![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংবিধান মোতাবেক বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্র দেশের জনমানুষের ধ্যান-ধারণা, ধর্মীয় বিশ্বাস, জীবনাচার, সংস্কৃতি, ভাষা ও সাহিত্য তার নিজস্ব নিয়মানুসারে চলবে। সঠিক পথের দিক-নির্দেশনা দেবে দেশের প্রতি আনুগত্যশীল সরকার। তার অভ্যন্তরীণ ও বহির্দেশীয় কার্যক্রম হবে দেশের স্বার্থে। দেশের ভাবমূর্তি ও ঐতিহ্য বিদেশেও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তুলে ধরাই দেশের পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সেভাবেই প্রতিটি দেশে তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন বন্ধু দেশে দূতাবাস চালু রাখে। দূতাবাসগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতীয় স্বার্থ, ভাব-মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের চেষ্টা করবে—এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলে আমরা অন্য রকম চিত্র দেখতে পাই। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অন্য কোনো রাষ্ট্রের স্বার্থে কাজ করছে বলে প্রতীয়মান হয়। কোনো বিষয় অন্য রাষ্ট্রকে কিছু দিতে গেলে শক্ত দেন-দরবারের মাধ্যমে আমাদেরও কিছু অর্জন করতে হবে। কিন্তু বিগত তিন যুগেও কি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কার্যক্রম সঠিকভাবে চালানো হয়েছে? এতদিন দেখা গেছে, আমাদের সব কাজে ভারত কী বলে তার প্রতি লক্ষ্য রেখে নীতি-নির্ধারণ হতো। ভারত শুধু প্রতিবেশীই নয়, একটি বিরাট উদীয়মান শক্তিধর রাষ্ট্র। আমাদের দেশ তিনদিক দিয়ে ভারত বেষ্টিত তা ঠিক, কিন্তু তাই বলে তারা সমানে দাদাগিরি চালাবে আর আমরা নমস্কার দিয়েই যাব তা হয় না। কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে উভয়কে সাড়া দিতে হবে। কিন্তু এতদিন দেখা গেছে, ভারত শুধু নিতেই অভ্যস্ত—কিছু দেয়ার বেলায় তাদের চরম অনীহা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদার মন ছিল। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক তিনি দ্রুত বেরুবাড়ী ভারতের হাতে তুলে দিলেন। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী বা তার অনুসারীরা আমাদের আঙ্গরপোতা ও দহগ্রামের করিডোর আজ পর্যন্ত দিয়েছে? এখন তারা বলছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ভূভাগের ওপর দিয়ে করিডোর দেয়া যাবে না। ওই দুই ছিটমহল থেকে আকাশপথে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডে আসতে হবে। অর্থাত্ কোন যুগে ফ্লাইওভার হবে তখন বাংলাদেশীরা চব্বিশ ঘণ্টা যাতায়াত করতে পারবে। তারা বাংলাদেশের বুকচিরে এশিয়ান হাইওয়ের নামে ট্রানজিট চাচ্ছে এবং বর্তমান সরকার অযাচিতভাবে তা দিয়েও দিয়েছে। কিন্তু তার বিপরীতে বাংলাদেশ কী পাবে? শুধু আশ্বাস বাণী। বাংলাদেশ নেপাল-ভুটানের সঙ্গে করিডোর পাবে। কিন্তু দীপু মনিরা ভেবে দেখছেন কি আসলে ভারত সে করিডোর বাস্তবে আদৌ দেবে কিনা। ভারত কোনোভাবেই তা দেবে না—নানা অজুহাত দেখিয়ে।
ভারত সাতদিনের কথা বলে ফারাক্কা ব্যারাজ চালু করার অনুমোদন নিয়ে তা আজও চালু রাখছে। কিন্তু বাংলাদেশকে কি তার প্রাপ্য পানির ন্যায্য হিস্যা কোনো দিন দিয়েছে? খরা মৌসুমে পানির অভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। কৃষিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হচ্ছে। লবণাক্ত পানি দেশের অভ্যন্তরে নগরবাড়ী পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। পানির স্তর অতি নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষির জন্য গভীর নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এর কারণ হলো—ভারত একতরফাভাবে গঙ্গার উজানে অন্তত ৩০টি উপনদীতে বাঁধ দিয়ে সমানে গঙ্গার পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। তাই ফারাক্কা পয়েন্টে ভাগাভাগির জন্য কোনো উল্লেখযোগ্য পানিই পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের সর্ববৃহত্ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন আজ লবণাক্ত পানির কারণে হুমকির মুখে। গঙ্গার পানির অভাবে বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ জলসেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ প্রকল্প আজ বিরানভূমিতে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেখানে এমন গভীর নলকূপের সাহায্যে জলসেচের কাজ কোনো রকমে চালানো হচ্ছে।
তিস্তা ব্যারাজ প্রকল্প দ্বারা উত্তরবঙ্গের শস্য ভাণ্ডার বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ার অংশবিশেষে পানি সেচের উদ্যোগ নেয়া হয়। এটা বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের একক প্রচেষ্টার ফল। এতে বিদেশের কোনো বিশেষজ্ঞ ব্যবহার করা হয়নি। সে তিস্তা প্রকল্পের ৭০ মাইল উজানে গজলডোবায় ভারত বাঁধ দিয়ে সব পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ভারত বলছে, বাংলাদেশ মাত্র শতকরা ৭ ভাগ পানি পাবে। ভারতের বন্ধুত্বের কী নমুনা। তিস্তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও নাব্যতা ঠিক রাখার জন্য অন্তত শতকরা ১৫ ভাগ পানির দরকার। তাহলে তিস্তা প্রকল্পে সেচের পানি আর কোথায় থাকে? ওদিকে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পানিও লুটে নেয়ার জন্য ভারত টিপাইমুখ বাঁধের কাজ শুরু করছে। সে বাঁধে ওই অঞ্চল শুধু পানিশূন্য করবে না—এ অঞ্চল অতি উচ্চমাত্রার ভূমিকম্পপ্রবণ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে টিপাইমুখ বাঁধ অবশ্যই ভেঙে যাবে। তাতে বৃহত্তর সিলেট, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীসহ বিরাট এলাকায় সুনামির চেয়েও ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাছাড়া ভারত ৫৩টি যৌথ নদীর ৫২টিতেই বাঁধ নির্মাণ করছে। অর্থাত্ বাংলাদেশকে পানিতে মারার সব আয়োজন ভারত করে যাচ্ছে।
ভারত আমাদের চিটাগাং ও মংলাবন্দর ব্যবহারের সব সুযোগ পেতে যাচ্ছে। তাতে তার সপ্তকন্যায় মালামাল পাঠানোর বিরাট সুযোগ পাবে। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর চিটাগাং বন্দরের নাজুক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে কলকাতা বন্দর মাত্র ১৫ দিন ব্যবহারের অনুরোধ করেছিল। সে অনুরোধ ভারত প্রত্যাখ্যান করেছিল। ভারত তালপট্টি দ্বীপ দীর্ঘ তিন যুগ ধরে জবর-দখল করে আছে। তালপট্টি দ্বীপ হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মধ্যস্রোতের পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত। দেশ বিভাগের সময় স্যার র্যাটক্লিফ সীমানা নির্ধারণের জন্য উভয় দেশের মধ্যবর্তী নদীর মধ্যস্রোতকে সীমানা হিসেবে নির্ধারণ করেন। সে হিসেবে তালপট্টি দ্বীপ তাদের দাবির কোনো যৌক্তিকতা নেই। এই তালপট্টি দ্বীপ বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দাবি প্রতিষ্ঠা না করতে পারলে বঙ্গোপসাগরের খনিজ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল বাংলাদেশকে হারাতে হবে। ভারত আমাদের এমন বন্ধু যে বাংলাদেশ সিডরে বিধ্বস্ত অবস্থায় ভারতের তখনকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি ঘোষণা দিলেন, তখনকার দরে বাংলাদেশকে ভারত ৫ লাখ টন খাদ্যশস্য দেবে এবং সিডর বিধ্বস্ত ১৬ হাজার পরিবারের ঘর তৈরি করে দেবে। সে খাদ্যশস্য নিয়ে ভারতের মতো একটি বিরাট দেশ কী তালবাহানাই না করেছে। আর প্রতিটন ৩০০ ডলারের চাল ৫৫০ ডলারে দিয়েছে যখন বাংলাদেশে নতুন আমন ধান বাজারে ওঠা শুরু হয়েছে। আর সে ১৬ হাজার ঘরের কোনো হদিস এখনও নেই। তারা বাংলাদেশকে একশ’ কোটি ডলারের ঋণ দিচ্ছে। সে ঋণের লাভ-ক্ষতি নিয়ে এরই মধ্যে বহু লেখালেখি হয়েছে। এর চেয়ে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের ঋণ শতগুণে ভালো। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নানাবিধ বেরিয়ার সৃষ্টি করে ভারত তার বাজারে বাংলাদেশের মালামাল ঢুকতে দিচ্ছে না। সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বহুবার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও সে বেরিয়ার তারা তুলে নিচ্ছে না। ফলে ব্যবসা ক্ষেত্রে চরম অসমতা বিরাজ করছে। ভারতের মালামালে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব। তা শুধু বৈধ পথে আসে না, অবৈধ পথে আসে বহুগুণ।
এই হলো বাংলাদেশের প্রতি ভারতের বন্ধুত্বের নমুনা। তারপরও বাংলাদেশ সরকার অর্থাত্ শেখ হাসিনার সরকার ভারতকে সব উজাড় করে দিয়ে যাচ্ছে একতরফাভাবে। তা হলে আমাদের রাষ্ট্রনীতি কি ভারতের রাষ্ট্রনীতির অনুছায়া? আমাদের পররাষ্ট্রনীতি কোন কাজে লাগছে? দেশের স্বার্থরক্ষা না করে ভিন দেশের স্বার্থই যদি দেখতে হয় তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনটা কী? ভারতীয় পত্রিকার মন্তব্য, বাংলাদেশ সরকার ভারত চাওয়ার আগেই বহু কিছু অযাচিতভাবে দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু দক্ষিণ ব্লক থেকে তার কোনো প্রতিদান দেয়া হচ্ছে না। বুঝুন দেশের রাষ্ট্র পরিচালনায় আওয়ামী লীগ সরকার কোথায় যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে তারা প্রতিবেশী দেশের এজেন্ডা কার্যকর করার জন্য তত্পর। আর কেবিনেটে যেসব সদস্য আছেন তাদের আনকোড়া মনে হয় এবং অধিকাংশই ভারতের জয়গানে ব্যস্ত। বিশেষ করে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মেরুদণ্ডহীন বলা চলে। এ মন্ত্রণালয় দেশের জন্য কিছু করছে বলে মনে হয় না।
বাংলাদেশ ছোট রাষ্ট্র হতে পারে, কিন্তু তার ভূ-রাজনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশকে এককভাবে কব্জা করার জন্য ভারত আমাদের স্বাধীনতার পর থেকেই চক্রান্ত করে আসছে। তারা চায় বাংলাদেশ আরেক ভুটান হোক। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গেছে। এখন কেউ কারও ওপর একচ্ছত্র আধিপত্য দেখাতে পারে না। তাকে প্রতিরোধ করার জন্য অন্য শক্তিধর রাষ্ট্র এগিয়ে আসে। আশির দশকে ভারত যখন আমাদের সবদিক দিয়ে কুক্ষিগত ও শোষণ করা শুরু করে, তখন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পূর্বমুখী পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ শুরু করেন। তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে শুরু করেন ভারতের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রমাণিত হলো যে, চীন আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। তারা বাংলাদেশকে সড়ক ও সেতু তৈরিতে সহায়তা এবং সামরিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দেয়া শুরু করল। এতে ভারত নাখোশ হলেও তার করার কিছু ছিল না, কারণ চীন আজ এশিয়ার শক্তিধর রাষ্ট্র। তদুপরি জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতায় সার্কের সৃষ্টি হয়। ভারত এ সার্ক গঠনের ব্যাপারে বহু প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল। আজও সার্ক সব ক্ষেত্রে কার্যকর হোক তা ভারত চায় না। সে চায় একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু জিয়াউর রহমানের বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান, মেধাবী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রফেসর শামসুল হকের অক্লান্ত চেষ্টায় পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান ও মালদ্বীপকে এ সার্কের বহুবিধ উপকারের কথা বোঝাতে পারায় তারা যখন রাজি হয় তখন ভারত নিমরাজিভাবে এ সার্কে যোগ দেয়। কিন্তু একখানা মার্কামারা শর্ত জুড়ে দেয় এই ফোরামে কোনো বিতর্কিত বিষয়ে যৌথ আলোচনা হতে পারবে না। ফলে সার্কের মূল সমস্যাগুলোর সমাধান আজও হচ্ছে না। জিয়াউর রহমানের আসল উদ্দেশ্য ছিল এক প্লাটফর্মে সার্কভুক্ত ভারত ছোট্ট রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাতে পারবে না। এটা আজ সত্যে পরিণত হয়েছে। সার্ক গঠনের পর এ অঞ্চলে কোনো যুদ্ধবিগ্রহ হয়নি। বাংলাদেশের আরও অবদান আছে। ইরাক-ইরান যুদ্ধের ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের দূতিয়ালি খুবই ফলপ্রসূ ছিল। তাই ইরান ও ইরাক উভয়ই বাংলাদেশকে সম্মান করত।
বর্তমানে চীন-ভারত সম্পর্ক যে কঠিন সময় পার করছে তা আমরা জানি। এ অবস্থায় বাংলাদেশের নিজের স্বার্থে উভয় দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখা উচিত। ভারত এমন কোনো উদাহরণ দেখাতে পারবে না যে, তারা বাংলাদেশের জন্য নিঃস্বার্থ কোনো কাজ করেছে। অথচ চীন স্বার্থ ছাড়াই বাংলাদেশের অনেক কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সেনাবাহিনী পুনর্গঠনে চীনের অবদান যথেষ্ট। আর ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশে কোনো সেনাবাহিনী থাকবে না। তাদের গড়া রক্ষীবাহিনীই গেস্টাপো বাহিনীর মতো জনগণের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাবে। আল্লাহ তার থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন তার জন্য শুকরিয়া।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি এখন নিরপেক্ষ থাকলে এবং মেধাসম্পন্ন সরকারি কার্যক্রম চললে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ঢেলে সাজালে বাংলাদেশও চীন-ভারত সমস্যার সমাধানে দূতিয়ালির ভূমিকা নিতে পারে। এর জন্য বাংলাদেশকে তার ভারতমুখী (একমাত্র) পররাষ্ট্রনীতি পরিহার করতে হবে। সবকিছু নির্দেশনার জন্য দক্ষিণ ব্লকের (দিল্লি) দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশের শান্তি-মৈত্রীর স্লোগান দিয়ে এবং বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভারত ও চীনকে বোঝাতে হবে হিংসা-বিদ্বেষ নয়, পঞ্চশীলার নীতিতে ভারত-চীনকে ফিরে আসতে হবে এবং আলোচনার টেবিলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ জন্য অবশ্যই ভারতকে যুক্তিবাদী হতে হবে। ভাবাবেগে সারা এশিয়ায় রাম-রাজত্ব কায়েমের মোহ থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হতে হবে। চীন অতি পুরনো সভ্যতা ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের জাতি। তার সহমর্মিতার অভাব আছে বলে আমার মনে হয় না। বাংলাদেশ যদি উভয় দেশের মধ্যকার বিরোধকে প্রশমিত করার চেষ্টা করে তবে সফলতার সম্ভাবনা আছে। তখন আমাদের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতাও নিরাপদ হবে। উভয় রাষ্ট্রের বিরোধের কারণে বাংলাদেশ ভূখণ্ডকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:২৪
একটু.. বলেছেন: hum
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:০০
মোসাব্বির বলেছেন:
ধন্যবাদ, যদি একটার পরিবর্তে অনেকগুলো প্লাস দেওয়ার সুযোগ থাকত তাহলে তাই দিতাম।
আমি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র বিষয়ক যে কোন আর্টিক্যাল যখনই সুযোগ পাই পড়তে চেষ্ঠা করি। আওয়ামী লীগ সরকার দীপুমনিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রী করার পরই আঁচ করতে পেরেছিলাম বাংলাদেশের কোন উপকারই করতে পারবে না কিন্তু দেশকে যে গত ২১ মাসে এতটা বাঁশ দেবে চিন্তাও করিনি। ভারত কখনোই আমাদের বন্ধু ছিলনা এবং হবেও না। বাংলাদেশকে ভারত আন্তরিক ভাবে কোন সাহায্য করেছে এমন উদাহারণ আজও পাইনি। অথচ প্রতিবেশী শক্তিশালী দেশ থেকে তা আশা করা স্বাভাবিক যেমনটা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে মেক্সিকো। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগ সরকার ভারত বলতে অজ্ঞান।
আপনে শেষের দিকে যে সমঝতার কথা বললেন তাতে ভারতের রেসপন্স পাওয়া যাবে মনে হয়না কারণ ভারত সবসময় স্বার্থপর।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২
কুয়াশা বলেছেন: অনেক বড় লেখা। তবে সুন্দর হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:১০
ধীবর বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল লেখা। যদিও আশা করি না, তবু বলতে হচ্ছে, এই লেখাটি সবার পড়া দরকার। আর লেখক অনুমতি দিলে, চেতনার ব্যাবসা করাদের মুখে মুগুর দেবার কাজে এই লেখাটি ব্যাবহার করতে চাচ্ছি। +++