নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাযহাব মানা নাকি গোমরাহি তথা ভ্রষ্টতা! এজন্য অনেকেই হাজার বছর ধরে চলে আসা ইমামদের ব্যাখ্যাকে বেহুদা আখ্যায়িত করে মাযহাবগুলোকে মানতে নারাজ। এমনকি এদেরকে বিপথগামী বলে উল্টো গালাগালি করেন। তাই লা-মাজহাব নামক মাযহাবের একজন বিশিষ্ট ইমাম নবাব সিদ্দিক হাসান খানের বিখ্যাত গ্রন্থের আলোকে কিছু (তাদের ভাষায়) বিপথগামী মানুষের তথ্য দেয়া হল, পাশাপাশি আরো কিছু মনীষীর মতও দেয়া হয়েছে।
■■বিখ্যাত “সিহাহ সিত্তাহ” তথা হাদিসের সর্বাধিক গ্রহণীয় এবং সত্যায়িত “ছয় গ্রন্থ”র ইমামদের মাযহাবঃ
●১। ইমাম বুখারী রহঃ এর ব্যাপারে দুটি মত পাওয়া যায়।
•তিনি শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ নবাব ছিদ্দিক হাসান খান লিখিত “আবজাদুল উলুম” পৃষ্ঠা নং ৮১০, আলহিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৮৩।
শাহ ওয়ালি উল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ, পৃষ্ঠা নং ৬৭।
আল্লামা তাজ উদ্দীন সুবকী রহঃ লিখিত ত্ববকাতুশ শাফেয়ী পৃষ্ঠা নং ২/২।
•তিনি হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী ছিলেন। বলেছেন, আল্লামা ইবনে তাইমিয়া এবং ইবনুল কাইয়িম (রহঃ)।
সুত্রঃ ফাতওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ, ২৫/২৩২।
ইমামুল মু’আক্বিনীন, ২/২২৩।
●২। ইমাম মুসলিম রহঃ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী।
সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
●৩। ইমাম তিরমিজী নিজে মুজ্তাহিদ ছিলেন।
তবে হানাফী ও হাম্বলী মাজহাবের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
সুত্রঃ শাহ ওয়ালি উল্লাহ রহঃ লিখিত আল-ইনসাফ, পৃষ্ঠা নং ৭৯।
●৪। ইমাম নাসাঈ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী ছিলেন।
সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২৯৩।
●৫। ইমাম আবু দাউদ রহঃ শাফেয়ী।
সুত্রঃ আল-হিত্তা পৃষ্ঠা নং ২২৮।
আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ ইবনে তাইমিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে ফয়জুলবারী ১/৫৮ -তে ইমাম আবু দাউদ রহঃ কে হাম্বলী বলে উল্লেখ করেছেন।
●৬। ইমাম ইবনে মাজাহ শাফেয়ী মাজহাবের অনুসারী। সুত্রঃ ফয়জুলবারী শরহে বুখারি ১/৫৮।
■■ছিহাহ ছিত্তার ইমামগণ ছাড়াও যুগে যুগে জন্ম নেয়া আরো কয়েকজন হাদিসের ইমাম, মুজতাহিদ, মুফাসসিরের মাজহাব নবাব ছিদ্দীক হাসান খান সাহেবের আল-হিত্তা থেকে দেয়া হলঃ
▪ মিশকাত শরিফ প্রণেতা সাফেয়ী,পৃঃ১৩৫।
▪ ইমাম খাত্তাবী রহঃ শাফেয়ী,পৃঃ ১৩৫।
▪ ইমাম নববী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৫।
▪ ইমাম বাগভী রহঃ শাফেয়ী, পৃঃ ১৩৮।
▪ ইমাম ত্বহাবী হাম্বলী, পৃঃ১৩৫ (প্রসিদ্ধ মতে হানাফি)।
▪ শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী রহঃ হাম্বলী, পৃঃ ৩০০।
▪ ইমাম ইবনে তাইমিয়া হাম্বলী,পৃঃ১৬৮।
▪ ইবনে কায়্যিম রহঃ হাম্বলী, পৃঃ১৬৮।
▪ ইমাম আব্দুল বার রহঃ মালেকী,পৃঃ১৩৫।
▪ ইমাম আব্দুল হক রহঃ হানাফী, পৃঃ১৬০।
▪ শাহ ওয়ালিউল্লাহ রহঃ হানাফী,পৃঃ ১৬০-১৬৩।
▪ ইমাম ইবনে বাত্তাল মালেকী,পৃঃ২১৩।
▪ ইমাম হালাবী রহঃ হানাফী পৃঃ২১৩।
▪ ইমাম শামসুদ্দীন আবু আব্দুল্লাহমুহাম্মদ ইবনে
•আব্দুদ দায়েম রহঃ শাফেয়ী,পৃঃ২১৫।
▪ ইমাম বদরুদ্দীন আঈনী রহঃ হানাফী,পৃঃ২১৬।
▪ ইমাম যারকানী রহঃ শাফেয়ী,পৃঃ ২১৭।
▪ ইমাম ক্বাজী মুহিব্বুদ্দীন হাম্বলী,পৃঃ ২১৮।
▪ ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী, পৃঃ ২১৯।
▪ ইমাম বুলকিনী শাফেয়ী, পৃঃ ২১৯।
▪ ইমাম মার্যুকী মালেকী পৃঃ ২২০।
▪ ইমাম জালালুদ্দীন বকরী শাফেয়ী,পৃঃ২২০।
▪ ইমাম কুস্তলানী শাফেয়ী, পৃঃ২২২।
▪ ইমাম ইবনে আরাবী মালেকী,পৃঃ ২২৪।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। কথা হচ্ছে, জান্নাতের সার্টিফিকেট কে দেবে, ভাই!? আসল কথা হচ্ছে, "কিতাবুল্লাহ" এবং "সুন্নাতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিসালাম"ই তো মানতে হবে। এই দুটোর আলোকেই যে মাসআলা-মাসাইল বের করা হয়েছে, এগুলোকে মাযহাব বলা হয়েছে। সাধারণ যুক্তিতে চিন্তা করুন, যাঁদের রচিত হাদিসের গ্রন্থ আমরা পড়ছি, তারা কেন মাযহাব অনুসরণ করতেন? এটা বুঝে নিলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, মাযহাব মানে পথ নয়, বরং কোর'আন-হাদিসেরই নির্দিষ্ট মূলনীতির মাধ্যমে ব্যাখ্যা।
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
মুক্ত সকাল বলেছেন: এমন কোন বিষয় কি আপনার জানা আছে যা দুটি মাযহাবে দুইভাবে বর্ণনা করা হয়। যেমন ইমাম হানাফী রহ: এর মতে, মাতৃ ভাষায় কোরআন তেলওয়াত করে নামায পড়া বৈধ। যা অন্য ইমামগন যুক্তি সহ রহিত করেন। মাযহাব মানার ব্যপারে সহীহ কোন আয়াত বা হাদীস থাকলে বলতে পাড়েন, আমার মতো কমজান্তাদের উপকার হবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُوْلِي الْأَمْرِ مِنْكُم এই আয়াতের তাফসীরে উলুল আমর কারা খুঁজলে ইনশাআল্লাহ পাবেন। মানহাজ আর মাযহাব সম্পর্কে।
আর দুই মাযহাব দুই ভাবে বলেছে এরকম কত বিষয় আছে সেটা বলার পর বলবেন, সবগুলো একসাথে ঠিক হয় কেমনে? তাই বরং এটা পড়তে পারেন,
শাফেঈ’ মাযহাব বলে- অযু করে স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অজু থাকে না, হানাফী মাযহাব বলে- অযু থাকে। কিন্তু, দুইটা তো একই সাথে সঠিক হতে পারে না। তার চাইতে যে মতামতটা অধিকতর সঠিক সেটা অনুসরণ করাই কি উচিত না?
■প্রথমেই জানা দরকার যে, মাযহাবের ভিন্নতা এসেছে উসুলের ভিন্নতার কারণে। প্রকৃতপক্ষে প্রত্যেক মাযহাব তাদের “উসুল” বা মূলনীতি (Set of Principles) অনুসারে যেটা সবচেয়ে সঠিক সেটাই বেছে নিয়েছে। “স্ত্রীকে স্পর্শ করলেও অজু থাকে”-হানাফী মাযহাবে এটাই সঠিক। কারণ, আবু দাউদের সহীহ হাদিসে আছে – রাসূলুল্লাহ(ﷺ) অজু করার পর আয়েশা(রা) কে স্পর্শ করা সত্ত্বেও আবার অজু না করেই নামাজ পড়েছেন।
অন্যদিকে, শাফেঈ’ মাজহাব এর মতে “স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অজু থাকে না ”- এটাই সঠিক। কারণ হিসেবে শাফিঈ মাযহাব বলছেঃ সূরা মায়িদার ৬ নং আয়াতে আল্লাহ (ﷻ) বলেছেন -“স্ত্রীকে স্পর্শ করলে অজু থাকবে না” এবং এই আয়াতটি আবু দাউদের হাদিসের উপর প্রাধান্য পাবে, ফলে আবু দাউদের হাদিসের বিধানটি অবলুপ্ত (Abrogate) হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে।
আবার হানিফা মাযহাব বলছেঃ এই আয়াতের বিপরীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর আমল প্রমাণিত তাই, উক্ত আয়াতের “اولمستم النساء” এর মধ্যে “لمس” (লামসুন) অর্থ “স্পর্শ করা” নয় বরং অভিধানে এর আরেকটি অর্থ রয়েছে, (جماع) তথা “সহবাস”- সেটাই উদ্দেশ্য।
এখন আপনি যদি বলে থাকেন ইমাম আবু হানিফা এর মতামত এক্ষেত্রে ইমাম শাফেঈ’র মতামতের চেয়ে বেশী সঠিক, কিংবা ইমাম শাফিঈ’র চেয়ে ইমাম আবু হানিফার মতামত বেশি সঠিক, তাহলে আপনি আসলে বলছেন সেটা, যেটা আপনার “উসুল” অনুসারে বেশী সঠিক মনে হয়েছে।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫১
মুক্ত সকাল বলেছেন: يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُوْلِي الْأَمْرِ مِنْكُم আলোচ্য আয়াতের অর্থ হচ্ছে, হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর এবং রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক। সেক্ষেত্রে বিচারক বলতে বর্তমান আমিরকে বা আপনার নেতাকে বোঝানো হয়েছে। এখানে মাযহাব খুজে পেলেন কোথায়? আর যদি বলেন বিচারক মানে মাযহাব বা কোন ইমাম কে বোঝানো হয়েছে তাহলে আমার কথা হচ্ছে উক্ত ইমামের অস্তিত্ব কোথায়? কেননা আল্লাহ বলেছেন, وَأُوْلِي الْأَمْرِ مِنْكُم অর্থাৎ- তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক। আর উক্ত ইমামরাতো এখন আমাদের কাছে উপস্থিত নন। আর ইমামগনতো স্পষ্টভাবে বলে যাননি যে তাদের কথা সম্পুর্নই মানার মতো, বরং বলেছেন আমার কোন কথা যদি কোরআন বা হাদীস বিরোধী হয় তাহলে তা ছুড়ে ফেল। মাযহাব মেনে আপনি যদি কোন কারণে দোযখে যান তাহলে কোন ইমামকেই দোষারোপ করতে পারবেন না, কারণ উনারা আপনাকে আমাকে মাযহাব মানতেই হবে এমন কোন চাপ প্রয়োগ করেননি, বরং বলেছেন-আমার কোন কথা যদি কোরআন বা হাদীস বিরোধী হয় তাহলে তা ছুড়ে ফেল।
আমাদের নবী হযরত মোহাম্মাদ সা: বিদায় হজ্জের ভাষনে বলেছেন- তোমরা যতদিন কোরআন ও হাদিসকে আকড়ে ধরে রাখতে পারবে ততদিন বিপথগামী হবেনা। তারপরও কি আপনি বলবেন মাযহাব অনুসরণ করা জরুরী?
আর আল্লাহ যেহেতু রাসূল সা: এর ওফাতের পূর্বেই ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন তাই স্পষ্ট ভাবেই আমরা বলতে পারি মাযহাব মানা জরুরী নয়। মাযহাব ছাড়াই ইসলাম কোরআন ও হাদীস দিয়ে পরিপূর্ন।
নবী রাসূল গনের উপর আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের অহী আসত । এমনকি উনারা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কথা ছাড়া কোন কাজ করতেন না। তাই উনারা পবিত্র।
ইমামগনের উপর যেহেতু কোন অহী আসেনাই তাই ভূল হতেই পারে। আর ভূল না হলে ইমামদের মাঝে মতবিরোধ হয় কেন?
আপনি যদি বলেন- অসম্ভব ভুল হতে পারেনা, এটা আপনি বলেতেই পারেন। তবে উনারা কিন্তু দুনিয়াতে জান্নাতের সার্টিফিকেট পাননি। যারা জান্নাতের সার্টিফিকেট দুনিয়াতেই পেয়েছেন তাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে যদি গৃহ যুদ্ধ হতে পারে, তাহলে ওটা আপনি মানতে নারাজ থাকবেন কেন?
তবে আমার কথা হচ্ছে ইসলামকে আমরা ভাগাভাগি না করে চলুন এক ছায়াতলে সমুন্নত হই, যা হবে একমাত্র আল্লাহ প্রদত্ত ও তার রাসূল সা: প্রদর্শিত।
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: ১) উলুল আমর এর তাফসীরে মুজতাহিদগণও রয়েছেন।
2) অবশ্যই ইমামগণ কোর'আন-সুন্নাহর বিপরীতে কিছু বললে পরিত্যাজ্য। কিন্তু, কোন ইমাম কোন বিষয়টা কোর'আন-সুন্নাহর বিপরীতে বলেছেন? তারা তো শুধু ব্যাখ্যা করেছেন।
3) "আমাদের নবী হযরত মোহাম্মাদ সা: বিদায় হজ্জের ভাষনে বলেছেন- তোমরা যতদিন কোরআন ও হাদিসকে আকড়ে ধরে রাখতে পারবে ততদিন বিপথগামী হবেনা। তারপরও কি আপনি বলবেন মাযহাব অনুসরণ করা জরুরী?"- এখানে খুব সুক্ষভাবে সুন্নাহকে লুকানো হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ( ﷺ) হাদিসের কথা বলেন নি। সুন্নাহ এবং হাদিসের পার্থক্য তো জানেন ই। ইমামদের ইজতিহাদে ভুল হতেই পারে কিন্তু মাযহাব কি একজন ইমামের ব্যাক্তিগত মত ছিল?
এটাই ঠিক, আমাদের আহলুস সুন্নাহ হতে হবে, আহলে হাদিস নয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
মুক্ত সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ খুব সুন্দর পোষ্ট দেওয়ার জন্য।
কিন্তু আপনার প্রতি আমার একটি প্রশ্ন থাকল, কোন ব্যক্তি যদি মাযহাব না মেনে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী চলাফেরা করে এমন কি ঈমান নিয়েই মৃত্যুবরণ করে তাহলে উনিকি বেহেশ্তবাসী হবেন্?