নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
● যে পাপ করে না, সে ফেরেশতা। আবার যে পাপের পরে ক্ষমা চায় না, সে ইবলিস। মানুষের অবস্থান ফেরেশতা আর শয়তানের ঠিক মধ্যখানে। সে কুপ্রবৃত্তির ফাঁদে পড়ে পাপ করবেই।
■ পাপ পরবর্তী মানুষ দুইভাগে ভাগ হয়ে যায়ঃ
কেউ কুপ্রবৃত্তির ফাঁদে পড়ে পাপ করতে করতে একসময় ইবলিসেরও নিচে চলে যায়। এমন অন্তরকে কোর'আনে “নাফসুল আম্মারাহ’’ বলা হয়েছে।
কেউ আবার খোদাভীতির কারণে কৃত পাপের জন্য অনুশোচনা করে ক্ষমা চাইবে, পাশাপাশি সৎকর্মও করবে। এমন অন্তরকে ‘’নাফসুল লাউয়ামাহ’’ এবং “নাফসুল মুতমাইন্নাহ” বলা হয়েছে।
■শয়তানের ফাঁদে পড়া মানুষ নিম্নরূপঃ
(1) কুমন্ত্রণায় পড়ে লুকিয়ে কখনো হারাম কাজ করে ফেললেও সাথে সাথে তাওবা করে, ক্ষমা চায়। এবং কখনো ফরয-ওয়াজিব ত্যাগ করে না।
(2) লুকিয়ে নিয়মিত হারাম কাজ করে আবার ফরয-ওয়াজিব তরক করে না। কিন্তু ক্ষমাও চায় না। বেলা শেষে তাওবা করে মাফ পেয়ে যাবে, এরকম আশায় থাকে।
(3) জনসমক্ষে হারাম করে তো করে, আবার ডেম-কেয়ার স্টাইলৈ ঐমানিক যুক্তি দেয়- “আল্লাহকে যখন ভয় পাই নি, মানুষকে লুকিয়ে কী লাভ!”
(4) একদিকে হারামে ডুবে থাকে, অন্যদিকে পূন্যের কাজও ছেড়ে দেয়। এরাও চমৎকার যুক্তি দেয়- “এতো গোনাহ আর হারাম কাজ করি, নামায রোজা করে কী লাভ!”
(5) পাপ-সাগরের এতো তলে চলে যায় যে, এরা আর হারামকে হারামই মনে করে না।
প্রথম শ্রেণীর মানুষ অর্থাৎ যারা পাপ পরবর্তী তাওবা করে, তারা খুবই ভাগ্যবান। তাদেরকে আল্লাহ অত্যন্ত পছন্দ করেন। বাকি চার শ্রেণীর মানুষকে আল্লাহ হিদায়াত না দিলে বড় অন্তহীন জীবনে শুধুই হাহাকার।
আল্লাহ আমাদের হিদায়াত দান করুন।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১২
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: গুহামানবেরা ফলমূল সংগ্রহ এবং পশু স্বীকার ছাড়া যেমন জীবন-জীবিকা নিয়ে খুব একটা ভাবতনা ঠিক তেমনি মানব হত্যা ব্যতীত অন্যকিছুকে পাপ মনে করতনা এজন্য তাদের পাপ পূন্যের শ্রেণীবিন্যাসও ছিলোনা।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২২
অজ্ঞাত অন্বেষা বলেছেন: আমীন।
৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭
সজিব্90 বলেছেন: গাজী ভাইয়েরা তিন নাম্বারটাকে ফলো করে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভাবনার বিবিধ স্তর, গুহা মানবেরা কি কি নিয়ে ভাবতো?