ই মন চলে যায় ধলেশ্বরীর পাড়ে। বাংলাদেশকে একটা আধুনিক এবং সমৃদ্ধ দেশ দেখার স্বপ্ন নিয়ে ব্লগিং করা।
অনেকদিন পর সামহোয়ার ইন এ এসে বেশ লাগছে। এক সময়তো তো রাতের পর রাত এখানেই থাকতাম। কি উত্তেজনার সময় - কে পোষ্ট দিলো - কমেন্টে কে কাকে ঘায়েল করচে। আর অবধারিত ভাবে গালির ঝড়। কখনই গালাগালি পছন্দ করি না - কিন্তু উপায় ছিলো না - গালাগালির মাঝেই ব্লগিং করতাম। অবশ্য একটা লক্ষ্য ছিলো সেই ব্লগিং এর - লক্ষ্যে পৌছার পর বিশ্রাম। তারপরও ব্লগিং ভাল লাগে। যদিও শত শত ব্লগ লেখেছি - তারপরও ব্লগার হিসাবে কিছু অর্জন করেছি বলে মনে হয় না - আর কিইবা অর্জন করা যেতো - প্রবাসে বসে বাংলা লেখা - বাংলাদেশের মানুষের সাথে ইন্টারএকশ্যান করার যে আনন্দ - তার মূল্য অনেক। যাই হোক কিছু একটা বলি বরঞ্চ - পুরোনো কাসুন্দী ঘেটে লাভই বা কি!
গতকাল ফেইসবুকে দেখলাম অনেকেই কান ধরে ছবি দিচ্ছে - অভিনব প্রতিবাদ সন্দেহ নেই। কিন্তু অবাক হয়ে দেখছি প্রবাস থেকেও অনেকে বাচ্চাদের কান ধরে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি দিয়েছে। বলাই বাহুল্য - প্রবাসে থাকা - বিশেষ করে নর্থ আমেরিকায় বসবাস করা কোন বাচ্চা ভাবতেই পারবে না যে কোন শিক্ষককে অপমান করা যায় অথবা শিক্ষক বাচ্চাদে শাররীক ভাবে আঘাত করতে পারে। নিম্চয় বাবা-মাকে বিষয়ট বুঝাতে হয়েছে। এতে বাচ্চাটার মনে বাংলাদেশ সম্পর্কে যে খুব একটা ভাল ধারনা তৈরী হয়েছে বলা যাবে না।
যাই হোক - সবার নিশ্চয় নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে সব বিষয়েই। তবে একটা ছবি দেখে কিছু না বলে পারিনি। ছবিতে একআ বাচ্চা ছেলে প্ল্যাকার্ড হাতে দাড়িয়ে আছে - প্রতিবাদের কথা লেখা সেখানে - তাকে দুইটা বানান ভুল। বললাম - ভাই যে বাচ্চা বানান ভুল করে তার শিক্ষককে কান করে দাড়িয়ে থাকার ছবি কেন দিচ্ছেন না। শুরু হলো গালিগালাজ। বস্তুত বাচ্চাদের এই ধরনের গড্ডালিকা প্রবাহে না ভাসিয়ে তাদের বিরূপ পরিবেশ থেকে সুরক্ষা দেওয়াই বাবা-মা/অভিভাবকের দায়িত্ব। পৃথিবী কখনই বেহেস্ত ছিলো না - হবেও না। এখানে ভাল মানুষ যেমন আছে - খারাপ মানুষও থাকবে। একটা বাচ্চাকে সুন্দর পরিবেশ তৈরী করে না দিলে তারা নেতিবাচক পরিবেশে বড় হবে - নেতিবাচক মানুষ হবে। অন্যদিকে অন্যায়কারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্যে দেশে আইন আছে - সংস্থা আছে। তারা যদি কাজ না করে তাদের কাজ করার মতো অবস্থা তৈরী করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো - বাচ্চাদের ব্যবহার করে সহানূভূতি তৈরী করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস না দিয়ে বরঞ্চ তাদের সাথে এই নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা করা যায় - তাদের বলা যায় - যেন ওরা বড় হয়ে নিজের কাজটা ঠিক মতো করে। যে পুলিশ হবে সে যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে। ডাক্তার হলে যেন ময়না তদন্তটা সঠিক ভাবে করে - তবেই না অন্যায়কারীদের ধরা যাবে - শাস্তি দেওয়া যাবে।
শেষ কথা হলো - উপনিবেশিক আমল থেকে টেনে আনা এই জবরজং সমাজ কাঠামোটা শুধু প্রতিবাদ আর ফেইসবুক ইভেন্ট করে বদলানো যাবে না - তার জন্যে দরকার একটা প্রজন্ম। আর আজ যে শিশু সেই হতে পারে নতুন সমাজ নির্মানের কারিগর। সেই স্বপ্ন নিয়েই তাদের বড় করা উচিত - তাদের সকল নোংরামী এবং জটিলতা থেকে দুরে রাখার লক্ষ্যে ঘটনা বিষয়ে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসানো জন্যে শিশুদের ব্যবহার করা একদমই উচিত নয় বলেই মনে করি।
পড়ার জন্যে সবাইকে ধন্যবাদ।
২| ২০ শে মে, ২০১৬ সকাল ৮:৪০
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছেন। আমাদের শিক্ষকগণ আজকাল কী ধরণের শিক্ষা দিচ্ছেন সেটিও মনে রাখতে হবে। ভাল থাকুন।
৩| ২১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৩
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মানুষ পালটায়- এইটাই একমাত্র ধ্রুব।
৪| ২২ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
জেন রসি বলেছেন: আসলে ছোটকাল থেকেই শিশুদের যেসব ধ্যান ধারনা দেওয়া হয় তা পরবর্তীতে তাদের চিন্তা ভাবনায় অনেক প্রভাব ফেলে। তাই এই ব্যাপারটি নিয়ে আমাদের সিরিয়াসলি ভাবা উচিৎ।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৬ ভোর ৬:০৫
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আগের সেই মানুষ আর নেই। স্কুলে পড়তাম বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ। এখন সবাই এক ফেসবুকে প্রোফাইল পিক চেঞ্জ, বিশেষ দিনে ওয়াল ভর্তি, লাইক/শেয়ার করেই মনে করে অনেক কিছু করা হয়ে গিয়েছে। আপনি আমি যত চেষ্টাই করি না কেন এই সময়, এই যুগকে পাল্টাতে পারবো না। মনে হয় যেন এটা অবধারিত....