নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিসের ভয়ংকর কাট-পিস: ”তোমরা সেভাবে সালাত আদায় করো, যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখো”।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:০৯

●প্রায় একযুগ আগের কথা। "রানী" নামের আমাদের পাশের বাড়ির এক চাচাতো বোন স্কুল ছেড়ে মাদরাসায় ভর্তি হল চতুর্থ শ্রেণিতে। ভর্তির সময় আমার আব্বা তার নাম "রানী"র বদলে "রাবিয়া" রেজিস্টার করলেন।
বিষয়টি তার পছন্দ হয়নি। ক'দিন পর রানী অনেকটা রাগ করে আমার বোনকে বলল- "তোর আব্বা খামাখা আমার নাম বদলে দিলেন। আমার নাম তো কোর'আন শরিফে আছে! সুরা ইয়াসিনে আছে, ফাতারানি ওয়া ইলাইহি তুরজাউন"
[(فترني وإليه ترجعون) আয়াত নং 22]

তার এই কথা নিয়ে আমরা অনেকদিন হেসেছি। সে "ফাতারানি" (فترني) শব্দ থেকে ফা (ف) এবং তা(ت) বাদ দিয়ে শুধু "রানি" (رني ) বের করেছিল।

•যাইহোক, এটা ছিল রানীর অজ্ঞতা। সে জানতো না বিধায় আব্বার উপর তার অভিযোগ কাউকে রাগান্বিত কিংবা আহত করে নি। কিন্তু বর্তমানে অনেক ভাইকে এরকম কোর'আনের আয়াতের বা হাদিসের আংশিক লুকিয়ে এবং আংশিক প্রকাশ করে অন্যদের ভুল-ভ্রান্ত ঘোষণা করতে এবং নিজের ইচ্ছামত যাচ্ছেতাই ফাতওয়া দিতে দেখা যায়। আম মানুষের অনেকে এখন বিভ্রান্ত। এতোদিন কি মহিলাদেরকে আলেমরা নাজায়েয কাজ করতে বলতেন!!!

●এরকম কাট-পিসের একটি জ্বলন্ত প্রমাণ
বুখারি শরিফের একটি হাদিস- সাল্লু কামা রাআইতুমূনি উসাল্লি (صلوا كما رأيتموني أصلي ) অর্থাৎ "তোমরা সালাত আদায় করো, যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখো"।

এই লাইনটি বলেই ঘোষণা করা হয়, "এখানে তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নারী-পুরুষের কোনো পার্থক্য করেন নি, অতএব নারী পুরুষের সলাতে কোনো পার্থক্য নেই"। অথচ পূর্ণাঙ্গ হাদিস শুনলে যে কেউ বুঝতে পারবে এই হাদিসখানা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ছিল নাকি শুধুই পুরুষের জন্য।

■■পূর্ণাঙ্গ হাদিসঃ বর্ণিত হাদিসখানা মালিক বিন হুওয়াইলিস নামক এক সাহাবি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট বিশ দিন থাকার পরে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন হযরত তাঁকে বললেন- "তোমরা তোমাদের গোত্রের কাছে ফিরে যাও। তাদেরকে কোর'আন শিক্ষা দাও, ভাল কাজের আদেশ দাও। তোমরা সালাত আদায় করো,যেভাবে আমাকে সালাত পড়তে দেখো। যখন নামাযের সময় হবে তোমাদের একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি ইমামতি করবে।
(সহিহ বোখারি)

☆একটু খেয়াল করে দেখুন তো, হাদিসটি কি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নাকি পুরুষেদের জন্য বিশেষায়িত? তাহলে কি নারীরাও কি আযান দিতে পারবে, ইমামতি করতে পারবে??!! এটাতো কেউ জায়েয বলেন না!

নারী পুরুষের সলাতে পার্থক্য আছে কি নেই তা দেখতে পড়তে পারেন
m.somewhereinblog.net/mobile/blog/fahimhasan2015/30093048

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.