নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
●ইংল্যান্ডে-আমেরিকা প্রভৃতি দেশে লেখাপড়া করার জন্য IELTS,TOEFL পাশ করতে দরজা বন্ধ করে পড়তে পড়তে আর অডিও শুনতে শুনতে চোখেমুখে সর্ষে ফুল দেখে। হাজার হাজার টাকা খরচ করে।
■কিন্তু;
ভিনভাষা শেখার পূর্বে একটি বার প্রশ্ন করে না, “আমি যদি না বুঝি তাহলে স্যারের লেকচার তো অনর্থক। তাই স্যারের উচিত, বাংলা ভাষায় লেকচার দেয়া!”
●আরব দেশে কাজ করতে গিয়ে যেকোনো মূল্যে লোকে আরবি শিখে, ফ্রান্সে কাজ করার জন্য ফরাসি শিখে। ঠিক তেমনি যে দেশে যায়, সে দেশের ভাষা শেখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে।
■কিন্তু;
একটি বার কারো মাথায় এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় না, “আমি কেন অন্যের ভাষা শিখবো? (কোম্পানির) মালিক কিংবা ম্যানেজারের উচিত আমার সাথে আমার ভাষায় কথা বলা। কারণ, সে যা কমান্ড করবে তা যদি আমি না বুঝি, তাহলে তার বকবকানি তো অনর্থক।
✔✔অথচ কী আশ্চর্য! আল্লাহ্র ভাষা, রাসূলের ভাষা, কোর'আনের ভাষা, হাদিসের ভাষা, সবই আরবি। এই ভাষা না শিখে উল্টো যুক্তি দাঁড় করানো হয়, মুসল্লিদের বুঝার স্বার্থে ইমামকে জনগণের ভাষায়ই খুৎবা দিতে হবে!!
শায়খ! বাংলা ভাষায় খুৎবা দেয়ার আগে দুটো প্রশ্নের উত্তর দেন প্লিজ।
(1) সাহাবায়ে কেরাম মধ্যে যাঁরা অনারবি ছিলেন, তাঁরা কি কখনো তাঁদের দেশীয় ভাষায় খুৎবা দিয়েছেন নাকি আরবি শিখেছেন, শিখিয়েছেন? কিংবা আরবের বাইরে চীন থেকে আফ্রিকা পর্যন্ত অসংখ্য অগণিত সাহাবায়ে কেরাম হিজরত করেছিলেন, তাদের কেউ কি কখনো অনারবী মুসল্লিদের ভাষায় খুৎবা দিয়েছেন বলে ইতিহাসের চোরাগলিতেও পাওয়া যায়?
(2) এই ধরুন, ফ্রান্স। এখানে মসজিদে কতশত ভাষাভাষী মুসলমান নামাযে আসে। কেউ ফরাসি বুঝে না, কেউ বাংলা বুঝে না, কেউ বা আবার আরবি বুঝে না। এখন ইমাম কোন ভাষায় খুৎবা দিবেন? যদি বলেন- “রাষ্ট্রীয় ভাষায়” তথা ফরাসি। তাহলে এমনও মসজিদ আছে যেগুলোর মুসল্লিদের পঞ্চাশ ভাগেরও বেশি মানুষ ফরাসি খুৎবা বুঝবে না, তাদের কী হবে?
এখন কি বলবেন, একটা দেশে থাকতে হলে সে দেশের ভাষা শেখা জরুরি? তাহলে কি এটা বলা খুবই অন্যায় যে, একটা ধর্মে থাকতে হলে সে ধর্মের ভাষা শেখাও জরুরি??
☆যুক্তি মানতে চাচ্ছেন না! আরবি ভাষা শিক্ষার গুরুত্বে কয়েকটা আসার দেয়া আছে। ইচ্ছা না হলে, সাহাবায়ে কেরামকেও ইত্তেবা করার দরকার নেই।
(1) উমর (রা) আবু মূসা আশ'আরী (রা)-কে চিঠিতে লিখেছিলেন, "সুন্নাহর জ্ঞান অর্জন ও আরবীর জ্ঞান অর্জন কর এবং কুরআন আরবীতে অধ্যয়ন কর কারণ এটা আরবী।"
-ইকতিদাউস সিরাতিল মুসতাকীম, ইবনু তাইমিয়্যাহ, পৃষ্ঠা ২০৭
আরেকটি বর্ণনায় উমর (রা) বলেন, "আরবী শেখ কারণ এটি তোমাদের দ্বীনের অংশ"। তিনি আরো বলেছেন, "কারো কুরআন পড়া উচিত নয় ভাষার জ্ঞান ছাড়া"।
(2) উবাই বিন কা'ব (রা) বলেছেন, "আরবী ভাষা শেখ ঠিক যেভাবে তোমরা কুরআন হিফজ করা শেখ"।
-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবাহ
(3) আলী (রা) যখন কুফায় তার রাজধানী স্থানান্তরিত করেন তখন সেখানে তিনি নতুন একধরনের আরবীর চর্চা দেখতে পান। এতে তিনি বেশ চিন্তিত হন এবং তিনি তৎকালীন আরবী পন্ডিত আবুল আসওয়াদ আদ-দুয়ালীর সাথে বৈঠক করেন এবং তাকে আরবী ভাষার মৌলিক নীতিসমূহ বিশ্লেষন করেন। ইবনু কাছীর (রহ) তার আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে লিখেছেন,
"আবুল আসওয়াদ হচ্ছে তিনি যাকে নাহুজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত করা হয়। এবং বলা হয়, যারা এ বিষয়ে কথা বলেছেন তাদের মধ্যে তিনি প্রথমদিককার একজন। তিনি তা আমীর-উল-মু'মিনীন আলী ইবনে আবী তালিব (রা) হতে গ্রহণ করেছেন।"
-আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনু কাছীর, ৮ম খ-, ৩৪৩ পৃষ্ঠা।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১
ওমর মোহাম্মদ ফারুক বলেছেন: ভাল কথা