নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান

just simple

ফাহিম বদরুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাউদির দণ্ডে আমাদের কান্ড!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০০

“সাউদি এবং এর রাষ্ট্রব্যবস্থা”- টপিকটি এতোই স্পর্শকাতর যে, ছুঁতে গেলে ভূতেও মজা নেয়। তারপরও স্পর্শ করতে হয়, স্পষ্ট করতে হয়। গত ২রা জানুয়ারি সৌদি সরকার ৪৭ জন লোককে ফাঁসি দিয়েছে। বরাবরের মতো এই বিচার নিয়েও মতানক্য। কেউ হত্যার কারণে সৌদির উপর বিভিন্ন দেশের চাপাচাপির খবর শোনাচ্ছেন আবার কেউ সৌদির পক্ষে অন্ধভক্তের মতো গলাবাজি করছেন। কেউ বিশ্ব-মানবতার ঢোল পেটাচ্ছেন আবার কেউ সাউদি-নিরাপত্তার বেহালা বাজাচ্ছেন।

একটু খেয়াল করলে পরিলক্ষিত হয়, আসলে এটা এই ঘটনাকেন্দ্রিক কোনো পারসেপশন নয়, বরং আদর্শিকভাবে যুগ যুগ ধরে সাউদি আরবের পক্ষে-বিপক্ষে দু’দল হয়েই আছে।

যারা এখন এই মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মানবাধিকারের প্লেকার্ড নিয়ে দণ্ডায়মান দেখা যাচ্ছে, তাদের অধিকাংশ সর্বদাই সাউদি আরবের ছিদ্রান্বেষণে থাকেন। সাউদির পজেটিভ বিষয়ে কখনো একটা অক্ষর লিখেছেন- তা ইতিহাসে বে-নজির। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও কখনো যদি সৌদি আরব কোনো অপরাধীকে মৃত্যুদন্ড দেয়, এসব লোকেরা অশ্রুধারায় বন্যার আভাস দেন। তারা মনের গহীনে এক ধরনের ইরান-প্রীতি লুকিয়ে রাখেন। ‘“সকল শীয়াই কাফের নয়”- এটি প্রমাণে বিভিন্ন সময়ে প্রামাণ্যচিত্রও মঞ্চায়ন করেন। আমেরিকা কিংবা ইসরাইলকে ইরানী কেউ হুমকি দিলে আনন্দে লাফ দিয়ে ছাদে উঠেন, ইমাম খোমেনী পশ্চিমাদের বিপক্ষে চিৎকার করলে তারা খলিফাতুল মুসলিমীনের হুংকার মনে করেন। সুতরাং, তাদের এই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা কেবলই সৌদি আরবের বিরোধীতার কারণে, কোনো হত্যার কারণে নয়। তাদের সাথে অবশ্য জীবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কোরাস ধরে আরেকগ্রুপ। যারা মূলতঃ ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী। এরা আরেকটু এগিয়ে সাউদির দোষগুলোকে পুরো ইসলামের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন।

অন্য প্রান্তে, এই মৃত্যুদণ্ডের পক্ষ নেয়া দলটির কথাবার্তাও খুব তাজ্জবের। এরা কখনোই সাউদির নেগেটিভ কিছু দেখেন না, খুঁজে পান না। একটা প্রবাদ আছে - প্রেমের চক্ষু অন্ধ। তারা সম্ভবতঃ সাউদির মুহাব্বাতে এতোই হাবুডুবু খাচ্ছেন যে, কোনো দোষই দোষ মনে হয় না। যেমনঃ বিগত হজ্বে ক্রেন ভেঙে পড়ে হাজীদের ইন্তিকাল কিংবা পদদলিত হয়ে ইন্তিকালে সাউদির কোনো ধরনের অবহেলা, ত্রুটি কিংবা mismanagement খুঁজে পান নি। তারা কেতনে আল্লাহ এবং মুহাম্মদ (ﷺ) দেখে গর্বিত হন কিন্তু ঘোড়ার রেসে জুয়ার মাঠে কালিমা খচিত পতাকার উড্ডয়ন দেখেন না! তারা তৃতীয় বিশ্বে শায়খদের লাখ লাখ রিয়াল সাহায্য দেখেন কিন্তু প্রথম বিশ্বে কোটি কোটি ডলারের ফুলশয্যা দেখেন না!

এরই ধারাবাহিকতায় কেউ মধ্যখানে দাঁড়িয়ে Specific ঘটনা নিয়ে কথা বলতে রাজি নয়। উভয়পক্ষই নিজ আদর্শিক চেতনা থেকে কেইস স্টাডি করছেন।

একদল শিয়া নেতা 'নামার আন-নামার'র জন্য মায়াকান্না করতে গিয়ে সাউদিকে উলঙ্গ করার প্রচেষ্টা করছেন। এদের কেউ বলছেন, উনি শিয়া হওয়ার কারণে নাকি সাউদি সরকার হত্যা করেছে। আবার কেউ তো আরেকটু বাড়িয়ে (যারা মূলতঃ ইসলাম বিদ্বেষী) ইসলামকেই হত্যার ধর্ম ট্যাগ করছেন।
কেন ভাই! শিয়াদের জন্য আপনার কেন এতো দরদ উছলে উঠে? আপনি জানেন, আল নিমারকে সাউদি সরকার গত কয়েক বছরে তাকে কতবার জামিন দিয়েছে এবং রাষ্ট্রবিরোধী পরিকল্পনা বিষয়ে সতর্ক করেছে। কই, ইরানে গত এক বছরে ফাঁসি দেয়া সহস্রাধিক সুন্নী’র কথা তো একদিনও বলেন নি! আপাদমস্তক সাউদি কিংবা ইসলামের বিষোদাগার না করে নির্দিষ্ট কেইস নিয়ে কথা বলা উচিত।

আবার অন্যদল উক্ত শিয়া নেতা (নামার আন-নামার)’র এবং শীয়াদের অপতৎপরতা বিষয়ক কাসুন্দি বিলায়ে বাকি ৪৬ জনকে শিরশ্ছেদকৃত লোকদের দিব্যি লুকিয়ে ফেলছেন। যেখানে ৪৭জনের মধ্যে মাত্র ১জন মতান্তরে ৪জন ছাড়া বাকি সবাই সুন্নী বলে খবরে প্রকাশ।

আপনি কেন “শিয়া কাফের” কিংবা “শিয়া ইসরাইলের চর” ইত্যাদি বলে সবগুলো শিরশ্ছেদকে লুকিয়ে ফেলছেন?! বিটিভি কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারের সমালোচনা করার মতো সাউদি এবং রাজপরিবারেব সুইট সমালোচনা করেন কেন! বলা হচ্ছে না- শায়খদের সমালোচনাকে জাতীয় সংগীত বানিয়ে ফেলুন, কিন্তু সত্যটা প্রকাশ করুন। এটা করতে না পারলে নিরবতাই মুক্তি।

এক চোখে বিচারালয় অন্য চোখে মানবতা
একচোখা না হয়ে দেখে দুচোখে বলি করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

তানভীরএফওয়ান বলেছেন: thanks 4 ur neutral article

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৫৪

ফাহিম বদরুল হাসান বলেছেন: You are most welcome :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.