নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধরাধরি এবং কড়াকড়ির কবলে তাবিজ

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০



●●মুসলমানের মধ্যে একগ্রুপ আছে, ইসলাম বিক্রি করে খেতে খেতে আপাদমস্তক ইসলাম-ব্যবসায়ী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাবিজের নামে যত ধরনের ফাজলামি আছে করে যাচ্ছে। কুতকুত খেলার মতো ঘর বানিয়ে হিসাব-বিজ্ঞান, পাটিগণিত, বীজগণিতসহ দুনিয়ার তাবৎ হিসাব-নিকাশ তাবিজের নামে দিয়ে দিচ্ছে। নাউজু বিল্লাহ।

■তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করেন, এগুলো ইসলামের কোথায় পেলেন? গণিতের ম্যাজিক দিয়ে এরকম চিত্রাঙ্কন শরীয়তের কোন অঞ্চলে অবস্থিত?

দেখবেন, আপনাকে দু-চারখানা গালি দিয়ে, অশ্রাব্য কিছু কথা বলে প্রস্থান করবে।

●●আরেকগ্রুপ সবকিছুই শিরক বলে ফাতওয়া দিতে পথে বসে আছেন। ‘’যে তাবিজ লটকালো, সে শিরক করলো” (মুসনাদে আহমদ 16969) এই হাদিস দিয়ে সব ধরনের তাবিজকেই হারাম তথা শিরক বলে সাব্যস্ত করছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসব হাদিসসমূহ কেন বলেছিলেন, কার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, কী অবস্থাদৃষ্টে বলেছিলেন- এগুলো কিছুই জানেন না, জানার চেষ্টাও করেন না। অথবা ইচ্ছে করেই ফিৎনা সৃষ্টি করছেন।

■তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করেন, রাসূলের সময় কি কেউ কোর'আন কারিমের আয়াত লিখে গলায় বা হাতে ঝুলাতো? উত্তর পাবেন না।
তখন কেউ কোর'আনের আয়াত ঝুলায় নি। আসলে সে সময় মানুষেরা বিভিন্ন বস্তু লটকাতো এই বিশ্বাসে যে, এসবের মাধ্যমে রোগ নিরাময় হবে, বিপদ-আপদ দূর করবে। এই বিশ্বাসের জন্যই “শিরক” বলা হয়েছে।

যারা সর্বপ্রকার তাবিজকে শিরক বলেন তাদেরকে যদি জিজ্ঞেস করেন, ‘’কেউ যদি একখানা কোর'আন কারীম গলায় ঝুলিয়ে হাটে, তাহলে কি শিরক হবে”। উত্তরে কেউ “হ্যাঁ” বলবে বলে মনে হয় না। পুরো তিরিশ পারা কোর'আন গলায় লটকালে শিরক না হয়, তাহলে কিছু আয়াত লিখে লটকালে কেন শিরক হবে”?

এগুলো বললে এরা আবার আপনাকে মুশরিক, বিদ'আতি, ভ্রষ্ট ইত্যাদি বলে প্রস্থান করবে।

■■কোর'আনে কারীমের আয়াত সম্বলিত তাবিজ ব্যবহারের দলীলঃ

উম্মতের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদেশ-নিষেধ সবচেয়ে বেশি যারা বুঝেছেন, এবং পালন করেছেন, তাঁরা হলেন সাহাবায়ে কেরাম(রা)। তাঁদেরকে অনুসরণ ছাড়া রাসূলের আনুগত্য অসম্ভব। সেই সাহাবায়ে কেরামগন নিজেরাই তাবিজ ব্যবহার করেছেন বলে প্রমান রয়েছে।

●আমর উবনে শুয়াইব (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন যখন তোমাদের কেউ ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে তখন সে যেন পড়ে ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻋﻮﺫ ﺑﻜﻠﻤﺎﺕ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺘﺎﻣﺎﺕ উল্লেখিত দোয়া পাট করবে
(যার অর্থ) “আমি আল্লাহর নামে শুরু করছি এবং আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রাথর্না করছি তার পরিপূর্ন কালিমার মাধ্যমে, তার ক্রোধ ও শাস্তু থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্টতা থেকে আর শয়তানের অনিষ্টতা ও উপস্থিতি থেকে”। তাই আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তার উপযুক্ত সন্তানদেরকে তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে(তাবিজ) লটকিয়ে দিতেন।
সূত্রঃ
ﺍﺧﺮﺟﻪ ﺍﺑﻦ ﺍﺑﻲ ﺷﻴﺒﻪ ﻓﻲ ﻣﺼﻨﻔﻪ ﺑﺮﻗﻢ ٢٤٠١٣ ـﻭﺣﺴﻨﻪ ﺍﻟﺤﺎﻓﻆ ﻓﻲ ﻧﺘﺎﺋﺞ ﺍﻻﻓﻜﺎﺭ

এ হাদিসে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস(রা.) কর্তৃক তার অবুঝ বাচ্চাদের জন্য তাবীজ লিখে দেয়ার কথা উল্লেখিত রয়েছে।

●হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত

ﻗﺎﻝ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﺍﺣﻤﺪ ﻗﺮﺃﺕ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻰ ﺛﻨﺎ ﻳﻌﻠﻰ ﺑﻦ ﻋﺒﻴﺪ ﺛﻨﺎ
ﺳﻔﻴﺎﻥ ﻋﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺍﺑﻰ ﻟﻴﻞ ﻋﻦ ﺍﻟﺤﻜﻢ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺟﺒﻴﺮ
ﻋﻦ ﺍﺑﻰ ﻋﺒﺎﺱ ﻗﺎﻝ ﺍﺫﺍ ﻋﺴﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻤﺮﺍﺓ ﻭ ﻻ ﺩﺗﻬﺎ ﻓﻠﻴﻜﺘﺐ ﺑﺴﻢ
ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﺍﻟﻪ ﺍﻻ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺤﻠﻴﻢ ﺍﻟﻜﺮﻳﻢ ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺍﻟﻌﻈﻴﻢ
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺭﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻤﻴﻦ، ﻛﺄﻧﻬﻢ ﻳﻮﻡ ﻳﺮﻭﻧﻬﺎ ﻟﻢ ﻳﻠﺒﺜﻮﺍ ﺍﻻ ﻋﺸﻴﺔ
ﺍﻭ ﺿﺤﺎﻫﺎ ﻛﺄﻧﻬﻢ ﻳﻮﻡ ﻳﺮﻭﻥ ﻣﺎ ﻳﻮﻋﺪﻭﻥ ﻟﻢ ﻳﻠﺒﺜﻮﺍﺍﻻﺳﺎﻋﺔ ﻣﻦ
ﻧﻬﺎﺭ ﺑﻼﻍ ﻓﻬﻞ ﻳﻬﻠﻚ ﺍﻻ ﺍﻟﻘﻮﻡ ﺍﻟﻔﺴﻘﻮﻥ -
এ রেওয়ায়েতে হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বাচ্চা প্রসবের সময় প্রসূতীর প্রসব বেদনা লাঘল করা ও সহজে প্রসব হওয়ার জন্য বিশেষ তাবিজ শিক্ষা দেয়ার কথা বর্নিত হয়েছে। এ রেওয়ায়েতটি সর্বজন মান্য ব্যক্তিত্ব ইবনে তাইমিয়া (রহ.) তাঁর ফাতাওয়াতে উল্লেখ করেছেন। ( ﻓﺘﺎﻭﻯ ﺍﺑﻦ ﺗﻴﻤﻴﻪ ﺝ/ ١٤ ﺻﻔﺢ / ٦٤)


মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.