নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

>>ক’টা বুলবুলি এবং কিছু দানবীয় মানব

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০


রং-বেরংয়ের বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে “বুলবুলি” নামক পাখিটি খুবই পরিচিত । স্রষ্টার অত্যন্ত নিপুণ সৃষ্টি নজরকাড়া এই পাখিটি খুবই শান্ত ও পূত। তারা যেমন নর্দমায় আহার খুজেঁ না, তেমনি পেট পুরতে কখনো হিংস্রও হয় না। এরকমই কিছু বুলবুলি এক অরণ্যে বৃক্ষরাজির সবুজ সমারোহে সুউচ্চ ডালে বাসা বেঁধে নিজেদের সঙ্গী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিল যুগ যুগ ধরে। তারা সর্বদা নিজেদেরকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতো, তাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে সুখী ছিল। তাদের সমগোত্রীয় টুকটাক ঝগড়া থাকলেও বিজাতীয় কারো আগে ছিল না, পাছেও না। কিন্তু হঠাৎ তাদের এই সুখ শোকে পরিণত হয়ে গেল।

তারা যে গাছে বাসা বেঁধেছিল, তারই নিচে একদল মানুষ(!) বসবাস করতো। যাদের বিনোদনের মূল মাধ্যম ছিল, ধ্বংসাত্বক সব খেলাধুলা। সেদিনের তাদের খেলার বিষয় ছিল, “ঢিল ছুঁড়ে কে কয়টি পাখি মারতে পারে”। ব্যাস, শুরু হল ঢিল ছুঁড়ছুঁড়ি। যখন পাখিদের কেউ ছিল নিজেদের বাচ্চাদেরকে বুকে আগলে ঘুমে বিভোর, কেউ ছিল ব্যস্ত নিজেদের ঘর সাজাতে ডালে ডালে সুন্দরের সন্ধানে; ঠিক তখনই সূঁচালো এবং বিষাক্ত শীল-পাথরের আঘাতে বুলবুলিদের শান্তির নীড় তছনছ হয়ে গেল।

মানুষ(!) জাতির ধ্বংস-সুখের উল্লাসে নিমিষেই পাখিগুলোর আকাশছোঁয়া স্বাধীনতার সুখ এবং বছরের পর বছর ধরে বুনা গোত্রীয় ভালবাসার নীড় মাটির সাথে মিশে গেল। কেউ ডাল ভেঙ্গে ছিন্নভিন্ন হয়ে, কেউ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, কেউ কেউ আবার সঙ্গী-সন্তান নিয়ে কোনোমতে আছড়ে পড়লো সেই মানুষগুলোরই উঠোনে।

এবার মানুষেরাই অতি মানবীয়রূপে লুটিয়ে পড়া অসহায় পাখিদের ভরণপোষণ, সেবা-শুশ্রূষায় নামল। বুলবুলিরা থাকার জায়গা পেল যেন নর্দমা, খেতে দেয়া হল যেন আবর্জনা। যে জীবন তারা দুঃস্বপ্নেও দেখেনি, আজ বাস্তবে সেই জীবন তাদের ভাগ্যে।
একদা রিলিফ নামক অখাদ্য ডানা দিয়ে ঝাপটে ধরে যখন উন্মুক্ত আকাশ-তলে তাদের সোনালী অতীত আর বাচ্চাকাচ্চা সমেত তিমিরবরণ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চিন্তায় একটি বুলবুলির চোখের জল টপকে পড়ছিল, ঠিক তখনি পাশে থাকা অবুঝ ছানাটি বলে ওঠে- “কাঁদে না বাবা, সব ঠিক হয়ে যাবে”।

বাচ্চার কথা শুনে, চোখের জলের সাথে “হুহু” আওয়াজ মিশে অনুভূতির নাম বদলে গেল। “কান্না”র বদলে ভাষা দিল নাম- “বুকফাটা আর্তনাদ”....

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

সুমন কর বলেছেন: ছবিটি দেখেই তো, অনেক খারাপ লাগল। বুকফাটা আর্তনাদটা শুনতে পেলাম।
+।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৫

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। কিছু ছবি দেখলে আত্মাটা কেঁপে ওঠে।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩

তিক্তভাষী বলেছেন: খুবই কষ্টদায়ক! নেটে ভাষায় বর্ণনা করা যায় না এমন ভয়াবহ ছবিও দেখা যায়।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: কিছু ছবির বর্ণনায় বিশাল পান্ডুলিপিও যেন কিছুই নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.